ফন্টেইনের প্রাপ্তি, ফন্টেইনের আক্ষেপ
নাম তাঁর জাঁ ফন্টেইন। ‘ফাউন্টেইন’ হলেই বেশি মানাত। ফ্রান্সের এই কিংবদন্তি যে গোলের ‘ফোয়ারা’ ছুটিয়েছিলেন ১৯৫৮ বিশ্বকাপে। দুটো হ্যাটট্রিকসহ করেছিলেন ১৩ গোল! এখনো এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ডটা তাঁরই। অথচ জানেন কি, ফ্রান্স দলের হয়ে বিশ্বকাপে যাওয়ার কথাই ছিল না তাঁর! নিতান্তই ভাগ্যগুণে জায়গা পেয়ে যান দলে।
জন্মেছিলেন মরক্কোতে। উত্তর আফ্রিকার দেশটি তখন ছিল ফ্রান্সের শাসনাধীন। সেই সূত্র ধরেই ফ্রান্সে খেলতে আসা। ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত খেলেছেন নিসের হয়ে। অবশ্য ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ইউএসএম কাসাব্লাঙ্কায়। নিসেতে খেলার সময়ই তিন মৌসুমে গোল করেছিলেন ৪৪টি। শুধু তা-ই নয়, এ সময়ই ফ্রান্সের জাতীয় দলেও অভিষেক।
১৯৫৬ সালে ক্লাব বদলে আসেন স্টাডে ডি রেইমসে। রেইমসেই তাঁর সঙ্গে ভয়ঙ্কর জুটি গড়ে ওঠে রেমন্ড কোপার। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষের আতঙ্কের নাম ছিল কোপা-ফন্টেইন জুটি। কোপা পরে রিয়াল মাদ্রিদে চলে যান। দুই বন্ধু মুখোমুখি হয়েছিলেন ১৯৫৯ সালের ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে। জয়টা অবশ্য কোপারই হয়েছিল। ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও দুবার লিগ শিরোপা জিতেছেন। সব মিলে লিগ ওয়ানে ২০০টি গোল আছে তাঁর।
গোল করায় ক্লাবের তুলনায় জাতীয় দলেই বেশি ধারালো ছিলেন। অভিষেক ম্যাচেই করেছিলেন হ্যাটট্রিক। সব মিলে মাত্র ২১ ম্যাচ খেলে ৩০ গোল। কিন্তু তার পরও জাতীয় দলে নিয়মিত জায়গা হতো না তাঁর। ১৯৫৮ বিশ্বকাপেও প্রথম পছন্দ ছিলেন রেনে বিলিয়ার্ড। বিলিয়ার্ডের হঠাত্ ইনজুরিই ভাগ্যের দুয়ার খুলে দেয় তাঁর। বন্ধু কোপার সঙ্গে ফ্রান্সের আক্রমণভাগে ১৭ নম্বর জার্সি পরে খেলেন তিনিই।
সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার কী করে করতে হয়, সেবার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই দেখিয়ে দিয়েছিলেন ফন্টেইন। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে করেছিলেন হ্যাটট্রিক। ৭-৩ গোলের জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ফ্রান্স। পরের ম্যাচে যুগোস্লাভিয়ার বিপক্ষে দু গোল। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে আরও একটি গোল।
কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গিয়েছিল ফ্রান্স। দু গোল করে উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দলকে জিতিয়েছিলেন ৪-০ গোলে। এরপর সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বাধা হয়ে দাঁড়াল ব্রাজিল, পরে ওই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম শিরোপা জিতেছিল যারা। ব্রাজিলের কাছে ২-৫ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচেও টুর্নামেন্টে নিজের নবম গোলটি করেছিলেন ফন্টেইন। এরপর স্থান নির্ধারণী ম্যাচে জার্মানিকে উড়িয়ে দিল ফ্রান্স ৬-৩ গোলে। ফন্টেইন একাই করেন চার গোল!
অ্যালসিডেন ঘিগিয়ার পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচে গোল করার রেকর্ড গড়েছেন। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটাও ১৯৭৪ বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত তাঁরই ছিল। এক টুর্নামেন্টে দুটো হ্যাটট্রিক করা ইতিহাসের মাত্র তিন খেলোয়াড়ের একজন তিনি।
ওই বিশ্বকাপ দু হাত ভরে দিয়েছে তাঁকে। কিন্তু তার পরও আসল জিনিসটিই দেয়নি—বিশ্বকাপের শিরোপা! সেই আক্ষেপ মোছার দ্বিতীয় সুযোগ আর পাননি ফন্টেইন। ইনজুরির কারণে ২৭ বছর বয়সেই শেষ হয়ে যায় তাঁর ক্যারিয়ার। আর কখনো বিশ্বকাপেই খেলা হয়নি ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই স্ট্রাইকারের!
