মৃতের মস্তিষ্ক আংশিক সচল!
প্রাণী
মারা গেলে তার মস্তিষ্ক বা ব্রেন দ্রুত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে বলেই ধারণা ছিল।
গবেষকেরা এবার মারা যাওয়ার চার ঘণ্টা পর একটি প্রাণীর মস্তিষ্কের আংশিক
সক্রিয় করতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন। গবেষকেরা মৃত শূকরের মস্তিষ্ক নিয়ে
গবেষণা করেন। এ গবেষণার ফলাফল জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে বাধা নিয়ে বিতর্ক
সৃষ্টি করতে পারে। অবশ্য এটি আলঝেইমারের মতো রোগের ক্ষেত্রে নতুন গবেষণার
ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গবেষকেরা বলছেন, মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণার বিষয়টি নৈতিকতার প্রশ্ন তুলছে। অনেকেই বলছেন, মারা যাওয়ার পর মস্তিষ্ক সক্রিয় হলে সে প্রাণীকে ঠিক মৃত বলা যাবে না, আবার তা পুরোপুরি জীবিতও বলা যাবে না।
গবেষকেরা তাঁদের গবেষণায় দেখিয়েছেন, মস্তিষ্কের কোষ মারা যাওয়ার বিষয়টি বন্ধ করা যেতে পারে এবং মস্তিষ্কের মধ্যে কিছু সংযোগ আগের অবস্থায় নেওয়া যায়। তবে ওই মস্তিষ্কের সচেতনতা বা চেতনার কোনো সংকেত পাওয়া যায়নি।
এ গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হচ্ছে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হলে কয়েক মিনিটের মধ্যে তা অপরিবর্তনীয় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে প্রচলিত এ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পেরেছে।
গবেষকেরা কসাইখানা থেকে ৩২টি শূকরের মস্তিষ্ক সংগ্রহ করেন। চার ঘণ্টা পরে তা ইয়েল ইউনিভার্সিটির গবেষকেদের তৈরি একটি সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত করেন। ওই সিস্টেম বিশেষভাবে তৈরি রক্তের অনুরূপ কৃত্রিম তরল নাড়ির গতির মতো ছন্দে মস্তিষ্কে পাম্প করতে থাকে। ওই তরলে থাকা সিনথেটিক রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কে অক্সিজেন ও ওষুধ পাঠানো হয়। এতে মস্তিষ্কের কোষ মারা যাওয়ার গতি কমে যায় এবং কোষগুলো জীবিত হতে শুরু করে। মস্তিষ্কে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত ওই বলকারক ককটেল তরল দেওয়া হয়।
গবেষকেরা দেখতে পান, মস্তিষ্কের মধ্যকার যোগাযোগব্যবস্থা সাইন্যাপস কাজ করতে শুরু করেছে।
গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে গবেষকেরা বলেছেন, মস্তিষ্কের কোষগুলোর মধ্যে সাইন্যাপস যোগাযোগে ক্ষেত্রে সাড়া দিচ্ছে। স্বাভাবিক মস্তিষ্কের মতোই একই পরিমাণ অক্সিজেন ব্যবহার করছে এবং ওষুধেও সাড়া দিচ্ছে।
শূকরগুলো হত্যার ১০ ঘণ্টা পরেও এ সাড়া পাওয়া যায়। তবে ইসিজি ব্রেন স্ক্যানে ‘ব্রেন-ওয়াইড ইলেকট্রিক অ্যাকটিভির’ কোনো সংকেত পাওয়া যায়নি, যা মস্তিষ্কের চেতনা নির্দেশ করে। অর্থাৎ মৌলিকভাবে এগুলো মৃত মস্তিষ্কের অনুরূপ।
ইয়েল ইউনিভার্সিটির নিউরোসায়েন্সের অধ্যাপক নেনাদ সেসটান বলেছেন, ‘আমরা আগে ভাবতাম, মস্তিষ্কের কোষের মারা যাওয়ার ঘটনা দীর্ঘ সময় ধরে ঘটে থাকে। এখন আমরা দেখেছি, কোষ মারা যাওয়ার ঘটনা ধীরে ধীরে ও ধাপ অনুযায়ী ঘটে। এসব প্রক্রিয়ার কোনো কোনোটা আটকে দেওয়া যায়, তা সংরক্ষণ করে আবার ফিরিয়ে আনা যায়।’
