বাধা নয়, বিবেচনাচাই
অনলাইনে প্রথম আলো (prothom-alo.com) নিয়মিত পড়া হয় ১৯০টি দেশ থেকে। পড়ার পাশাপাশি পাঠকেরা প্রতিদিন রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, খেলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের মতামত দেন। তাঁদের এ মতামত চিন্তার খোরাক জোগায় অন্যদের। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠকদের কিছু মন্তব্য ঈষৎ সংক্ষেপিত আকারে ছাপা হলো।
‘গ্রামীণ’ নামে নিবন্ধন বন্ধ, বিদেশি বিনিয়োগে বাধা
শান্তিতে নোবেলজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সামাজিক ব্যবসার আওতায় ‘গ্রামীণ’ নাম নিয়ে কোনো বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। ফলে বিদেশি কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ প্রস্তাব ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদে মতামত জানিয়ে মোহাম্মদ শাহ আলম লিখেছেন: সবকিছু যখন স্রোতের দিকে ছোটে, তখনো আমাদের সরকার স্রোতের উল্টো দিকে ধাবমান। এভাবে কত দিন তারা ছুটতে পারবে? একসময় সরকার হয়তো দেখবে তার চারপাশে কেউ নেই, তখন তাদের আর কিছুই করার থাকবে না। ‘গ্রামীণ’কে শত্রু না ভেবে দেশের উন্নয়নের সহযোগী ভাবলে সরকারেরই লাভ হতো এবং কর্মসংস্থান বেড়ে দেশের উন্নয়ন হতো। ড. ইউনূসের প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ না হয়ে তাঁকে সাদরে গ্রহণ করলে, সরকার অন্যান্য রাষ্ট্রের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেত।
শফিক: এ ধরনের কৌশল তৃতীয় বিশ্বের জন্য কাম্য নয়। আমাদের দিকে এগিয়ে আসা আশীর্বাদকে পায়ে ঠেলে দিলাম। কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। এ জেড নাসিম রাতুল: আমাদের রাজনীতিকেরা ভাষণে এমনভাবে কথা বলেন যেন মনে হয়, এ দেশকে তাঁদের চেয়ে আর কেউ বেশি ভালোবাসে না। অথচ এই তার নমুনা!
খুনের দায়ে সাজাপ্রাপ্তরা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা চান
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর রাষ্ট্রপতি বিশেষ ক্ষমতাবলে দেশের কোনো নাগরিকের সাজা মওকুফ করতে পারেন। দেশের দাগি আসামিরা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগে রাষ্ট্রপতির এ বিশেষ ক্ষমতার সুবিধা নিচ্ছেন। এ খবরে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আবদুল মজিদ কাজী লিখেছেন: রাষ্ট্রপতি তখনই সাজা মওকুফ করবেন, যখন তিনি মনে করবেন আদালতের রায়টি সঠিক নয়। এভাবে গড়পড়তা মওকুফ করতে থাকলে দেশে অপরাধের প্রবণতা বাড়তে থাকবে।
রহমতুল্লাহ বাবু: বাংলাদেশে প্রচলিত সাক্ষ্য আইন, বিচারিক নিয়মাবলি—সবকিছুতে বাদীর চেয়ে আসামি বেশি সুবিধা ভোগ করে। যেকোনো তর্কসাপেক্ষ বিষয়ে সুবিধা ভোগ করে আসামি, বাদী নয়। ফলে এমনিতেই বিচার-প্রক্রিয়ায় আসামির অপরাধ প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এর পরও যদি মহামান্য রাষ্ট্রপতি এভাবে ক্ষমা করতে থাকেন, তবে অপরাধের মাত্রা বাড়তেই থাকবে। রাষ্ট্রপতির উচিত হবে এ ধরনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা।
সুপারিশ ছাড়া কিছু করার নেই: মিজানুর রহমান
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন, বিচারবহির্ভূত গুম-খুনে সরকারকে সুপারিশ করা ছাড়া কমিশনের আর কিছু করার ক্ষমতা নেই। তাঁর এ বক্তব্যের ব্যাপারে এম সাজ্জাদ হোসেন মন্তব্য করেছেন: যদি তাই হয়, তবে পদে বসে থাকা কেন? রাষ্ট্রের অপরাধে আপনার প্রতিষ্ঠানটি কলঙ্কিত হচ্ছে।
ইবনে মিজান: মানবাধিকার সংস্থা অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে, কোথায় কোথায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তা তুলে ধরবে এবং সরকারকে তা প্রতিকার করতে বলবে। এটাই বা কম কিসে? শুধু সরকারের কাজ নয়, বিরোধী দলের জ্বালাও-পোড়াও, সাভারে দুর্ঘটনা, হেফাজতের আন্দোলন দমন—এমন ঘটনায় কমিশন নিশ্চুপ ছিল। আমরা আশা করি, এ প্রতিষ্ঠানটি নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করবে এবং নির্যাতিত ব্যক্তিদের পক্ষে ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলবে।
