চালের মূল্য বৃদ্ধি
ধানের ভালো ফলন সত্ত্বেও গত এক বছরে মোটা চালের মূল্য ছয় শতাংশ বৃদ্ধিকে মোটেই স্বাভাবিক বলা যায় না। চিকন চালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে আরও বেশি। চালের দাম কমাতে সরকার খোলাবাজারে প্রতি কেজি চাল ২২ টাকায় বিক্রি করলেও বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি। বরং গত সপ্তাহে চালের মূল্য আরেক দফা বৃদ্ধি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
খাদ্য-নিরাপত্তার পূর্বশর্ত কৃষকের ন্যায্য মূল্য পাওয়া; আবার খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলে জনজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে বাধ্য। এই দুইয়ের ভারসাম্য রক্ষায় সাবধানেই সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। খাদ্য উত্পাদন বাড়াতে বেশ কিছু কৃষিবান্ধব পদক্ষেপ নিয়েছে মহাজোট সরকার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সারে ভর্তুকি বৃদ্ধি, ডিজেলের দাম কমানো এবং উত্পাদন মৌসুমে খেতে সেচসুবিধা নিশ্চিত করা। কৃষকেরা এর সুফলও পেয়েছেন। কিন্তু চালের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি অযৌক্তিক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সিপিডির গবেষণা প্রতিবেদন বলেছে, চালের দাম ২৫ টাকার কম হলে কৃষক ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হবেন, আবার বেশি হলে ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তারা বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারের নজরদারি বাড়ানোরও তাগিদ দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সীমিত পর্যায়ে খোলাবাজারে চাল বিক্রি যে প্রভাব ফেলেনি, তা স্বীকার করে খাদ্যমন্ত্রী আরও কম মূল্যে অতিদরিদ্র জনগণের মধ্যে চাল বিতরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ প্রতিশ্রুতির দ্রুত বাস্তবায়ন প্রয়োজন। চালের মূল্য একবার বাড়লে তা কমানো কঠিন হবে। সে কারণে সরকারের উচিত দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।
কেউ কেউ চালের মূল্য বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকেও দায়ী করেছেন। ভারতসহ কয়েকটি দেশে ধানের উত্পাদন কম হয়েছে ঠিক, কিন্তু উত্পাদন ভালো হওয়ায় এ বছর বাংলাদেশকে চাল আমদানি করতে হবে না। ফলে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির প্রভাব পড়ার আশঙ্কাও কম। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশা করছেন, আমনের মতো বোরোর উত্পাদনও ভালো হবে। সে ক্ষেত্রে চালের মূল্য বৃদ্ধির পেছনে মহলবিশেষের কারসাজি আছে কি না খতিয়ে দেখা দরকার।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বাজারে চালের মূল্য বেশি হলেও এর সুফল কৃষকেরা পাচ্ছেন না। উত্পাদক ও ভোক্তাপর্যায়ে মূল্যের পার্থক্যটি কখনো কখনো কেজিপ্রতি চার-পাঁচ টাকা পর্যন্ত পৌঁছায়, যা মেনে নেওয়া যায় না। অন্যান্য নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। চালের ক্ষেত্রেও অদৃশ্য কোনো সিন্ডিকেট আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কৃষক ধান-চালের ন্যায্য দাম পাক সেটি সবারই প্রত্যাশা। অবিলম্বে খোলাবাজারে চাল বিক্রি বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে অতিদরিদ্রদের বিনা মূল্যে চাল সরবরাহ করতে হবে। সেই সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনায় নজরদারি বাড়াতে হবে, যাতে কেউ ভোক্তাদের জিম্মি করে অতিরিক্ত মুনাফা করতে না পারে।
খাদ্য-নিরাপত্তার পূর্বশর্ত কৃষকের ন্যায্য মূল্য পাওয়া; আবার খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলে জনজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে বাধ্য। এই দুইয়ের ভারসাম্য রক্ষায় সাবধানেই সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। খাদ্য উত্পাদন বাড়াতে বেশ কিছু কৃষিবান্ধব পদক্ষেপ নিয়েছে মহাজোট সরকার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সারে ভর্তুকি বৃদ্ধি, ডিজেলের দাম কমানো এবং উত্পাদন মৌসুমে খেতে সেচসুবিধা নিশ্চিত করা। কৃষকেরা এর সুফলও পেয়েছেন। কিন্তু চালের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি অযৌক্তিক বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সিপিডির গবেষণা প্রতিবেদন বলেছে, চালের দাম ২৫ টাকার কম হলে কৃষক ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হবেন, আবার বেশি হলে ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তারা বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারের নজরদারি বাড়ানোরও তাগিদ দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সীমিত পর্যায়ে খোলাবাজারে চাল বিক্রি যে প্রভাব ফেলেনি, তা স্বীকার করে খাদ্যমন্ত্রী আরও কম মূল্যে অতিদরিদ্র জনগণের মধ্যে চাল বিতরণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ প্রতিশ্রুতির দ্রুত বাস্তবায়ন প্রয়োজন। চালের মূল্য একবার বাড়লে তা কমানো কঠিন হবে। সে কারণে সরকারের উচিত দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।
কেউ কেউ চালের মূল্য বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকেও দায়ী করেছেন। ভারতসহ কয়েকটি দেশে ধানের উত্পাদন কম হয়েছে ঠিক, কিন্তু উত্পাদন ভালো হওয়ায় এ বছর বাংলাদেশকে চাল আমদানি করতে হবে না। ফলে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির প্রভাব পড়ার আশঙ্কাও কম। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশা করছেন, আমনের মতো বোরোর উত্পাদনও ভালো হবে। সে ক্ষেত্রে চালের মূল্য বৃদ্ধির পেছনে মহলবিশেষের কারসাজি আছে কি না খতিয়ে দেখা দরকার।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বাজারে চালের মূল্য বেশি হলেও এর সুফল কৃষকেরা পাচ্ছেন না। উত্পাদক ও ভোক্তাপর্যায়ে মূল্যের পার্থক্যটি কখনো কখনো কেজিপ্রতি চার-পাঁচ টাকা পর্যন্ত পৌঁছায়, যা মেনে নেওয়া যায় না। অন্যান্য নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। চালের ক্ষেত্রেও অদৃশ্য কোনো সিন্ডিকেট আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কৃষক ধান-চালের ন্যায্য দাম পাক সেটি সবারই প্রত্যাশা। অবিলম্বে খোলাবাজারে চাল বিক্রি বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে অতিদরিদ্রদের বিনা মূল্যে চাল সরবরাহ করতে হবে। সেই সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনায় নজরদারি বাড়াতে হবে, যাতে কেউ ভোক্তাদের জিম্মি করে অতিরিক্ত মুনাফা করতে না পারে।
No comments