আনন্দে ভেসে যাচ্ছেন না আমিনুলরা
হোটেলে ফেরার জন্য অপেক্ষমাণ বাসে উঠতে কর্তাদের তাড়া। নিজেদের মধ্যে ম্যাচ নিয়ে কথা বলার সময়ও হাতে নেই। তবে যতটা উচ্ছ্বাস থাকতে পারত, ততটা ছিল না। তাজিকিস্তান-বধের পর বাংলাদেশ ড্রেসিং রুমে আনন্দের আবহটা সীমা ছাড়িয়ে যায়নি।
অধিনায়ক আমিনুলের গলাটা শোনাল বেশ শান্ত। ‘আমি আগেই বলেছি আমাদের প্রথম লক্ষ্য ভালো ফুটবল খেলা। আমরা এসএ গেমসে যে ফুটবলটা খেলেছি, সেটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। আমরা পুরোপুরি না পারলেও অনেকাংশেই পেরেছি। আমাদের আরও পারতে হবে। আমরা আরও ভালো খেলতে পারি। তবে এই জয়ে আত্মতুষ্ট হওয়ার কিছু নেই।’
সহখেলোয়াড়দের ধন্যবাদ আর প্রশংসা করতে ভোলেননি অধিনায়ক, ‘সবাই দারুণ খেলেছে। ডিফেন্ডারদের কথা আলাদা করে বলব। এক্সিলেন্ট। আমরা প্রেসিং ফুটবল খেলেছি। এটা অব্যাহত রাখতে চাই। এরপর জয়-পরাজয় দেখব আমরা।’
২০০৬ প্রথম এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের চ্যাম্পিয়ন দলকে হারানো গেছে। পরের চ্যালেঞ্জ কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে ৪-১ গোলে হেরে গেলেও তাজিকিস্তানের মতো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারানোটা স্ট্রাইকার এমিলির কাছে ব্যতিক্রম জয়ের আনন্দই। ‘এসএ গেমসে টানা ৫ জয়ের পর আমাদের লক্ষ্য ছিল এটাকে টেনে নেব। আমরা ওদের গতিতেই হারিয়েছি। ওরা ব্যক্তিগতভাবে আমাদের কারও সঙ্গেই পারেনি। স্কিলে আমরা সব সময়ই ভালো। আজ ৯০ মিনিট টানা একতালে খেললাম। এটাই সবচেয়ে বড় কথা। আমরা আগে যেমন ওদের কাছে ৪-৫ গোলে হারতাম, আজ উল্টো আমরা ৪-৫ গোলে জিততে পারতাম।’
ডিফেন্ডার নাসিরের কথা, ‘শুধু আমি নই। সবাই খুব ভালো খেলেছে। স্পিড, স্কিল সব বিভাগেই আমরা ওদের হারিয়েছি আজ।’ জয়সূচক গোলদাতা ডিফেন্ডার আতিকুর রহমান ওরফে মিশু বললেন, ‘তাজিকিস্তান হয়তো আমাদের চেয়ে শক্তিশালী, অনেক গোল খেতাম। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য ছিল, এসএ গেমসে যে ফুটবলটটা খেলেছি, সেই প্রেসিং ফুটবলটা এখানেও খেলে যাব। এতেই আমাদের কাজ হয়েছে। আমরা প্রেসিং করাতে ওরা ভড়কে গেছে। আমরা তো নতুন একটা খেলা শুরু করেছি। ওরা ধন্দে পড়ে গেছে। ওদের জোনে ওদের প্রেস, এটাই হচ্ছে জেতার রহস্য।’
অন্তর্বর্তীকালীন কোচ সাইফুল বারী বেশ খুশি, ‘খেলোয়াড়দের বারবার বলেছি, এসএ গেমসে আমরা যে ফুটবলটা খেলেছিলাম, সেটা এখানেও কেন খেলা যাবে না। আমরা মনে হয়, চিন্তা করে যে খেলা—কোন জায়গায় বল, আমার কী করা উচিত—এই জিনিসটা ভালো কাজ করেছে।’ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচকে প্রশ্ন শুনতে হলো, ‘এখন কি মনে করেন বাংলাদেশ অনেক দূর যেতে পারে। আপনাদের লক্ষ্য তো এখন বেড়ে গেল তাই না?’ সাইফুল রাকঢাক রেখেই উত্তর দিয়ে গেলেন। কখনো বললেন, ‘অবশ্যই প্রথম ম্যাচ জেতায় আমরা ভালো কিছুর আশা নিয়েই সামনে এগোব।’ আবার কখনো বললেন, ‘হ্যাঁ, আমরা ভালো খেলেছি। তবে আরও ভালো খেলার চেষ্টা করতে হবে’, ‘তাজিকিস্তান হয়তো আশাই করেনি বাংলাদেশ আক্রমণ করে খেলবে। ধরে নিয়েছে বাংলাদেশ পেছনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেলবে।’
জর্জেভিচ নাটক দেখতে দেখতেই কলম্বো আসা। তবে মাঠে এর প্রভাব নেই। যেমন মাঠে আসার আগেই কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বাবলু বলছিলেন, ‘ওদের হারাব দেখবেন।’ হারিয়ে দিয়ে কথা রেখেছে বাংলাদেশ দল!
