জেএমবির সাত জঙ্গি গ্রেপ্তার -নিরাপত্তা প্রশাসনে জঙ্গিবিষয়ক সেল দরকার
নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গিসংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) তথাকথিত রাজশাহী বিভাগীয় প্রধানসহ সাত জঙ্গির গ্রেপ্তার হওয়াটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর কৃতিত্বের পরিচায়ক। কিন্তু একই সঙ্গে জেএমবির কৌশলগত পরিবর্তনের দিকটি খুবই উদ্বেগজনক। রাষ্ট্রক্ষমতায় মিত্র ও সহানুভূতিশীল ব্যক্তিদের অনুপস্থিতির কারণে তারা সামরিক দিকটি নিষ্ক্রিয় রেখে দাওয়াতি কার্যক্রমের দিকে ঝুঁকেছে। বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের কারণে নিরন্ন জনগোষ্ঠীর একটি অংশকে আকৃষ্ট করতে তারা যে সফল হতে পারে, তার ধারণাও আমরা পাচ্ছি। কিন্তু মুশকিল হলো, রাজশাহীর পুলিশ প্রশাসনের কাছে এমন কোনো রক্ষাকবচ নেই, যার সাহায্যে তারা অব্যাহত ও কার্যকরভাবে জেএমবির ‘দাওয়াতি’ কৌশল মোকাবিলা করতে পারে।
আসল কথা হচ্ছে, সশস্ত্র জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় আঞ্চলিক পুলিশ প্রশাসনে উপযুক্ত সাংগঠনিক কাঠামোগত কোনো ব্যবস্থাপনা নেই। অথচ অপ্রিয় হলেও সত্য, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগসহ নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট নানা স্তরে ‘কমিউনিজম’ প্রতিরোধ বা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বামপন্থীদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে মান্ধাতার আমলের সাংগঠনিক অবকাঠামো এখনো বিদ্যমান। জাতীয় নিরাপত্তা প্রশাসন থেকে উত্তরাধিকারের এ ভূত অবিলম্বে তাড়াতে হবে। আমাদের জাতীয় জীবনে জঙ্গিবাদের হুমকি এখনো প্রবল। হয়তো এ কথা সত্য, জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বর্তমানে খুব বেশি সংগঠিত পর্যায়ে নেই। কিন্তু তাই বলে কোনোক্রমেই অসতর্ক বা শিথিল মনোভাব পোষণের সুযোগ নেই। ধর্মভিত্তিক সশস্ত্র জঙ্গিবাদ এমন এক দুরারোগ্য ব্যাধি, যার পুনরুত্থানের আশঙ্কাকে খাটো করে দেখা যায় না। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারে আমাদের অনেকেরই ক্লান্তি নেই। সে কারণে জেএমবির কথিত সামরিক শাখার কার্যক্রম সীমিত করে দাওয়াতি কাজ বাড়ানোর বিষয়টি প্রতিহত করতে নিরাপত্তা প্রশাসনকে উপযুক্তরূপে ঢেলে সাজাতে হবে।
বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলটির দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। বাংলা ভাই, শায়খ রহমানদের আবির্ভাব যে এলাকায়, সেখানে গত ১০ মাসে একটি ডাকাতিও হয়নি, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে কেউ কাউকে খুন করেনি—এ তথ্য গতকাল প্রথম আলোকে জানালেন রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার এ এফ এম মাসুম রব্বানী। রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ শান্তিপ্রিয় এবং তাদের অনগ্রসর অংশকে আকৃষ্ট করতে জঙ্গিরা সহজে সফল হতে পারে। এ দিকটি উপযুক্তরূপে মোকাবিলা করতে এখনই জুতসই কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। তিনি আমাদের সঙ্গে একমত হন, জাতীয় নিরাপত্তা প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে জঙ্গিবাদ প্রতিহত করতে অনতিবিলম্বে বিশেষ সেল গঠন করতে হবে। আঞ্চলিক পুলিশেও তা থাকতে হবে এবং এর একটা সমন্বিত রূপ অবশ্যই থাকা দরকার। দীর্ঘদিন চরমপন্থী দমনকাজে অভিজ্ঞ ওই পুলিশ সুপারের কথায়, এ ধরনের উদ্যোগের দ্রুত বাস্তবায়ন অপরিহার্য। জঙ্গি দমনসংক্রান্ত ওই প্রস্তাবিত সেল স্বতন্ত্রভাবে কাজ করবে এবং জঙ্গিবিষয়ক গবেষণা ও তথ্যের আদান-প্রদান নিশ্চিত করবে। মনে রাখতে হবে, জঙ্গিবাদ এমন এক ব্যাধি, তা কেবল ধরপাকড় ও আস্তানা গুঁড়িয়ে নিঃশেষ করা যাবে না। বর্তমানের নিস্তেজ জেএমবিকে খাটো করে দেখা ঠিক
