শোকে পাথর জলঢাকার মানুষ by দীপক আহমেদ
শোকে
পাথর। কারো মুখেই কোনো কথা নেই। স্তব্ধ। বাকরুদ্ধ সকলেই। যেন শোকে পাথর
হয়ে গেছে জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ ও শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের অর্ধ লাখ মানুষ।
কুমিল্লা ট্র্যাজেডির শিকার হতভাগ্য ইটভাটা শ্রমিকদের লাশ গতকাল শনিবার
সকালে গ্রামে এসে পৌঁছলে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয় গ্রামগুলোতে।
জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের রাজবাড়ি কর্ণময়ী সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মৃতদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। এসময়
প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা, ১টি করে কম্বল ও শুকনো খাবার সরবরাহ করা
হয়।
এদিকে স্বজন হারানো হতদরিদ্র পরিবারগুলোর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় অনেকে।
যে যার মতো করে মানবিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আগে থেকেই লাশ দাফন ও সৎকারের সব প্রস্তুতি নেয়ায় দুপুর গড়ানোর আগেই ধর্মীয় রীতিতে একে একে নিহত সব শ্রমিকের সৎকার সম্পন্ন করেন গ্রামবাসী। ওদিকে নিজপাড়া গ্রামের নিহত রঞ্জিত চন্দ্র রায়ের পিতা সুরেশ চন্দ্র বাকরুদ্ধ । শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকেন মানুষের দিকে। পরিবারের উপার্জনক্ষম তরতাজা পুত্রকে হারিয়ে পাগলপ্রায় একই গ্রামের মানিক চন্দ্র। ঘাতক কয়লাভর্তি ট্রাক কেড়ে নিয়েছে তার বুকের ধন ২৫ বছর বয়সী তরুণ চন্দ্র রায়কে। একই অবস্থা পাঠানপাড়া গ্রামের দিনমজুর নূর আলমের। ১৮ বছর বয়সী ছেলে মোরসালিনকে হারিয়ে তিনি যেন বোবা হয়ে গেছেন।
কারো সঙ্গেই কোনো কথা বলছেন না। চোখের কোণে ছলছল পানি নিয়ে নিহত মিনাল চন্দ্র রায়ের পিতা দীনেশ চন্দ্র সাংবাদিকদের বলছিলেন ‘বাপো তোমরা মোর ছাওয়াক আনি দেও।’ এরকম আকুতিতে এলাকার পরিবেশ এতটাই ভারি হয়ে ওঠে যে চোখে জল ধরে রাখতে পারেন নি কেউ। এদিকে নিহতদের পরিবারকে সরকারি ভাবে এক লাখ করে টাকা সাহায্য দেয়ার ঘোষণা অপ্রতুল বলে দাবি করেছেন স্থানীয় লোকজন। উল্লেখ্য, ২৫শে জানুয়ারি ভোররাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গোলপাশা ইউনিয়নের নারায়ণপুরে কয়লাভর্তি ট্রাক উল্টে ঘুমন্ত অবস্থায় নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ ইউনিয়নের পাঠানপাড়া ও শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের ঘুঘুমারী গ্রামের ১৩ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
এদিকে স্বজন হারানো হতদরিদ্র পরিবারগুলোর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় অনেকে।
যে যার মতো করে মানবিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আগে থেকেই লাশ দাফন ও সৎকারের সব প্রস্তুতি নেয়ায় দুপুর গড়ানোর আগেই ধর্মীয় রীতিতে একে একে নিহত সব শ্রমিকের সৎকার সম্পন্ন করেন গ্রামবাসী। ওদিকে নিজপাড়া গ্রামের নিহত রঞ্জিত চন্দ্র রায়ের পিতা সুরেশ চন্দ্র বাকরুদ্ধ । শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকেন মানুষের দিকে। পরিবারের উপার্জনক্ষম তরতাজা পুত্রকে হারিয়ে পাগলপ্রায় একই গ্রামের মানিক চন্দ্র। ঘাতক কয়লাভর্তি ট্রাক কেড়ে নিয়েছে তার বুকের ধন ২৫ বছর বয়সী তরুণ চন্দ্র রায়কে। একই অবস্থা পাঠানপাড়া গ্রামের দিনমজুর নূর আলমের। ১৮ বছর বয়সী ছেলে মোরসালিনকে হারিয়ে তিনি যেন বোবা হয়ে গেছেন।
কারো সঙ্গেই কোনো কথা বলছেন না। চোখের কোণে ছলছল পানি নিয়ে নিহত মিনাল চন্দ্র রায়ের পিতা দীনেশ চন্দ্র সাংবাদিকদের বলছিলেন ‘বাপো তোমরা মোর ছাওয়াক আনি দেও।’ এরকম আকুতিতে এলাকার পরিবেশ এতটাই ভারি হয়ে ওঠে যে চোখে জল ধরে রাখতে পারেন নি কেউ। এদিকে নিহতদের পরিবারকে সরকারি ভাবে এক লাখ করে টাকা সাহায্য দেয়ার ঘোষণা অপ্রতুল বলে দাবি করেছেন স্থানীয় লোকজন। উল্লেখ্য, ২৫শে জানুয়ারি ভোররাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গোলপাশা ইউনিয়নের নারায়ণপুরে কয়লাভর্তি ট্রাক উল্টে ঘুমন্ত অবস্থায় নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ ইউনিয়নের পাঠানপাড়া ও শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের ঘুঘুমারী গ্রামের ১৩ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
No comments