এটি হবে মাচেদার বছর
আগামী ২২ আগস্ট তাঁর ১৯তম জন্মদিন, মানে ওই দিনই পূর্ণ হবে ১৮ বছর বয়স। ইতালিতে থাকলে নিয়মের বেড়াজালে আটকে পেশাদার লিগে খেলার অনুমতি পেতেন ওই তারিখটার পরই। কিন্তু ফ্রেদেরিকো মাচেদা পেশাদার লিগে খেলে ফেলেছেন গত বছর এপ্রিলে। তাও কোন দলের হয়ে? বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। অভিষেকটাও ছিল স্মরণীয়। অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ম্যাচটি ম্যানইউ জিতেছিল তাঁর দেওয়া অতিরিক্ত সময়ের গোলে।
এমন অভিষেকের পরও মাচেদার গত মৌসুমটা হতাশায় কেটেছে। বেশি খেলার সুযোগ পাননি, তাঁর কাছ থেকে প্রায় পাঁচটি মাস কেড়ে নিয়েছে চোট। আর কদিন পরই শুরু হচ্ছে নতুন মৌসুম। নতুন আশায় বুক বেঁধেছেন তরুণ ইতালিয়ান স্ট্রাইকার। এবার নিয়মিত খেলবেন এবং রুনি, বারবেতভ, ওয়েনদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে জায়গা করে নেবেন শুরুর একাদশেই! প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি পর্বে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড গত বুধবার হিউস্টনে ৫-২ গোলে হারিয়েছে মেজর লিগ সকার অল স্টার একাদশকে। বিরাট এই জয়ে নিজে করেছেন দুই গোল, দুর্দান্ত আক্রমণাত্মক খেলায় মাত্র ২২ সেকেন্ডে গোল করে প্রথমে এগিয়ে নিয়েছিলেন দলকে। এ ম্যাচের পারফরম্যান্সই তাঁকে জোগাচ্ছে দুরন্ত এক আশা, ‘আমি প্রস্তুত এবং আশা করি, ম্যানেজার আমাকে অনেক ম্যাচেই খেলাবেন। আমি তো মনে করি, এই বছরটাই হবে আমার।’
হিউস্টনের এই প্রীতি ম্যাচ মাচেদাকে দিয়েছে দারুণ তৃপ্তি, ‘আমি সফরের আগের কয়েক ম্যাচেও খেলেছি, কিন্তু পারফরম্যান্সে এমন খুশি হতে পারিনি। সুতরাং এখন সবাইকে দেখাতে চাই আমি আসলেই তৈরি।’
সবাইকে দেখানোর আগে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কোচের মন জয় করা। মাচেদার কথা শুনে মনে হচ্ছে ম্যানেজার ফার্গুসনের মন জিতে নেওয়ার চেষ্টা তিনি করছেন। ‘তিনি অসাধারণ একজন মানুষ, দুর্দান্ত কোচ’—ফার্গুসনকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন রোমের ১৮ বছর বয়সী তরুণ, ২০০৭ সালে লািসওর যুবদল থেকে যাঁকে ধরে এনেছিল ম্যানইউ। প্রশংসা যখন হয় পারস্পরিক, তখন বুঝে নিতে হবে দুজনের মধ্যে সম্পর্কের একটা রসায়ন তৈরি হতে চলেছে। হিউস্টনের এই ম্যাচের পর ফার্গুসন বলেছেন, ‘আমরা সব সময়ই মনে করি, আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে সেই সেরা যে গোলরক্ষকের দিকে ছুটে যায়।’ ‘এই দিকটাতে সে অসাধারণ। যখন সে এগিয়ে গেল, আমাদের সবারই প্রত্যশা ছিল সে গোল করবে। এই গোলটা ছিল দারুণ’—মাচেদার করা প্রথম গোলটি সম্পর্কে বলেছেন ফার্গুসন।
রুনি, ওয়েন, বারবেতভের মতো স্ট্রাইকার থাকার পরও ফার্গুসন যখন এমন কথা বলেন, তখন মাচেদা ধরে নিতে পারেন এটি আসলেই তাঁর প্রশস্তি। তবে মাচেদার জন্য আরেকটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছেন ২২ বছর বয়সী মেক্সিকান স্ট্রাইকার হাভিয়ের হার্নান্দেজ। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে দুর্দান্ত এক গোল করেছিলেন হার্নান্দেজ। এ ম্যাচে নেমেও একটা গোল করেছেন। শুরুর একাদশে তাঁকেও প্রতিদ্বন্দ্বী মানতেই হবে মাচেদাকে। তবে ইতালিয়ান স্ট্রাইকার হার্নান্দেজকে নিয়েও উদ্বিগ্ন নন, ‘আমি মনে করি, যে সাতজন স্ট্রাইকার আছে, তারা সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী। একজন স্ট্রাইকার বেশি বা কম থাকা কোনো ব্যাপার নয়।’
