রাঙ্গামাটিতে জমি নিয়ে বিরোধ ॥ গুলিতে নিহত ২
অব্যাহত ভূমি বিরোধের জের হিসেবে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক ইউনিয়নে পাহাড়ী-বাঙালী সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও সেনা সদস্যসহ ২৫ জন আহত হয়েছে।
জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে পাহাড়ী-বাঙালীদের ৭টি পাড়ার দেড় শতাধিক বসতবাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যনত্ম। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা প্রশাসনের পক্ষে ১ জন বলে দাবি করা হলেও জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এ সংখ্যা ৩ এবং ইউপিডিএফ (ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট) ৪ জন বলে দাবি করেছে। স্থানীয় প্রশাসন একজনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে। সংঘর্ষের ঘটনার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি সদরে বাঙালী-পাহাড়ী উভয়পক্ষে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এছাড়া ইউপিডিএফ আজ বিক্ষোভ কর্মসূচী ঘোষণা করেছে এবং আগামীকাল সোমবার খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।স্থানীয় প্রশাসন, নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে উপজেলার সাজেকের গঙ্গারামমুখ এলাকায় দীঘিনালা থেকে ৩ বাঙালী যুবক মোটরসাইকেলযোগে বাঘাইহাটে যাচ্ছিল। এ সময় তাদের ওপর একদল পাহাড়ী সন্ত্রাসী হামলা চালায় এবং ঐ যুবকদের মারধর করে। এতে তারা গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনার পর স্থানীয় বাঙালীরা রাতেই প্রতিবাদ করে। প্রতিবাদের সূত্র ধরে পাহাড়ীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও মারামারি হয়। এরপর পাহাড়ীরা বাঙালীদের ১৮টি বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করলে দু'পরে মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়।
শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পেঁৗছলে পাহাড়ীরা বহু স্থানে তাদের অবরোধ, এমনকি হামলা চালায়। এতে সেনা সদস্যরা গুলিবর্ষণ করতে বাধ্য হয়। পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকেও পাল্টা গুলি ছোড়া হয়। সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট রেজাউল হকসহ ৬ জন আহত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এ সময় সেনাবাহিনী ও উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের মধ্যে মুহুর্মুহু গুলিবিনিময়ের ঘটে। অপরদিকে পাহাড়ী-বাঙালীদের বিভিন্ন বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার বিসত্মৃতি ঘটে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উভয়ের মধ্যে কয়েক শ' রাউন্ড গুলিবিনিময় হয় বলে প্রশাসনের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে মাথায় গুলিবিদ্ধ সেনা সার্জেন্ট রেজাউল হককে জরুরী ভিত্তিতে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম সিএমএইচে প্রেরণ করা হয়।
সেনা সূত্রে জানা যায়, সেনাবাহিনী ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে প্রায় দু'ঘণ্টাব্যাপী গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় বুদ্ধপ্রতি চাকমা নামে এক মহিলা প্রাণ হারায়। বাঘাইছড়ি থানার এসআই মোতালেব এ মহিলার লাশ গ্রহণ করেছে। এছাড়া লক্ষ্মীবর্তী চাকমা নামে আরও একজন নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত হওয়া গেলেও তার লাশ প্রশাসনের কেউ পায়নি বলে জানিয়েছে। এ ঘটনায় ইউপিডিএফ শানত্ম বিকাশ চাকমাসহ আরও ৩ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে।
প্রত্যদর্শীর সূত্র জানা যায়, ঘটনার পর খাগড়াছড়ি জেলার সাথে রাঙ্গামাটির সাজেক, বাঘাইহাট ও বাঘাইছড়ি সড়কে যানবাহন বন্ধ রয়েছে। আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছে বাঙালী ও উপজাতি উভয় সম্প্রদায়ের লোকজন। এ ঘটনায় উপজাতি ও বাঙালীরা পরস্পকে দায়ী করছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম হুমায়ূন কবীর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যায় দশমাইল এলাকায় তিনি অবরোধের মুখে আটকা পড়লে বিডিআর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। এ সময় কয়েক বাঙালীকে মারধর করার সময় গ্রেফতার করা হয় উপজাতীয় এক