সম্মেলনকে সহিংসতা বন্ধের সুযোগ মনে করে সিরিয়া
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়াল্লেম বলেছেন, প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনকে রক্তপাত বন্ধের সুযোগ বলে মনে করে তাঁর সরকার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ ইরাক সফরে গিয়ে বাগদাদে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন। সিরিয়ায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও তাঁর বিরোধীরা উভয়েই এ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। আগামী মাসে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আসন্ন শান্তি সম্মেলন সিরিয়া-সংকট সমাধানে একটি দারুণ সুযোগ। তবে পৃথিবীতে এমন কোনো শক্তি নেই, যারা সিরিয়ার ভবিষ্যৎ ঠিক করবে। এটা ঠিক করার ক্ষমতা শুধু সিরিয়ার জনগণেরই রয়েছে।’ ওয়াশিংটন সিরিয়ার বিদ্রোহীদের শান্তি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্তভাবে রাজি করতে কাজ করে যাচ্ছে। বাশারবিরোধী শীর্ষস্থানীয় নেতারা এ সম্মেলনের ব্যাপারে ইতিমধ্যে ইতিবাচক মনোভাবের কথা জানালেও তাঁদের মূল দাবি পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বিরোধীদের মূল দাবি হলো, প্রেসিডেন্ট বাশারকে অবশ্যই আগে পদত্যাগ করতে হবে। বাশারবিরোধী বৈঠক চতুর্থ দিনে: তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বাশারবিরোধী জোটের বৈঠক গতকাল রোববার চতুর্থ দিনে গড়িয়েছে। নির্ধারিত তিন দিনে বিভিন্ন বিষয়ে মতৈক্য না হওয়ায় গতকাল অনির্ধারিত দিনে আলোচনা করেন নেতারা। বাশারবিরোধীরা মূলত আসন্ন শান্তি সম্মেলন ও জোটের পরবর্তী নেতা ঠিক করার জন্য এ বৈঠকে বসেন। তবে বৈঠকে সিরিয়া সংঘাতের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। বিরোধী জোট ন্যাশনাল কোয়ালিশনের মুখপাত্র খালেদ আল-সালেহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আশা করি শেষ দিনে ভালো কিছু ঘোষণা দিতে পারব।’ কুশায়েরে লড়াই চলছে: সিরিয়ার কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর কুশায়েরে বাশার বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই অব্যাহত রয়েছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস অভিযোগ করেছে, শনিবারও কুশায়ের শহরের প্রধান সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তিন বেসামরিক লোকসহ অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছে।
No comments