বড় পর্দায় শঙ্কু by সুহৃদ শংকর চট্টোপধ্যায়
বিজ্ঞানী-উদ্ভাবক
প্রোফেসর শঙ্কু ছিলেন সত্যজিৎ রায়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফিকশনাল সৃষ্টি।
প্রথমবারের মতো সন্দীপ রায়ের নির্দেশনায় তা বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করতে
যাচ্ছে।
প্রতিভাধর বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক ও বহু ভাষাবিদ প্রোফেসর শঙ্কু ছয় দশক ধরে তরুণ বাঙালি পাঠকদের রোমাঞ্চিত করে রেখেছেন। এবার তিনি আত্মপ্রকাশ করছেন একটি ফিচার ফিল্মে। ফেলুদার (সত্যজিতের আরেক সাহিত্য সৃষ্টি) মতো শঙ্কুও অব্যাহতভাবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, বাঙালি সংস্কৃতিতে কাল্টের মর্যাদা পেয়ে আসছে। সত্যজিতের ছেলে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা সন্দীপ রায়ের নির্দেশনায় নকুড়বাবু ও এল ডোরাডো অবলম্বে চলচ্চিত্রটি তৈরি করা হবে। ব্রাজিলের আমাজন বনের কেন্দ্রস্থলে প্রোফেসরের খ্যাপাটে বন্ধু নকুড়চন্দ্র বিশ্বাসকে নিয়ে অভিযানের কথা থাকবে ছবিটিতে। শ্রী ভেনকটেশ ফিল্মস তৈরি করবে ছবিটি।
বাঙালি ফিকশনের অনেক জনপ্রিয় চরিত্রই সিনেমায় রূপান্তরিত হয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়ের ব্যেমকেশ বকশি, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাকা বাবু, সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা। কিন্তু প্রোফেসর শঙ্কুকে চলচ্চিত্রে রূপ দিতে যে ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের প্রয়োজন তা ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এখন ওই প্রযুক্তি স্থানীয়ভাবে পাওয়া যাওয়ায় নির্মাতারা এদিকে নজর দিয়েছেন।
শুরুতে সন্দীপ রায় প্রোফেসর শঙ্কর আরেকটি অ্যাডভেঞ্চার আশ্চর্যজন্তু চিত্রায়নের কথা ভাবা হয়েছিল। এটি ছিল সত্যজিৎ রায়ের ব্যক্তিগতভাবে প্রিয়। কিন্তু গল্পের প্রয়োজনে যে ধরনের ভিজুয়াল ইফেক্টের প্রয়োজন, তার ব্যবস্থাপনা কঠিন হওয়ায় ওই সিদ্ধান্ত পাল্টানো হয়। নকুড়বাবু ও এল ডোরাডোতে অনেক কম ভিজুয়াল ইফেক্টের প্রয়োজন পড়ে। তিনি বলেন, আমাদেরকে খুবই সতর্ক থাকতে হবে। তরুণ দর্শকেরা এখন অনেক অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাথে পরিচিত। আমরা তাদের হতাশ করতে চাই না। এ কারণে আমরা প্রস্তুতিতে অনেক সময় নিচ্ছি। শ্যুটিংয়ের কাজ হবে দুই পর্যায়ে। প্রাথমিক পর্বের কাজ হবে মে মাস থেকে। তা হবে ভারতে। চলবে আগস্ট পর্যন্ত। তারপর ব্রাজিলের আমাজন জঙ্গলে চিত্রায়নের কাজ শুরু হবে।
শঙ্কুকে নিয়ে সত্যজিৎ রায় সম্ভবত কখনো চলচ্চিত্র নির্মাণের কথা ভাবেননি। সন্দেশ ম্যাগাজিনের জন্য ১৯৬১ সালে তিনি যখন শঙ্কুকে নিয়ে প্রথম গল্পটি লিখেন ব্যোমযাত্রীর ডায়রি নামে, তখন এ নিয়ে সিরিজ লেখার কথা তার মাথায় ছিল না। বয়স্ক, দাড়িওয়ালা, টাক মাথার ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু এমন এক চরিত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন, যা বাঙালি ফিকশনে আগে কখনো দেখা যায়নি।
