পাকিস্তানে ২৪ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস জিম্মি নাটকের অবসান- জঙ্গিদের হাত থেকে ৩৯ জনকে উদ্ধার
পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা সদর দপ্তরে জঙ্গিদের হাতে জিম্মি ৩৯ জনকে অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার ভোরে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে ২৪ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস ওই জিম্মি নাটকের অবসান হয়। এতে তিন জিম্মিসহ দুই কমান্ডো ও চার বন্দুকধারী নিহত হয়েছে। আহত একজন বন্দুকধারী ধরা পড়েছে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আতাহার আব্বাস গতকাল এ কথা বলেন।
শনিবার বন্দুকধারী ওই জঙ্গিরা সেনাবাহিনীর পোশাক পরে সোনা সদর দপ্তরে হামলা চালায় এবং লোকজনকে জিম্মি করে। এ সময় জঙ্গিদের গুলিতে ছয় সেনাসদস্য নিহত হন। অবশ্য তাঁদের পাল্টা গুলিতে প্রাণ হারায় চার বন্দুকধারী।
মেজর জেনারেল আব্বাস বলেন, গতকাল ভোর ছয়টায় কমান্ডো বাহিনীর সদস্যরা জিম্মিদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন। ওই সময় আত্মঘাতী পোশাক (জ্যাকেট) পরা এক জঙ্গি ৪২ জনকে একটি ভবনে জিম্মি করে রেখেছিল। অবশ্য ওই জঙ্গি কিছু বুঝে ওঠার আগেই কমান্ডোরা তার ওপর গুলিবর্ষণ করেন। এখন ওই অভিযানের অবসান ঘটেছে। সেখানে কোনো সন্ত্রাসী নেই। আহত এক জঙ্গি আটক হয়েছে। সে নিজেকে আকিল ওরফে ডা. ওসমান নামে পরিচয় দিয়েছে। তার নেতৃত্বেই ওই হামলা হয়েছিল। সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে শনিবারের বন্দুকযুদ্ধে নিহত চার জঙ্গির ছবি প্রকাশ করেছে।
সেনাবাহিনী দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আফগান সীমান্তবর্তী এলাকায় তালেবান জঙ্গিদের শক্ত ঘাঁটিতে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ই রাওয়ালপিন্ডির অত্যন্ত সুরক্ষিত ওই সেনা সদরে হামলার এ ঘটনা ঘটল। এর আগে শুক্রবার পেশোয়ারে একটি বিপণিবিতানে আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলায় নিহত হয় ৫০ জন। ৫ অক্টোবর ইসলামাবাদে জাতিসংঘ খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) কার্যালয়ে অপর আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারান পাঁচজন।
জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযান এবং আগস্টে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তালেবান নেতা বায়তুল্লাহ মেহসুদ নিহত হওয়ার পর এ হামলা প্রমাণ করেছে, জঙ্গিরা এখনো পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর একেবারে খাস অন্দরে গিয়েও হামলা চালাতে সক্ষম। চলতি বছরের গোড়ার দিকে জঙ্গিরা ইসলামাবাদের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে ঢুকে পড়লে পরামাণু অস্ত্রধর পাকিস্তানের স্থিতিশীলতা নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যে ৫ আগস্ট দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানি তালেবান নেতা বায়তুল্লাহ মেহসুদ নিহত হওয়ার ঘটনা ছিল জঙ্গিদের জন্য এক বড় ধাক্কা। এর পরই তারা প্রতিশোধ নিতে মরিয়া ওঠে। এক সপ্তাহ আগে বায়তুল্লাহ মেহসুদের উত্তরসূরি হাকিমুল্লাহ মেহসুদ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, বায়তুল্লাহর হত্যার প্রতিশোধ নিতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, সরকারি অফিস ও অন্যান্য স্থাপনায় শিগগিরই হামলা চালানো হবে।
লন্ডন সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, জঙ্গিদের এ হামলা এটাই প্রমাণ করল যে পাকিস্তানে চরমপন্থীদের হুমকি এখন আরও বেড়ে গেছে। পাকিস্তানের রাজনীতি ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক হাসান আসকারি বলেছেন, সেনাবাহিনী মাঝেমধ্যেই দাবি করে থাকে যে তারা তালেবানের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু শনিবারের ওই হামলা প্রমাণ করেছে, তাদের দাবি সঠিক নয়। এর মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনীর দুর্বলতা আরও প্রকট হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক বলেছেন, এসব ঘটনার পর দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে জঙ্গিবিরোধী অভিযান এখন আরও বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে।
