মায়ের সম্মান কোথায়? by মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন
নারীর
সম্মানের জন্য যুগ যুগ ধরে সংগ্রাম চলছে। বাঙালি জীবনে নওয়াব ফয়জুন্নেছা ও
বেগম রোকেয়া যে অনবদ্য অবদান রেখে গেছেন তা আজো জ্বল জ্বল করছে আমাদের
হৃদয়ে। তাদের দেখানো পথে একটু একটু হেটে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। নারীর
উপস্থিতি আজ সর্বত্র। নারীর কন্ঠও সর্বত্র। কিন্তু নারীর সম্মান কোথায়?
পৈশাচিক আক্রমণ দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। এর শেষ কোথায়?
বৃটিশরা এদেশের নারীর সম্ভ্রমহানী করেছে। আমরা সাহসী হয়ে সংঘবদ্ধভাবে তাড়িয়েছি। কিন্তু স্বৈরতান্ত্রিক পাকিস্তানকে তাড়াতে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে এদেশের নারীদের উপর যে পৈশাচিক আঘাত নেমে এসেছিল তার ভয়ঙ্কর আর্তনাদ এখনো হৃদয়ের গভীরে ভেসে ওঠে। ফলে সেসব আমাদের স্বাধীনতার স্বার্থকতার জয়গান গেয়ে চলেছে। কিন্তু স্বাধীন দেশে একের পর এক নারী যখন লাঞ্ছণার শিকার হয়, তখন কাকে দোষ দেব? আর প্রতিকার কার কাছে চাইবো?
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ নরপশুদের আক্রমণে সন্তানের সামনেই নগ্ন হতে হলো টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এক মাকে। প্রতিবাদে উত্তাল কালিহাতী উপজেলার প্রতিটি গ্রামের মানুষ। দৈনন্দিন কাজ ফেলে নারী-পুরুষ-শিশু ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে প্রতিবাদ মূখর। দাবী একটাই বঙ্গবন্ধুর ডাকে যে জাতি জীবন বিলিয়ে দিয়ে স্বাধীন করেছে সে দেশে এমন ঘটনা কেন ঘটবে? ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য-যারা অপরাধীকে ধরে এনে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবে এবং ভোক্তভোগীদের স্বাভাবিক জীবনের পথ দেখাবে, তারাই অপরাধীদের রক্ষা করতে আত্ম-মর্যাদাশীল কালিহাতীর সাধারণ জনগণের উপর যাঁপিয়ে পড়েছে এবং হত্যা করেছে তিনটি তাজা প্রাণ এবং অর্ধশত মানুষকে পাঠিয়েছে হাতপাতালে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদে প্রকাশিত খবরে উঠে আসে প্রতিবাদ মিছিলে প্রথমে পুলিশ বাধা দেয়, পরে বিক্ষুব্ধ মানুষের উপর বলপ্রয়োগ করতে চাইলে উত্তেজিত জনগণ ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারলেন এবং পুলিশ নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করলো নিরীহ মানুষগুলোকে। অপরাধ কার, কালিহাতী মানুষের না পুলিশের? যে নারীর ইজ্জত হরণের জন্য আর্ন্তজাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করে যদি নরপিশাচদের ফাঁসি দিতে পারি, তবে এসব পৈশাচিক নরঘাতক পুরুষদের বিরুদ্ধে আমরা এত উদার কেন? এসব পুলিশ কেন অপারাধীদের পক্ষে অবস্থান নিল? ্এরা কি তবে পাকিস্তানি পৈশাচিক মনোভাবকে আবারো প্রতিষ্ঠিত করতে চায়? যদি তা না হয়, তবে এদেরকে কি বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার করা হবে? না, শত কন্ঠে আওয়াজ তুলবো ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা শুধুই মিথ্যা স্বপ্ন, কেননা সে স্বাধীনতা এসেছে কেবল দুষ্টের লালন আর শিষ্টের দমন করেতে? এর সঠিক বিচার ব্যর্থ হলে পুরো দায়ভার ক্ষমতাসীন দলের।
নিহত প্রতিটি পরিবারকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা এসেছে, আবং সে সময়ে দায়িত্বরত সব পুলিশ সদস্যকে প্রতাহারের সিদ্ধান্ত এসেছে। কী চমৎকার বিচার? আর আমাদের বিবেক? যদি স্বাধীনতা বিরোধী কোন নর খাদক আবেদন করে প্রতিটি নারীর সম্ভ্রমহানীর জন্য দশ হাজার টাকা দেবে (সে সময়ের টাকার মূল্য ধরে) এবং রাজনীতি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাবে, তবে কি দেশ তাদের ক্ষমা করবে? যদি ক্ষমা না করে, তবে স্বাধীন দেশে এমন ঘটনার পরেও, বিচার ব্যবস্থার ভূমিকা কী হওয়া উচিৎ ছিল? গণমাধ্যমে দেখেছি গুলি করে হত্যা করে এবং আহতদের শরীরের উপর পুলিশের জুতার আঘাতের দৃশ। কী মানবিকতা এদের?