ছাত্রদল, যুবদল, শিবির সহিংসতা ঘটায় টাকা দেয় ১৮-দলীয় জোট
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, মতিঝিল-পল্টন এলাকায় হেফাজতে ইসলামের অবরোধ কর্মসূচি চলার সময় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে ছাত্রদল, যুবদল ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা অংশ নেন। এই সংবাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আয়াজ মন্তব্য করেছেন: অপরাধ সংঘটন বা সংঘটনের ষড়যন্ত্র করা ফৌজদারি অপরাধ। যদি তাই হয়, তবে জুনায়েদের ভাষ্যমতে ১৮ দলের শীর্ষনেতারা ৫ মের ধ্বংসযজ্ঞের হুকুমের আসামি এবং তাঁদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা দরকার। যদি সরকার এই বিচার করতে না পারে, তবে তাদেরও জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
প্রদীপ: বাস্তবতা হলো বাবুনগরী সাহেবরা এত দিন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে কাটিয়েছেন। তাই রাজনীতির মারপ্যাঁচ বোঝেন না। তাঁদের সরলতার সুযোগে আশ্রয়দাতা বিএনপি ও জামায়াত তাঁদের ধ্বংসাত্মক পথে নিয়ে গেছে।
পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্রধারীকে ছিনিয়ে নিল ছাত্রলীগ
সিলেটের এমসি কলেজের সংঘর্ষে অস্ত্র হাতে অংশ নেওয়া গোলাম রহমান চৌধুরীকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে
নিয়েছেন সিলেটের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে হেলাল লিখেছেন: সবশেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলবেন, ‘এরা ছাত্রলীগের কেউ নয়, এরা বহিরাগত।’ আর দেশবাসী যদি এসব দুর্বৃত্তের গ্রেপ্তার ও বিচারের জন্য বেশি চাপাচাপি করে তবে তিনি হয়তো বলবেন, ‘এদের আগেই ছাত্রলীগ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, তাই এদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই।’ সরকার কি এভাবেই তাদের নানা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চালাতে চাইছে?
এ এস মাহমুদ: এমন ছিনতাইয়ের ঘটনা আগেও হয়েছে। সরকারি দলের ক্ষেত্রে এটা নতুন কিছু নয়।
ঢাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ, ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূল এলাকায় ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে ঢাকায় সব সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ-সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আরিফুর রহমান লিখেছেন: সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। বিরোধী দলকে ঠেকাতে গিয়ে নিজেরাই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে ও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।
শাহীন রেজা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি কি এমন যে আপনি বললেন, আর আমরা সমস্বরে চেঁচিয়ে বললাম, ‘মারহাবা’? ভাগ্যিস আপনি পার্কের বেঞ্চিতে পা দুলিয়ে দুলিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার বাদাম চিবানো নিষিদ্ধ করেননি বা ফুটপাতের ওপরে পসরা সাজিয়ে জোঁকের তেল বেচা নিষিদ্ধ করেননি। চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতাসংক্রান্ত সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদের ‘যুক্তিসংগত বাধানিষেধ’-এর বলে বলীয়ান হয়ে আপনি এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি, এ নিষেধাজ্ঞার অন্তর্নিহিত অর্থটি কী দাঁড়ায়?
সাইদুর রহমান: জোর করে ক্ষমতায় থাকা যায়, একদলীয় নির্বাচনও করা যায়, কিন্তু মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না। সভা-সমাবেশ করা নাগরিকদের মৌলিক অধিকার। সরকারের এমন ঘোষণার পর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো কিছু বলছে না কেন?
