অশুভ শক্তির উত্থানের পথ প্রশস্ত করা উচিত নয় by মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন
সংসদ
ও মন্ত্রিসভা বহাল রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর
সাম্প্রতিক ঘোষণায় দ্রুত বদলে যাচ্ছে রাজনৈতিক দৃশ্যপট। দেশের প্রধান দুই
রাজনৈতিক জোটের মুখোমুখি অবস্থান আরও প্রকট আকার ধারণ করছে। জাতিসংঘ
মহাসচিব, চীনের দূতসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা যখন বাংলাদেশে আগামীতে একটি
পক্ষপাতহীন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের তাগিদ দিচ্ছেন, ঠিক তখন প্রধানমন্ত্রীর এ
ঘোষণায় হতবাক হয়েছে জাতি। প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, তা সংকটের সমাধান দেবে
না। বরং এতে একটি দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সংকট দেশে তৈরি হবে বলে রাজনৈতিক
বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
রাজনীতিকরা যদি রাজনৈতিক সংকটের সমাধান করতে ব্যর্থ হন, তাহলে প্রাকৃতিক নিয়মেই রাজনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসবে; কেননা রাজনীতিতে ‘পারব না’, ‘হবে না’, ‘করব না’ বলতে কোনো শব্দ নেই, পারতে হয় এবং সেটা রাজনীতিকদেরই। সংবিধান মানুষের জন্য, সংবিধানের জন্য মানুষ নয়। আজ একেকজন একেকভাবে সংবিধানের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, যা কোনোভাবেই সমীচীন নয়। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল যখন তত্ত্বাবধায়কের দাবি তুলেছিল, তখন এটা অসাংবিধানিক দাবিই ছিল; এ দাবির জন্য হেন কোনো আন্দোলন নেই যা বর্তমান ক্ষমতাসীন দল করেনি। তাদের আন্দোলনের একপর্যায়ে তৎকালীন বিএনপি সরকার এটাকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে।
কিন্তু বর্তমান সরকার উচ্চ আদালতের মতামত, অ্যামিকাস কিউরি, সংসদীয় বোর্ড ও সুশীল সমাজসহ সব মহলের দাবি উপেক্ষা করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে এবং দেশে একটা রাজনৈতিক সংকটেরও জন্ম দিয়েছে। এ সংকট এখন প্রান্তসীমায় এসে পৌঁছেছে। দেশ এক অস্থির সময় অতিক্রম করছে। বন্ধু ও শুভাকাক্সক্ষী রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশকে নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে।
বলা হচ্ছে, নির্বাচনের সময় ভূমিকা রাখবে মন্ত্রিপরিষদ। প্রশ্ন হল, যেখানে সুনির্দিষ্টভাবে সাংবিধানিক বা আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, সেখানে কিভাবে নির্বাচনের সময় মন্ত্রিপরিষদ ভূমিকা রাখবে? আর সংসদ বহাল থাকলে নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের পক্ষে কতটুকু নিরপেক্ষ থাকা সম্ভব হবে, তা নিয়েও রয়েছে যথেষ্ট সংশয়। এতসব বিতর্কের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী কেন আকস্মিক এ ঘোষণা দিলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। দেশ জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি দিকে এগোচ্ছে বলেও অনেকে মনে করছেন। গত সাড়ে ৪ বছরে নানা কারণে সরকারের ওপর মানুষের ভেতর ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু, শেয়ার মার্কেট কেলেংকারি নিয়ে মানুষের ভেতর চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়ে আছে। শেয়ার মার্কেটে ধস নামায় জাতীয় অর্থনীতিতে পড়েছে বিরূপ প্রভাব। ব্যবসা-বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ মন্দা, সমাজ হয়ে পড়েছে পুঁজি শূন্য। প্রায় ৩৫ লাখ মধ্যবিত্ত পরিবার শেয়ার মার্কেটের মাধ্যমে নিঃস্ব হয়েছে।
