বিবাহবিচ্ছেদ এড়াতে ভ্রমণ
বিবাহবিচ্ছেদ এড়াতে ভ্রমণ—ভাবতে অবাক লাগলেও এমনই একটি ধারণা নিয়ে এসেছে ভারতের কয়েকটি পর্যটনপ্রতিষ্ঠান। ভারতের মতো সনাতন সমাজে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা একসময় ছিল প্রায় অচিন্তনীয়। তবে হালে হাওয়া বদলেছে। ভারতের বড় বড় শহরে বিবাহবিচ্ছেদ এখন হরহামেশাই ঘটছে। নয়াদিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইয়ে বিবাহবিচ্ছেদের খবর প্রায়ই শোনা যায়।
নয়াদিল্লির একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘এএনজেড’। প্রতিষ্ঠানটির অংশীদার হাসান আনজার বলেন, নারীর ক্ষমতায়নই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষা ও চাকরির কারণে নারীর জীবনধারা পাল্টে যাচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে অনেক নারীই এখন স্বাধীন। আর এর প্রভাব পড়েছে তাদের ব্যক্তিজীবনে। পরিবর্তন এসেছে চিন্তা-চেতনায়ও। এ কারণে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনাও বাড়ছে।
ভারতে বিবাহবিচ্ছেদ এড়াতে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে। এদেরই একটি মুম্বাইয়ের পর্যটনপ্রতিষ্ঠান ‘কেভি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস’। প্রতিষ্ঠানটি বিবাহবিচ্ছেদ বন্ধে অভিনব ধারণা নিয়ে এসেছে। স্বামী-স্ত্রীর বিরোধ ছাড়াছাড়ির পর্যায়ে চলে গেলে তারা ওই দম্পতিকে ভ্রমণে যেতে পরামর্শ দিয়ে থাকে। তাদের বিশ্বাস, বেড়াতে গেলে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই মনের অবস্থা ভালো হয়ে যাবে। এতে করে সম্পর্ক আর বিচ্ছেদের পর্যায়ে গড়াবে না।
কেভি টুরসের প্রধান কর্মকর্তা ভিযেশ থাক্কার বলেন, ‘বিচ্ছেদ এড়াতে আমরা ডিভোর্স ট্যুরিজম চালু করেছি। এর মাধ্যমে আমরা দম্পতিদের ছাড়াছাড়ির হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করছি।’
ভারতে বিয়ের প্রথাকে সমাজের প্রধান ‘মেরুদণ্ড’ ভাবা হয়। বিশ্বের যেসব দেশে বিবাহবিচ্ছেদ খুবই কম, ভার সেগুলোর অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে অর্ধেক বিয়েই ভেঙে যায়, ভারতে সেখানে এ ধরনের ঘটনা শতকরা মাত্র একটি।
হাসান আনজার বলেন, ‘দিল্লি, মুম্বাইয়ের মতো বড় বড় শহরে উচ্চবিত্ত লোকের বাস। সেখানে বিচ্ছেদ এখন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে নারী এগিয়ে গেছে। তাই স্বামীর সঙ্গে কলহে তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের ভাবনাও বেড়েছে।’
মনোরোগ চিকিত্সক রিয়া প্রভিন তেম্বেকার বলেন, ডিভোর্স ট্যুরিজমের ধারণায় তিনি উচ্ছ্বসিত। তাঁর ভাষায়, ভ্রমণে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বিরোধের সমাধান সম্ভব।
ভিযেশ থাক্কার বলেন, স্বামী-স্ত্রী দ্বন্দ্বে জড়িয়ে গেলে তাঁরা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে এর পেছনে কোনো অর্থ ঢালতে চান না; কিন্তু পরিবারের অন্য সদস্যরা এটা চান। তাঁরা চান যেকোনো মূল্যে স্বজনের বিয়ে টিকিয়ে রাখতে। তাঁরা মনে করেন, বিয়ে ভেঙে যাওয়া মানে পরিবারের সম্মানহানি।
থাক্কার জানান, স্বামী-স্ত্রীর ভুল-বোঝাবুঝি ভাঙতে এক সপ্তাহের ভ্রমণই যথেষ্ট। পাহাড়ি এলাকায় এক সপ্তাহের ভ্রমণের জন্য গড়ে ৩৫ হাজার রুপি লাগে। আর বিদেশে গেলে খরচ হয় আরেকটু বেশি।
থাক্কার বলেন, ‘দম্পতিদের আমরা এমন স্থানে পাঠিয়ে থাকি, যেখানে এর আগে তাঁরা কখনো যাননি। জায়গাটা হয় কোলাহলমুক্ত। ভ্রমণকালে বিজ্ঞ পরামর্শকেরা দম্পতিদের সঙ্গেই থাকেন। তাঁরা সুযোগ পেলেই স্বামী-স্ত্রীকে কলহ মিটিয়ে নতুন করে জীবন শুরুর পরামর্শ দেন।’ থাক্কার আরও বলেন, ‘এতে আমরা ভালো ফল পেয়েছি। অনেক ভাঙন ঠেকাতে পেরেছি।’
