যুক্তরাষ্ট্র গত বছর ৩০০ টেলিফোন নম্বরধারীর তথ্যে নজরদারি করে
যুক্তরাষ্ট্র সরকার গত বছর ৩০০ টেলিফোন
নম্বরধারীর কিছু কম ব্যক্তির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে অনুসন্ধানকাজ
চালিয়েছে। দেশটির প্রকাশ করা এক সরকারি নথিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার নামে যুক্তরাষ্ট্র সরকার
বাড়াবাড়ি করেছে, এমন অভিযোগের বিপরীতে আত্মপক্ষ সমর্থনের একটি প্রচেষ্টা
হিসেবেই ওই নথি প্রকাশ করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নথিতে বলা
হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনএসএ বিশ্বব্যাপী যে লাখ
লাখ মানুষের ফোনালাপ ও ই-মেইলের রেকর্ড গোপনে সংগ্রহ করেছে, ওই ৩০০ জন
তাঁদের অন্তর্ভুক্ত। এতে আরও বলা হয়, ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের
পাতালরেল-ব্যবস্থায় হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন, এমন দুই ব্যক্তিকে লক্ষ্য
করেই গত বছর ওই অনুসন্ধান চালানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো
নতুন প্রকাশিত এই নথি সে দেশের সরকারের কাছে সরবরাহ করেছে। নথির বিষয়টি
গত রোববার সিনেটের গোয়েন্দাবিষয়ক কমিটি জনসম্মুখে প্রকাশ করে। এ নথিতে
মার্কিন প্রশাসনের মুখপাত্রদের দাবিরই পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। প্রশাসনের
দাবি, এনএসএর ফোনালাপ ও ই-মেইলের তথ্য সংগ্রহের কর্মসূচি ‘যুক্তরাষ্ট্রের
অভ্যন্তরে কয়েক ডজন এবং বিশ্বব্যাপী ২০টির বেশি দেশে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী
হামলা’ প্রতিহত করতে সহায়তা করে। কর্মসূচির ব্যাখ্যা চেয়েছে চীন মার্কিন
সরকারের গোপন নজরদারি কর্মসূচি নিয়ে গতকাল সোমবার প্রথমবারের মতো
গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছে চীন। আন্তর্জাতিক মহলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এই
নজরদারি কর্মসূচির ব্যাপারে দেশটি এদিন ওয়াশিংটনের কাছে ব্যাখ্যা দাবি
করে। গত সপ্তাহে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সাবেক কর্মী
এডওয়ার্ড স্নোডেন ওই কর্মসূচির কথা ফাঁস করার পর যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রসহ
কয়েকটি দেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে চীনা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি,
যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ওই বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ ও দাবির
প্রতি মনোযোগ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা দেওয়া।’
এদিকে স্নোডেন বেইজিংয়ের পক্ষে গোয়েন্দাগিরি করেছে, এমন সন্দেহকে চীনা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। বিবিসি ও
রয়টার্স।
No comments