সত্যজিৎ রায় তার নিজের মানবিক চেতনা, আদর্শ ইত্যাদি ঢেলে দিয়েছিলেন শঙ্কু চরিত্রে। বলা যায় শঙ্কুই ছিলেন সত্যজিৎ রায়। ফেলুদাও অনেক দিক থেকে সত্যজিৎ রায়। শঙ্কুর সততা, ব্যক্তিগত ও শিক্ষাবিদ হিসেবে আন্তরিকতায় তার ছাপই ফুটে ওঠেছে।
সত্যজিৎ রায় ছিলেন সায়েন্স ফিকশনের বিরাট ফ্যান। তার অন্যতম ফিকশনাল চরিত্র ছিল স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের প্রফেসর চ্যালেঞ্জার। শুরুতে চ্যালেঞ্জার থেকেই শঙ্কুর জন্ম হয়েছিল।
সত্যজিতের ইচ্ছা পূরণ
ফেলুদার মতো প্রোফেসর শঙ্কুও ভ্রমণনামা। পাঠককে এই কাহিনী পৃথিবীর নানা জায়গায় নিয়ে যায়। ফেলুদা চরিত্রটিও নানা জায়গায় ভ্রমণ করে। তবে লেখক যেসব জায়গায় গেছেন, ফেলুদা আসলে সেসব স্থানেই বিচরণ করেছেন। আর শঙ্কু এমন সব স্থানে গেছেন, যেখানে লেখক কখনোই যাননি। সন্দীপ রায় এ নিয়ে বলেন, সত্যজিৎ রায় যেসব জায়গায় যেতে চেয়েও যাওয়ার সুযোগ করতে পারেননি, সেখানেই শঙ্কুকে পাঠিয়েছিলেন।
আর এটিই শঙ্কুর কাহিনী রচনা কঠিন করে দিয়েছিল। বিশ্বের বিভিন্ন স্থান সম্পর্কে তথ্যের জন্য সত্যজিৎকে তার বন্ধুদের ওপর নির্ভর করতে হয়েছিল। নানা বিশ্বকোষ, গ্রন্থ ঘেটে ঘেটেও তিনি তথ্য সংগ্রহ করতেন। তার তথ্য সংগ্রহের একটি প্রিয় স্থান ছিল কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরি।
কলকাতার গভার্নমেন্ট গার্লস কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শম্পা সেনের মতে, ফেলুদার চেয়ে প্রোফেসর শঙ্কুর আবেদন বেশি হওয়ার কারণ বিষয়বস্তু ও বক্তব্যের দিক থেকে এটি অনেক বেশি চিন্তা-জাগানিয়া ও পরিণত।
তিনি বলেন, ফেলুদার মতো প্রোফেসর শঙ্কু আপাদমস্তক বাঙালি। তবে শঙ্কু অনেক বেশি বিশ্বজনীন ব্যক্তিত্ব। তিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিজ্ঞানী। শঙ্কুর অভিযানের মাধ্যমে সত্যজিৎ রায় তরুণ পাঠকদের তথ্যের বিশ্বকোষ ও জ্ঞান উপহার দিয়েছেন। বাঙালি সায়েন্স ফিকশনে ডায়েরির আকার আরেকটি অনন্য বিষয়। সাহিত্যিক মূল্যে ফেলুদার চেয়ে প্রোফেসর শঙ্কু আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ফেলুদা সিরিজের সাতটি চলচ্চিত্র নির্মাণকারী সন্দীপ রায়ও মনে করেন, ফেলুদার চেয়ে প্রোফেসর শঙ্কুর আবেদন অনেক বেশি। তিনি বলেন, দ্বিভাষিক বিষয় ও ভিজুয়াল ইফেক্টের কারণে শঙ্কু অনেক বেশি লোকের কাছে পৌঁছাবে। আমি একযোগে সর্বভারতীয় মুক্তির আশা করছি।
নকুড়বাবু ও এল ডোরাডো লেখা হয়েছিল ১৯৮০ সালে। চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা হয় ২০১৬ সালে। সময়ের এই বিশাল পার্থক্যের কারণে অবশ্যই কিছু পরিবর্তন হবে। তবে শঙ্কুর অভিযানের সাথে প্রয়োজনীয় স্থানেই কেবল পরিবর্তন আনা হবে। বইতে থাকা মূল চরিত্রগুলো অটুট রাখার দিকে খেয়াল থাকবে।
সত্যজিৎ রায় তার প্রায় প্রতিটি গল্পেই ছবি এঁকেছেন। ফলে সন্দীপকে ওই চেহারার সাথে মিল রেখে সঠিক অভিনেতাকে বেছে নিতে হবে। শঙ্কু চরিত্রে অভিনয় করবেন সত্যজিৎ রায়ের অনেক ছবিতে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত ধৃতিমান চ্যাটার্জি। সন্দীপ রায় বলেন, ধৃতি দা আছেন সঠিক বয়সে। তার ইংরেজিও চমৎকার। নকুড় বাবুর চরিত্রে থাকবেন বর্ষীয়ান অভিনেতা সুভাশীষ মুখোপাধ্যায়।
