অ্যাসাঞ্জের আশ্রয় অব্যাহত রাখবে ইকুয়েডর
লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসের আশ্রয়ে থাকা
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রিকার্দো পাতিনো গতকাল সোমবার ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগের
সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গত রোববার যুক্তরাজ্যে পৌঁছান পাতিনো। তবে উল্লেখযোগ্য
কোনো সফলতা ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়। এদিকে বৈঠক শেষে পাতিনো বলেছেন, তাঁর দেশ অ্যাসাঞ্জকে
রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া অব্যাহত রাখবে। গোপনীয়তাবিরোধী ওয়েবসাইট
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ ব্রিটিশ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার এড়াতে
গত বছরের জুন মাসে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেন। আগামীকাল বুধবার
ওই ঘটনার এক বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে সুইডেনে যৌন
হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রয়েছে, যা তিনি অস্বীকার করে আসছেন। তাঁর
আশঙ্কা, ব্রিটিশ পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে সুইডেনে প্রত্যর্পণ করলে সেখান
থেকে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে। কারণ, উইকিলিকস লাখ
লাখ মার্কিন গোপন কূটনৈতিক বার্তা ফাঁস করায় দেশটি তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত
রয়েছে। অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা গত বছরের আগস্ট মাসে
অনুমোদন করে ইকুয়েডর। তবে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে দিয়েছে,
ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে বের হলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে। ইকুয়েডরের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাতিনো রোববার অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতের
পর তিনি জানিয়েছেন, যদিও অ্যাসাঞ্জ বর্তমানে সীমিত জায়গার মধ্যে আটকা
রয়েছেন, তার পরও তিনি ‘ভালো মানসিক অবস্থা’র মধ্যে রয়েছেন। তিনি বলেন,
‘প্রথমবারের মতো আমি সামনাসামনি বসে তাঁকে বলতে পেরেছি যে, ইকুয়েডর তাঁর
মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে। তৃতীয় কোনো
দেশে তাঁকে প্রত্যর্পণ এড়াতে আশ্বাস পেতে আমরা অব্যাহতভাবে চেষ্টা করে
যাচ্ছি।’ এদিকে বৈঠকের পর ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে
জানিয়েছে, বৈঠকে অ্যাসাঞ্জের বিষয়ে আলোচনা কোনো প্রকার ‘সফলতা’ ছাড়াই
শেষ হয়েছে। দ্য গার্ডিয়ান।
No comments