রুহানিকে চাপ দেবে যুক্তরাষ্ট্র
ইরানের বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে বন্ধ আলোচনা আবার শুরু করতে সে দেশের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির ওপর চাপ সৃষ্টি করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। গত রোববার সিবিএস টেলিভিশনে ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে ওবামার চিফ অব স্টাফ ডেনিস ম্যাকডোনাফ বলেন, ‘রুহানির এ বিজয়ের মধ্যে আমি আশাব্যঞ্জক সংকেত দেখতে পাই।’ ইরানের মধ্যপন্থী নেতা হাসান রুহানি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন অনেক কর্মকর্তাই আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, স্থবির আলোচনা আবার শুরুর ব্যাপারে রুহানির কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাবে ওয়াশিংটন। তবে মার্কিন কর্মকর্তাদের একটা অংশের আশঙ্কা, রুহানি নিজে মধ্যপন্থী নেতা হওয়া সত্ত্বেও তাঁর কাছ থেকে খুব বেশি আশা করা যায় না। কারণ, পারমাণবিক কর্মসূচিসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের বিষয়ে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তা-ই হবে চূড়ান্ত। এর পরও মার্কিন কর্মকর্তারা যত দ্রুত সম্ভব রুহানির অবস্থান পরীক্ষা করে দেখার পক্ষে। রুহানি একসময় দেশটির পারমাণবিক আলোচনায় সমঝোতাকারীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তখন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ইতিবাচক ব্যবহার করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রচারণায় ইরানের ওপর থেকে পশ্চিমা বিশ্বের অবরোধ শিথিলে উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন রুহানি। তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পাশ্চাত্যের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাধর দেশগুলোর সঙ্গে চলা উত্তেজনা প্রশমনে আগ্রহী তিনি। ডেনিস ম্যাকডোনাফ বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের সামনে এখন প্রশ্ন: রুহানি নির্বাচনী প্রচারণায় সারা বিশ্বের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কোন্নয়নের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা তিনি পালন করেন কি না। রুহানি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, এখন প্রতিশ্রুতি রক্ষার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে তেহরানের বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচির ব্যাপারে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।’ দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ও বিবিসি।:
No comments