আসল কথা হচ্ছে, সশস্ত্র জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় আঞ্চলিক পুলিশ প্রশাসনে উপযুক্ত সাংগঠনিক কাঠামোগত কোনো ব্যবস্থাপনা নেই। অথচ অপ্রিয় হলেও সত্য, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগসহ নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট নানা স্তরে ‘কমিউনিজম’ প্রতিরোধ বা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বামপন্থীদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে মান্ধাতার আমলের সাংগঠনিক অবকাঠামো এখনো বিদ্যমান। জাতীয় নিরাপত্তা প্রশাসন থেকে উত্তরাধিকারের এ ভূত অবিলম্বে তাড়াতে হবে। আমাদের জাতীয় জীবনে জঙ্গিবাদের হুমকি এখনো প্রবল। হয়তো এ কথা সত্য, জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বর্তমানে খুব বেশি সংগঠিত পর্যায়ে নেই। কিন্তু তাই বলে কোনোক্রমেই অসতর্ক বা শিথিল মনোভাব পোষণের সুযোগ নেই। ধর্মভিত্তিক সশস্ত্র জঙ্গিবাদ এমন এক দুরারোগ্য ব্যাধি, যার পুনরুত্থানের আশঙ্কাকে খাটো করে দেখা যায় না। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারে আমাদের অনেকেরই ক্লান্তি নেই। সে কারণে জেএমবির কথিত সামরিক শাখার কার্যক্রম সীমিত করে দাওয়াতি কাজ বাড়ানোর বিষয়টি প্রতিহত করতে নিরাপত্তা প্রশাসনকে উপযুক্তরূপে ঢেলে সাজাতে হবে।
বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলটির দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। বাংলা ভাই, শায়খ রহমানদের আবির্ভাব যে এলাকায়, সেখানে গত ১০ মাসে একটি ডাকাতিও হয়নি, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে কেউ কাউকে খুন করেনি—এ তথ্য গতকাল প্রথম আলোকে জানালেন রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার এ এফ এম মাসুম রব্বানী। রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ শান্তিপ্রিয় এবং তাদের অনগ্রসর অংশকে আকৃষ্ট করতে জঙ্গিরা সহজে সফল হতে পারে। এ দিকটি উপযুক্তরূপে মোকাবিলা করতে এখনই জুতসই কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। তিনি আমাদের সঙ্গে একমত হন, জাতীয় নিরাপত্তা প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে জঙ্গিবাদ প্রতিহত করতে অনতিবিলম্বে বিশেষ সেল গঠন করতে হবে। আঞ্চলিক পুলিশেও তা থাকতে হবে এবং এর একটা সমন্বিত রূপ অবশ্যই থাকা দরকার। দীর্ঘদিন চরমপন্থী দমনকাজে অভিজ্ঞ ওই পুলিশ সুপারের কথায়, এ ধরনের উদ্যোগের দ্রুত বাস্তবায়ন অপরিহার্য। জঙ্গি দমনসংক্রান্ত ওই প্রস্তাবিত সেল স্বতন্ত্রভাবে কাজ করবে এবং জঙ্গিবিষয়ক গবেষণা ও তথ্যের আদান-প্রদান নিশ্চিত করবে। মনে রাখতে হবে, জঙ্গিবাদ এমন এক ব্যাধি, তা কেবল ধরপাকড় ও আস্তানা গুঁড়িয়ে নিঃশেষ করা যাবে না। বর্তমানের নিস্তেজ জেএমবিকে খাটো করে দেখা ঠিক
No comments