৩ সিটিতে অনিয়মের পুনরাবৃত্তি হবে না
নির্বাচন
কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, আমরা অতীতের ভুল-ভ্রান্তিগুলো চিহ্নিত
করে ভবিষ্যতে পথ চলতে চাই। খুলনা ও গাজীপুরে যে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে
যেসব ভুল-ভ্রান্তি ছিল সেগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি। আগামীদিনে যে তিন সিটিতে
নির্বাচন রয়েছে সেখানে যেন ওইসব ভুলের এবং যেসব অনিয়ম হয়েছে সেসব অনিয়মের
পুনরাবৃত্তি না হয়- এ বিষয়টি আমরা দৃষ্টিতে রাখব। গত দুই সিটির নির্বাচনের
সঙ্গে পরবর্তী তিন সিটি নির্বাচনের তুলনা হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গতকাল নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মাহবুব তালুকদার এসব কথা
বলেন। খুলনা ও গাজীপুরের নির্বাচন কেমন হয়েছে সে বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি
নন এই নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, আমি অতীত টেনে আনতে চাই না। তবে অতীত
থেকে শিক্ষা নিতে চাই।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়-দায়িত্ব চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে জানান মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ইসির কী ভূমিকা ছিল তা তুলে ধরার জন্য কাজ করা হচ্ছে। প্রতিবেদন তৈরি হলেই এ বিষয়ে জানা যাবে। তিন সিটিতে পুলিশের ভূমিকা কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ আমাদের সহায়ক শক্তি। ইসির এমন সক্ষমতা নেই যে নিজেদের লোক দিয়েই নির্বাচন করবে। সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য পুলিশ বাহিনীকে অনুপ্রাণিত করতে হবে। দুই সিটি নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা কী ছিল তাও তদন্ত চলছে। প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন চান উল্লেখ করে মাহবুব তালুকদার বলেন, তার কথা মেনে নিয়ে আমরা কেন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব না? কেন আমরা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করব? এটা বুঝতে পারি না।
তিনি বলেন, গাজীপুরে বিভিন্ন কেন্দ্রে ২০ ভাগের কম ভোট এবং ৮০ ভাগের বেশি ভোট কেন পড়লো সে বিষয়টি অনুসন্ধান চলছে। এছাড়া গণমাধ্যমে যেসব অনিয়মের খবর এসেছে তার সত্যতা খুঁজে বের করা হবে। কারণ, অনেক গণমাধ্যমে ভুল তথ্য এসেছে। আমরা তৃণমূলে গিয়ে এর সত্যতা যাচাই করতে চাই। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার জানান, বিভিন্ন কেন্দ্রে অনিয়মের বিষয়ে জানতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সাত দিন সময় দেয়া হয়েছে। তার কাছ থেকে প্রতিবেদন পেলে দশ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। সেই প্রতিবেদন কমিশন সভায় উপস্থাপনের পর সিদ্ধান্ত হবে কমিশন কী করবে। ওই নির্বাচন ভালো হয়েছে, না খারাপ হয়েছে এক তরফাভাবে এধরনের মন্তব্য গ্রহণ করতে চান না সাবেক এই আমলা। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা গাজীপুর সিটি নির্বাচনের কোনো প্রতিবেদন দেননি কেন সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। পর্যবেক্ষকরা কী পর্যবেক্ষণ দিয়েছে সেগুলোও যাচাই করা হবে। তিনি বলেন, গাজীপুর ও খুলনায় নির্বাচনে নিশ্চয়ই কিছু অনিয়ম হয়েছে।
