সরকারকে ৮ কোটি টাকা ফেরত দিচ্ছে বিওএ
প্রশিক্ষণের টাকার জন্য চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকতে হয় সরকারের দিকে। আর এবার কিনা উল্টো সরকারকেই টাকা ফেরত দিচ্ছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)!
গত ফেব্রুয়ারিতে হয়ে যাওয়া দক্ষিণ এশীয় গেমসের আগে প্রশিক্ষণের জন্য ২০ কোটি এবং গেমস আয়োজন বাবদ ৫২ কোটি টাকা বিওএকে দিয়েছিল সরকার। এর প্রায় ৮ কোটি টাকা খরচ হয়নি। এই টাকাই সরকারকে ফেরত দিয়ে দিচ্ছে বিওএ, যা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে ব্যতিক্রমী এক উদাহরণ।
টানাটানির সংসারে টাকা পুরোপুরি খরচ না হওয়া বড় খবর। সেটি ফেরত দেওয়াও বড় খবর বটে। টাকা উদ্বৃত্ত থাকার কারণ—এবার এসএ গেমসে পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে ৩৯ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছিল অপ্রত্যাশিতভাবে।
বিওএ মহাসচিব কুতুবউদ্দিন আহমেদ কাল দিলেন এই খবর, ‘প্রায় ৮ কোটি টাকা বেঁচে গেছে। বিষয়টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানানোও হয়েছে। এখন আমরা টাকাটা ফেরত দিয়ে দেব। এ জন্য শিগগিরই একটা অনুষ্ঠান করা হবে, যেখানে গেমসের সঙ্গে সম্পৃক্ত স্বেচ্ছাসেবীসহ প্রায় আড়াই-তিন হাজার অতিথি আমন্ত্রিত হবেন।’
ফেরত না দিয়ে কোনোভাবে সরকারকে বলে দেশের খেলাধুলার উন্নয়নে এই টাকা খরচ করতে পারে না বিওএ? ক্রীড়াঙ্গনকে সুখবরই দিলেন কুতুবউদ্দিন, ‘সরকারের টাকা বিওএ ইচ্ছামতো খরচ করতে পারে না। তবে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, আপনারা এখন ফেরত দিন, সরকার এই টাকা অন্য একটা চেকের মাধ্যমে আবার আমাদের দিয়ে দেবে।’
সরকার ওই ৮ কোটি টাকা দিলে তা দেশের ক্রীড়াঙ্গনের কাজে লাগবে। কেননা বড় উপলক্ষ ছাড়া একসঙ্গে এত টাকা তো পাওয়া যায় না সরকারের কাছ থেকে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা পেরিয়ে সরকারি টাকা পেতে অনেক সময় ব্যয় হয়। ধরা যাক টাকাটা পেল বিওএ। তখন কী করা হবে?
কুতুবউদ্দিনের পরিকল্পনা, ‘সরকার ওই ৮ কোটি টাকা আমাদের দিলে ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে ভালো করার জন্য কিছু বড় পরিকল্পনা নেব আমরা। বাছাই করা কিছু খেলোয়াড়কে বিদেশে প্রশিক্ষণে পাঠাব। আরও অনেক কিছু করব যেটা দেশের খেলাধুলার উন্নয়নে কাজে আসবে।’
বিওএ তাদের হিসাব-নিকাশ চূড়ান্ত করে আনলেও এখনো অ্যাথলেটিকস, হকি, সাইক্লিং ফেডারেশন তাদের পূর্ণাঙ্গ হিসাব জমা দেয়নি। বাকি ফেডারেশনগুলো দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে নানা অজুহাত আর সমস্যা দেখিয়ে গেমসের খরচের হিসাব দিতে গড়িমসি করে আসছিল বেশির ভাগ উপকমিটিই। শেষ পর্যন্ত হিসাব আদায় করা গেলেও তা প্রকাশ না করায় স্বচ্ছতা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে হয়ে যাওয়া দক্ষিণ এশীয় গেমসের আগে প্রশিক্ষণের জন্য ২০ কোটি এবং গেমস আয়োজন বাবদ ৫২ কোটি টাকা বিওএকে দিয়েছিল সরকার। এর প্রায় ৮ কোটি টাকা খরচ হয়নি। এই টাকাই সরকারকে ফেরত দিয়ে দিচ্ছে বিওএ, যা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে ব্যতিক্রমী এক উদাহরণ।
টানাটানির সংসারে টাকা পুরোপুরি খরচ না হওয়া বড় খবর। সেটি ফেরত দেওয়াও বড় খবর বটে। টাকা উদ্বৃত্ত থাকার কারণ—এবার এসএ গেমসে পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে ৩৯ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছিল অপ্রত্যাশিতভাবে।
বিওএ মহাসচিব কুতুবউদ্দিন আহমেদ কাল দিলেন এই খবর, ‘প্রায় ৮ কোটি টাকা বেঁচে গেছে। বিষয়টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানানোও হয়েছে। এখন আমরা টাকাটা ফেরত দিয়ে দেব। এ জন্য শিগগিরই একটা অনুষ্ঠান করা হবে, যেখানে গেমসের সঙ্গে সম্পৃক্ত স্বেচ্ছাসেবীসহ প্রায় আড়াই-তিন হাজার অতিথি আমন্ত্রিত হবেন।’
ফেরত না দিয়ে কোনোভাবে সরকারকে বলে দেশের খেলাধুলার উন্নয়নে এই টাকা খরচ করতে পারে না বিওএ? ক্রীড়াঙ্গনকে সুখবরই দিলেন কুতুবউদ্দিন, ‘সরকারের টাকা বিওএ ইচ্ছামতো খরচ করতে পারে না। তবে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, আপনারা এখন ফেরত দিন, সরকার এই টাকা অন্য একটা চেকের মাধ্যমে আবার আমাদের দিয়ে দেবে।’
সরকার ওই ৮ কোটি টাকা দিলে তা দেশের ক্রীড়াঙ্গনের কাজে লাগবে। কেননা বড় উপলক্ষ ছাড়া একসঙ্গে এত টাকা তো পাওয়া যায় না সরকারের কাছ থেকে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা পেরিয়ে সরকারি টাকা পেতে অনেক সময় ব্যয় হয়। ধরা যাক টাকাটা পেল বিওএ। তখন কী করা হবে?
কুতুবউদ্দিনের পরিকল্পনা, ‘সরকার ওই ৮ কোটি টাকা আমাদের দিলে ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে ভালো করার জন্য কিছু বড় পরিকল্পনা নেব আমরা। বাছাই করা কিছু খেলোয়াড়কে বিদেশে প্রশিক্ষণে পাঠাব। আরও অনেক কিছু করব যেটা দেশের খেলাধুলার উন্নয়নে কাজে আসবে।’
বিওএ তাদের হিসাব-নিকাশ চূড়ান্ত করে আনলেও এখনো অ্যাথলেটিকস, হকি, সাইক্লিং ফেডারেশন তাদের পূর্ণাঙ্গ হিসাব জমা দেয়নি। বাকি ফেডারেশনগুলো দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে নানা অজুহাত আর সমস্যা দেখিয়ে গেমসের খরচের হিসাব দিতে গড়িমসি করে আসছিল বেশির ভাগ উপকমিটিই। শেষ পর্যন্ত হিসাব আদায় করা গেলেও তা প্রকাশ না করায় স্বচ্ছতা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকছে।
No comments