ছোটবেলায় মার্কো ফন বাস্তেনের খেলার ভিডিও দেখেই তাঁর এমন ভক্ত হয়েছেন মাচেদা যে, এখনো ওই সাবেক ডাচ স্ট্রাইকারই তাঁর নায়ক হয়ে রয়েছেন। মাচেদা বাস্তেন-মন্ত্রেই সব চ্যালেঞ্জ জিতে এগিয়ে যেতে চান।
এমন অভিষেকের পরও মাচেদার গত মৌসুমটা হতাশায় কেটেছে। বেশি খেলার সুযোগ পাননি, তাঁর কাছ থেকে প্রায় পাঁচটি মাস কেড়ে নিয়েছে চোট। আর কদিন পরই শুরু হচ্ছে নতুন মৌসুম। নতুন আশায় বুক বেঁধেছেন তরুণ ইতালিয়ান স্ট্রাইকার। এবার নিয়মিত খেলবেন এবং রুনি, বারবেতভ, ওয়েনদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে জায়গা করে নেবেন শুরুর একাদশেই! প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি পর্বে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড গত বুধবার হিউস্টনে ৫-২ গোলে হারিয়েছে মেজর লিগ সকার অল স্টার একাদশকে। বিরাট এই জয়ে নিজে করেছেন দুই গোল, দুর্দান্ত আক্রমণাত্মক খেলায় মাত্র ২২ সেকেন্ডে গোল করে প্রথমে এগিয়ে নিয়েছিলেন দলকে। এ ম্যাচের পারফরম্যান্সই তাঁকে জোগাচ্ছে দুরন্ত এক আশা, ‘আমি প্রস্তুত এবং আশা করি, ম্যানেজার আমাকে অনেক ম্যাচেই খেলাবেন। আমি তো মনে করি, এই বছরটাই হবে আমার।’
হিউস্টনের এই প্রীতি ম্যাচ মাচেদাকে দিয়েছে দারুণ তৃপ্তি, ‘আমি সফরের আগের কয়েক ম্যাচেও খেলেছি, কিন্তু পারফরম্যান্সে এমন খুশি হতে পারিনি। সুতরাং এখন সবাইকে দেখাতে চাই আমি আসলেই তৈরি।’
সবাইকে দেখানোর আগে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কোচের মন জয় করা। মাচেদার কথা শুনে মনে হচ্ছে ম্যানেজার ফার্গুসনের মন জিতে নেওয়ার চেষ্টা তিনি করছেন। ‘তিনি অসাধারণ একজন মানুষ, দুর্দান্ত কোচ’—ফার্গুসনকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন রোমের ১৮ বছর বয়সী তরুণ, ২০০৭ সালে লািসওর যুবদল থেকে যাঁকে ধরে এনেছিল ম্যানইউ। প্রশংসা যখন হয় পারস্পরিক, তখন বুঝে নিতে হবে দুজনের মধ্যে সম্পর্কের একটা রসায়ন তৈরি হতে চলেছে। হিউস্টনের এই ম্যাচের পর ফার্গুসন বলেছেন, ‘আমরা সব সময়ই মনে করি, আমাদের খেলোয়াড়দের মধ্যে সেই সেরা যে গোলরক্ষকের দিকে ছুটে যায়।’ ‘এই দিকটাতে সে অসাধারণ। যখন সে এগিয়ে গেল, আমাদের সবারই প্রত্যশা ছিল সে গোল করবে। এই গোলটা ছিল দারুণ’—মাচেদার করা প্রথম গোলটি সম্পর্কে বলেছেন ফার্গুসন।
রুনি, ওয়েন, বারবেতভের মতো স্ট্রাইকার থাকার পরও ফার্গুসন যখন এমন কথা বলেন, তখন মাচেদা ধরে নিতে পারেন এটি আসলেই তাঁর প্রশস্তি। তবে মাচেদার জন্য আরেকটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছেন ২২ বছর বয়সী মেক্সিকান স্ট্রাইকার হাভিয়ের হার্নান্দেজ। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে দুর্দান্ত এক গোল করেছিলেন হার্নান্দেজ। এ ম্যাচে নেমেও একটা গোল করেছেন। শুরুর একাদশে তাঁকেও প্রতিদ্বন্দ্বী মানতেই হবে মাচেদাকে। তবে ইতালিয়ান স্ট্রাইকার হার্নান্দেজকে নিয়েও উদ্বিগ্ন নন, ‘আমি মনে করি, যে সাতজন স্ট্রাইকার আছে, তারা সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী। একজন স্ট্রাইকার বেশি বা কম থাকা কোনো ব্যাপার নয়।’
ছোটবেলায় মার্কো ফন বাস্তেনের খেলার ভিডিও দেখেই তাঁর এমন ভক্ত হয়েছেন মাচেদা যে, এখনো ওই সাবেক ডাচ স্ট্রাইকারই তাঁর নায়ক হয়ে রয়েছেন। মাচেদা বাস্তেন-মন্ত্রেই সব চ্যালেঞ্জ জিতে এগিয়ে যেতে চান।
No comments