একই দিনে ‘দৈনিক যুগান্তরে’ “জোরপূর্বক গৃহকর্মীর কিডনি নিলেন অতিরিক্ত সচিব” নামে একটি অনুসন্ধানী রির্পোট পড়ে হতবিহ্বল হবার উপায়ও নেই। কেননা, এখানেও পুলিশের প্রত্যক্ষ সহায়তায় জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আয়রন নেছার কিডনি নিয়ে যান সাবেক (ঘটনার সময় চাকুরিরত) অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ আমিনুর রহমান। হতবিহ্বল হতে পারছিনা, পাছে ভয় পুলিশ এসে ডা-া মেরে কোন ডাস্টবিনে ফেলে দেয়।
এদেশে শতশত নারীবাদী সংগঠন রয়েছে। কিন্তু তাদের ভূমিকা বরাবরের মতই প্রশ্নবিদ্ধ। সরকার যখন শিক্ষার উপর ভ্যাট বসিয়ে শিক্ষা ব্যাবস্থাকে স্তম্ভিতকরে দিয়েছিল এবং লক্ষ শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনকে অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনো সুলতানা কামালের সুস্পষ্ট অবস্থান ছিল এসব শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেই বলেন, “জন দুর্ভোগ তৈরি করে এসব শিক্ষার্থীরা কি অর্জন করবে?” তখন নিজের মনে প্রশ্ন জেগেছিল আন্দলনরত শিক্ষার্থীরা কি তবে জনগণের অর্ন্তভূক্ত নয়? তাদের জীবনের অনিশ্চয়তা কি দূর্ভোগ নয়? তিনিও বুর্জোয়া শ্রেণির স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট। ফলে এঘটনার পর সুলতানা কামাল গংদের ভূমিকা যে কেবল লোক দেখানেই হবে এটা নিশ্চিত। কেননা এক জাহানারা ইমামের অনঢ় ও সাহসী আন্দোলনে এদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতে বাধ্য হয়েছে এদেশে, কিন্তু সুলতানা কামালদের মিউ মিউ আওয়াজে বৈশাখী উৎসবে টিএসসিতে এবং কলিহাতীতে নারীর সম্ভ্রম রক্ষা হয়নি। বরং তাদের ভূমিকা রোমান্টিক টিউনের মত নরপিশাচদের উজ্জীবীত করেই চলেছে। ফলে এদেশে নারীর প্রতি যে আক্রমণ দিনে দিনে বেড়েই চলছে, এর শেষ কোথায়?
বঙ্গবীর টাঙ্গাইলের মানুষ। তবু তার প্রতি ভরসা রাখাও অসম্ভব। কেননা, তিনিও মাঝে ক্ষমতার শীতল বাতাসে অনুপ্রবেশের ইচ্ছায় বিসর্জন দিয়ে থাকেন সত্য-মিথ্যা এবং হতাশ করে চলেছেন আমাদের মত তরুণ সমাজকে। আর শাহরিয়ার কবির ও মুনতাসির মামুনেরা স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা সম্ভ্রম হারিয়েছে তাদের জীবনের দুঃখ-কষ্ঠ-লাঞ্ছণা অসংখ্য গবেষণা করেছেন, কিন্তু স্বাধীনতার পরে নারীর সম্ভ্রম হানী কারা করে চলেছে, কেন করছে এবং এর প্রতিকার কী এনিয়ে কেন একটি শব্দও বলছেন না?
নারী অবলা নয়। তারা অসহায় মানবরূপী নরপশুদের হিং¯্রতার কাছে। ফলে আমরা দেখি কালিহাতীতে এক মায়ের সম্ভ্রমহানীতে প্রতিবাদী হয়ে ওঠেছে হিন্দু-মুসলিম, নারী-শিশু-পুরুষ একসাথে। এ বিবেক ছড়িয়ে পড়–ক সবার মাঝে। জেগে উঠে ধ্বংস করি সব নরপশুদের এবং তাদের দোসরদের। যে পুলিশ আমার স্বাধীনতাকে, পতাকাকে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে কলঙ্কিত করছে, তাদের কি শাস্তি হওয়া উচিৎ?