রেলের কেলেংকারি নিয়েও মানুষের মনে ক্ষোভ আছে। ক্ষোভ আছে হলমার্ক, ডেসটিনি, ইউনিপে-টু-ইউ’র কেলেংকারি নিয়েও। কারণ এসবের দ্বারা সাধারণ মানুষ নজিরবিহীন ক্ষতির শিকার হয়েছে। অন্যদিকে গত সাড়ে চার বছরে চোখে পড়ার মতো উন্নয়ন কাজ সরকার করতে পারেনি, পদ্মা সেতু যার উদাহরণ। তাছাড়া সরকার তার নির্বাচনী ওয়াদাও পূরণ করতে পারেনি। দিনবদল হয়নি, মানুষ ঘরে ঘরে চাকরি পায়নি; বিনা পয়সায় সার ও ১০ টাকা কেজি চাল পাওয়া স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। তাই সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মনেই ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। দেশের রাজনীতিতে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হচ্ছে, তার সুফল বিরোধী দলের ঘরে যাচ্ছে। ভেতরে ভেতরে জনমত সংগঠিত হচ্ছে বিরোধী দলকে ঘিরে। নীরব সমর্থকরা সরব হতে শুরু করেছে।
কার্যত দলের নীরব সমর্থকরা যখন সক্রিয় হয় এবং রাস্তায় নেমে আসে, ঠিক তখনই রাজনীতিতে গণবিস্ফোরণ বা গণঅভ্যুত্থান অবিশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর নীরব সমর্থকরা এখন সক্রিয় কর্মীতে পরিণত হচ্ছে। তারা জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ফলে দেশে-বিদেশে একটা ব্যাপার পরিষ্কার হচ্ছে যে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে পক্ষপাতহীন নির্বাচন দিতে সরকার ভয় পাচ্ছে। তাই সরকার কোনো ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না। তারা যেনতেনভাবে একটি নির্বাচন করতে চায়। এর ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি কারও জন্যই শুভ হবে না।
সরকারকে বুঝতে হবে, এভাবে রাজনীতিতে অশুভ শক্তির উত্থানের পথ প্রশস্ত করা বাঞ্ছনীয় নয়। রাজনীতিতে একগুঁয়েমি ও গোঁয়ার্তুমির কোনো স্থান নেই। গোঁয়ার্তুমি করে অতীতে কোনো শাসক রেহাই পায়নি। শেষ পর্যন্ত জনতার শক্তির কাছে মাথানত করতে তারা বাধ্য হয়েছে।
জনরোষে সরকারের পতন ঘটুক এটা প্রত্যাশিত নয়। প্রত্যাশা, শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় সরকার পরিবর্তন ঘটুক। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের কোনো বিকল্প নেই। জনতার মুখের ভাষা বুঝতে পারলে জনরোষে পড়ার সম্ভাবনা থাকে না। জনতা চায় নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও পক্ষপাতহীন নির্বাচনের পরিবেশ দেশে তৈরি হোক। জনগণের এ যৌক্তির দাবি মানা সরকারের কর্তব্য। জনতার দাবি মানার মধ্যে কোনো দোষের কিছু নেই, বরং গর্ব আছে। কাজেই জনতার দাবি মেনে নিলে আগামীতে আর কিছু না হোক, অন্তত বিরোধী দলের স্থানটি তারা ধরে রাখতে পারবে। আর অশুভ শক্তির উত্থান ঘটলে বিরোধী দলের স্থানটিও তাদের হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে বলে বিজ্ঞজনরা বলছেন।
