রাশিয়ার ৬৫ হাজার কোটি ডলারের বিপুল সমরসজ্জার উদ্যোগ
রাশিয়া ২০২০ সালের মধ্যে তার সামরিক খাতকে বিপুল আধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তারা সামরিক বিভাগে আরও আটটি পরমাণু সাবমেরিন, ৬০০ জঙ্গি বিমান এবং এক হাজার হেলিকপ্টার অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এ খাতে তাদের ব্যয় হবে ৬৫ হাজার কোটি ডলার।
এর বাইরে রাশিয়ার ১০০ যুদ্ধজাহাজ ও দুটি হেলিকপ্টারবাহী রণতরী কেনার কথা রয়েছে। এর মধ্যে ফ্রান্স থেকে রাশিয়া দুটি হেলিকপ্টারবাহী রণতরী কেনার আলোচনা সেরেছে।
কর্মকর্তারা বলেন, যেসব সাবমেরিন কেনার কথা রয়েছে, সেগুলো রাশিয়ার নিজের তৈরি বুলাভা ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম হবে।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা বলেন, উচ্চাকাঙ্ক্ষী এ পদক্ষেপে পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে, মান্ধাতা আমলের সামরিক ব্যবস্থাকে নবায়ন করে রাশিয়া আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত হতে চায়।
একটি বার্তা সংস্থা জানায়, সামরিক বাহিনীর অস্ত্রভান্ডার সমৃদ্ধ করতে এর মধ্যে রাশিয়াকে বিপুল জনবল ছাঁটাই করতে হয়েছে। অস্ত্র কেনার খরচ জোগাতে সশস্ত্র বাহিনী থেকে প্রায় দুই লাখ কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। প্রতি দশটি সেনা ইউনিটের মধ্যে নয়টিকেই ভেঙে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, পরিকল্পনামতো রাশিয়া যদি এসব সরঞ্জাম সামরিক খাতে যোগ করতে পারে, তাহলে সাবেক সোভিয়েত আমলের পুরোনো অস্ত্রভান্ডারের ওপর মস্কোর নির্ভরশীলতা অনেকটাই কমে যাবে।
পাভেল ফেলজেনহাওয়ের নামের একজন সামরিক বিশ্লেষক এপিকে বলেন, এসব অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম হাতে পাওয়ার পর সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে রাশিয়ার একটি পেশাদারি নন-কমিশনড্ অফিসার কর্পস নিয়োগ করতে হবে। যেসব বিশেষজ্ঞ এসব অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পরিচালনা করবেন, তাঁদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়াই হবে ওই অফিসার কর্পসের কাজ।
গত সপ্তাহে রাশিয়ার অর্থমন্ত্রী অ্যালেক্সি কুদরিন বলেন, রাশিয়ার বর্তমান প্রতিরক্ষা ব্যয় মোট জাতীয় প্রবৃদ্ধির ০৫ শতাংশ। আগামী বছর থেকে এ ব্যয় তিন গুণ করে ১ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করা হবে। গত বৃহস্পতিবার মস্কোয় রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পোপোভকিন প্রতিরক্ষা ব্যয়ের খসড়া বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেন। পোপোভকিন বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নকেই এ মুহূর্তে আমরা আমাদের প্রধান কাজ বলে মনে করছি।’ তিনি জানান, নৌবাহিনীর উন্নয়নে প্রস্তাবিত ব্যয়ের বেশির ভাগ অর্থ ব্যয় করা হবে। সাবমেরিনের পাশাপাশি ৩৫টি করভেট (দ্রুতগামী রণতরী) এবং ১৫টি ফ্রিগেট (সমরাস্ত্রবাহী বিশেষ রণতরী) কেনা হবে।
রাশিয়া ফ্রান্সকে যে দুটি রণতরী সরবরাহের ফরমায়েশ দিয়েছে তা কয়েক শ সেনা ও কয়েক ডজন সাঁজোয়া যান নিয়ে বিদেশি ভূখণ্ডে অভিযান চালাতে সক্ষম হবে। এস-৫০০ ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী ব্যবস্থাসম্পন্ন সামরিক বাহিনীর ১০টি ডিভিশন দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মেরুদণ্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