বৃটিশরা এদেশের নারীর সম্ভ্রমহানী করেছে। আমরা সাহসী হয়ে সংঘবদ্ধভাবে তাড়িয়েছি। কিন্তু স্বৈরতান্ত্রিক পাকিস্তানকে তাড়াতে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে এদেশের নারীদের উপর যে পৈশাচিক আঘাত নেমে এসেছিল তার ভয়ঙ্কর আর্তনাদ এখনো হৃদয়ের গভীরে ভেসে ওঠে। ফলে সেসব আমাদের স্বাধীনতার স্বার্থকতার জয়গান গেয়ে চলেছে। কিন্তু স্বাধীন দেশে একের পর এক নারী যখন লাঞ্ছণার শিকার হয়, তখন কাকে দোষ দেব? আর প্রতিকার কার কাছে চাইবো?
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ নরপশুদের আক্রমণে সন্তানের সামনেই নগ্ন হতে হলো টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এক মাকে। প্রতিবাদে উত্তাল কালিহাতী উপজেলার প্রতিটি গ্রামের মানুষ। দৈনন্দিন কাজ ফেলে নারী-পুরুষ-শিশু ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে প্রতিবাদ মূখর। দাবী একটাই বঙ্গবন্ধুর ডাকে যে জাতি জীবন বিলিয়ে দিয়ে স্বাধীন করেছে সে দেশে এমন ঘটনা কেন ঘটবে? ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য-যারা অপরাধীকে ধরে এনে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করবে এবং ভোক্তভোগীদের স্বাভাবিক জীবনের পথ দেখাবে, তারাই অপরাধীদের রক্ষা করতে আত্ম-মর্যাদাশীল কালিহাতীর সাধারণ জনগণের উপর যাঁপিয়ে পড়েছে এবং হত্যা করেছে তিনটি তাজা প্রাণ এবং অর্ধশত মানুষকে পাঠিয়েছে হাতপাতালে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদে প্রকাশিত খবরে উঠে আসে প্রতিবাদ মিছিলে প্রথমে পুলিশ বাধা দেয়, পরে বিক্ষুব্ধ মানুষের উপর বলপ্রয়োগ করতে চাইলে উত্তেজিত জনগণ ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারলেন এবং পুলিশ নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করলো নিরীহ মানুষগুলোকে। অপরাধ কার, কালিহাতী মানুষের না পুলিশের? যে নারীর ইজ্জত হরণের জন্য আর্ন্তজাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করে যদি নরপিশাচদের ফাঁসি দিতে পারি, তবে এসব পৈশাচিক নরঘাতক পুরুষদের বিরুদ্ধে আমরা এত উদার কেন? এসব পুলিশ কেন অপারাধীদের পক্ষে অবস্থান নিল? ্এরা কি তবে পাকিস্তানি পৈশাচিক মনোভাবকে আবারো প্রতিষ্ঠিত করতে চায়? যদি তা না হয়, তবে এদেরকে কি বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার করা হবে? না, শত কন্ঠে আওয়াজ তুলবো ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা শুধুই মিথ্যা স্বপ্ন, কেননা সে স্বাধীনতা এসেছে কেবল দুষ্টের লালন আর শিষ্টের দমন করেতে? এর সঠিক বিচার ব্যর্থ হলে পুরো দায়ভার ক্ষমতাসীন দলের।
নিহত প্রতিটি পরিবারকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা এসেছে, আবং সে সময়ে দায়িত্বরত সব পুলিশ সদস্যকে প্রতাহারের সিদ্ধান্ত এসেছে। কী চমৎকার বিচার? আর আমাদের বিবেক? যদি স্বাধীনতা বিরোধী কোন নর খাদক আবেদন করে প্রতিটি নারীর সম্ভ্রমহানীর জন্য দশ হাজার টাকা দেবে (সে সময়ের টাকার মূল্য ধরে) এবং রাজনীতি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাবে, তবে কি দেশ তাদের ক্ষমা করবে? যদি ক্ষমা না করে, তবে স্বাধীন দেশে এমন ঘটনার পরেও, বিচার ব্যবস্থার ভূমিকা কী হওয়া উচিৎ ছিল? গণমাধ্যমে দেখেছি গুলি করে হত্যা করে এবং আহতদের শরীরের উপর পুলিশের জুতার আঘাতের দৃশ। কী মানবিকতা এদের?