বিরোধীদলীয় নেতা স্পষ্ট ভাষায় বলছেন, সংকট সমাধানে আলোচনায় দ্বার তিনি খোলা রেখেছেন। তার কথায় মনে হচ্ছে, সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে হলেও দেশের স্বার্থে তিনি সংকটের একটি সমাধান চান। এখন সমঝোতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে সরকারকে। সরকার এগিয়ে এলেই সমাধান দোরগোড়ায়। রাজনীতিকরা যদি রাজনৈতিক সংকটের সমাধান করতে ব্যর্থ হন, তাহলে অবধারিত বিপর্যয় নেমে আসবে রাজনীতিতে। সংকটে পড়বে গণতন্ত্র। সংকটে পড়বেন রাজনীতিকরাও।
মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন : রাজনৈতিক বিশ্লেষক
রাজনীতিকরা যদি রাজনৈতিক সংকটের সমাধান করতে ব্যর্থ হন, তাহলে প্রাকৃতিক নিয়মেই রাজনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসবে; কেননা রাজনীতিতে ‘পারব না’, ‘হবে না’, ‘করব না’ বলতে কোনো শব্দ নেই, পারতে হয় এবং সেটা রাজনীতিকদেরই। সংবিধান মানুষের জন্য, সংবিধানের জন্য মানুষ নয়। আজ একেকজন একেকভাবে সংবিধানের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, যা কোনোভাবেই সমীচীন নয়। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল যখন তত্ত্বাবধায়কের দাবি তুলেছিল, তখন এটা অসাংবিধানিক দাবিই ছিল; এ দাবির জন্য হেন কোনো আন্দোলন নেই যা বর্তমান ক্ষমতাসীন দল করেনি। তাদের আন্দোলনের একপর্যায়ে তৎকালীন বিএনপি সরকার এটাকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে।
কিন্তু বর্তমান সরকার উচ্চ আদালতের মতামত, অ্যামিকাস কিউরি, সংসদীয় বোর্ড ও সুশীল সমাজসহ সব মহলের দাবি উপেক্ষা করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে এবং দেশে একটা রাজনৈতিক সংকটেরও জন্ম দিয়েছে। এ সংকট এখন প্রান্তসীমায় এসে পৌঁছেছে। দেশ এক অস্থির সময় অতিক্রম করছে। বন্ধু ও শুভাকাক্সক্ষী রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশকে নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে।
বলা হচ্ছে, নির্বাচনের সময় ভূমিকা রাখবে মন্ত্রিপরিষদ। প্রশ্ন হল, যেখানে সুনির্দিষ্টভাবে সাংবিধানিক বা আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, সেখানে কিভাবে নির্বাচনের সময় মন্ত্রিপরিষদ ভূমিকা রাখবে? আর সংসদ বহাল থাকলে নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের পক্ষে কতটুকু নিরপেক্ষ থাকা সম্ভব হবে, তা নিয়েও রয়েছে যথেষ্ট সংশয়। এতসব বিতর্কের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী কেন আকস্মিক এ ঘোষণা দিলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। দেশ জরুরি অবস্থার মতো পরিস্থিতি দিকে এগোচ্ছে বলেও অনেকে মনে করছেন। গত সাড়ে ৪ বছরে নানা কারণে সরকারের ওপর মানুষের ভেতর ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু, শেয়ার মার্কেট কেলেংকারি নিয়ে মানুষের ভেতর চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়ে আছে। শেয়ার মার্কেটে ধস নামায় জাতীয় অর্থনীতিতে পড়েছে বিরূপ প্রভাব। ব্যবসা-বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ মন্দা, সমাজ হয়ে পড়েছে পুঁজি শূন্য। প্রায় ৩৫ লাখ মধ্যবিত্ত পরিবার শেয়ার মার্কেটের মাধ্যমে নিঃস্ব হয়েছে।