সন্ত্রাসীকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত এক মাসের অধিক সময় যাবত বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের গঙ্গারাম এলাকায় বসবাসরত বাঙালীদের ৪২টি বসতবাড়ি প্রত্যাহার ও বাঘাইহাটে অবস্থিত সেনাবাহিনীর একটি জোন প্রত্যাহারের দাবিতে উপজাতিরা ইউপিডিএফের নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। সাজেক নারীসমাজের ব্যানারে ইউপিডিএফ তৎপরতা চালালেও বাঙালীরা বসতবাড়ি সরিয়ে নেয়নি। দাবি পূরণের কৌশল হিসেবে উপজাতিরা গত ২৩ জানুয়ারি রাতে গঙ্গারামমুখের রেতকাবামুখ এলাকায় সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা মেজর মোঃ জুলফিকারসহ ১২ সেনাবাহিনীর একটি দলকে দীর্ঘ ২ ঘণ্টা অবরম্নদ্ধ করে রাখে। সেদিন রাতেই গঙ্গারাম এলাকায় উপজাতিরা বাঙালীদের ৩টি বসতঘর ভাংচুর করে জ্বালিয়ে দেয়। পরদিন বাজার বয়কটের ডাক দিয়ে উপজাতিদের বাজারে যেতে বাধা দিলেও কয়েক উপজাতি জীবিকানির্বাহের তাগিদে বাজারে আসার কারণে উপজাতি কয়েক সন্ত্রাসী তাদের মারধর করে। এ সময়ে সেনাবাহিনীর লোকজন তাদের উদ্ধার করে দু'সন্ত্রাসীকে আটক করলে উপজাতি বিুব্ধ জনতা তাদের সেনাবাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। এসব ঘটনায় পাহাড়ী-বাঙালী মুখোমুখি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বাঘাইছড়ির গঙ্গারামমুখে অবস্থিত বাঙালীদের ২০টি বসতঘর উপজাতিরা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার কয়েকদিন পর শুক্রবার পাহাড়ী-বাঙালী দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে।
এ ব্যাপারে বাঘাইহাট সেনাবাহিনীর উপ-অধিনায়ক মেজর জুলফিকার জানান, প্রায় দেড় মাস যাবত উপজাতিরা ইউপিডিএফ নামক একটি রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় গঙ্গারাম ও বাঘাইহাটের বাঙালীদের বসতবাড়ি সরিয়ে চলে যেতে এবং বাঘাইহাট সেনাবাহিনীর জোন প্রত্যাহার করতে দাবি জানিয়ে আসছিল। সে দাবি পূরণে ব্যর্থ হলে দফায় দফায় সেনা টহল অবরম্নদ্ধ করেছিল। বাঙালীদের বসতবাড়ি ভাংচুর ও জ্বালিয়ে দিয়েছে। শুক্রবার রাতে বাঙালীদের প্রায় ৫০টি বসতবাড়ি অগি্নসংযোগ করলে বাঙালীরাও পাল্টা পাহাড়ীদের বসতবাড়িতে অগি্নসংযোগ করে। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর একটি টহল দলকে ল্য করে গুলি ছুড়লে সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি ছোড়ে। বুদ্ধপ্রতি চাকমা ও লক্ষ্মী চাকমা কিভাবে কার আঘাতে বা কি কারণে মারা গেছে তার সঠিক কোন তথ্য তার কাছে নেই বলে তিনি জানান।
এদিকে ইউপিডিএফের প্রেস সেকশনের নিরণ চাকমা স্বারিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়েছে, রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন সাজেক ইউনিয়নে সেনবাহিনী ও সেটেলার হামলায় চার পাহাড়ী নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন। এছাড়া হামলাকারীরা একটি বৌদ্ধ বিহার, একটি গির্জা ও একটি ইউএনডিপি পরিচালিত পাড়াকেন্দ্রসহ দেড় শতাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাট জ্বালিয়ে দিয়েছে। হামলার পর বনানী বনবিহারের বৌদ্ধভিু পূর্ণবাসসহ এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। এ সময় থাইল্যান্ড থেকে প্রাপ্ত পিতলের একটি বৌদ্ধমূর্তি চুরি হয়েছে বলে ইউপিডিএফ দাবি করেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার দিকে প্রথম হামলা শুরম্ন হয়। প্রথমে পাহাড়ীদের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয় বলে পাহাড়ীরা দাবি করলেও বাঙালীরা দাবি করেছে তাদের বাড়িঘরে পাহাড়ীরা প্রথমে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে লাদুমনি বাজারের ৭টি দোকানও জ্বালিয়ে দেয়া হয়। পাহাড়ী গ্রামবাসীরা এ সময় সবাই ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সুযোগে অনেকে ব্যাপক লুটপাট চালায়। ওই হামলার পর শনিবার সকালে পাহাড়ীরা গঙ্গারামদোরে জড়ো হলে সেখান থেকে আবারও চলে যাওয়ার হুমকি দেয়া হয়। কিন্তু পাহাড়ীরা তা অগ্রাহ্য করে ও শুক্রবার রাতের হামলার বিরম্নদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। সকাল প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে পাহাড়ী নারী-পুরম্নষের ওপর অতর্কিতে গুলিবর্ষণ করা হয়। এর কয়েক মিনিট পর সাড়ে দশটার দিকে কাচালং নদীর