৬ বার নির্বাচন করেছি প্রতিবারই বৈধ ছিল
৩০
বছরের পুরনো টেলিফোন বিল বকেয়া দেখিয়ে শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপি মনোনীত
প্রার্থী সরদার একেএম নাসিরউদ্দিন কালুর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং
কর্মকর্তা। সাদা কাগজে করা অভিযোগে ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত তার
বকেয়া টেলিফোন বিলের অঙ্ক দেখানো হয়েছে ৩৮১৫ টাকা। কিন্তু বিটিসিএল ফরিদপুর
শাখার ছাড়পত্রটি বিবেচনায় নেননি শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং
কর্মকর্তা কাজী আবু তাহের। আর নাসিরউদ্দিন কালুর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় ওই
আসনে নেই কোনো বিএনপি মনোনীত প্রার্থী।
মনোনয়নপত্র বাতিল প্রসঙ্গে শরীয়তপুর-১ আসনের প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন কালু মানবজমিনকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি সাদা কাগজে ত্রিশ বছরের কয়েকটি পুরনো বিল বকেয়া দেখানো হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, ১৯৮৮ সালে ১৫২টাকা, ১৯৮৯ সালে ২৭৮ টাকা ও ৩৭১ টাকা, ১৯৯০ সালে ৪০৯ টাকা, ১৯৯১ সালে ৬১২ টাকা ও ১২৭৩ টাকা মিলিয়ে সর্বমোট ৩৮১৫ টাকা বকেয়া দেখানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বিটিসিএল ফরিদপুর শাখা থেকে আমার ব্যবহৃত টেলিফোন ৩৩৩/৭৭৭ এর অনুকূলে ফ্যাক্সে একটি ছাড়পত্র পাঠানো হয়েছে জেলা প্রশাসকের বরাবর। সেখানে বলা হয়েছে, ১৯৮৪ সালের ১লা নভেম্বর থেকে ১৯৯৩ সালের মে পর্যন্ত আমার ব্যবহৃত নাম্বারের সকল বিল পরিশোধিত রয়েছে।
কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদপুর শাখা বিটিসিএলের সে ছাড়পত্র বিবেচনায় নেননি। সরদার নাসিরউদ্দিন কালু বলেন, আমার কোনো টেলিফোন বিল বকেয়া নেই। ১৯৯৩ সালের পর আমি টেলিফোনও ব্যবহার করি না। তিনি বলেন, যে সময়ের টেলিফোন বিল বকেয়া দেখানো হয়েছে তার পরে আমি ৬ বার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। আমি ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও একবার উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।
২০০৪ সালে শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। এ ছাড়াও ২০০৮ ও ২০১৪ সালের পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। প্রতিবারই আমার মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। এতদিন পর আমার টেলিফোন বিল কীভাবে বকেয়া হলো তা আমার জানা নেই। নাসিরউদ্দিন কালু বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে, অযৌক্তিকভাবে, খামখেয়ালিভাবে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আমি বিএনপি দলীয় প্রার্থী এটাই আমার অপরাধ। আমি ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে ফরিদপুর শাখা বিটিসিএলের ছাড়পত্রের ফটোকপিসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি। প্রার্থিতা ফিরে পেতে আমি নির্বাচন কমিশনে আপিল করবো। এদিকে টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায় শরীয়তপুর-২ আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী বাদল কাজী ও শরীয়তপুর-৩ আসনে কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রার্থী সুশান্ত ভাওয়ালের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বাদল কাজীর বকেয়া বিলের পরিমাণ ১১ হাজার ৮১ টাকা ও সুশান্ত ভাওয়ালের কাছে ২ হাজার ১২৩ টাকা বিল বকেয়া রয়েছে।
এ ছাড়া শরীয়তপুর-১ আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী আলমগীর হোসেন ঋণখেলাপি হওয়ায় এবং শরীয়তপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সফিউদ্দিন মানিক হাওলাদারের এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সংবলিত স্বাক্ষর জমা না দেয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আলমগীর হোসেন স্থানীয় গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর শাখা কৃষি ব্যাংকের ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার ঋণখেলাপি। উল্লেখ্য, টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায় তখন ওই তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাছাই বিকাল পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়। এ সময়ের মধ্যে ওই তিন প্রার্থী বিটিসিএলের রাজস্ব শাখা ফরিদপুরে বকেয়া বিল নগদ টাকায় পরিশোধ করেন। কিন্তু নির্বাচনী আইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সাত দিন আগে সব বকেয়া বিল ও ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এখন শরীয়তপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইকবাল হোসেন অপুসহ সাতজন প্রার্থী অংশ নিতে পারবেন।