দীর্ঘ মেয়াদে ভবিষ্যতে স্ট্রোক বা জন্মের সময় অক্সিজেনের স্বল্পতার মতো ঘটনার ক্ষেত্রে আরও উন্নত সুরক্ষাব্যবস্থা পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন গবেষকেরা।
নৈতিকতার প্রশ্ন
মৃত মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণায় বিষয়ে নৈতিকতার প্রশ্ন উঠছে। গবেষকেরা বলছেন, তাঁরা শূকরের মাংস খাত বা কসাইখানা থেকে মস্তিষ্ক সংগ্রহ করেছেন। প্রাণীগুলো পরীক্ষাগারে বড় করা হয়নি। তবে ইয়েলের গবেষকেরা মস্তিষ্কগুলোর চেতনা ফেরার বিষয়ে এতটাই উদ্বেগে ছিলেন যে তাঁরা মস্তিষ্কের কার্যক্রমতা কমার ওষুধ প্রয়োগ করেছেন। বিশেষজ্ঞরা ওই মস্তিষ্কের কোনো উচ্চ পর্যায়ের সাড়া পাওয়া যায় কি না, সে কার্যকলাপ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করেন। এ রকম কিছু হলে তাঁরা অ্যানেশথিয়াটিক ব্যবহার করতেন এবং পরীক্ষা শেষ করতেন।
বিষয়টি নিয়ে নীতিশাস্ত্রজ্ঞরা নেচার সাময়িকীতে লিখেছেন, এ বিষয়ে নতুন নীতিমালা প্রয়োজন হবে। কারণ, গবেষণাকাজে ব্যবহৃত প্রাণীগুলো শেষ পর্যন্ত এমন একটি পর্যায়ে অবস্থান করবে, যাতে তাদের পুরোপুরি জীবিত বলা যাবে না, আবার পুরোপুরি মৃতও বলা যাবে না।
গবেষকেদের মতে, বিশ্বের মধ্যে প্রাণীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সবচেয়ে জটিল কাঠামো বলা হয়। তবে মস্তিষ্কের কিছুটা অংশ ফ্রিজিং পদ্ধতি বা পাত্রের মধ্যে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশ জন্মানো মাধ্যমে গবেষকেরা মস্তিষ্কের থ্রিডি ওয়্যারিং করতে পারবেন না।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথের গবেষক অ্যান্ড্রে বেকেল মিচেনার বলেন, এ ধরনের গবেষণা মস্তিষ্কের পোস্টমর্টেমের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন গবেষণার পথ খুলে দিতে পারে।
তবে গবেষকেরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে কোনো আঘাতের পর রোগীর ক্ষেত্রে প্রভাব রাখতে তাঁদের অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
গবেষক স্টেফান বলেছেন, ‘স্বাভাবিক মস্তিষ্কের কার্যকলাপ ফেরাতে পারব কি না, সে বিষয়ে কোনো জ্ঞান নেই।’
এ পরিবর্তন কি মৃত্যুর অর্থ বদলে দেবে? এ মুহূর্তে এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে ‘না’। তবে কয়েকজন নীতিশাস্ত্রজ্ঞরা বলছেন, ‘আমাদের এখন কাদের মস্তিষ্ক মারা গেছে, তা নিয়ে বিতর্ক করতে হবে।’
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল এথিকস অ্যান্ড নিওন্যাটোলজিস্টের পরামর্শক ডমিনিক উইলকিনসন বলেন, বর্তমানে যখন কাউকে ব্রেন ডেড হিসেবে ধরা হবে, তখন তাকে ফিরিয়ে আনার কোনা উপায় নেই। যদি কোনো মানুষের ক্ষেত্রে এটা ঘটে, তবে তাকে চিরবিদায় বলতে হবে। তবে ভবিষ্যতে যদি মৃত্যুর পরে তার মস্তিষ্ককে ফিরিয়ে আনা যায়, তার চেতনা ও ব্যক্তিত্ব ফিরে আসে, তবে তা মৃত্যুর সংজ্ঞায় বড় প্রভাব ফেলবে।
তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় শূকরের মস্তিষ্কে চেতনা ফেরানো যায়নি। মস্তিষ্ক নীরব ছিল।
তবে এ গবেষণা বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, কতক্ষণ পর্যন্ত মস্তিষ্ককে টিকিয়ে রাখতে পারতেন গবেষকেরা, চার ঘণ্টা অপেক্ষা না করলে কী হতো? আবার গবেষকেরা মস্তিষ্কের উদ্দীপনা ঠেকাতে ওষুধ ব্যবহার না করলে কি ফলাফল অন্য রকম হতে পারত? এ প্রশ্নও উঠছে।
গবেষকেরা বলছেন, মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণার বিষয়টি নৈতিকতার প্রশ্ন তুলছে। অনেকেই বলছেন, মারা যাওয়ার পর মস্তিষ্ক সক্রিয় হলে সে প্রাণীকে ঠিক মৃত বলা যাবে না, আবার তা পুরোপুরি জীবিতও বলা যাবে না।
গবেষকেরা তাঁদের গবেষণায় দেখিয়েছেন, মস্তিষ্কের কোষ মারা যাওয়ার বিষয়টি বন্ধ করা যেতে পারে এবং মস্তিষ্কের মধ্যে কিছু সংযোগ আগের অবস্থায় নেওয়া যায়। তবে ওই মস্তিষ্কের সচেতনতা বা চেতনার কোনো সংকেত পাওয়া যায়নি।
এ গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হচ্ছে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হলে কয়েক মিনিটের মধ্যে তা অপরিবর্তনীয় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে প্রচলিত এ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পেরেছে।
গবেষকেরা কসাইখানা থেকে ৩২টি শূকরের মস্তিষ্ক সংগ্রহ করেন। চার ঘণ্টা পরে তা ইয়েল ইউনিভার্সিটির গবেষকেদের তৈরি একটি সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত করেন। ওই সিস্টেম বিশেষভাবে তৈরি রক্তের অনুরূপ কৃত্রিম তরল নাড়ির গতির মতো ছন্দে মস্তিষ্কে পাম্প করতে থাকে। ওই তরলে থাকা সিনথেটিক রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কে অক্সিজেন ও ওষুধ পাঠানো হয়। এতে মস্তিষ্কের কোষ মারা যাওয়ার গতি কমে যায় এবং কোষগুলো জীবিত হতে শুরু করে। মস্তিষ্কে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত ওই বলকারক ককটেল তরল দেওয়া হয়।
গবেষকেরা দেখতে পান, মস্তিষ্কের মধ্যকার যোগাযোগব্যবস্থা সাইন্যাপস কাজ করতে শুরু করেছে।
গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে গবেষকেরা বলেছেন, মস্তিষ্কের কোষগুলোর মধ্যে সাইন্যাপস যোগাযোগে ক্ষেত্রে সাড়া দিচ্ছে। স্বাভাবিক মস্তিষ্কের মতোই একই পরিমাণ অক্সিজেন ব্যবহার করছে এবং ওষুধেও সাড়া দিচ্ছে।
শূকরগুলো হত্যার ১০ ঘণ্টা পরেও এ সাড়া পাওয়া যায়। তবে ইসিজি ব্রেন স্ক্যানে ‘ব্রেন-ওয়াইড ইলেকট্রিক অ্যাকটিভির’ কোনো সংকেত পাওয়া যায়নি, যা মস্তিষ্কের চেতনা নির্দেশ করে। অর্থাৎ মৌলিকভাবে এগুলো মৃত মস্তিষ্কের অনুরূপ।
ইয়েল ইউনিভার্সিটির নিউরোসায়েন্সের অধ্যাপক নেনাদ সেসটান বলেছেন, ‘আমরা আগে ভাবতাম, মস্তিষ্কের কোষের মারা যাওয়ার ঘটনা দীর্ঘ সময় ধরে ঘটে থাকে। এখন আমরা দেখেছি, কোষ মারা যাওয়ার ঘটনা ধীরে ধীরে ও ধাপ অনুযায়ী ঘটে। এসব প্রক্রিয়ার কোনো কোনোটা আটকে দেওয়া যায়, তা সংরক্ষণ করে আবার ফিরিয়ে আনা যায়।’