রেলের কেলেংকারি নিয়েও মানুষের মনে ক্ষোভ আছে। ক্ষোভ আছে হলমার্ক, ডেসটিনি, ইউনিপে-টু-ইউ’র কেলেংকারি নিয়েও। কারণ এসবের দ্বারা সাধারণ মানুষ নজিরবিহীন ক্ষতির শিকার হয়েছে। অন্যদিকে গত সাড়ে চার বছরে চোখে পড়ার মতো উন্নয়ন কাজ সরকার করতে পারেনি, পদ্মা সেতু যার উদাহরণ। তাছাড়া সরকার তার নির্বাচনী ওয়াদাও পূরণ করতে পারেনি। দিনবদল হয়নি, মানুষ ঘরে ঘরে চাকরি পায়নি; বিনা পয়সায় সার ও ১০ টাকা কেজি চাল পাওয়া স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। তাই সব শ্রেণী-পেশার মানুষের মনেই ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। দেশের রাজনীতিতে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হচ্ছে, তার সুফল বিরোধী দলের ঘরে যাচ্ছে। ভেতরে ভেতরে জনমত সংগঠিত হচ্ছে বিরোধী দলকে ঘিরে। নীরব সমর্থকরা সরব হতে শুরু করেছে।
কার্যত দলের নীরব সমর্থকরা যখন সক্রিয় হয় এবং রাস্তায় নেমে আসে, ঠিক তখনই রাজনীতিতে গণবিস্ফোরণ বা গণঅভ্যুত্থান অবিশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে। নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর নীরব সমর্থকরা এখন সক্রিয় কর্মীতে পরিণত হচ্ছে। তারা জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার ফলে দেশে-বিদেশে একটা ব্যাপার পরিষ্কার হচ্ছে যে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে পক্ষপাতহীন নির্বাচন দিতে সরকার ভয় পাচ্ছে। তাই সরকার কোনো ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না। তারা যেনতেনভাবে একটি নির্বাচন করতে চায়। এর ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি কারও জন্যই শুভ হবে না।
সরকারকে বুঝতে হবে, এভাবে রাজনীতিতে অশুভ শক্তির উত্থানের পথ প্রশস্ত করা বাঞ্ছনীয় নয়। রাজনীতিতে একগুঁয়েমি ও গোঁয়ার্তুমির কোনো স্থান নেই। গোঁয়ার্তুমি করে অতীতে কোনো শাসক রেহাই পায়নি। শেষ পর্যন্ত জনতার শক্তির কাছে মাথানত করতে তারা বাধ্য হয়েছে।
জনরোষে সরকারের পতন ঘটুক এটা প্রত্যাশিত নয়। প্রত্যাশা, শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় সরকার পরিবর্তন ঘটুক। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের কোনো বিকল্প নেই। জনতার মুখের ভাষা বুঝতে পারলে জনরোষে পড়ার সম্ভাবনা থাকে না। জনতা চায় নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও পক্ষপাতহীন নির্বাচনের পরিবেশ দেশে তৈরি হোক। জনগণের এ যৌক্তির দাবি মানা সরকারের কর্তব্য। জনতার দাবি মানার মধ্যে কোনো দোষের কিছু নেই, বরং গর্ব আছে। কাজেই জনতার দাবি মেনে নিলে আগামীতে আর কিছু না হোক, অন্তত বিরোধী দলের স্থানটি তারা ধরে রাখতে পারবে। আর অশুভ শক্তির উত্থান ঘটলে বিরোধী দলের স্থানটিও তাদের হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে বলে বিজ্ঞজনরা বলছেন।
বিরোধীদলীয় নেতা স্পষ্ট ভাষায় বলছেন, সংকট সমাধানে আলোচনায় দ্বার তিনি খোলা রেখেছেন। তার কথায় মনে হচ্ছে, সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে হলেও দেশের স্বার্থে তিনি সংকটের একটি সমাধান চান। এখন সমঝোতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে সরকারকে। সরকার এগিয়ে এলেই সমাধান দোরগোড়ায়। রাজনীতিকরা যদি রাজনৈতিক সংকটের সমাধান করতে ব্যর্থ হন, তাহলে অবধারিত বিপর্যয় নেমে আসবে রাজনীতিতে। সংকটে পড়বে গণতন্ত্র। সংকটে পড়বেন রাজনীতিকরাও।
মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন : রাজনৈতিক বিশ্লেষক
No comments