ভারতের লোকসভা নির্বাচন- ৩০ আসনে নজর মমতার by রজত রায়
আজ সোমবার শেষ হচ্ছে ভারতের নয় পর্বের ভোটযজ্ঞ৷ পশ্চিমবঙ্গে আজ হবে পঞ্চম দফা ভোট৷ রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে ২৫টি আসনের ভোট গ্রহণ। আজ শেষ পর্বে ভোট হচ্ছে বািক ১৭টি আসনে। রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য শেষ দফার নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই পর্বের সবগুলো আসনই দক্ষিণবঙ্গে, যেখানে তৃণমূলের আধিপত্য তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। ২০০৯ সালের নির্বাচনে এই ১৭টি আসনের ১৪টিতেই জিতেছিল দলটি৷ এ ছাড়া, আরও একটি করে আসন পেয়েছিল তৃণমূলের তখনকার জোটসঙ্গী কংগ্রেস (বহরমপুর) এবং সোশ্যালিস্ট ইউনিটি সেন্টার (জয়নগর)। বামফ্রন্ট মাত্র একটি আসন (ঘাটাল) জিতেছিল। এবার অবশ্য তৃণমূল একাই লড়ছে, ফলে ক্ষমতাসীন দলের লড়াইটা আগের তুলনায় কিছুটা হলেও কঠিন। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় রাজনীতিতে নিজের গুরুত্ব বাড়াতে উদগ্রীব৷ ভোটের প্রচারেও মমতা বারবার দাবি করছেন, এবার কেন্দ্রে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে তাঁর দল নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নেবে। অর্থাৎ, তাঁর হিসাবে, বিজেপি বা কংগ্রেস তাদের জোট সহযোগীদের নিয়েও এবারের ভোটে সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক আসন (ন্যূনতম ২৭২) পাবে না। ফলে, সরকার গঠনে আঞ্চলিক দলগুলোর সমর্থন দরকার হবে৷ যদি জয়ললিতা, মায়াবতী, িনতীশ কুমার বা নবীন পট্টনায়কের দলগুলো মিলিতভাবে সেই সরকার করতে পারে, সে ক্ষেত্রে তাদের কংগ্রেসের সমর্থন নিতে হতে পারে। আবার, যদি নরেন্দ্র মোদির বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোট এগিয়ে যায়, তা হলেও আঞ্চলিক দলগুলোর সমর্থন দরকার হলে, তারা বিজেপির ওপর অনেক শর্ত চাপাতে পারে সমর্থনের বিনিময়ে। এই দড়ি টানাটানির খেলায় যেসব আঞ্চলিক দলের হাতে ৩০ বা ৩৫ আসন থাকবে, তারাই ভালো দর-কষাকষি করতে পারবে। এটা বুঝেই মমতা এবার নিজের রাজ্য থেকে অন্তত ৩০টি আসন জিততে চান৷ শেষ দফার ১৭টি আসনের মধ্যে যত বেশি সম্ভব আসন জিততে মরিয়া তৃণমূল।
আর এ কারণেই ভোটের আগের ৭২ ঘণ্টায় ওই সব এলাকা থেকে হিংসাত্মক ঘটনার খবর আসছে। বেশির ভাগ এলাকায় বিরোধীদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা, বিরোধী দলের কর্মীদের মারধর করা, এমনকি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে সিপিএম প্রার্থীকে এবং দমদমে বিজেপি প্রার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনাও ঘটেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগের তিরটা শাসক দল তৃণমূলের দিকে। আজ ভোটের দিন এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে বলেই রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে অবশ্য কলকাতাসহ উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলোতে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী শনিবার থেকেই টহল দিতে শুরু করেছে। কিন্তু সহিংসতার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি সন্নিহিত গ্রামাঞ্চলে। অথচ সেখানকার অনেক জায়গাতেই নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি নেই বললেই চলে। আর বীরভূমে যেমন পেশিশক্তি প্রদর্শনের জন্য তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল কুখ্যাত হয়েছেন, তেমনি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙ্গড়ের