ভগ্নিপতি ওমর সা'দের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে কারবালার বদলা নেন মুখতার
১৩৭৪
বছর আগে ৬৫ হিজরির এই দিনে (নয়ই রবিউল আউয়াল) কারবালার অতি অসম-যুদ্ধ ও
মহা-ট্র্যাজেডির অন্যতম প্রধান অপরাধী ইয়াজিদ বাহিনীর সেনাপতি ওমর ইবনে
সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাসের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
কারবালার ঘটনার প্রায় চার বছর পর নবী (দ.)- বংশের পক্ষে গণ-জাগরণে নেতৃত্বদানকারী বীর মুখতার সাকাফির নির্দেশে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় যদিও ওমর সাদ ছিল মুখতারের আপন ভগ্নিপতি।
বিশ্বনবী (সা.)’র প্রিয় নাতী হযরত ইমাম হুসাইন (আ.) এবং তাঁর পরিবারের প্রায় সব পুরুষ সদস্যসহ (একজন ছাড়া) নবী (সা.)বংশের বেশ কয়েকজন সদস্য ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ হয়েছিলেন ওই যুদ্ধে। ইমামের ছয় মাসের শিশুপুত্র হযরত আলী আসগর (র.)সহ নবী-বংশের প্রায় ১৮ জন সদস্য শহীদ হন। এ ছাড়াও ইমামের পক্ষে বীরের মত লড়াই করে প্রায় ১০০ জন সঙ্গী-সাথীও এ যুদ্ধে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছিলেন। ইয়াজিদের নির্দেশে কুফার গভর্নর ইবনে জিয়াদের ফরমান পেয়ে ত্রিশ হাজারেরও বেশি সেনা নিয়ে ওমর সা'দ কারবালায় ইমাম হুসাইন (আ.)-কে হয় যুদ্ধ নতুবা ইয়াজিদের প্রতি আনুগত্যের অপমানজনক শর্ত আরোপ করেছিল। ইমাম (আ.) ও তাঁর অধিকাংশ আত্মীয়-স্বজনসহ কারবালায় নবী-বংশের প্রেমিক প্রায় ১০০ জন সদস্য ত্রিশ হাজার সুসজ্জিত সেনার বিরুদ্ধে প্রবল পিপাসার্ত অবস্থায় বীরের মত লড়াই করে শহীদ হন এবং এভাবে তাঁরা ইসলামের ইতিহাসে ধর্মের জন্য বীরত্ব ও ত্যাগের এক অনন্য-অমর দৃষ্টান্ত রচনা করেন।
ইমাম শিবিরের জন্য কয়েকদিন ধরে পানি সরবরাহ নিষিদ্ধকারী ইয়াজিদ বাহিনী নবী-পরিবারের সদস্যদের লাশের ওপর ঘোড়া ছুটিয়ে লাশগুলো দলিত-মথিত করেছিল এবং তাঁদের মস্তক ছিন্ন করে বর্শার আগায় বিদ্ধ করেছিল। তারা কারবালায় ইমাম শিবিরের তাঁবুগুলোতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে লুটপাট চালিয়েছিল। এ ছাড়াও নবী-বংশের নারী ও শিশুদেরকেও টেনে হিঁচড়ে শিকল পরিয়ে বন্দী অবস্থায় কুফার গভর্নরের দরবারে ও দামেস্কে ইয়াজিদের দরবারে নিয়ে গিয়েছিল খোদাদ্রোহী ইয়াজিদ বাহিনী।
নবী-বংশের পক্ষে মুখতারের গণ-জাগরণের ফলে ইরাকে উমাইয়া শাসনের অবসান ঘটেছিল এবং কারবালার নৃশংসতায় জড়িত প্রায় সব প্রধান নরপিশাচকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল মুখতারের বিপ্লবী গণ-বাহিনী।
কারবালার ঘটনার প্রায় চার বছর পর নবী (দ.)- বংশের পক্ষে গণ-জাগরণে নেতৃত্বদানকারী বীর মুখতার সাকাফির নির্দেশে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় যদিও ওমর সাদ ছিল মুখতারের আপন ভগ্নিপতি।
বিশ্বনবী (সা.)’র প্রিয় নাতী হযরত ইমাম হুসাইন (আ.) এবং তাঁর পরিবারের প্রায় সব পুরুষ সদস্যসহ (একজন ছাড়া) নবী (সা.)বংশের বেশ কয়েকজন সদস্য ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ হয়েছিলেন ওই যুদ্ধে। ইমামের ছয় মাসের শিশুপুত্র হযরত আলী আসগর (র.)সহ নবী-বংশের প্রায় ১৮ জন সদস্য শহীদ হন। এ ছাড়াও ইমামের পক্ষে বীরের মত লড়াই করে প্রায় ১০০ জন সঙ্গী-সাথীও এ যুদ্ধে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছিলেন। ইয়াজিদের নির্দেশে কুফার গভর্নর ইবনে জিয়াদের ফরমান পেয়ে ত্রিশ হাজারেরও বেশি সেনা নিয়ে ওমর সা'দ কারবালায় ইমাম হুসাইন (আ.)-কে হয় যুদ্ধ নতুবা ইয়াজিদের প্রতি আনুগত্যের অপমানজনক শর্ত আরোপ করেছিল। ইমাম (আ.) ও তাঁর অধিকাংশ আত্মীয়-স্বজনসহ কারবালায় নবী-বংশের প্রেমিক প্রায় ১০০ জন সদস্য ত্রিশ হাজার সুসজ্জিত সেনার বিরুদ্ধে প্রবল পিপাসার্ত অবস্থায় বীরের মত লড়াই করে শহীদ হন এবং এভাবে তাঁরা ইসলামের ইতিহাসে ধর্মের জন্য বীরত্ব ও ত্যাগের এক অনন্য-অমর দৃষ্টান্ত রচনা করেন।
ইমাম শিবিরের জন্য কয়েকদিন ধরে পানি সরবরাহ নিষিদ্ধকারী ইয়াজিদ বাহিনী নবী-পরিবারের সদস্যদের লাশের ওপর ঘোড়া ছুটিয়ে লাশগুলো দলিত-মথিত করেছিল এবং তাঁদের মস্তক ছিন্ন করে বর্শার আগায় বিদ্ধ করেছিল। তারা কারবালায় ইমাম শিবিরের তাঁবুগুলোতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে লুটপাট চালিয়েছিল। এ ছাড়াও নবী-বংশের নারী ও শিশুদেরকেও টেনে হিঁচড়ে শিকল পরিয়ে বন্দী অবস্থায় কুফার গভর্নরের দরবারে ও দামেস্কে ইয়াজিদের দরবারে নিয়ে গিয়েছিল খোদাদ্রোহী ইয়াজিদ বাহিনী।
নবী-বংশের পক্ষে মুখতারের গণ-জাগরণের ফলে ইরাকে উমাইয়া শাসনের অবসান ঘটেছিল এবং কারবালার নৃশংসতায় জড়িত প্রায় সব প্রধান নরপিশাচকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল মুখতারের বিপ্লবী গণ-বাহিনী।
No comments