এপি বলেছে, নতুন যেসব এয়ারক্র্যাফট রুশ বাহিনীতে যোগ হতে যাচ্ছে সেগুলো হলো, এসইউ-৩৪ ও এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান, এমআই-২৬ পরিবহন বিমান এবং এমআই-৮ গানশিপ হেলিকপ্টার।
এর বাইরে রাশিয়ার ১০০ যুদ্ধজাহাজ ও দুটি হেলিকপ্টারবাহী রণতরী কেনার কথা রয়েছে। এর মধ্যে ফ্রান্স থেকে রাশিয়া দুটি হেলিকপ্টারবাহী রণতরী কেনার আলোচনা সেরেছে।
কর্মকর্তারা বলেন, যেসব সাবমেরিন কেনার কথা রয়েছে, সেগুলো রাশিয়ার নিজের তৈরি বুলাভা ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম হবে।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা বলেন, উচ্চাকাঙ্ক্ষী এ পদক্ষেপে পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে, মান্ধাতা আমলের সামরিক ব্যবস্থাকে নবায়ন করে রাশিয়া আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত হতে চায়।
একটি বার্তা সংস্থা জানায়, সামরিক বাহিনীর অস্ত্রভান্ডার সমৃদ্ধ করতে এর মধ্যে রাশিয়াকে বিপুল জনবল ছাঁটাই করতে হয়েছে। অস্ত্র কেনার খরচ জোগাতে সশস্ত্র বাহিনী থেকে প্রায় দুই লাখ কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। প্রতি দশটি সেনা ইউনিটের মধ্যে নয়টিকেই ভেঙে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, পরিকল্পনামতো রাশিয়া যদি এসব সরঞ্জাম সামরিক খাতে যোগ করতে পারে, তাহলে সাবেক সোভিয়েত আমলের পুরোনো অস্ত্রভান্ডারের ওপর মস্কোর নির্ভরশীলতা অনেকটাই কমে যাবে।
পাভেল ফেলজেনহাওয়ের নামের একজন সামরিক বিশ্লেষক এপিকে বলেন, এসব অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম হাতে পাওয়ার পর সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে রাশিয়ার একটি পেশাদারি নন-কমিশনড্ অফিসার কর্পস নিয়োগ করতে হবে। যেসব বিশেষজ্ঞ এসব অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পরিচালনা করবেন, তাঁদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়াই হবে ওই অফিসার কর্পসের কাজ।
গত সপ্তাহে রাশিয়ার অর্থমন্ত্রী অ্যালেক্সি কুদরিন বলেন, রাশিয়ার বর্তমান প্রতিরক্ষা ব্যয় মোট জাতীয় প্রবৃদ্ধির ০৫ শতাংশ। আগামী বছর থেকে এ ব্যয় তিন গুণ করে ১ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করা হবে। গত বৃহস্পতিবার মস্কোয় রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পোপোভকিন প্রতিরক্ষা ব্যয়ের খসড়া বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেন। পোপোভকিন বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নকেই এ মুহূর্তে আমরা আমাদের প্রধান কাজ বলে মনে করছি।’ তিনি জানান, নৌবাহিনীর উন্নয়নে প্রস্তাবিত ব্যয়ের বেশির ভাগ অর্থ ব্যয় করা হবে। সাবমেরিনের পাশাপাশি ৩৫টি করভেট (দ্রুতগামী রণতরী) এবং ১৫টি ফ্রিগেট (সমরাস্ত্রবাহী বিশেষ রণতরী) কেনা হবে।
রাশিয়া ফ্রান্সকে যে দুটি রণতরী সরবরাহের ফরমায়েশ দিয়েছে তা কয়েক শ সেনা ও কয়েক ডজন সাঁজোয়া যান নিয়ে বিদেশি ভূখণ্ডে অভিযান চালাতে সক্ষম হবে। এস-৫০০ ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী ব্যবস্থাসম্পন্ন সামরিক বাহিনীর ১০টি ডিভিশন দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মেরুদণ্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
এপি বলেছে, নতুন যেসব এয়ারক্র্যাফট রুশ বাহিনীতে যোগ হতে যাচ্ছে সেগুলো হলো, এসইউ-৩৪ ও এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান, এমআই-২৬ পরিবহন বিমান এবং এমআই-৮ গানশিপ হেলিকপ্টার।
No comments