(পাঠকের মন্তব্য বিস্তারিত পড়তে ও আপনার মতামত জানাতে ভিজিট করুন prothom-alo.com)
‘গ্রামীণ’ নামে নিবন্ধন বন্ধ, বিদেশি বিনিয়োগে বাধা
শান্তিতে নোবেলজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সামাজিক ব্যবসার আওতায় ‘গ্রামীণ’ নাম নিয়ে কোনো বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। ফলে বিদেশি কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ প্রস্তাব ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদে মতামত জানিয়ে মোহাম্মদ শাহ আলম লিখেছেন: সবকিছু যখন স্রোতের দিকে ছোটে, তখনো আমাদের সরকার স্রোতের উল্টো দিকে ধাবমান। এভাবে কত দিন তারা ছুটতে পারবে? একসময় সরকার হয়তো দেখবে তার চারপাশে কেউ নেই, তখন তাদের আর কিছুই করার থাকবে না। ‘গ্রামীণ’কে শত্রু না ভেবে দেশের উন্নয়নের সহযোগী ভাবলে সরকারেরই লাভ হতো এবং কর্মসংস্থান বেড়ে দেশের উন্নয়ন হতো। ড. ইউনূসের প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ না হয়ে তাঁকে সাদরে গ্রহণ করলে, সরকার অন্যান্য রাষ্ট্রের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেত।
শফিক: এ ধরনের কৌশল তৃতীয় বিশ্বের জন্য কাম্য নয়। আমাদের দিকে এগিয়ে আসা আশীর্বাদকে পায়ে ঠেলে দিলাম। কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। এ জেড নাসিম রাতুল: আমাদের রাজনীতিকেরা ভাষণে এমনভাবে কথা বলেন যেন মনে হয়, এ দেশকে তাঁদের চেয়ে আর কেউ বেশি ভালোবাসে না। অথচ এই তার নমুনা!
খুনের দায়ে সাজাপ্রাপ্তরা রাষ্ট্রপতির ক্ষমা চান
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর রাষ্ট্রপতি বিশেষ ক্ষমতাবলে দেশের কোনো নাগরিকের সাজা মওকুফ করতে পারেন। দেশের দাগি আসামিরা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগে রাষ্ট্রপতির এ বিশেষ ক্ষমতার সুবিধা নিচ্ছেন। এ খবরে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আবদুল মজিদ কাজী লিখেছেন: রাষ্ট্রপতি তখনই সাজা মওকুফ করবেন, যখন তিনি মনে করবেন আদালতের রায়টি সঠিক নয়। এভাবে গড়পড়তা মওকুফ করতে থাকলে দেশে অপরাধের প্রবণতা বাড়তে থাকবে।
রহমতুল্লাহ বাবু: বাংলাদেশে প্রচলিত সাক্ষ্য আইন, বিচারিক নিয়মাবলি—সবকিছুতে বাদীর চেয়ে আসামি বেশি সুবিধা ভোগ করে। যেকোনো তর্কসাপেক্ষ বিষয়ে সুবিধা ভোগ করে আসামি, বাদী নয়। ফলে এমনিতেই বিচার-প্রক্রিয়ায় আসামির অপরাধ প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। এর পরও যদি মহামান্য রাষ্ট্রপতি এভাবে ক্ষমা করতে থাকেন, তবে অপরাধের মাত্রা বাড়তেই থাকবে। রাষ্ট্রপতির উচিত হবে এ ধরনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা।
সুপারিশ ছাড়া কিছু করার নেই: মিজানুর রহমান
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন, বিচারবহির্ভূত গুম-খুনে সরকারকে সুপারিশ করা ছাড়া কমিশনের আর কিছু করার ক্ষমতা নেই। তাঁর এ বক্তব্যের ব্যাপারে এম সাজ্জাদ হোসেন মন্তব্য করেছেন: যদি তাই হয়, তবে পদে বসে থাকা কেন? রাষ্ট্রের অপরাধে আপনার প্রতিষ্ঠানটি কলঙ্কিত হচ্ছে।
ইবনে মিজান: মানবাধিকার সংস্থা অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে, কোথায় কোথায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তা তুলে ধরবে এবং সরকারকে তা প্রতিকার করতে বলবে। এটাই বা কম কিসে? শুধু সরকারের কাজ নয়, বিরোধী দলের জ্বালাও-পোড়াও, সাভারে দুর্ঘটনা, হেফাজতের আন্দোলন দমন—এমন ঘটনায় কমিশন নিশ্চুপ ছিল। আমরা আশা করি, এ প্রতিষ্ঠানটি নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করবে এবং নির্যাতিত ব্যক্তিদের পক্ষে ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে কথা বলবে।
ছাত্রদল, যুবদল, শিবির সহিংসতা ঘটায় টাকা দেয় ১৮-দলীয় জোট