সাবেক তৃণমূল বিধায়ক আরাবুল ইসলামও গুন্ডামি, কলেজশিক্ষিকাকে আক্রমণ এবং সাবেক সিপিএম মন্ত্রী ও বর্তমান বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লাকে গুরুতর আহত করে কুখ্যাত হয়েছেন। যাদবপুর আসনে তৃণমূল প্রার্থী ও নেতাজি সুভাষের পরিবারের সদস্য সুগত বসুকেও এখন এই আরাবুলের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে ভোটের জন্য। সিপিএম আমলের সাবেক অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত এবার দমদমে ভোটে লড়ছেন গতবারের বিজয়ী ও সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে। উত্তর কলকাতায় তৃণমূলের গতবারের বিজয়ী প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবার চতুর্মুখী লড়াইয়ে পড়েছেন। অবাঙালি ব্যবসায়ীপ্রধান এই আসনে বিজেপি হাওয়ায় ভর করে দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ লড়াইয়ের ময়দানে জাঁকিয়ে বসেছেন। এ ছাড়া, রয়েছেন কংগ্রেসের সোমেন মিত্র ও সিপিএমের রূপা বাগচী। সোমেন মিত্র উত্তর কলকাতারই দীর্ঘদিনের কংগ্রেস বিধায়ক থাকার পরে গতবার দল ছেড়ে ডায়মন্ড হারবার থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে লোকসভায় যান। এবার তিনি কংগ্রেসে ফিরে নিজে জেতার চাইতে সুদীপের পথের কাঁটা হতেই বেশি আগ্রহী। একই ভাবে জয়নগরে সোশ্যালিস্ট ইউনিটি সেন্টারের (এসইউসি) নিজস্ব ভোট ধরে রাখতে পারলে এবার সেখানেও লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হওয়ার সম্ভাবনা।
পশ্চিমবঙ্গে এবারের নির্বাচনের বড় বিশেষত্ব হলো, ক্ষমতাসীন তৃণমূল ও বিরোধী বামপন্থীদের রাজনৈতিক লড়াইকে দূরে ঠেলে দিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রস্থলে বিজেপির উপস্থিতি। ফলে, কম-বেশি সব আসনেই বিজেপির ভোট বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল। এরই জেরে বেশ কয়েকটি আসনের ফলাফল এবার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে আগে ভোট হয়ে যাওয়া আসন যেমন, হাওড়া, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জঙ্গিপুর, রায়গঞ্জ, আসানসোল, শ্রীরামপুর, বাঁকুড়া প্রভৃতি রয়েছে, তেমনই সোমবার শেষ পর্বে যেসব জায়গায় ভোট হবে তার মধ্যে কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, দমদম, বারাসাত, ব্যারাকপুর ও উত্তর কলকাতা রয়েছে। দার্জিলিং, আসানসোল, শ্রীরামপুরের মতোই উত্তর কলকাতা ও কৃষ্ণনগরে বিজেপি এখন রীতিমতো সমানে সমানে টক্কর দিচ্ছে তৃণমূল ও বামপন্থীদের সঙ্গে। এ ছাড়া, জঙ্গিপুর, হাওড়া, রানাঘাট, বাঁকুড়ার মতো আধা ডজন আসনে বিজেপির প্রবল উপস্থিতি ভোটের ফলকে অনিশ্চিত করে দিয়েছে।বিজেপির এই বাড়বাড়ন্তের মধ্যে নিজেদের ভোট ধরে রাখতে পারাটাই এখন তৃণমূল ও বামপন্থীদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জের।
দক্ষিণবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে বামপন্থীরা, বিশেষ করে সিপিএম অনেকটাই পিছিয়ে ছিল। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচন, ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচন ও ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন—প্রতিটি নির্বাচনেই বামপন্থীদের ভোট কমেছিল। বিশেষ করে, দক্ষিণবঙ্গে তাদের তৃণমূল পর্যায়ের অনেক কর্মীই ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এই অবস্থায় শুরুতে তৃণমূল অন্যদের চাইতে এগিয়ে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদি সারদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নামকে জড়িয়ে দিয়ে যেমন তৃণমূলকে প্রচণ্ড অস্বস্তিতে ফেলেছেন, তেমনি মোদির 'তথাকথিত বাংলাদেশিদের' জোর করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি আবার রাজ্যের ক্ষমতাসীন নেতাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বনগাঁ প্রভৃতি বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী লোকসভা আসনে রাতারাতি মোদির এই হুমকিসংবলিত হাজার হাজার ফেস্টুন টাঙাচ্ছে তৃণমূল। যার বক্তব্য, মোদি ক্ষমতায় এলে ১৯৪৭ সাল থেকে যাঁরা (একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ) সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে এসেছেন, তাঁদের দেশ ছাড়তে হবে। তৃণমূলের এক নেতার দাবি, মোদির ওই কথায় দক্ষিণবঙ্গের সংখ্যালঘু ভোটের বেশিটাই তাঁদের ঝুলিতে পড়বে। বামপন্থীরা অবশ্য এটা মানতে রাজি নন।তাঁদের মতে, সংখ্যালঘুরা বিজেপিকে ঠেকাতে শুধু তৃণমূলকেই বেছে নেবেন, সেটা ভাবা ভুল। তাঁরা বেশ কয়েক জায়গায় বামপন্থীদের সঙ্গে রয়েছেন, আর কোনো কোনো জায়গায় কংগ্রেসের দিকেও ঝুঁকছেন।
আর এ কারণেই ভোটের আগের ৭২ ঘণ্টায় ওই সব এলাকা থেকে হিংসাত্মক ঘটনার খবর আসছে। বেশির ভাগ এলাকায় বিরোধীদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা, বিরোধী দলের কর্মীদের মারধর করা, এমনকি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে সিপিএম প্রার্থীকে এবং দমদমে বিজেপি প্রার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনাও ঘটেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগের তিরটা শাসক দল তৃণমূলের দিকে। আজ ভোটের দিন এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে বলেই রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে অবশ্য কলকাতাসহ উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলোতে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী শনিবার থেকেই টহল দিতে শুরু করেছে। কিন্তু সহিংসতার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি সন্নিহিত গ্রামাঞ্চলে। অথচ সেখানকার অনেক জায়গাতেই নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি নেই বললেই চলে। আর বীরভূমে যেমন পেশিশক্তি প্রদর্শনের জন্য তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল কুখ্যাত হয়েছেন, তেমনি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাঙ্গড়ের সাবেক তৃণমূল বিধায়ক আরাবুল ইসলামও গুন্ডামি, কলেজশিক্ষিকাকে আক্রমণ এবং সাবেক সিপিএম মন্ত্রী ও বর্তমান বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লাকে গুরুতর আহত করে কুখ্যাত হয়েছেন। যাদবপুর আসনে তৃণমূল প্রার্থী ও নেতাজি সুভাষের পরিবারের সদস্য সুগত বসুকেও এখন এই আরাবুলের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে ভোটের জন্য। সিপিএম আমলের সাবেক অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত এবার দমদমে ভোটে লড়ছেন গতবারের বিজয়ী ও সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে। উত্তর কলকাতায় তৃণমূলের গতবারের বিজয়ী প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবার চতুর্মুখী লড়াইয়ে পড়েছেন। অবাঙালি ব্যবসায়ীপ্রধান এই আসনে বিজেপি হাওয়ায় ভর করে দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ লড়াইয়ের ময়দানে জাঁকিয়ে বসেছেন। এ ছাড়া, রয়েছেন কংগ্রেসের সোমেন মিত্র ও সিপিএমের রূপা বাগচী। সোমেন মিত্র উত্তর কলকাতারই দীর্ঘদিনের কংগ্রেস বিধায়ক থাকার পরে গতবার দল ছেড়ে ডায়মন্ড হারবার থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে লোকসভায় যান। এবার তিনি কংগ্রেসে ফিরে নিজে জেতার চাইতে সুদীপের পথের কাঁটা হতেই বেশি আগ্রহী। একই ভাবে জয়নগরে সোশ্যালিস্ট ইউনিটি সেন্টারের (এসইউসি) নিজস্ব ভোট ধরে রাখতে পারলে এবার সেখানেও লড়াই হাড্ডাহাড্ডি হওয়ার সম্ভাবনা।
