খালেদার আবেদন নিষ্পত্তিতে ম্যাজিস্ট্রেটের অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব: ‘আদালতের প্রক্রিয়া অপব্যবহারের শামিল’
মিথ্যা
তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে দায়ের করা মানহানির মামলায় বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আবেদনের ব্যাপারে নিম্ন আদালত ভুলভাবে অগ্রসর
হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জামিন আবেদন
নিষ্পত্তি করে দেয়া আদেশে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল
করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।
নিম্ন আদালতের আদেশের বিষয়টি উল্লেখ করে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয় ‘ওপরের আদেশটি পড়ার পর এই বিবেচনায় উপনীত হতে আমাদের কোনো দ্বিধা নেই যে, বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি নিয়ে ভুলভাবে অগ্রসর হয়েছেন। একটি অভিযোগ মামলায় অভিযুক্ত জামিন আবেদনের পাশাপাশি যেখানে নিজেই পিডব্লিউ (প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট) ইস্যু করার আবেদন দাখিল করে আদালতকে অবহিত করেছেন যে, তিনি অপর একটি মামলায় ইতোমধ্যে কারাগারে রয়েছেন, সেখানে তার বিরুদ্ধে ইস্যু করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল হওয়ার প্রতিবেদনের অপেক্ষা করার কোন প্রয়োজনই নেই। কাজেই, বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট জামিন আবেদনের সঙ্গে পিডব্লিউ ইস্যুর আবেদন দাখিল হওয়ার পর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের প্রতিবেদনের জন্য ০৫/০৭/২০১৮ পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে মারাত্মক ভুল করেছেন।
এই মামলার বিদ্যমান তথ্যপ্রমাণ ও প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে এটা স্পষ্টত প্রতীয়মান হয় যে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের প্রতিবেদন নেয়ার নামে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্তের জামিন আবেদন প্রক্রিয়া অপ্রয়োজনীয়ভাবে প্রলম্বিত করেছেন যা আদালতের প্রক্রিয়া অপব্যবহারের শামিল।
মামলার তথ্য-প্রমাণ ও সার্বিক পরিস্থিতি এবং আইনি বিধানসমূহ বিবেচনায় নিয়ে আমরা মনে করছি, নিম্নোক্ত পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনার মাধ্যমে সর্বোত্তম উপায়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।
অভিযুক্তের দাখিল করা পিডব্লিউ ইস্যু ও জামিন আবেদন দু’টির (যা নথিভুক্ত আছে) দ্রুত শুনানি করতে বিজ্ঞ মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা/সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশনা দেয়া হলো।
সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে এটা মনে রাখা উচিত যে, এমন একটি নালিশি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করার কোনো প্রয়োজন আদালতের নেই যেখানে অভিযুক্ত আদালতকে অবহিত করেছেন যে অপর একটি মামলায় তিনি ইতিমধ্যে কারান্তরীণ।’
নিম্ন আদালতের আদেশের বিষয়টি উল্লেখ করে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয় ‘ওপরের আদেশটি পড়ার পর এই বিবেচনায় উপনীত হতে আমাদের কোনো দ্বিধা নেই যে, বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট বিষয়টি নিয়ে ভুলভাবে অগ্রসর হয়েছেন। একটি অভিযোগ মামলায় অভিযুক্ত জামিন আবেদনের পাশাপাশি যেখানে নিজেই পিডব্লিউ (প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট) ইস্যু করার আবেদন দাখিল করে আদালতকে অবহিত করেছেন যে, তিনি অপর একটি মামলায় ইতোমধ্যে কারাগারে রয়েছেন, সেখানে তার বিরুদ্ধে ইস্যু করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল হওয়ার প্রতিবেদনের অপেক্ষা করার কোন প্রয়োজনই নেই। কাজেই, বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট জামিন আবেদনের সঙ্গে পিডব্লিউ ইস্যুর আবেদন দাখিল হওয়ার পর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের প্রতিবেদনের জন্য ০৫/০৭/২০১৮ পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে মারাত্মক ভুল করেছেন।
এই মামলার বিদ্যমান তথ্যপ্রমাণ ও প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে এটা স্পষ্টত প্রতীয়মান হয় যে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের প্রতিবেদন নেয়ার নামে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্তের জামিন আবেদন প্রক্রিয়া অপ্রয়োজনীয়ভাবে প্রলম্বিত করেছেন যা আদালতের প্রক্রিয়া অপব্যবহারের শামিল।
মামলার তথ্য-প্রমাণ ও সার্বিক পরিস্থিতি এবং আইনি বিধানসমূহ বিবেচনায় নিয়ে আমরা মনে করছি, নিম্নোক্ত পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনার মাধ্যমে সর্বোত্তম উপায়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।
অভিযুক্তের দাখিল করা পিডব্লিউ ইস্যু ও জামিন আবেদন দু’টির (যা নথিভুক্ত আছে) দ্রুত শুনানি করতে বিজ্ঞ মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা/সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশনা দেয়া হলো।
সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে এটা মনে রাখা উচিত যে, এমন একটি নালিশি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করার কোনো প্রয়োজন আদালতের নেই যেখানে অভিযুক্ত আদালতকে অবহিত করেছেন যে অপর একটি মামলায় তিনি ইতিমধ্যে কারান্তরীণ।’
No comments