একই দিনে ‘দৈনিক যুগান্তরে’ “জোরপূর্বক গৃহকর্মীর কিডনি নিলেন অতিরিক্ত সচিব” নামে একটি অনুসন্ধানী রির্পোট পড়ে হতবিহ্বল হবার উপায়ও নেই। কেননা, এখানেও পুলিশের প্রত্যক্ষ সহায়তায় জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আয়রন নেছার কিডনি নিয়ে যান সাবেক (ঘটনার সময় চাকুরিরত) অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ আমিনুর রহমান। হতবিহ্বল হতে পারছিনা, পাছে ভয় পুলিশ এসে ডা-া মেরে কোন ডাস্টবিনে ফেলে দেয়।
এদেশে শতশত নারীবাদী সংগঠন রয়েছে। কিন্তু তাদের ভূমিকা বরাবরের মতই প্রশ্নবিদ্ধ। সরকার যখন শিক্ষার উপর ভ্যাট বসিয়ে শিক্ষা ব্যাবস্থাকে স্তম্ভিতকরে দিয়েছিল এবং লক্ষ শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনকে অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনো সুলতানা কামালের সুস্পষ্ট অবস্থান ছিল এসব শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেই বলেন, “জন দুর্ভোগ তৈরি করে এসব শিক্ষার্থীরা কি অর্জন করবে?” তখন নিজের মনে প্রশ্ন জেগেছিল আন্দলনরত শিক্ষার্থীরা কি তবে জনগণের অর্ন্তভূক্ত নয়? তাদের জীবনের অনিশ্চয়তা কি দূর্ভোগ নয়? তিনিও বুর্জোয়া শ্রেণির স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট। ফলে এঘটনার পর সুলতানা কামাল গংদের ভূমিকা যে কেবল লোক দেখানেই হবে এটা নিশ্চিত। কেননা এক জাহানারা ইমামের অনঢ় ও সাহসী আন্দোলনে এদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতে বাধ্য হয়েছে এদেশে, কিন্তু সুলতানা কামালদের মিউ মিউ আওয়াজে বৈশাখী উৎসবে টিএসসিতে এবং কলিহাতীতে নারীর সম্ভ্রম রক্ষা হয়নি। বরং তাদের ভূমিকা রোমান্টিক টিউনের মত নরপিশাচদের উজ্জীবীত করেই চলেছে। ফলে এদেশে নারীর প্রতি যে আক্রমণ দিনে দিনে বেড়েই চলছে, এর শেষ কোথায়?
বঙ্গবীর টাঙ্গাইলের মানুষ। তবু তার প্রতি ভরসা রাখাও অসম্ভব। কেননা, তিনিও মাঝে ক্ষমতার শীতল বাতাসে অনুপ্রবেশের ইচ্ছায় বিসর্জন দিয়ে থাকেন সত্য-মিথ্যা এবং হতাশ করে চলেছেন আমাদের মত তরুণ সমাজকে। আর শাহরিয়ার কবির ও মুনতাসির মামুনেরা স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা সম্ভ্রম হারিয়েছে তাদের জীবনের দুঃখ-কষ্ঠ-লাঞ্ছণা অসংখ্য গবেষণা করেছেন, কিন্তু স্বাধীনতার পরে নারীর সম্ভ্রম হানী কারা করে চলেছে, কেন করছে এবং এর প্রতিকার কী এনিয়ে কেন একটি শব্দও বলছেন না?
নারী অবলা নয়। তারা অসহায় মানবরূপী নরপশুদের হিং¯্রতার কাছে। ফলে আমরা দেখি কালিহাতীতে এক মায়ের সম্ভ্রমহানীতে প্রতিবাদী হয়ে ওঠেছে হিন্দু-মুসলিম, নারী-শিশু-পুরুষ একসাথে। এ বিবেক ছড়িয়ে পড়–ক সবার মাঝে। জেগে উঠে ধ্বংস করি সব নরপশুদের এবং তাদের দোসরদের। যে পুলিশ আমার স্বাধীনতাকে, পতাকাকে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে কলঙ্কিত করছে, তাদের কি শাস্তি হওয়া উচিৎ?
মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন
প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ
নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
No comments