পশ্চিমবঙ্গে এবারের নির্বাচনের বড় বিশেষত্ব হলো, ক্ষমতাসীন তৃণমূল ও বিরোধী বামপন্থীদের রাজনৈতিক লড়াইকে দূরে ঠেলে দিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রস্থলে বিজেপির উপস্থিতি। ফলে, কম-বেশি সব আসনেই বিজেপির ভোট বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল। এরই জেরে বেশ কয়েকটি আসনের ফলাফল এবার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে আগে ভোট হয়ে যাওয়া আসন যেমন, হাওড়া, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জঙ্গিপুর, রায়গঞ্জ, আসানসোল, শ্রীরামপুর, বাঁকুড়া প্রভৃতি রয়েছে, তেমনই সোমবার শেষ পর্বে যেসব জায়গায় ভোট হবে তার মধ্যে কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, দমদম, বারাসাত, ব্যারাকপুর ও উত্তর কলকাতা রয়েছে। দার্জিলিং, আসানসোল, শ্রীরামপুরের মতোই উত্তর কলকাতা ও কৃষ্ণনগরে বিজেপি এখন রীতিমতো সমানে সমানে টক্কর দিচ্ছে তৃণমূল ও বামপন্থীদের সঙ্গে। এ ছাড়া, জঙ্গিপুর, হাওড়া, রানাঘাট, বাঁকুড়ার মতো আধা ডজন আসনে বিজেপির প্রবল উপস্থিতি ভোটের ফলকে অনিশ্চিত করে দিয়েছে।বিজেপির এই বাড়বাড়ন্তের মধ্যে নিজেদের ভোট ধরে রাখতে পারাটাই এখন তৃণমূল ও বামপন্থীদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জের।
দক্ষিণবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে বামপন্থীরা, বিশেষ করে সিপিএম অনেকটাই পিছিয়ে ছিল। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচন, ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচন ও ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন—প্রতিটি নির্বাচনেই বামপন্থীদের ভোট কমেছিল। বিশেষ করে, দক্ষিণবঙ্গে তাদের তৃণমূল পর্যায়ের অনেক কর্মীই ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এই অবস্থায় শুরুতে তৃণমূল অন্যদের চাইতে এগিয়ে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদি সারদা কেলেঙ্কারির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নামকে জড়িয়ে দিয়ে যেমন তৃণমূলকে প্রচণ্ড অস্বস্তিতে ফেলেছেন, তেমনি মোদির 'তথাকথিত বাংলাদেশিদের' জোর করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি আবার রাজ্যের ক্ষমতাসীন নেতাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বনগাঁ প্রভৃতি বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী লোকসভা আসনে রাতারাতি মোদির এই হুমকিসংবলিত হাজার হাজার ফেস্টুন টাঙাচ্ছে তৃণমূল। যার বক্তব্য, মোদি ক্ষমতায় এলে ১৯৪৭ সাল থেকে যাঁরা (একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ) সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে এসেছেন, তাঁদের দেশ ছাড়তে হবে। তৃণমূলের এক নেতার দাবি, মোদির ওই কথায় দক্ষিণবঙ্গের সংখ্যালঘু ভোটের বেশিটাই তাঁদের ঝুলিতে পড়বে। বামপন্থীরা অবশ্য এটা মানতে রাজি নন।তাঁদের মতে, সংখ্যালঘুরা বিজেপিকে ঠেকাতে শুধু তৃণমূলকেই বেছে নেবেন, সেটা ভাবা ভুল। তাঁরা বেশ কয়েক জায়গায় বামপন্থীদের সঙ্গে রয়েছেন, আর কোনো কোনো জায়গায় কংগ্রেসের দিকেও ঝুঁকছেন।
No comments