রোহিঙ্গা সংকটে বিশ্ব সম্প্রদায়ের আরো অনেক কাজ বাকি
বিশ্বব্যাংকের
প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট উত্তরণে আন্তর্জাতিক
সমপ্রদায়ের আরো অনেক কাজ বাকি আছে, আর সেজন্যই তিনি ও জাতিসংঘ মহাসচিব
বাংলাদেশে এসেছেন। গতকাল সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের
সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ ব্রিফিংয়ে জিম ইয়ং কিম এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা
জানি, আমাদের আরো অনেক কিছু করতে হবে, আরো অনেক কাজ বাকি, তাদের জন্য আরো
অনেক কিছু করা দরকার। এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি এখন কঠিন। কারণ
বাংলাদেশকে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার ভার বহন করতে হচ্ছে। এ সময়ে সফরে আসায়
জিম ইয়ং কিমকে ধন্যবাদ জানান মুহিত। তিনি বলেন, তবে শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে
পরিস্থিতি জটিল হয়েছে সেটা আমরা বলতে চাই না।
বাংলাদেশের মানুষকেও অন্য দেশে শরণার্থী হতে হয়েছিল। সেটা কখনো ভোলার নয়। আর এ কারণেই আমরা শরণার্থীদের সাদরে গ্রহণ করেছি। কিন্তু আমরা অবশ্যই চাই, এই শরণার্থীরা নিরাপদে ও আত্মমর্যাদার সঙ্গে তাদের দেশে ফিরে যাক। আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ও আমাদের এই চাওয়ার প্রতি বিপুলভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
এরপর বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। সোমবার তারা কক্সবাজারে গিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন।
মহাসচিব ও আমি এখানে এসেছি বাংলাদেশের মানুষ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে। কারণ তারা এত বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছেন। আর তারা এটা করেছেন খুবই মানবিক এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে।
বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসায় কিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী মুহিতের নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেদিকে অগ্রসর হচ্ছে, তার প্রতি বিশ্বব্যাংকের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এ বছর আমরা বাংলাদেশকে রেকর্ড ৩ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছি, যা বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম। আর এটা হচ্ছে আমাদের আস্থার স্পষ্ট ইঙ্গিত। গুতেরেস যখন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ছিলেন, তখন তার প্রেরণাতেই বিশ্বব্যাংক গ্রুপ শরণার্থীদের জন্য কাজ করতে শুরু করে বলে জানান কিম। তিনি বলেন, বছর পাঁচেক আগে তিনি আমাকে বলেন, বিশ্বব্যাংকেরও এ কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে। কেননা এসব সমস্যা এত দীর্ঘস্থায়ী হয় যে তখন আর তা শরণার্থী সংকট থাকে না, উন্নয়নের সংকটে পরিণত হয়। তার এই দৃষ্টিভঙ্গিই পাঁচ বছর আগে আমাদের এ কাজে সম্পৃক্ত করেছে। রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্বব্যাংক সমপ্রতি ৪৮ কোটি ডলার সহায়তার যে ঘোষণা দিয়েছে, সে কথাও ব্রিফিংয়ে বলেন আন্তর্জাতিক এ ঋণদাতা সংস্থার প্রেসিডেন্ট। আমরা মনে করি, যেসব দেশ মানবিক কারণে শরণার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে, সেজন্য তাদের ভোগান্তির মুখে ফেলা উচিত নয়। বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী, দেশের মানুষ এবং প্রধানমন্ত্রী যে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন, সেজন্য আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি যাতে সহায়তার টাকাটা অনুদানের আকারেই আসে।
মিয়ানমারকে বিশ্বাস করা যায় না, তারা অল রাবিশ: অর্থমন্ত্রী
সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি বলতে পারি, আজকের দিন বাংলাদেশ সরকারের জন্য গুড ডে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমের এই সফর মূলত রোহিঙ্গা সমস্যা সরজমিন দেখার জন্য। এ জন্য আমরা এ দুই সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞ। গুতেরেস ও কিমের সফরের মধ্য দিয়ে বিশ্বকে বোঝানো গেছে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যা কতটা প্রকট। কত বড় দায় আমাদের ঘাড়ে, একথা আমরা বিশ্ববাসীকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি তাদের সফরের কারণে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনের আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের উদ্যোগ নেয়া উচিত ছিল।
মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তারা একেক সময় একেক কথা বলে। তাদের ওপর বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। তাদের কোনো কথা বিশ্বাস করা যায় না। দে আর অল রাবিশ।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের উপায় খুঁজতে শনিবার রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। তারা দুজনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর আগে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা একটি জাতিকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। আমরা বুঝাতে পারছি, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এখন সচেতন হয়েছে। আন্তর্জাতিক সাহায্য দিয়ে আমরা গত এক বছর রোহিঙ্গাদের সহায়তা করেছি। আগামী এক বছরও আন্তর্জাতিক সাহায্য দিয়ে সহায়তা করা সম্ভব হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক রোহিঙ্গাদের জন্য ৪৮০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেবে। এ অর্থ তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাদ্য ও স্যানিটেশনের জন্য ব্যয় করা হবে। আজ থেকে কার্যকর হওয়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে রোহিঙ্গাদের জন্য ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এই দুজনের বাংলাদেশের সফর মিয়ানমারের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করবে। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে মিয়ানমারে সব প্রকল্প স্থগিত করেছে বিশ্বব্যাংক।