মনোনয়নপত্র বাতিল প্রসঙ্গে শরীয়তপুর-১ আসনের প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন কালু মানবজমিনকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি সাদা কাগজে ত্রিশ বছরের কয়েকটি পুরনো বিল বকেয়া দেখানো হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, ১৯৮৮ সালে ১৫২টাকা, ১৯৮৯ সালে ২৭৮ টাকা ও ৩৭১ টাকা, ১৯৯০ সালে ৪০৯ টাকা, ১৯৯১ সালে ৬১২ টাকা ও ১২৭৩ টাকা মিলিয়ে সর্বমোট ৩৮১৫ টাকা বকেয়া দেখানো হয়েছে।
তিনি বলেন, বিটিসিএল ফরিদপুর শাখা থেকে আমার ব্যবহৃত টেলিফোন ৩৩৩/৭৭৭ এর অনুকূলে ফ্যাক্সে একটি ছাড়পত্র পাঠানো হয়েছে জেলা প্রশাসকের বরাবর। সেখানে বলা হয়েছে, ১৯৮৪ সালের ১লা নভেম্বর থেকে ১৯৯৩ সালের মে পর্যন্ত আমার ব্যবহৃত নাম্বারের সকল বিল পরিশোধিত রয়েছে।
কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদপুর শাখা বিটিসিএলের সে ছাড়পত্র বিবেচনায় নেননি। সরদার নাসিরউদ্দিন কালু বলেন, আমার কোনো টেলিফোন বিল বকেয়া নেই। ১৯৯৩ সালের পর আমি টেলিফোনও ব্যবহার করি না। তিনি বলেন, যে সময়ের টেলিফোন বিল বকেয়া দেখানো হয়েছে তার পরে আমি ৬ বার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। আমি ১৯৯১, ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও একবার উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি।
২০০৪ সালে শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। এ ছাড়াও ২০০৮ ও ২০১৪ সালের পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। প্রতিবারই আমার মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। এতদিন পর আমার টেলিফোন বিল কীভাবে বকেয়া হলো তা আমার জানা নেই। নাসিরউদ্দিন কালু বলেন, সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে, অযৌক্তিকভাবে, খামখেয়ালিভাবে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আমি বিএনপি দলীয় প্রার্থী এটাই আমার অপরাধ। আমি ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে ফরিদপুর শাখা বিটিসিএলের ছাড়পত্রের ফটোকপিসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি। প্রার্থিতা ফিরে পেতে আমি নির্বাচন কমিশনে আপিল করবো। এদিকে টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায় শরীয়তপুর-২ আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী বাদল কাজী ও শরীয়তপুর-৩ আসনে কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রার্থী সুশান্ত ভাওয়ালের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বাদল কাজীর বকেয়া বিলের পরিমাণ ১১ হাজার ৮১ টাকা ও সুশান্ত ভাওয়ালের কাছে ২ হাজার ১২৩ টাকা বিল বকেয়া রয়েছে।
এ ছাড়া শরীয়তপুর-১ আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী আলমগীর হোসেন ঋণখেলাপি হওয়ায় এবং শরীয়তপুর-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সফিউদ্দিন মানিক হাওলাদারের এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সংবলিত স্বাক্ষর জমা না দেয়ায় মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আলমগীর হোসেন স্থানীয় গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর শাখা কৃষি ব্যাংকের ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার ঋণখেলাপি। উল্লেখ্য, টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায় তখন ওই তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাছাই বিকাল পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়। এ সময়ের মধ্যে ওই তিন প্রার্থী বিটিসিএলের রাজস্ব শাখা ফরিদপুরে বকেয়া বিল নগদ টাকায় পরিশোধ করেন। কিন্তু নির্বাচনী আইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সাত দিন আগে সব বকেয়া বিল ও ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এখন শরীয়তপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইকবাল হোসেন অপুসহ সাতজন প্রার্থী অংশ নিতে পারবেন।
No comments