পারে চাকমাদের গুচ্ছগ্রামে হামলা চলে। সেখানেও বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে গুচ্ছগ্রামের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া পূর্বপাড়া গ্রামেও হানা দিয়ে পাহাড়ীদের বাড়িঘরে অগি্নসংযোগ করা হয়েছে। তারা বনানী বনবিহারও পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। ঘটনাস্থলে নিহত চারজনের মধ্যে তিনজনের নাম পাওয়া গেছে বলে ইউপিডিএফ দাবি করেছে। তারা হলেন বুদ্ধপ্রতি চাকমা, লক্ষ্মী চাকমা ও লিটন চাকমা। আহতদের কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন শানত্ম শীল চাকমা, মৃতু্যঞ্জয় চাকমা, সুশীল জীবন চাকমা, ভারত জ্যোতি চাকমা, বিজামা চাকমা ও রেখা দেবী চাকমা। এখনও যাঁরা নিখোঁজ রয়েছেন তাঁরা হলেন দয়াল চাকমা, চিরঞ্জীব চাকমা, নিপু চাকমা ও পূর্ণবাস ভিু। এ পর্যনত্ম ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের একজনের নাম জানা গেছে। তার নাম বাবু চাকমা। ঘটনার পর এলাকা পরিদর্শনের জন্য যেতে চাইলে প্রশাসন সকলকে আটকে দেয়। কেবল বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সেখানে যেতে দেয়া হয়। প্রশাসন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। ঘটনার প্রতিবাদে ইউপিডিএফ ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো খাগড়াছড়ি, পানছড়ি, দীঘিনালা, নান্যাচর, কুদুকছড়ি, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে বিােভ সমাবেশ করেছে। সাজেকে বর্বর হামলার প্রতিবাদে ইউপিডিএফভুক্ত গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম আগামী ২২ ফেব্রম্নয়ারি খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলায় সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে। এছাড়া ২১ তারিখও বিভিন্ন স্থানে বিােভ অব্যাহত থাকবে। ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসা ও সাধারণ সম্পাদক রবি শঙ্কর চাকমা সাজেকে হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তাঁরা পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী ও সেটলার প্রত্যাহার, দোষীদের শাসত্মি ও তিগ্রসত্মদের যথাযথ তিপূরণ দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে ঘটনার ব্যাপারে রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মাসুদ উল হাসান জানিয়েছেন, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জেএসএসের সিনিয়র নেতা উষাতন তালুকদার জনকণ্ঠকে জানান, মাত্র ৩০ শতক জমির জন্য এ রক্তয়ী ঘটনা ঘটেছে, যা অত্যনত্ম দুঃখজনক। তাঁর মতে, দু'শতাধিক পাহাড়ীর ঘরবাড়ি বাঙালী সন্ত্রাসীরা জ্বালিয়ে দিয়েছে। বসতবাড়ি পুড়ে যাওয়া এবং নিরাপত্তার কারণে কয়েক হাজার পাহাড়ী বনে-জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। জেএসএসের প েশনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে এক প্রতিবাদ মিছিল ও মিছিল শেষে পথসভা করা হয়। এতে একটি মহল নিরীহ বাঙালীদের উস্কে দিয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়। যার কারণে পাহাড়ীরা হামলার শিকার হয়েছে।
ঢাকায় বিৰোভ বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দু'শ' বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং গুলি চালিয়ে ৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁরা হলেন লক্ষ্মী বিজয় চাকমা, গ্রাম গুলঙমাছড়া ও লিটন চাকমা, গ্রাম গঙ্গারাম দোর। অন্য জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার প্রতিবাদে পরিষদ জাতীয় প্রেসকাবের সামনে সমাবেশ ও বিৰোভ করেছে। সমাবেশ বক্তৃতা করেন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ঢাকা শাখার সভাপতি সুমেন চাকমা, সাধারণ সম্পাদক থুইক্যচিং মারমা, শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক রেটিনা চাকমা, সংহতি বক্তব্য রাখেন বিপস্নবী ছাত্র সংঘের আহ্বায়ক আশীষ শর্মা, ল্যাম্পপোস্টের সংগঠক প্রিন্স মাহমুদ এবং সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র ঐক্য ও প্রগতির পরিব্রাজক দলের আহ্বায়ক মোসত্মফা মাহবুব রাসেল। তাঁরা সাজেকে হত্যা ও অগি্নসংযোগের সঙ্গে জড়িতদের বিচার, তদনত্ম কমিটি গঠন করে রিপোর্ট প্রকাশ, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার ও ভূমি বেদখল বন্ধের দাবি জানান।
No comments