অর্থমন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের কোনো অর্থ ব্যয় হয়নি। রোহিঙ্গাদের জন্য যা ব্যয় হয়েছে তার সবই পাওয়া গেছে অনুদান হিসেবে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও ব্যক্তির কাছ থেকে। রোহিঙ্গাদের জন্য আরো অনুদান প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশের মানুষকেও অন্য দেশে শরণার্থী হতে হয়েছিল। সেটা কখনো ভোলার নয়। আর এ কারণেই আমরা শরণার্থীদের সাদরে গ্রহণ করেছি। কিন্তু আমরা অবশ্যই চাই, এই শরণার্থীরা নিরাপদে ও আত্মমর্যাদার সঙ্গে তাদের দেশে ফিরে যাক। আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ও আমাদের এই চাওয়ার প্রতি বিপুলভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
এরপর বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। সোমবার তারা কক্সবাজারে গিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন।
মহাসচিব ও আমি এখানে এসেছি বাংলাদেশের মানুষ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে। কারণ তারা এত বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছেন। আর তারা এটা করেছেন খুবই মানবিক এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে।
বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসায় কিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী মুহিতের নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেদিকে অগ্রসর হচ্ছে, তার প্রতি বিশ্বব্যাংকের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এ বছর আমরা বাংলাদেশকে রেকর্ড ৩ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছি, যা বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম। আর এটা হচ্ছে আমাদের আস্থার স্পষ্ট ইঙ্গিত। গুতেরেস যখন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ছিলেন, তখন তার প্রেরণাতেই বিশ্বব্যাংক গ্রুপ শরণার্থীদের জন্য কাজ করতে শুরু করে বলে জানান কিম। তিনি বলেন, বছর পাঁচেক আগে তিনি আমাকে বলেন, বিশ্বব্যাংকেরও এ কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে। কেননা এসব সমস্যা এত দীর্ঘস্থায়ী হয় যে তখন আর তা শরণার্থী সংকট থাকে না, উন্নয়নের সংকটে পরিণত হয়। তার এই দৃষ্টিভঙ্গিই পাঁচ বছর আগে আমাদের এ কাজে সম্পৃক্ত করেছে। রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্বব্যাংক সমপ্রতি ৪৮ কোটি ডলার সহায়তার যে ঘোষণা দিয়েছে, সে কথাও ব্রিফিংয়ে বলেন আন্তর্জাতিক এ ঋণদাতা সংস্থার প্রেসিডেন্ট। আমরা মনে করি, যেসব দেশ মানবিক কারণে শরণার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে, সেজন্য তাদের ভোগান্তির মুখে ফেলা উচিত নয়। বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী, দেশের মানুষ এবং প্রধানমন্ত্রী যে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন, সেজন্য আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি যাতে সহায়তার টাকাটা অনুদানের আকারেই আসে।
মিয়ানমারকে বিশ্বাস করা যায় না, তারা অল রাবিশ: অর্থমন্ত্রী
সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি বলতে পারি, আজকের দিন বাংলাদেশ সরকারের জন্য গুড ডে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমের এই সফর মূলত রোহিঙ্গা সমস্যা সরজমিন দেখার জন্য। এ জন্য আমরা এ দুই সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞ। গুতেরেস ও কিমের সফরের মধ্য দিয়ে বিশ্বকে বোঝানো গেছে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যা কতটা প্রকট। কত বড় দায় আমাদের ঘাড়ে, একথা আমরা বিশ্ববাসীকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি তাদের সফরের কারণে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনের আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের উদ্যোগ নেয়া উচিত ছিল।
মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তারা একেক সময় একেক কথা বলে। তাদের ওপর বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। তাদের কোনো কথা বিশ্বাস করা যায় না। দে আর অল রাবিশ।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের উপায় খুঁজতে শনিবার রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। তারা দুজনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর আগে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা একটি জাতিকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। আমরা বুঝাতে পারছি, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এখন সচেতন হয়েছে। আন্তর্জাতিক সাহায্য দিয়ে আমরা গত এক বছর রোহিঙ্গাদের সহায়তা করেছি। আগামী এক বছরও আন্তর্জাতিক সাহায্য দিয়ে সহায়তা করা সম্ভব হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক রোহিঙ্গাদের জন্য ৪৮০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেবে। এ অর্থ তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাদ্য ও স্যানিটেশনের জন্য ব্যয় করা হবে। আজ থেকে কার্যকর হওয়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে রোহিঙ্গাদের জন্য ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এই দুজনের বাংলাদেশের সফর মিয়ানমারের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করবে। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে মিয়ানমারে সব প্রকল্প স্থগিত করেছে বিশ্বব্যাংক।
অর্থমন্ত্রী জানান, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের কোনো অর্থ ব্যয় হয়নি। রোহিঙ্গাদের জন্য যা ব্যয় হয়েছে তার সবই পাওয়া গেছে অনুদান হিসেবে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও ব্যক্তির কাছ থেকে। রোহিঙ্গাদের জন্য আরো অনুদান প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
No comments