ভারতভুক্তির তিন বছর পর সাবেক ছিটবাসীরা জমির স্বত্ব পাচ্ছেন
ভারতভুক্তির
তিন বছর পর সাবেক ছিটবাসীরা জমির স্বত্ব পাচ্ছেন। গত তিন বছরে প্রশাসনের
কাছে বহু অনুনয় করেও কাজ হয় নি। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নিদের্শের পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। গত সোমবার
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভায় সাবেক ছিটমহলে বসবাসকারীদের জমির স্থায়ী
মালিকানা দিতে ভূমি আইনের সংশোধনী সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে। এই বিল পাসের
পর সাবেক ছিটবাসীরা খুশি। বিরোধীরাও আইনকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তারা একই
সঙ্গে সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের সার্বিক নাগরিক সুযোগ সুবিধা দেওয়ার
দাবিতে সরব হয়েছেন। বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, দু’বছর আগেই
এটা হতে পারত।
কোচবিহারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টা বুঝেছিলেন। তাই তাড়াহুড়ো করে করা হল। এ দিন বর্তমান ভূমি আইনে ৩-বি নামে নতুন ধারা যুক্ত করে ছিটমহলের সব জমিকে খাস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ৩-বি (২) ধারা যুক্ত করার ফলে ওই জমিতে বসবাসকারী পরিবারগুলিকে জমির আইনি অধিকার দেওয়া সম্ভব হবে। ২০১৫ সালে ছিটমহল চুক্তির পরে বাংলাদেশ থেকে ভারত পায় ৭১০০ একরের কিছু বেশি জমি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ছিটমহল বিনিময়ের পর নাগরিকত্ব বেছে নেওয়ার যে বিকল্প ছিটমহলের বাসিন্দাদের কাছে ছিল তা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশি ছিটমহলগুলির ৯২২ জন বাসিন্দা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। কিন্তু ভারতে থাকা বাংলাদেশি ছিটমহলগুলির ২৩,৩২৪ জনের কেউ বাংলাদেশে যান নি। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র সাবেক ছিটবাসীদের উন্নয়ন ও পরিকাঠামো খাতে ১০০৫ কোটি রুপি দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা এখনও পূরণ করে নি। এখন পর্যন্ত মাত্র ‘৫৭৯ কোটি টাকা কেন্দ্র দিয়েছে। এখনও ৪২৬ কোটি টাকা দেয় নি। জানা গেছে, সাবেক ছিটমহলকে এবার পঞ্চায়েতের আওতায় আনা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাস্তা, হাসপাতাল অন্যান্য পরিকাঠামো সব হচ্ছে। সেখানকার মানুষদের রেশন, ভোটার কার্ড, বিদ্যুৎ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি সমস্যা আমরা দেখছি। বিরোধীদের দাবি মেনে ছিটমহলের বাসিন্দাদের ‘কন্যাশ্রী’, ‘সবুজসাথী’ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কোচবিহারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টা বুঝেছিলেন। তাই তাড়াহুড়ো করে করা হল। এ দিন বর্তমান ভূমি আইনে ৩-বি নামে নতুন ধারা যুক্ত করে ছিটমহলের সব জমিকে খাস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ৩-বি (২) ধারা যুক্ত করার ফলে ওই জমিতে বসবাসকারী পরিবারগুলিকে জমির আইনি অধিকার দেওয়া সম্ভব হবে। ২০১৫ সালে ছিটমহল চুক্তির পরে বাংলাদেশ থেকে ভারত পায় ৭১০০ একরের কিছু বেশি জমি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ছিটমহল বিনিময়ের পর নাগরিকত্ব বেছে নেওয়ার যে বিকল্প ছিটমহলের বাসিন্দাদের কাছে ছিল তা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশি ছিটমহলগুলির ৯২২ জন বাসিন্দা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন। কিন্তু ভারতে থাকা বাংলাদেশি ছিটমহলগুলির ২৩,৩২৪ জনের কেউ বাংলাদেশে যান নি। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র সাবেক ছিটবাসীদের উন্নয়ন ও পরিকাঠামো খাতে ১০০৫ কোটি রুপি দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা এখনও পূরণ করে নি। এখন পর্যন্ত মাত্র ‘৫৭৯ কোটি টাকা কেন্দ্র দিয়েছে। এখনও ৪২৬ কোটি টাকা দেয় নি। জানা গেছে, সাবেক ছিটমহলকে এবার পঞ্চায়েতের আওতায় আনা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাস্তা, হাসপাতাল অন্যান্য পরিকাঠামো সব হচ্ছে। সেখানকার মানুষদের রেশন, ভোটার কার্ড, বিদ্যুৎ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি সমস্যা আমরা দেখছি। বিরোধীদের দাবি মেনে ছিটমহলের বাসিন্দাদের ‘কন্যাশ্রী’, ‘সবুজসাথী’ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
No comments