পোশাকশিল্পে ন্যূনতম মজুরি -দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে আস্থার সম্পর্ক ফিরিয়ে আনুন
বহু আলোচনা, বিতর্ক ও বৈঠকের পর পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি তিন হাজার টাকা ঘোষণা করা হলেও শ্রমিকদের তা সন্তুষ্ট করতে পারেনি। শুক্রবার তাঁরা তেজগাঁও, গুলশানসহ মহানগরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কিছু যানবাহন ও স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। আমরা এ ধরনের ভাঙচুর বা সহিংসতাকে সমর্থন করি না। কিন্তু মহানগর পুলিশ কমিশনারের দাবি অনুযায়ী, এর মধ্যে ষড়যন্ত্র খোঁজার অর্থ হবে তৈরি পোশাক খাতের মূল সমস্যাকে এড়িয়ে যাওয়া, যা কারও জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না।
পোশাকশ্রমিকেরা যে মজুরি পেয়ে আসছিলেন, তা কেবল অপর্যাপ্তই নয়, অমানবিকও। ন্যায্য মজুরির দাবিতে শ্রমিকেরা আন্দোলন করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। আশা করা গিয়েছিল, নতুন মজুরিকাঠামোয় তাঁদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। কিন্তু শুরু থেকে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা বেতন বাড়ানোর বিরোধিতা করে আসছেন। শেষমেশ ন্যূনতম মজুরি মেনে নিলেও তাঁরা কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। কী সেই শর্ত? নভেম্বরের আগে নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করা যাবে না। সামনে দুটি ঈদ। চার মাস পর নতুন মজুরিকাঠামো বাস্তবায়ন করলে পুরোনো বেতনেই শ্রমিকদের বোনাস নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে মালিকপক্ষ যে সময়ক্ষেপণের কৌশল নিয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই।
শ্রমিকেরা ন্যূনতম মজুরি পাঁচ হাজার টাকা দাবি করলেও তার কমে রাজি হতেন না, এমন নয়। কিন্তু মজুরিকাঠামো ঘোষণার চার মাস পর তার বাস্তবায়ন স্বভাবতই তাঁদের ক্ষুব্ধ করেছে। এতে শ্রমিকদের ভেতরে সন্দেহ, অবিশ্বাস দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। প্রত্যাশা ছিল, নতুন মজুরিকাঠামোয় পোশাকশিল্পের বঞ্চিত শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষিত হবে। বাস্তবে ‘দূরের বাদ্যে বেজায় ফাঁক’ই থেকে গেল। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত হিসেবে তৈরি পোশাক খাতের সমৃদ্ধি সবার কাম্য। এ জন্য মালিক ও শ্রমিকপক্ষের মধ্যে সদ্ভাব থাকাও জরুরি। দুর্ভাগ্য যে, মজুরি বাড়ানোর প্রশ্ন এলেই মালিকপক্ষ নানা টালবাহানা করে, শ্রমিকদের অদক্ষতার প্রশ্ন তোলে। তারা বুঝতে চায় না, শ্রমিকদের বেশি মজুরি দিলে তাঁদের কাছ থেকে কাজও বেশি পাওয়া যাবে।
ঘোষিত ন্যূনতম মজুরিকে বাজারদরের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বলা যাবে না। এ নিয়ে শ্রমিকদের আপত্তি আছে, মালিকদেরও হয়তো কিছু বলার আছে। নিয়ম অনুসারে, এই খসড়া মজুরিকাঠামোর গেজেট প্রকাশের পর ১৪ দিনের মধ্যে এর ওপর মালিক, শ্রমিক বা অন্য কোনো পক্ষ তাদের আপত্তি জানাতে পারে। সেসব আমলে নিয়েই মজুরি বোর্ড তা চূড়ান্ত করবে। তাই মজুরিকাঠামো ঘোষণার পর সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব পক্ষের কাছে সংযত ও সহিষ্ণু আচরণ কাম্য। শ্রমিকদের প্রতি সবার সহমর্মিতা আছে, তাঁরা যে ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত, সে বিষয়ে সবার সহমর্মিতা আছে। তাঁদের এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যাতে তাঁরা সাধারণ মানুষের সহানুভূতি হারান। আবার মালিকপক্ষকেও বুঝতে হবে, শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা না দিলে তাঁদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সেবা পাওয়া যাবে না। মজুরির বাইরে যাতায়াত ভাতা, কাপড় ধোয়ার ভাতা ও হাজিরা বোনাসসহ আনুষঙ্গিক যেসব সুবিধা প্রধানমন্ত্রী দিতে বলেছেন, সেগুলো পাওয়া গেলে এই মন্দের ‘ভালো’ শ্রমিকদের জীবনকে কিছুটা হলেও সহনীয় করতে পারে। মালিকপক্ষ যখন নতুন মজুরিকাঠামো মেনে নিয়েছে, তখন তাদের কর্তব্য হবে তা বাস্তবায়নে সময়ক্ষেপণ না করা। এ ব্যাপারে বিজিএমইএ ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। পোশাকশিল্পের বিকাশের স্বার্থেই সমস্যার শান্তিপূর্ণ ও টেকসই সমাধানই কাম্য।