এজন্য কিছু কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। এর বাইরে যেসব ঘটনা আছে সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। সিটি নির্বাচনে এমপিদের প্রচারণার সুযোগ দিয়ে আইন প্রণয়নের সময় বিরোধিতা করে আপত্তি জানিয়েছিলেন মাহবুব তালুকদার। পরবর্তীতে এরকম আপত্তি জানাবেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু পথে অগ্রসর হয় তাহলে আমাকে কোনো নোট অব ডিসেন্ট দিতে হবে না। আর যদি দেখি আমার বিবেকে সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তবে একটা কেন, দশটা নোট অব ডিসেন্ট দেব। এরকম পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রয়োজনে চেয়ার ছেড়ে যাব। চেয়ার তো আমার হাতে না। চেয়ার ছাড়ার প্রশ্ন উঠছে কেন? আমি এমন যোদ্ধা আমি যুদ্ধক্ষেত্রে শহীদ হতে পারি। কিন্তু যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পলায়ন করে, আত্মরক্ষা করে বেঁচে থাকার কোনো কারণ দেখি না।
গাজীপুর সিটি নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়-দায়িত্ব চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে জানান মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ইসির কী ভূমিকা ছিল তা তুলে ধরার জন্য কাজ করা হচ্ছে। প্রতিবেদন তৈরি হলেই এ বিষয়ে জানা যাবে। তিন সিটিতে পুলিশের ভূমিকা কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ আমাদের সহায়ক শক্তি। ইসির এমন সক্ষমতা নেই যে নিজেদের লোক দিয়েই নির্বাচন করবে। সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য পুলিশ বাহিনীকে অনুপ্রাণিত করতে হবে। দুই সিটি নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা কী ছিল তাও তদন্ত চলছে। প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন চান উল্লেখ করে মাহবুব তালুকদার বলেন, তার কথা মেনে নিয়ে আমরা কেন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব না? কেন আমরা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করব? এটা বুঝতে পারি না।
তিনি বলেন, গাজীপুরে বিভিন্ন কেন্দ্রে ২০ ভাগের কম ভোট এবং ৮০ ভাগের বেশি ভোট কেন পড়লো সে বিষয়টি অনুসন্ধান চলছে। এছাড়া গণমাধ্যমে যেসব অনিয়মের খবর এসেছে তার সত্যতা খুঁজে বের করা হবে। কারণ, অনেক গণমাধ্যমে ভুল তথ্য এসেছে। আমরা তৃণমূলে গিয়ে এর সত্যতা যাচাই করতে চাই। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার জানান, বিভিন্ন কেন্দ্রে অনিয়মের বিষয়ে জানতে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সাত দিন সময় দেয়া হয়েছে। তার কাছ থেকে প্রতিবেদন পেলে দশ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। সেই প্রতিবেদন কমিশন সভায় উপস্থাপনের পর সিদ্ধান্ত হবে কমিশন কী করবে। ওই নির্বাচন ভালো হয়েছে, না খারাপ হয়েছে এক তরফাভাবে এধরনের মন্তব্য গ্রহণ করতে চান না সাবেক এই আমলা। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা গাজীপুর সিটি নির্বাচনের কোনো প্রতিবেদন দেননি কেন সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। পর্যবেক্ষকরা কী পর্যবেক্ষণ দিয়েছে সেগুলোও যাচাই করা হবে। তিনি বলেন, গাজীপুর ও খুলনায় নির্বাচনে নিশ্চয়ই কিছু অনিয়ম হয়েছে।
এজন্য কিছু কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। এর বাইরে যেসব ঘটনা আছে সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। সিটি নির্বাচনে এমপিদের প্রচারণার সুযোগ দিয়ে আইন প্রণয়নের সময় বিরোধিতা করে আপত্তি জানিয়েছিলেন মাহবুব তালুকদার। পরবর্তীতে এরকম আপত্তি জানাবেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু পথে অগ্রসর হয় তাহলে আমাকে কোনো নোট অব ডিসেন্ট দিতে হবে না। আর যদি দেখি আমার বিবেকে সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তবে একটা কেন, দশটা নোট অব ডিসেন্ট দেব। এরকম পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রয়োজনে চেয়ার ছেড়ে যাব। চেয়ার তো আমার হাতে না। চেয়ার ছাড়ার প্রশ্ন উঠছে কেন? আমি এমন যোদ্ধা আমি যুদ্ধক্ষেত্রে শহীদ হতে পারি। কিন্তু যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে পলায়ন করে, আত্মরক্ষা করে বেঁচে থাকার কোনো কারণ দেখি না।
No comments