ডিভোর্স ট্যুরিজম নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। আর এতে শুধু স্বামী-স্ত্রীর ভাঙন ঠেকানোর পাশাপাশি পর্যটনব্যবসাও এগিয়ে যাবে।
নয়াদিল্লির একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘এএনজেড’। প্রতিষ্ঠানটির অংশীদার হাসান আনজার বলেন, নারীর ক্ষমতায়নই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষা ও চাকরির কারণে নারীর জীবনধারা পাল্টে যাচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে অনেক নারীই এখন স্বাধীন। আর এর প্রভাব পড়েছে তাদের ব্যক্তিজীবনে। পরিবর্তন এসেছে চিন্তা-চেতনায়ও। এ কারণে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনাও বাড়ছে।
ভারতে বিবাহবিচ্ছেদ এড়াতে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে। এদেরই একটি মুম্বাইয়ের পর্যটনপ্রতিষ্ঠান ‘কেভি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস’। প্রতিষ্ঠানটি বিবাহবিচ্ছেদ বন্ধে অভিনব ধারণা নিয়ে এসেছে। স্বামী-স্ত্রীর বিরোধ ছাড়াছাড়ির পর্যায়ে চলে গেলে তারা ওই দম্পতিকে ভ্রমণে যেতে পরামর্শ দিয়ে থাকে। তাদের বিশ্বাস, বেড়াতে গেলে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই মনের অবস্থা ভালো হয়ে যাবে। এতে করে সম্পর্ক আর বিচ্ছেদের পর্যায়ে গড়াবে না।
কেভি টুরসের প্রধান কর্মকর্তা ভিযেশ থাক্কার বলেন, ‘বিচ্ছেদ এড়াতে আমরা ডিভোর্স ট্যুরিজম চালু করেছি। এর মাধ্যমে আমরা দম্পতিদের ছাড়াছাড়ির হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করছি।’
ভারতে বিয়ের প্রথাকে সমাজের প্রধান ‘মেরুদণ্ড’ ভাবা হয়। বিশ্বের যেসব দেশে বিবাহবিচ্ছেদ খুবই কম, ভার সেগুলোর অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে অর্ধেক বিয়েই ভেঙে যায়, ভারতে সেখানে এ ধরনের ঘটনা শতকরা মাত্র একটি।
হাসান আনজার বলেন, ‘দিল্লি, মুম্বাইয়ের মতো বড় বড় শহরে উচ্চবিত্ত লোকের বাস। সেখানে বিচ্ছেদ এখন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে নারী এগিয়ে গেছে। তাই স্বামীর সঙ্গে কলহে তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের ভাবনাও বেড়েছে।’
মনোরোগ চিকিত্সক রিয়া প্রভিন তেম্বেকার বলেন, ডিভোর্স ট্যুরিজমের ধারণায় তিনি উচ্ছ্বসিত। তাঁর ভাষায়, ভ্রমণে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর বিরোধের সমাধান সম্ভব।
ভিযেশ থাক্কার বলেন, স্বামী-স্ত্রী দ্বন্দ্বে জড়িয়ে গেলে তাঁরা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে এর পেছনে কোনো অর্থ ঢালতে চান না; কিন্তু পরিবারের অন্য সদস্যরা এটা চান। তাঁরা চান যেকোনো মূল্যে স্বজনের বিয়ে টিকিয়ে রাখতে। তাঁরা মনে করেন, বিয়ে ভেঙে যাওয়া মানে পরিবারের সম্মানহানি।
থাক্কার জানান, স্বামী-স্ত্রীর ভুল-বোঝাবুঝি ভাঙতে এক সপ্তাহের ভ্রমণই যথেষ্ট। পাহাড়ি এলাকায় এক সপ্তাহের ভ্রমণের জন্য গড়ে ৩৫ হাজার রুপি লাগে। আর বিদেশে গেলে খরচ হয় আরেকটু বেশি।
থাক্কার বলেন, ‘দম্পতিদের আমরা এমন স্থানে পাঠিয়ে থাকি, যেখানে এর আগে তাঁরা কখনো যাননি। জায়গাটা হয় কোলাহলমুক্ত। ভ্রমণকালে বিজ্ঞ পরামর্শকেরা দম্পতিদের সঙ্গেই থাকেন। তাঁরা সুযোগ পেলেই স্বামী-স্ত্রীকে কলহ মিটিয়ে নতুন করে জীবন শুরুর পরামর্শ দেন।’ থাক্কার আরও বলেন, ‘এতে আমরা ভালো ফল পেয়েছি। অনেক ভাঙন ঠেকাতে পেরেছি।’
ডিভোর্স ট্যুরিজম নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। আর এতে শুধু স্বামী-স্ত্রীর ভাঙন ঠেকানোর পাশাপাশি পর্যটনব্যবসাও এগিয়ে যাবে।
No comments