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছেন, মতিঝিল-পল্টন এলাকায় হেফাজতে ইসলামের অবরোধ কর্মসূচি চলার সময় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে ছাত্রদল, যুবদল ও জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা অংশ নেন। এই সংবাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আয়াজ মন্তব্য করেছেন: অপরাধ সংঘটন বা সংঘটনের ষড়যন্ত্র করা ফৌজদারি অপরাধ। যদি তাই হয়, তবে জুনায়েদের ভাষ্যমতে ১৮ দলের শীর্ষনেতারা ৫ মের ধ্বংসযজ্ঞের হুকুমের আসামি এবং তাঁদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা দরকার। যদি সরকার এই বিচার করতে না পারে, তবে তাদেরও জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
প্রদীপ: বাস্তবতা হলো বাবুনগরী সাহেবরা এত দিন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে কাটিয়েছেন। তাই রাজনীতির মারপ্যাঁচ বোঝেন না। তাঁদের সরলতার সুযোগে আশ্রয়দাতা বিএনপি ও জামায়াত তাঁদের ধ্বংসাত্মক পথে নিয়ে গেছে।
পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্রধারীকে ছিনিয়ে নিল ছাত্রলীগ
সিলেটের এমসি কলেজের সংঘর্ষে অস্ত্র হাতে অংশ নেওয়া গোলাম রহমান চৌধুরীকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে
নিয়েছেন সিলেটের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে হেলাল লিখেছেন: সবশেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলবেন, ‘এরা ছাত্রলীগের কেউ নয়, এরা বহিরাগত।’ আর দেশবাসী যদি এসব দুর্বৃত্তের গ্রেপ্তার ও বিচারের জন্য বেশি চাপাচাপি করে তবে তিনি হয়তো বলবেন, ‘এদের আগেই ছাত্রলীগ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, তাই এদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই।’ সরকার কি এভাবেই তাদের নানা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চালাতে চাইছে?
এ এস মাহমুদ: এমন ছিনতাইয়ের ঘটনা আগেও হয়েছে। সরকারি দলের ক্ষেত্রে এটা নতুন কিছু নয়।
ঢাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ, ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূল এলাকায় ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে ঢাকায় সব সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ-সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আরিফুর রহমান লিখেছেন: সরকারের অগণতান্ত্রিক আচরণের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। বিরোধী দলকে ঠেকাতে গিয়ে নিজেরাই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে ও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।
শাহীন রেজা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি কি এমন যে আপনি বললেন, আর আমরা সমস্বরে চেঁচিয়ে বললাম, ‘মারহাবা’? ভাগ্যিস আপনি পার্কের বেঞ্চিতে পা দুলিয়ে দুলিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার বাদাম চিবানো নিষিদ্ধ করেননি বা ফুটপাতের ওপরে পসরা সাজিয়ে জোঁকের তেল বেচা নিষিদ্ধ করেননি। চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতাসংক্রান্ত সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদের ‘যুক্তিসংগত বাধানিষেধ’-এর বলে বলীয়ান হয়ে আপনি এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি, এ নিষেধাজ্ঞার অন্তর্নিহিত অর্থটি কী দাঁড়ায়?
সাইদুর রহমান: জোর করে ক্ষমতায় থাকা যায়, একদলীয় নির্বাচনও করা যায়, কিন্তু মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না। সভা-সমাবেশ করা নাগরিকদের মৌলিক অধিকার। সরকারের এমন ঘোষণার পর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো কিছু বলছে না কেন?
(পাঠকের মন্তব্য বিস্তারিত পড়তে ও আপনার মতামত জানাতে ভিজিট করুন prothom-alo.com)
No comments