সন্দীপ রায় বলেন, তার বাবা চরিত্রগুলোর ছবি এঁকে পরিচালকের কাজ আরো জটিল করে দিয়েছেন। আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে পাঠকের কল্পনাকে জীবন্ত করে তুলে ধরা।
প্রতিভাধর বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক ও বহু ভাষাবিদ প্রোফেসর শঙ্কু ছয় দশক ধরে তরুণ বাঙালি পাঠকদের রোমাঞ্চিত করে রেখেছেন। এবার তিনি আত্মপ্রকাশ করছেন একটি ফিচার ফিল্মে। ফেলুদার (সত্যজিতের আরেক সাহিত্য সৃষ্টি) মতো শঙ্কুও অব্যাহতভাবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, বাঙালি সংস্কৃতিতে কাল্টের মর্যাদা পেয়ে আসছে। সত্যজিতের ছেলে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা সন্দীপ রায়ের নির্দেশনায় নকুড়বাবু ও এল ডোরাডো অবলম্বে চলচ্চিত্রটি তৈরি করা হবে। ব্রাজিলের আমাজন বনের কেন্দ্রস্থলে প্রোফেসরের খ্যাপাটে বন্ধু নকুড়চন্দ্র বিশ্বাসকে নিয়ে অভিযানের কথা থাকবে ছবিটিতে। শ্রী ভেনকটেশ ফিল্মস তৈরি করবে ছবিটি।
বাঙালি ফিকশনের অনেক জনপ্রিয় চরিত্রই সিনেমায় রূপান্তরিত হয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়ের ব্যেমকেশ বকশি, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাকা বাবু, সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা। কিন্তু প্রোফেসর শঙ্কুকে চলচ্চিত্রে রূপ দিতে যে ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের প্রয়োজন তা ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এখন ওই প্রযুক্তি স্থানীয়ভাবে পাওয়া যাওয়ায় নির্মাতারা এদিকে নজর দিয়েছেন।
শুরুতে সন্দীপ রায় প্রোফেসর শঙ্কর আরেকটি অ্যাডভেঞ্চার আশ্চর্যজন্তু চিত্রায়নের কথা ভাবা হয়েছিল। এটি ছিল সত্যজিৎ রায়ের ব্যক্তিগতভাবে প্রিয়। কিন্তু গল্পের প্রয়োজনে যে ধরনের ভিজুয়াল ইফেক্টের প্রয়োজন, তার ব্যবস্থাপনা কঠিন হওয়ায় ওই সিদ্ধান্ত পাল্টানো হয়। নকুড়বাবু ও এল ডোরাডোতে অনেক কম ভিজুয়াল ইফেক্টের প্রয়োজন পড়ে। তিনি বলেন, আমাদেরকে খুবই সতর্ক থাকতে হবে। তরুণ দর্শকেরা এখন অনেক অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাথে পরিচিত। আমরা তাদের হতাশ করতে চাই না। এ কারণে আমরা প্রস্তুতিতে অনেক সময় নিচ্ছি। শ্যুটিংয়ের কাজ হবে দুই পর্যায়ে। প্রাথমিক পর্বের কাজ হবে মে মাস থেকে। তা হবে ভারতে। চলবে আগস্ট পর্যন্ত। তারপর ব্রাজিলের আমাজন জঙ্গলে চিত্রায়নের কাজ শুরু হবে।
শঙ্কুকে নিয়ে সত্যজিৎ রায় সম্ভবত কখনো চলচ্চিত্র নির্মাণের কথা ভাবেননি। সন্দেশ ম্যাগাজিনের জন্য ১৯৬১ সালে তিনি যখন শঙ্কুকে নিয়ে প্রথম গল্পটি লিখেন ব্যোমযাত্রীর ডায়রি নামে, তখন এ নিয়ে সিরিজ লেখার কথা তার মাথায় ছিল না। বয়স্ক, দাড়িওয়ালা, টাক মাথার ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু এমন এক চরিত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন, যা বাঙালি ফিকশনে আগে কখনো দেখা যায়নি।
সত্যজিৎ রায় তার নিজের মানবিক চেতনা, আদর্শ ইত্যাদি ঢেলে দিয়েছিলেন শঙ্কু চরিত্রে। বলা যায় শঙ্কুই ছিলেন সত্যজিৎ রায়। ফেলুদাও অনেক দিক থেকে সত্যজিৎ রায়। শঙ্কুর সততা, ব্যক্তিগত ও শিক্ষাবিদ হিসেবে আন্তরিকতায় তার ছাপই ফুটে ওঠেছে।
