চীনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরকারের দূরত্ব বাড়ছে
চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি সে দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে গভীর সম্পর্ক বজায় রেখে আসছে। বেসামরিক সরকারের সঙ্গে সে দেশের সশস্ত্র বাহিনীর নিবিড় সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তবে সম্পর্কের গাঁটছড়া ক্রমশ শিথিল হয়ে পড়ছে বলে বিশ্লেষকেরা মন্তব্য করেছেন। তাঁরা বলেছেন, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনী সরকারের সঙ্গে সমন্বয় না করেই এমন সব ঘোষণা দিচ্ছে, যা এ দুই পক্ষের মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি করতে পারে।
চীনের সশস্ত্র বাহিনী দি পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) অধীনে পরিচালিত হয়। আদর্শিক ও সাংগঠনিক বন্ধন থাকায় এই দুটি পক্ষ মিলে ১৯৪৯ সালে মাও সে তুংয়ের নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মাধ্যমে সরকার গঠন করে। মাওয়ের মৃত্যুর পর ১৯৭০-এর দশকের শেষ দিকে সংস্কারপন্থী নেতা দেং জিয়াও পিং ক্ষমতায় আসেন। মাওয়ের মতো জিয়াও পিংয়ের সঙ্গেও পিএলএর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। দুজনেরই সামরিক অভিজ্ঞতা ছিল। পিএলএর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের (সিএমসি) চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁরা দুজনই দায়িত্ব পালন করেছেন। জিয়াও পিংয়ের মৃত্যুর পর প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসেন জিয়াও জেমিং এবং জেমিংয়ের উত্তরসূরি হিসেবে ২০০২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন হু জিনতাও। জেমিং এবং জিনতাও কারোরই সামরিক অভিজ্ঞতা নেই। এর ফলে তাঁরা তাঁদের পূর্বসূরিদের মতো পিএলএর কমান্ডারদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক ধরে রাখতে পারেননি বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
চীন ও কোরিয়ার মধ্যবর্তী পীতসাগরে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার চালানো যৌথ নৌ-মহড়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে চীন সরকারের পাশাপাশি পিএলএর কর্মকর্তারা বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে আসছেন। পিএলএর একটি পত্রিকায় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল লুও ইউয়ান ওই যৌথ মহড়ায় চীনের সম্মানহানি হবে মন্তব্য করে লিখেছেন, একটি রাষ্ট্রের যেমন সম্মানের প্রয়োজন হয়, তেমনি একটি সেনাবাহিনীরও সম্মানের প্রয়োজন।
একই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র আবার মহড়া দেওয়ার পরিকল্পনা করায় প্রতিক্রিয়া হিসেবে আজ বুধবার পিএলএর নৌবাহিনী পীতসাগরে কামান মহড়া দেবে।
পিএলএ বিশেষজ্ঞ ও রোডস দ্বীপে অবস্থিত মার্কিন নেভাল ওয়ার কলেজের অধ্যাপক ন্যান লি বলেছেন, বহু আগে থেকেই চীনের বেসামরিক ও সামরিক কর্তৃপক্ষের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তবে বর্তমানে দুই পক্ষ দুই প্রান্তে সরে যাচ্ছে।
চীনের রাজনীতিতে সরাসরি সামরিক বাহিনীর অংশগ্রহণ রয়েছে। কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি প্রতিবছর যে সম্মেলন করে, তাতে পিএলএর প্রতিনিধিরা থাকেন। কেন্দ্রীয় কমিটিতে বর্তমানে ৩৭০ জন সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে ১৮ শতাংশই পিএলএর কর্মকর্তা।
প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়া বাও সামরিক বাহিনীর ব্যাপারে খুব কমই সরাসরি মন্তব্য করেন। অন্যদিকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য পিএলএর সহযোগী হিসেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করে থাকে।
চীনের সশস্ত্র বাহিনী দি পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) অধীনে পরিচালিত হয়। আদর্শিক ও সাংগঠনিক বন্ধন থাকায় এই দুটি পক্ষ মিলে ১৯৪৯ সালে মাও সে তুংয়ের নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মাধ্যমে সরকার গঠন করে। মাওয়ের মৃত্যুর পর ১৯৭০-এর দশকের শেষ দিকে সংস্কারপন্থী নেতা দেং জিয়াও পিং ক্ষমতায় আসেন। মাওয়ের মতো জিয়াও পিংয়ের সঙ্গেও পিএলএর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। দুজনেরই সামরিক অভিজ্ঞতা ছিল। পিএলএর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটি সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের (সিএমসি) চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁরা দুজনই দায়িত্ব পালন করেছেন। জিয়াও পিংয়ের মৃত্যুর পর প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসেন জিয়াও জেমিং এবং জেমিংয়ের উত্তরসূরি হিসেবে ২০০২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন হু জিনতাও। জেমিং এবং জিনতাও কারোরই সামরিক অভিজ্ঞতা নেই। এর ফলে তাঁরা তাঁদের পূর্বসূরিদের মতো পিএলএর কমান্ডারদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক ধরে রাখতে পারেননি বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
চীন ও কোরিয়ার মধ্যবর্তী পীতসাগরে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার চালানো যৌথ নৌ-মহড়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে চীন সরকারের পাশাপাশি পিএলএর কর্মকর্তারা বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে আসছেন। পিএলএর একটি পত্রিকায় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল লুও ইউয়ান ওই যৌথ মহড়ায় চীনের সম্মানহানি হবে মন্তব্য করে লিখেছেন, একটি রাষ্ট্রের যেমন সম্মানের প্রয়োজন হয়, তেমনি একটি সেনাবাহিনীরও সম্মানের প্রয়োজন।
একই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্র আবার মহড়া দেওয়ার পরিকল্পনা করায় প্রতিক্রিয়া হিসেবে আজ বুধবার পিএলএর নৌবাহিনী পীতসাগরে কামান মহড়া দেবে।
পিএলএ বিশেষজ্ঞ ও রোডস দ্বীপে অবস্থিত মার্কিন নেভাল ওয়ার কলেজের অধ্যাপক ন্যান লি বলেছেন, বহু আগে থেকেই চীনের বেসামরিক ও সামরিক কর্তৃপক্ষের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তবে বর্তমানে দুই পক্ষ দুই প্রান্তে সরে যাচ্ছে।
চীনের রাজনীতিতে সরাসরি সামরিক বাহিনীর অংশগ্রহণ রয়েছে। কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি প্রতিবছর যে সম্মেলন করে, তাতে পিএলএর প্রতিনিধিরা থাকেন। কেন্দ্রীয় কমিটিতে বর্তমানে ৩৭০ জন সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে ১৮ শতাংশই পিএলএর কর্মকর্তা।
প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়া বাও সামরিক বাহিনীর ব্যাপারে খুব কমই সরাসরি মন্তব্য করেন। অন্যদিকে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য পিএলএর সহযোগী হিসেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করে থাকে।
No comments