জন্মেছিলেন মরক্কোতে। উত্তর আফ্রিকার দেশটি তখন ছিল ফ্রান্সের শাসনাধীন। সেই সূত্র ধরেই ফ্রান্সে খেলতে আসা। ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত খেলেছেন নিসের হয়ে। অবশ্য ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ইউএসএম কাসাব্লাঙ্কায়। নিসেতে খেলার সময়ই তিন মৌসুমে গোল করেছিলেন ৪৪টি। শুধু তা-ই নয়, এ সময়ই ফ্রান্সের জাতীয় দলেও অভিষেক।
১৯৫৬ সালে ক্লাব বদলে আসেন স্টাডে ডি রেইমসে। রেইমসেই তাঁর সঙ্গে ভয়ঙ্কর জুটি গড়ে ওঠে রেমন্ড কোপার। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষের আতঙ্কের নাম ছিল কোপা-ফন্টেইন জুটি। কোপা পরে রিয়াল মাদ্রিদে চলে যান। দুই বন্ধু মুখোমুখি হয়েছিলেন ১৯৫৯ সালের ইউরোপিয়ান কাপের ফাইনালে। জয়টা অবশ্য কোপারই হয়েছিল। ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও দুবার লিগ শিরোপা জিতেছেন। সব মিলে লিগ ওয়ানে ২০০টি গোল আছে তাঁর।
গোল করায় ক্লাবের তুলনায় জাতীয় দলেই বেশি ধারালো ছিলেন। অভিষেক ম্যাচেই করেছিলেন হ্যাটট্রিক। সব মিলে মাত্র ২১ ম্যাচ খেলে ৩০ গোল। কিন্তু তার পরও জাতীয় দলে নিয়মিত জায়গা হতো না তাঁর। ১৯৫৮ বিশ্বকাপেও প্রথম পছন্দ ছিলেন রেনে বিলিয়ার্ড। বিলিয়ার্ডের হঠাত্ ইনজুরিই ভাগ্যের দুয়ার খুলে দেয় তাঁর। বন্ধু কোপার সঙ্গে ফ্রান্সের আক্রমণভাগে ১৭ নম্বর জার্সি পরে খেলেন তিনিই।
সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার কী করে করতে হয়, সেবার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই দেখিয়ে দিয়েছিলেন ফন্টেইন। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে করেছিলেন হ্যাটট্রিক। ৭-৩ গোলের জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল ফ্রান্স। পরের ম্যাচে যুগোস্লাভিয়ার বিপক্ষে দু গোল। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে আরও একটি গোল।
কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গিয়েছিল ফ্রান্স। দু গোল করে উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দলকে জিতিয়েছিলেন ৪-০ গোলে। এরপর সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বাধা হয়ে দাঁড়াল ব্রাজিল, পরে ওই বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম শিরোপা জিতেছিল যারা। ব্রাজিলের কাছে ২-৫ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচেও টুর্নামেন্টে নিজের নবম গোলটি করেছিলেন ফন্টেইন। এরপর স্থান নির্ধারণী ম্যাচে জার্মানিকে উড়িয়ে দিল ফ্রান্স ৬-৩ গোলে। ফন্টেইন একাই করেন চার গোল!
অ্যালসিডেন ঘিগিয়ার পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচে গোল করার রেকর্ড গড়েছেন। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটাও ১৯৭৪ বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত তাঁরই ছিল। এক টুর্নামেন্টে দুটো হ্যাটট্রিক করা ইতিহাসের মাত্র তিন খেলোয়াড়ের একজন তিনি।
ওই বিশ্বকাপ দু হাত ভরে দিয়েছে তাঁকে। কিন্তু তার পরও আসল জিনিসটিই দেয়নি—বিশ্বকাপের শিরোপা! সেই আক্ষেপ মোছার দ্বিতীয় সুযোগ আর পাননি ফন্টেইন। ইনজুরির কারণে ২৭ বছর বয়সেই শেষ হয়ে যায় তাঁর ক্যারিয়ার। আর কখনো বিশ্বকাপেই খেলা হয়নি ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই স্ট্রাইকারের!
No comments