শনিবার বন্দুকধারী ওই জঙ্গিরা সেনাবাহিনীর পোশাক পরে সোনা সদর দপ্তরে হামলা চালায় এবং লোকজনকে জিম্মি করে। এ সময় জঙ্গিদের গুলিতে ছয় সেনাসদস্য নিহত হন। অবশ্য তাঁদের পাল্টা গুলিতে প্রাণ হারায় চার বন্দুকধারী।
মেজর জেনারেল আব্বাস বলেন, গতকাল ভোর ছয়টায় কমান্ডো বাহিনীর সদস্যরা জিম্মিদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন। ওই সময় আত্মঘাতী পোশাক (জ্যাকেট) পরা এক জঙ্গি ৪২ জনকে একটি ভবনে জিম্মি করে রেখেছিল। অবশ্য ওই জঙ্গি কিছু বুঝে ওঠার আগেই কমান্ডোরা তার ওপর গুলিবর্ষণ করেন। এখন ওই অভিযানের অবসান ঘটেছে। সেখানে কোনো সন্ত্রাসী নেই। আহত এক জঙ্গি আটক হয়েছে। সে নিজেকে আকিল ওরফে ডা. ওসমান নামে পরিচয় দিয়েছে। তার নেতৃত্বেই ওই হামলা হয়েছিল। সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে শনিবারের বন্দুকযুদ্ধে নিহত চার জঙ্গির ছবি প্রকাশ করেছে।
সেনাবাহিনী দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আফগান সীমান্তবর্তী এলাকায় তালেবান জঙ্গিদের শক্ত ঘাঁটিতে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ই রাওয়ালপিন্ডির অত্যন্ত সুরক্ষিত ওই সেনা সদরে হামলার এ ঘটনা ঘটল। এর আগে শুক্রবার পেশোয়ারে একটি বিপণিবিতানে আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলায় নিহত হয় ৫০ জন। ৫ অক্টোবর ইসলামাবাদে জাতিসংঘ খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) কার্যালয়ে অপর আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারান পাঁচজন।
জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযান এবং আগস্টে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তালেবান নেতা বায়তুল্লাহ মেহসুদ নিহত হওয়ার পর এ হামলা প্রমাণ করেছে, জঙ্গিরা এখনো পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর একেবারে খাস অন্দরে গিয়েও হামলা চালাতে সক্ষম। চলতি বছরের গোড়ার দিকে জঙ্গিরা ইসলামাবাদের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে ঢুকে পড়লে পরামাণু অস্ত্রধর পাকিস্তানের স্থিতিশীলতা নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যে ৫ আগস্ট দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানি তালেবান নেতা বায়তুল্লাহ মেহসুদ নিহত হওয়ার ঘটনা ছিল জঙ্গিদের জন্য এক বড় ধাক্কা। এর পরই তারা প্রতিশোধ নিতে মরিয়া ওঠে। এক সপ্তাহ আগে বায়তুল্লাহ মেহসুদের উত্তরসূরি হাকিমুল্লাহ মেহসুদ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, বায়তুল্লাহর হত্যার প্রতিশোধ নিতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী, সরকারি অফিস ও অন্যান্য স্থাপনায় শিগগিরই হামলা চালানো হবে।
লন্ডন সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, জঙ্গিদের এ হামলা এটাই প্রমাণ করল যে পাকিস্তানে চরমপন্থীদের হুমকি এখন আরও বেড়ে গেছে। পাকিস্তানের রাজনীতি ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক হাসান আসকারি বলেছেন, সেনাবাহিনী মাঝেমধ্যেই দাবি করে থাকে যে তারা তালেবানের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু শনিবারের ওই হামলা প্রমাণ করেছে, তাদের দাবি সঠিক নয়। এর মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনীর দুর্বলতা আরও প্রকট হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক বলেছেন, এসব ঘটনার পর দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে জঙ্গিবিরোধী অভিযান এখন আরও বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে।
No comments