অধিনায়ক আমিনুলের গলাটা শোনাল বেশ শান্ত। ‘আমি আগেই বলেছি আমাদের প্রথম লক্ষ্য ভালো ফুটবল খেলা। আমরা এসএ গেমসে যে ফুটবলটা খেলেছি, সেটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। আমরা পুরোপুরি না পারলেও অনেকাংশেই পেরেছি। আমাদের আরও পারতে হবে। আমরা আরও ভালো খেলতে পারি। তবে এই জয়ে আত্মতুষ্ট হওয়ার কিছু নেই।’
সহখেলোয়াড়দের ধন্যবাদ আর প্রশংসা করতে ভোলেননি অধিনায়ক, ‘সবাই দারুণ খেলেছে। ডিফেন্ডারদের কথা আলাদা করে বলব। এক্সিলেন্ট। আমরা প্রেসিং ফুটবল খেলেছি। এটা অব্যাহত রাখতে চাই। এরপর জয়-পরাজয় দেখব আমরা।’
২০০৬ প্রথম এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের চ্যাম্পিয়ন দলকে হারানো গেছে। পরের চ্যালেঞ্জ কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে ৪-১ গোলে হেরে গেলেও তাজিকিস্তানের মতো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারানোটা স্ট্রাইকার এমিলির কাছে ব্যতিক্রম জয়ের আনন্দই। ‘এসএ গেমসে টানা ৫ জয়ের পর আমাদের লক্ষ্য ছিল এটাকে টেনে নেব। আমরা ওদের গতিতেই হারিয়েছি। ওরা ব্যক্তিগতভাবে আমাদের কারও সঙ্গেই পারেনি। স্কিলে আমরা সব সময়ই ভালো। আজ ৯০ মিনিট টানা একতালে খেললাম। এটাই সবচেয়ে বড় কথা। আমরা আগে যেমন ওদের কাছে ৪-৫ গোলে হারতাম, আজ উল্টো আমরা ৪-৫ গোলে জিততে পারতাম।’
ডিফেন্ডার নাসিরের কথা, ‘শুধু আমি নই। সবাই খুব ভালো খেলেছে। স্পিড, স্কিল সব বিভাগেই আমরা ওদের হারিয়েছি আজ।’ জয়সূচক গোলদাতা ডিফেন্ডার আতিকুর রহমান ওরফে মিশু বললেন, ‘তাজিকিস্তান হয়তো আমাদের চেয়ে শক্তিশালী, অনেক গোল খেতাম। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য ছিল, এসএ গেমসে যে ফুটবলটটা খেলেছি, সেই প্রেসিং ফুটবলটা এখানেও খেলে যাব। এতেই আমাদের কাজ হয়েছে। আমরা প্রেসিং করাতে ওরা ভড়কে গেছে। আমরা তো নতুন একটা খেলা শুরু করেছি। ওরা ধন্দে পড়ে গেছে। ওদের জোনে ওদের প্রেস, এটাই হচ্ছে জেতার রহস্য।’
অন্তর্বর্তীকালীন কোচ সাইফুল বারী বেশ খুশি, ‘খেলোয়াড়দের বারবার বলেছি, এসএ গেমসে আমরা যে ফুটবলটা খেলেছিলাম, সেটা এখানেও কেন খেলা যাবে না। আমরা মনে হয়, চিন্তা করে যে খেলা—কোন জায়গায় বল, আমার কী করা উচিত—এই জিনিসটা ভালো কাজ করেছে।’ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচকে প্রশ্ন শুনতে হলো, ‘এখন কি মনে করেন বাংলাদেশ অনেক দূর যেতে পারে। আপনাদের লক্ষ্য তো এখন বেড়ে গেল তাই না?’ সাইফুল রাকঢাক রেখেই উত্তর দিয়ে গেলেন। কখনো বললেন, ‘অবশ্যই প্রথম ম্যাচ জেতায় আমরা ভালো কিছুর আশা নিয়েই সামনে এগোব।’ আবার কখনো বললেন, ‘হ্যাঁ, আমরা ভালো খেলেছি। তবে আরও ভালো খেলার চেষ্টা করতে হবে’, ‘তাজিকিস্তান হয়তো আশাই করেনি বাংলাদেশ আক্রমণ করে খেলবে। ধরে নিয়েছে বাংলাদেশ পেছনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেলবে।’
জর্জেভিচ নাটক দেখতে দেখতেই কলম্বো আসা। তবে মাঠে এর প্রভাব নেই। যেমন মাঠে আসার আগেই কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বাবলু বলছিলেন, ‘ওদের হারাব দেখবেন।’ হারিয়ে দিয়ে কথা রেখেছে বাংলাদেশ দল!
No comments