হাটে হাঁড়ি ভাঙল ছাত্রলীগ
মিষ্টির হাঁড়ি নিয়ে কাড়াকাড়িরও একটা নিয়ম হলো, হাটে হাঁড়ি না ভাঙা। ছাত্রলীগ এবার সেটাই করেছে। ভোলা শহরে তারা মিছিল করে, সভা বসিয়ে, আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যালয়ে তালা দিয়ে নেতাদের টেন্ডারবাজির প্রতিবাদ করেছে। পরিহাস এই যে, দুর্নীতির ভাগ না পাওয়াই তাদের প্রতিবাদে নামিয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা অভিযোগহীন! কাক কাকের মাংস খায় না সত্য, তবে এক টুকরো মাংস নিয়ে দুই কাকের কামড়াকামড়ি বিরল নয়। ভোলার আওয়ামী লীগ বনাম ছাত্রলীগের নেতাদের দ্বন্দ্বে সেটাই দেখা গেল।
ছাত্রলীগ এখন প্রতিপক্ষহীন। এ অবস্থায় শিক্ষাঙ্গন ও ছাত্ররাজনীতির মঞ্চ তারাই কাঁপাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে শান্তি নষ্ট হচ্ছে, সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে টেন্ডারবাজির হিস্যা নিয়ে বিরোধ এই দ্বন্দ্বের নতুন রূপ মাত্র। ছাত্রলীগের নেতাদের অভিযোগ, ভোলা আওয়ামী লীগের নেতারা টেন্ডারবাজি করে একেকজন কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। অভিযোগ সত্য হলে, এই টাকা গেছে জনগণের করের টাকায় গড়া সরকারি কোষাগার থেকে। কথায় বলে, সরকারি মাল দরিয়ায় ঢাল। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে গত এক বছরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা এই নীতিই অনুসরণ করছেন। ক্ষমতা, পদ, নেতৃত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ-বিত্ত অর্জনের চাবিকাঠি। চাঁদাবাজি-চালবাজি-টেন্ডারবাজি, গাছকাটা-পুকুরচুরিসহ হেন কোনো কাজ নেই, যেখানে সরকার-সমর্থক সংগঠনগুলোর হাত পড়ছে না। বিগত দিনে এই একই কাজ করে গেছে বিএনপি ও ছাত্রদল। দিনবদলের স্লোগান নিয়ে আসা বর্তমান সরকারের আমলে সেই ধারাবাহিকতাই বজায় থাকছে। ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মীই এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের ঘরের শত্রু বিভীষণ।
এটা কেবল দুঃখজনক নয়, হতাশারও কারণ। অথচ প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় কথা বলেছেন, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন। কিন্তু কেবল কথায় চিঁড়ে ভেজেনি, রক্তপাত ও সন্ত্রাসের ধারা না কমে বরং বেড়েছে। আশা করি সরকারের নীতিনির্ধারক মহলসহ প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং ঘরের শত্রু বিভীষণকে দমনের সংকল্প নিয়ে জনগণের আস্থার প্রতিদান দেবেন।
ছাত্রলীগ এখন প্রতিপক্ষহীন। এ অবস্থায় শিক্ষাঙ্গন ও ছাত্ররাজনীতির মঞ্চ তারাই কাঁপাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে শান্তি নষ্ট হচ্ছে, সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে টেন্ডারবাজির হিস্যা নিয়ে বিরোধ এই দ্বন্দ্বের নতুন রূপ মাত্র। ছাত্রলীগের নেতাদের অভিযোগ, ভোলা আওয়ামী লীগের নেতারা টেন্ডারবাজি করে একেকজন কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। অভিযোগ সত্য হলে, এই টাকা গেছে জনগণের করের টাকায় গড়া সরকারি কোষাগার থেকে। কথায় বলে, সরকারি মাল দরিয়ায় ঢাল। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে গত এক বছরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা এই নীতিই অনুসরণ করছেন। ক্ষমতা, পদ, নেতৃত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ-বিত্ত অর্জনের চাবিকাঠি। চাঁদাবাজি-চালবাজি-টেন্ডারবাজি, গাছকাটা-পুকুরচুরিসহ হেন কোনো কাজ নেই, যেখানে সরকার-সমর্থক সংগঠনগুলোর হাত পড়ছে না। বিগত দিনে এই একই কাজ করে গেছে বিএনপি ও ছাত্রদল। দিনবদলের স্লোগান নিয়ে আসা বর্তমান সরকারের আমলে সেই ধারাবাহিকতাই বজায় থাকছে। ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মীই এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের ঘরের শত্রু বিভীষণ।
এটা কেবল দুঃখজনক নয়, হতাশারও কারণ। অথচ প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় কথা বলেছেন, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন। কিন্তু কেবল কথায় চিঁড়ে ভেজেনি, রক্তপাত ও সন্ত্রাসের ধারা না কমে বরং বেড়েছে। আশা করি সরকারের নীতিনির্ধারক মহলসহ প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং ঘরের শত্রু বিভীষণকে দমনের সংকল্প নিয়ে জনগণের আস্থার প্রতিদান দেবেন।
No comments