‘বেবি ব্রেন’ বিষয়ক ধারণাকে ভ্রান্ত দাবি করেছেন গবেষকেরা
গর্ভধারণের সময় এবং নবজাতককে দেখভাল করার সময় মায়েদের চিন্তাশক্তির ঘাটতি হয়, এমন ধারণা ঠিক নয়। গতকাল শুক্রবার এমনটাই দাবি করেছেন অস্ট্রেলীয় একদল গবেষক। মায়েদের ওই সময়কার মানসিক বৈকল্য ‘বেবি ব্রেন’ নামে পরিচিত, যা অনেক দেশে অতিকাল্পনিক কাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
জনগণের স্বাস্থ্য ও বয়সের ওপর ২০ বছর গবেষণা করেন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ওই গবেষকেরা। গবেষণায় তাঁরা গর্ভাবস্থায় ও মাতৃত্বের প্রথম দিককার সময় নারীর মানসিক অবস্থার বিশ্লেষণ করেন।
গবেষক দলের নেতা হেলেন ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘নারীদের মধ্যে গর্ভধারণের আগের মানসিক অবস্থার সঙ্গে গর্ভধারণের সময়ের মানসিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন দেখতে পাইনি আমরা। মাতৃত্বের সময়ের সঙ্গে মা হওয়ার আগের সময়ের মানসিক অবস্থারও কোনো পার্থক্য ধরা পড়েনি গবেষণায়। এ ছাড়া মা, অন্তঃসত্ত্বা ও মা নয়—এই তিন শ্রেণীর নারীর মধ্যেও মানসিক অবস্থার কোনো পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।’
২০ বছরে সাড়ে সাত হাজার নারীর ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী নারীদের ওপর বিভিন্ন সময়ে স্মৃতি ও চিন্তাশক্তির পরীক্ষা চালানো হয়। ক্রিস্টেনসেন বলেন, গবেষণার ফল অনন্য। কারণ গবেষণার সময় ওই সব নারীকে জানানো হয়নি যে তাঁদের গর্ভাধারণের সময় নিয়ে কোনো পরীক্ষা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ সাময়িকী সাইকিয়াট্রিতে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, গর্ভধারণের ফলে নারীদের স্বল্পমেয়াদি স্মৃতির সমস্যা দেখা দিলেও মানসিক ক্ষেত্রে কোনো ধরনের স্থায়ী প্রভাব পড়ে না। এ ব্যাপারে ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘আমার ধারণা, মানুষের মধ্যে গর্ভকালীন স্মৃতিভ্রমকে বড় করে দেখার একটা প্রবণতা রয়েছে। আর তাতেই ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়েছে। সাধারণ অবস্থায়ও নারীর এ ধরনের স্মৃতিভ্রম হতে পারে।
জনগণের স্বাস্থ্য ও বয়সের ওপর ২০ বছর গবেষণা করেন অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ওই গবেষকেরা। গবেষণায় তাঁরা গর্ভাবস্থায় ও মাতৃত্বের প্রথম দিককার সময় নারীর মানসিক অবস্থার বিশ্লেষণ করেন।
গবেষক দলের নেতা হেলেন ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘নারীদের মধ্যে গর্ভধারণের আগের মানসিক অবস্থার সঙ্গে গর্ভধারণের সময়ের মানসিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন দেখতে পাইনি আমরা। মাতৃত্বের সময়ের সঙ্গে মা হওয়ার আগের সময়ের মানসিক অবস্থারও কোনো পার্থক্য ধরা পড়েনি গবেষণায়। এ ছাড়া মা, অন্তঃসত্ত্বা ও মা নয়—এই তিন শ্রেণীর নারীর মধ্যেও মানসিক অবস্থার কোনো পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।’
২০ বছরে সাড়ে সাত হাজার নারীর ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী নারীদের ওপর বিভিন্ন সময়ে স্মৃতি ও চিন্তাশক্তির পরীক্ষা চালানো হয়। ক্রিস্টেনসেন বলেন, গবেষণার ফল অনন্য। কারণ গবেষণার সময় ওই সব নারীকে জানানো হয়নি যে তাঁদের গর্ভাধারণের সময় নিয়ে কোনো পরীক্ষা করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ সাময়িকী সাইকিয়াট্রিতে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, গর্ভধারণের ফলে নারীদের স্বল্পমেয়াদি স্মৃতির সমস্যা দেখা দিলেও মানসিক ক্ষেত্রে কোনো ধরনের স্থায়ী প্রভাব পড়ে না। এ ব্যাপারে ক্রিস্টেনসেন বলেন, ‘আমার ধারণা, মানুষের মধ্যে গর্ভকালীন স্মৃতিভ্রমকে বড় করে দেখার একটা প্রবণতা রয়েছে। আর তাতেই ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়েছে। সাধারণ অবস্থায়ও নারীর এ ধরনের স্মৃতিভ্রম হতে পারে।
No comments