পোশাকশ্রমিকেরা যে মজুরি পেয়ে আসছিলেন, তা কেবল অপর্যাপ্তই নয়, অমানবিকও। ন্যায্য মজুরির দাবিতে শ্রমিকেরা আন্দোলন করে আসছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। আশা করা গিয়েছিল, নতুন মজুরিকাঠামোয় তাঁদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। কিন্তু শুরু থেকে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকেরা বেতন বাড়ানোর বিরোধিতা করে আসছেন। শেষমেশ ন্যূনতম মজুরি মেনে নিলেও তাঁরা কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। কী সেই শর্ত? নভেম্বরের আগে নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করা যাবে না। সামনে দুটি ঈদ। চার মাস পর নতুন মজুরিকাঠামো বাস্তবায়ন করলে পুরোনো বেতনেই শ্রমিকদের বোনাস নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে মালিকপক্ষ যে সময়ক্ষেপণের কৌশল নিয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই।
শ্রমিকেরা ন্যূনতম মজুরি পাঁচ হাজার টাকা দাবি করলেও তার কমে রাজি হতেন না, এমন নয়। কিন্তু মজুরিকাঠামো ঘোষণার চার মাস পর তার বাস্তবায়ন স্বভাবতই তাঁদের ক্ষুব্ধ করেছে। এতে শ্রমিকদের ভেতরে সন্দেহ, অবিশ্বাস দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। প্রত্যাশা ছিল, নতুন মজুরিকাঠামোয় পোশাকশিল্পের বঞ্চিত শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষিত হবে। বাস্তবে ‘দূরের বাদ্যে বেজায় ফাঁক’ই থেকে গেল। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত হিসেবে তৈরি পোশাক খাতের সমৃদ্ধি সবার কাম্য। এ জন্য মালিক ও শ্রমিকপক্ষের মধ্যে সদ্ভাব থাকাও জরুরি। দুর্ভাগ্য যে, মজুরি বাড়ানোর প্রশ্ন এলেই মালিকপক্ষ নানা টালবাহানা করে, শ্রমিকদের অদক্ষতার প্রশ্ন তোলে। তারা বুঝতে চায় না, শ্রমিকদের বেশি মজুরি দিলে তাঁদের কাছ থেকে কাজও বেশি পাওয়া যাবে।
ঘোষিত ন্যূনতম মজুরিকে বাজারদরের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বলা যাবে না। এ নিয়ে শ্রমিকদের আপত্তি আছে, মালিকদেরও হয়তো কিছু বলার আছে। নিয়ম অনুসারে, এই খসড়া মজুরিকাঠামোর গেজেট প্রকাশের পর ১৪ দিনের মধ্যে এর ওপর মালিক, শ্রমিক বা অন্য কোনো পক্ষ তাদের আপত্তি জানাতে পারে। সেসব আমলে নিয়েই মজুরি বোর্ড তা চূড়ান্ত করবে। তাই মজুরিকাঠামো ঘোষণার পর সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব পক্ষের কাছে সংযত ও সহিষ্ণু আচরণ কাম্য। শ্রমিকদের প্রতি সবার সহমর্মিতা আছে, তাঁরা যে ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত, সে বিষয়ে সবার সহমর্মিতা আছে। তাঁদের এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যাতে তাঁরা সাধারণ মানুষের সহানুভূতি হারান। আবার মালিকপক্ষকেও বুঝতে হবে, শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা না দিলে তাঁদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সেবা পাওয়া যাবে না। মজুরির বাইরে যাতায়াত ভাতা, কাপড় ধোয়ার ভাতা ও হাজিরা বোনাসসহ আনুষঙ্গিক যেসব সুবিধা প্রধানমন্ত্রী দিতে বলেছেন, সেগুলো পাওয়া গেলে এই মন্দের ‘ভালো’ শ্রমিকদের জীবনকে কিছুটা হলেও সহনীয় করতে পারে। মালিকপক্ষ যখন নতুন মজুরিকাঠামো মেনে নিয়েছে, তখন তাদের কর্তব্য হবে তা বাস্তবায়নে সময়ক্ষেপণ না করা। এ ব্যাপারে বিজিএমইএ ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। পোশাকশিল্পের বিকাশের স্বার্থেই সমস্যার শান্তিপূর্ণ ও টেকসই সমাধানই কাম্য।
No comments