বারাক ওবামার নোবেল -চমকিত বিজয়ে আশার বিনিয়োগ
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সব পুরস্কারের সেরা নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁকে অভিনন্দন। ২০০৯ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার যে পাত্রে দান করা হয়েছে, সেই পাত্রের উপযুক্ততা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণের মাত্র নয় মাসের মাথায় এত বড় স্বীকৃতি যতটা চমক সৃষ্টি করেছে, ততটা যথাযথ হয়েছে কি না, তা নিয়ে বিশ্বের সংবাদমাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে। ওবামা এমন একজন ব্যক্তি, যাঁকে তাঁর শত্রুরাও শ্রদ্ধা করে। তাই এই পুরস্কার অপ্রত্যাশিত হলেও অভিনন্দিত হয়েছে।
নরওয়ের নোবেল কমিটি ওবামাকে রেকর্ডসংখ্যক ২০৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্য থেকে বেছে নিয়েছে। নোবেল কমিটির সভাপতি অসলোয় এই ঘোষণা দেওয়ার সময় বলেন, ‘ওবামা পরমাণু অস্ত্রবিহীন পৃথিবীর জন্য কাজ করেছেন; আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নীতির মধ্যে নতুন পরিবেশ এনেছেন এবং বহুপক্ষীয় কূটনীতিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন।’ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের তুলনায় ওবামার এই প্রবণতা পৃথিবীর জন্য স্বস্তিদায়ক, সন্দেহ নেই। কিন্তু ক্ষমতা গ্রহণের পর এই অল্প সময়ে ওবামা স্বদেশে বা বিদেশে এমন কোনো নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করতে পারেননি। ইরাক যুদ্ধের অবসান এবং গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওবামা বিশ্বজনমতকে আকর্ষিত করেছিলেন। ক্ষমতায় বসে ফিলিস্তিনের অধিকার আদায়, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধের বিনিময়ে শান্তির প্রতিশ্রুতি আদায়ের জন্য সচেষ্ট হয়েছেন। কিন্তু এর একটিও এখনো অর্জিত হয়নি, যুদ্ধের পথে মার্কিন ভূমিকার মৌলিক পরিবর্তন এখনো ঘটেনি। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আশা জাগিয়েছেন কিন্তু কাজের প্রমাণ এখনো হাজির করতে পারেননি। আমরা একে বলতে পারি শান্তির লক্ষ্যে আগাম বিনিয়োগ। ওবামা নিজেও এই পুরস্কারকে ‘কর্মের ডাক’ বলে বিনীত জবাব দিয়েছেন।
নোবেল কমিটিও মনে করে, এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ‘তিনি যা অর্জন করার চেষ্টা করছেন, সেটার সাফল্যে সহায়তা করার জন্য।...পরিষ্কারভাবে ওবামা যা চান, আমরাও যে তা-ই চাই, এটা তারই স্পষ্ট ইঙ্গিত।’ ওবামা যে আশাবাদ জাগিয়েছেন, এই পুরস্কার সেই আশাবাদকে সফল করার জন্য প্রেরণা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি যদি ব্যর্থ হন? জর্জ বুশের রেখে যাওয়া যুদ্ধ তাঁর কাঁধে। দায়িত্ব নিয়ে ওবামা আফগানিস্তানে ১৭ হাজার নতুন সেনা পাঠিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে আরও ৪০ হাজার সেনা রওনা হওয়ার জন্য তৈরি। এ রকম অবস্থায় নোবেল পুরস্কার কি স্বদেশের যুদ্ধবাদীদের বিপক্ষে তাঁর অবস্থান জোরদার করবে? তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো রক্ষায় তাঁকে আরও উদ্যোগী করে তুলবে? নাকি একে তিনি যুদ্ধের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করবেন?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট শান্তির রাজপুত্র হিসেবে নতুন ইতিহাস গড়লেন। তাঁর এই অর্জন বিনয়, সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধেরই অর্জন। বর্তমানের অশান্ত বিশ্বে এসব গুণের বড়ই অভাব। আশাবাদীর এ সম্মাননা যেন আশার বাস্তবায়ন ঘটায় এবং নিপীড়িতের জন্য সান্ত্বনা আনতে পারে।
নরওয়ের নোবেল কমিটি ওবামাকে রেকর্ডসংখ্যক ২০৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্য থেকে বেছে নিয়েছে। নোবেল কমিটির সভাপতি অসলোয় এই ঘোষণা দেওয়ার সময় বলেন, ‘ওবামা পরমাণু অস্ত্রবিহীন পৃথিবীর জন্য কাজ করেছেন; আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নীতির মধ্যে নতুন পরিবেশ এনেছেন এবং বহুপক্ষীয় কূটনীতিকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন।’ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের তুলনায় ওবামার এই প্রবণতা পৃথিবীর জন্য স্বস্তিদায়ক, সন্দেহ নেই। কিন্তু ক্ষমতা গ্রহণের পর এই অল্প সময়ে ওবামা স্বদেশে বা বিদেশে এমন কোনো নজরকাড়া সাফল্য অর্জন করতে পারেননি। ইরাক যুদ্ধের অবসান এবং গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওবামা বিশ্বজনমতকে আকর্ষিত করেছিলেন। ক্ষমতায় বসে ফিলিস্তিনের অধিকার আদায়, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধের বিনিময়ে শান্তির প্রতিশ্রুতি আদায়ের জন্য সচেষ্ট হয়েছেন। কিন্তু এর একটিও এখনো অর্জিত হয়নি, যুদ্ধের পথে মার্কিন ভূমিকার মৌলিক পরিবর্তন এখনো ঘটেনি। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আশা জাগিয়েছেন কিন্তু কাজের প্রমাণ এখনো হাজির করতে পারেননি। আমরা একে বলতে পারি শান্তির লক্ষ্যে আগাম বিনিয়োগ। ওবামা নিজেও এই পুরস্কারকে ‘কর্মের ডাক’ বলে বিনীত জবাব দিয়েছেন।
নোবেল কমিটিও মনে করে, এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ‘তিনি যা অর্জন করার চেষ্টা করছেন, সেটার সাফল্যে সহায়তা করার জন্য।...পরিষ্কারভাবে ওবামা যা চান, আমরাও যে তা-ই চাই, এটা তারই স্পষ্ট ইঙ্গিত।’ ওবামা যে আশাবাদ জাগিয়েছেন, এই পুরস্কার সেই আশাবাদকে সফল করার জন্য প্রেরণা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি যদি ব্যর্থ হন? জর্জ বুশের রেখে যাওয়া যুদ্ধ তাঁর কাঁধে। দায়িত্ব নিয়ে ওবামা আফগানিস্তানে ১৭ হাজার নতুন সেনা পাঠিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে আরও ৪০ হাজার সেনা রওনা হওয়ার জন্য তৈরি। এ রকম অবস্থায় নোবেল পুরস্কার কি স্বদেশের যুদ্ধবাদীদের বিপক্ষে তাঁর অবস্থান জোরদার করবে? তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো রক্ষায় তাঁকে আরও উদ্যোগী করে তুলবে? নাকি একে তিনি যুদ্ধের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করবেন?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট শান্তির রাজপুত্র হিসেবে নতুন ইতিহাস গড়লেন। তাঁর এই অর্জন বিনয়, সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধেরই অর্জন। বর্তমানের অশান্ত বিশ্বে এসব গুণের বড়ই অভাব। আশাবাদীর এ সম্মাননা যেন আশার বাস্তবায়ন ঘটায় এবং নিপীড়িতের জন্য সান্ত্বনা আনতে পারে।
No comments