সত্যজিৎ রায় ছিলেন সায়েন্স ফিকশনের বিরাট ফ্যান। তার অন্যতম ফিকশনাল চরিত্র ছিল স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের প্রফেসর চ্যালেঞ্জার। শুরুতে চ্যালেঞ্জার থেকেই শঙ্কুর জন্ম হয়েছিল।
সত্যজিতের ইচ্ছা পূরণ
ফেলুদার মতো প্রোফেসর শঙ্কুও ভ্রমণনামা। পাঠককে এই কাহিনী পৃথিবীর নানা জায়গায় নিয়ে যায়। ফেলুদা চরিত্রটিও নানা জায়গায় ভ্রমণ করে। তবে লেখক যেসব জায়গায় গেছেন, ফেলুদা আসলে সেসব স্থানেই বিচরণ করেছেন। আর শঙ্কু এমন সব স্থানে গেছেন, যেখানে লেখক কখনোই যাননি। সন্দীপ রায় এ নিয়ে বলেন, সত্যজিৎ রায় যেসব জায়গায় যেতে চেয়েও যাওয়ার সুযোগ করতে পারেননি, সেখানেই শঙ্কুকে পাঠিয়েছিলেন।
আর এটিই শঙ্কুর কাহিনী রচনা কঠিন করে দিয়েছিল। বিশ্বের বিভিন্ন স্থান সম্পর্কে তথ্যের জন্য সত্যজিৎকে তার বন্ধুদের ওপর নির্ভর করতে হয়েছিল। নানা বিশ্বকোষ, গ্রন্থ ঘেটে ঘেটেও তিনি তথ্য সংগ্রহ করতেন। তার তথ্য সংগ্রহের একটি প্রিয় স্থান ছিল কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরি।
কলকাতার গভার্নমেন্ট গার্লস কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শম্পা সেনের মতে, ফেলুদার চেয়ে প্রোফেসর শঙ্কুর আবেদন বেশি হওয়ার কারণ বিষয়বস্তু ও বক্তব্যের দিক থেকে এটি অনেক বেশি চিন্তা-জাগানিয়া ও পরিণত।
তিনি বলেন, ফেলুদার মতো প্রোফেসর শঙ্কু আপাদমস্তক বাঙালি। তবে শঙ্কু অনেক বেশি বিশ্বজনীন ব্যক্তিত্ব। তিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিজ্ঞানী। শঙ্কুর অভিযানের মাধ্যমে সত্যজিৎ রায় তরুণ পাঠকদের তথ্যের বিশ্বকোষ ও জ্ঞান উপহার দিয়েছেন। বাঙালি সায়েন্স ফিকশনে ডায়েরির আকার আরেকটি অনন্য বিষয়। সাহিত্যিক মূল্যে ফেলুদার চেয়ে প্রোফেসর শঙ্কু আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ফেলুদা সিরিজের সাতটি চলচ্চিত্র নির্মাণকারী সন্দীপ রায়ও মনে করেন, ফেলুদার চেয়ে প্রোফেসর শঙ্কুর আবেদন অনেক বেশি। তিনি বলেন, দ্বিভাষিক বিষয় ও ভিজুয়াল ইফেক্টের কারণে শঙ্কু অনেক বেশি লোকের কাছে পৌঁছাবে। আমি একযোগে সর্বভারতীয় মুক্তির আশা করছি।
নকুড়বাবু ও এল ডোরাডো লেখা হয়েছিল ১৯৮০ সালে। চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা হয় ২০১৬ সালে। সময়ের এই বিশাল পার্থক্যের কারণে অবশ্যই কিছু পরিবর্তন হবে। তবে শঙ্কুর অভিযানের সাথে প্রয়োজনীয় স্থানেই কেবল পরিবর্তন আনা হবে। বইতে থাকা মূল চরিত্রগুলো অটুট রাখার দিকে খেয়াল থাকবে।
সত্যজিৎ রায় তার প্রায় প্রতিটি গল্পেই ছবি এঁকেছেন। ফলে সন্দীপকে ওই চেহারার সাথে মিল রেখে সঠিক অভিনেতাকে বেছে নিতে হবে। শঙ্কু চরিত্রে অভিনয় করবেন সত্যজিৎ রায়ের অনেক ছবিতে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত ধৃতিমান চ্যাটার্জি। সন্দীপ রায় বলেন, ধৃতি দা আছেন সঠিক বয়সে। তার ইংরেজিও চমৎকার। নকুড় বাবুর চরিত্রে থাকবেন বর্ষীয়ান অভিনেতা সুভাশীষ মুখোপাধ্যায়।
সন্দীপ রায় বলেন, তার বাবা চরিত্রগুলোর ছবি এঁকে পরিচালকের কাজ আরো জটিল করে দিয়েছেন। আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে পাঠকের কল্পনাকে জীবন্ত করে তুলে ধরা।
No comments