‘কোনো মুসলিমকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বানানো উচিৎ নয়’
ইসলাম
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যুক্তরাষ্ট্রের
প্রেসিডেন্ট হিসেবে কোনো মুসলিমকে নির্বাচিত করা উচিৎ হবে না। এ মন্তব্য
করেছেন আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়ন
প্রত্যাশী বেন কারসন। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা। রবিবার এনবিসি চ্যানেলের
‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে কারসন বলেন, আমেরিকার দায়িত্ব একজন মুসলিম পাক, এ
বক্তব্যের পক্ষে কথা বলবো না আমি। আমি একেবারেই এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত
নই। ধর্মপ্রান খ্রিস্টান ও কৃষ্ণাঙ্গ এ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জানান, তিনি
মনে করেন একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের ধর্মবিশ্বাস সংবিধানের সঙ্গে
সামঞ্জস্যপূর্ন হতে হবে। কিন্তু তিনি নির্দিষ্ট করে বলেননি ঠিক কোন জায়গায়
ইসলামের সঙ্গে সাংবিধানিক নীতির বিরোধ রয়েছে। কারসনের এ বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে আমেরিকার সর্ববৃহৎ মুসলিম নাগরিক
অধিকার গোষ্ঠী কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স। সংগঠনটির মুখপাত্র
ইব্রাহিম হুপার বলেন, এ বক্তব্যের কারণে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীতার
ক্ষেত্রে কারসনকে অযোগ্য ঘোষণা করা উচিৎ। কেননা, আমেরিকান সংবিধানে সরকারী
কোনো পদে বসার জন্য ধর্মীয় বাছবিচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইব্রাহিম আরও বলেন,
কারসনের উচিৎ তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করা।
রিপাবলিকান দল থেকে এবার ১৬ জন ব্যাক্তি প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী। এর মধ্যে কারসন বলতে গেলে ভালো অবস্থানেই রয়েছেন। অবশ্য রবিবার সর্বশেষ সিএনএন/ওআরসি মতামত জরিপে তিনি দ্বিতীয় অবস্থান থেকে তৃতীয় স্থানে নেমে গেছেন। বর্তমানে তাকে ১৪ শতাংশ রিপাবলিকান সমর্থন করে। এর আগে প্রথম স্থানে থাকা ডোনাল্ড ট্রা¤পও মুসলিম ইস্যুতে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। সম্প্রতি এক জনসভায় এক সমর্থকের করা মুসলিম-বিরোধী বক্তব্য চ্যালেঞ্জ না করে এক প্রকার সম্মতি দিতেই দেখা গেছে ডোনাল্ড ট্রা¤পকে। সিএনএন/ওআরসি জরিপ অনুযায়ী এখনও রিপাবলিকান দলের প্রার্থীতার লড়াইয়ে শীর্ষে রয়েছে রিয়েল এস্টেট মুঘল ট্রা¤প। তার পক্ষে রিপাবলিকান দলের নিবন্ধনকৃত ভোটারদের ২৪ শতাংশের সমর্থন রয়েছে। অবশ্য এর আগের মতামত জরিপেও তার পক্ষে ৩২ শতাংশ ভোটারের সমর্থন ছিল। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এইচপি’র সাবেক প্রধান নির্বাহী কার্লি ফিওরিনা ১৫ শতাংশ সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
কারসনের ওই মুসলিম-বিরোধী বক্তব্যের সমালোচনা এসেছে তার রিপাবলিকান দল থেকেও। আরেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, আমি মনে করে ডা. কারসনের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। কেননা, এ বক্তব্য বিশেষ করে মুসলিম মার্কিন সেনাদের জন্যও আপত্তিকর। কিন্তু অন্যান্য রিপাবলিকান প্রার্থীরা এ ইস্যুতে বেশ নরম আচরন করছেন। কেননা, কারসনের বক্তব্য রিপাবলিকান দলের বেশিরভাগ ভোটারের মনোভাবের প্রতিফলন ঘটায়। যেমন, কেন্টাকির সিনেটর ও আরেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী র্যান্ড পল সিবিএস টিভি’র ফেইস দ্য নেশন অনুষ্ঠানে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ধর্ম বড় বিষয় হওয়া উচিৎ নয়। কিন্তু তিনি বলেন, আমি এ ইসলামবিরোধী মনোভাব বৃদ্ধির বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারি। কেননা, আমরা যাদের দ্বারা আক্রান্ত হই, তারা সবাই মুসলিম। জানুয়ারিতে মার্কিন অঙ্গরাজ্য আইওয়াতে ব্লুমবার্গ/আ দেস মোইনেস রেজিস্টারের করা একটি মতামত জরিপে দেখা গেছে, সেখানকার ৩৯ শতাংশ রিপাবলিকান ভোটার ইসলাম ধর্মকে মজ্জাগতভাবে সহিংস বলে মনে করে। ডেমোক্রেট দলের ১৩ শতাংশের মধ্যে এ দৃষ্টিভঙ্গি দেখা গেছে। এই আইওয়াতেই রিপাবলিকান দলের চূড়ান্ত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নির্বাচনে প্রথম ভোটাভুটি আয়োজিত হবে।
রিপাবলিকান দল থেকে এবার ১৬ জন ব্যাক্তি প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী। এর মধ্যে কারসন বলতে গেলে ভালো অবস্থানেই রয়েছেন। অবশ্য রবিবার সর্বশেষ সিএনএন/ওআরসি মতামত জরিপে তিনি দ্বিতীয় অবস্থান থেকে তৃতীয় স্থানে নেমে গেছেন। বর্তমানে তাকে ১৪ শতাংশ রিপাবলিকান সমর্থন করে। এর আগে প্রথম স্থানে থাকা ডোনাল্ড ট্রা¤পও মুসলিম ইস্যুতে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। সম্প্রতি এক জনসভায় এক সমর্থকের করা মুসলিম-বিরোধী বক্তব্য চ্যালেঞ্জ না করে এক প্রকার সম্মতি দিতেই দেখা গেছে ডোনাল্ড ট্রা¤পকে। সিএনএন/ওআরসি জরিপ অনুযায়ী এখনও রিপাবলিকান দলের প্রার্থীতার লড়াইয়ে শীর্ষে রয়েছে রিয়েল এস্টেট মুঘল ট্রা¤প। তার পক্ষে রিপাবলিকান দলের নিবন্ধনকৃত ভোটারদের ২৪ শতাংশের সমর্থন রয়েছে। অবশ্য এর আগের মতামত জরিপেও তার পক্ষে ৩২ শতাংশ ভোটারের সমর্থন ছিল। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এইচপি’র সাবেক প্রধান নির্বাহী কার্লি ফিওরিনা ১৫ শতাংশ সমর্থন নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
কারসনের ওই মুসলিম-বিরোধী বক্তব্যের সমালোচনা এসেছে তার রিপাবলিকান দল থেকেও। আরেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেন, আমি মনে করে ডা. কারসনের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। কেননা, এ বক্তব্য বিশেষ করে মুসলিম মার্কিন সেনাদের জন্যও আপত্তিকর। কিন্তু অন্যান্য রিপাবলিকান প্রার্থীরা এ ইস্যুতে বেশ নরম আচরন করছেন। কেননা, কারসনের বক্তব্য রিপাবলিকান দলের বেশিরভাগ ভোটারের মনোভাবের প্রতিফলন ঘটায়। যেমন, কেন্টাকির সিনেটর ও আরেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী র্যান্ড পল সিবিএস টিভি’র ফেইস দ্য নেশন অনুষ্ঠানে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ধর্ম বড় বিষয় হওয়া উচিৎ নয়। কিন্তু তিনি বলেন, আমি এ ইসলামবিরোধী মনোভাব বৃদ্ধির বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারি। কেননা, আমরা যাদের দ্বারা আক্রান্ত হই, তারা সবাই মুসলিম। জানুয়ারিতে মার্কিন অঙ্গরাজ্য আইওয়াতে ব্লুমবার্গ/আ দেস মোইনেস রেজিস্টারের করা একটি মতামত জরিপে দেখা গেছে, সেখানকার ৩৯ শতাংশ রিপাবলিকান ভোটার ইসলাম ধর্মকে মজ্জাগতভাবে সহিংস বলে মনে করে। ডেমোক্রেট দলের ১৩ শতাংশের মধ্যে এ দৃষ্টিভঙ্গি দেখা গেছে। এই আইওয়াতেই রিপাবলিকান দলের চূড়ান্ত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নির্বাচনে প্রথম ভোটাভুটি আয়োজিত হবে।
No comments