দীর্ঘ মেয়াদে ভবিষ্যতে স্ট্রোক বা জন্মের সময় অক্সিজেনের স্বল্পতার মতো ঘটনার ক্ষেত্রে আরও উন্নত সুরক্ষাব্যবস্থা পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন গবেষকেরা।
নৈতিকতার প্রশ্ন
মৃত মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণায় বিষয়ে নৈতিকতার প্রশ্ন উঠছে। গবেষকেরা বলছেন, তাঁরা শূকরের মাংস খাত বা কসাইখানা থেকে মস্তিষ্ক সংগ্রহ করেছেন। প্রাণীগুলো পরীক্ষাগারে বড় করা হয়নি। তবে ইয়েলের গবেষকেরা মস্তিষ্কগুলোর চেতনা ফেরার বিষয়ে এতটাই উদ্বেগে ছিলেন যে তাঁরা মস্তিষ্কের কার্যক্রমতা কমার ওষুধ প্রয়োগ করেছেন। বিশেষজ্ঞরা ওই মস্তিষ্কের কোনো উচ্চ পর্যায়ের সাড়া পাওয়া যায় কি না, সে কার্যকলাপ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করেন। এ রকম কিছু হলে তাঁরা অ্যানেশথিয়াটিক ব্যবহার করতেন এবং পরীক্ষা শেষ করতেন।
বিষয়টি নিয়ে নীতিশাস্ত্রজ্ঞরা নেচার সাময়িকীতে লিখেছেন, এ বিষয়ে নতুন নীতিমালা প্রয়োজন হবে। কারণ, গবেষণাকাজে ব্যবহৃত প্রাণীগুলো শেষ পর্যন্ত এমন একটি পর্যায়ে অবস্থান করবে, যাতে তাদের পুরোপুরি জীবিত বলা যাবে না, আবার পুরোপুরি মৃতও বলা যাবে না।
গবেষকেদের মতে, বিশ্বের মধ্যে প্রাণীর অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সবচেয়ে জটিল কাঠামো বলা হয়। তবে মস্তিষ্কের কিছুটা অংশ ফ্রিজিং পদ্ধতি বা পাত্রের মধ্যে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশ জন্মানো মাধ্যমে গবেষকেরা মস্তিষ্কের থ্রিডি ওয়্যারিং করতে পারবেন না।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথের গবেষক অ্যান্ড্রে বেকেল মিচেনার বলেন, এ ধরনের গবেষণা মস্তিষ্কের পোস্টমর্টেমের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন গবেষণার পথ খুলে দিতে পারে।
তবে গবেষকেরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে কোনো আঘাতের পর রোগীর ক্ষেত্রে প্রভাব রাখতে তাঁদের অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
গবেষক স্টেফান বলেছেন, ‘স্বাভাবিক মস্তিষ্কের কার্যকলাপ ফেরাতে পারব কি না, সে বিষয়ে কোনো জ্ঞান নেই।’
এ পরিবর্তন কি মৃত্যুর অর্থ বদলে দেবে? এ মুহূর্তে এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে ‘না’। তবে কয়েকজন নীতিশাস্ত্রজ্ঞরা বলছেন, ‘আমাদের এখন কাদের মস্তিষ্ক মারা গেছে, তা নিয়ে বিতর্ক করতে হবে।’
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল এথিকস অ্যান্ড নিওন্যাটোলজিস্টের পরামর্শক ডমিনিক উইলকিনসন বলেন, বর্তমানে যখন কাউকে ব্রেন ডেড হিসেবে ধরা হবে, তখন তাকে ফিরিয়ে আনার কোনা উপায় নেই। যদি কোনো মানুষের ক্ষেত্রে এটা ঘটে, তবে তাকে চিরবিদায় বলতে হবে। তবে ভবিষ্যতে যদি মৃত্যুর পরে তার মস্তিষ্ককে ফিরিয়ে আনা যায়, তার চেতনা ও ব্যক্তিত্ব ফিরে আসে, তবে তা মৃত্যুর সংজ্ঞায় বড় প্রভাব ফেলবে।
তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় শূকরের মস্তিষ্কে চেতনা ফেরানো যায়নি। মস্তিষ্ক নীরব ছিল।
তবে এ গবেষণা বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, কতক্ষণ পর্যন্ত মস্তিষ্ককে টিকিয়ে রাখতে পারতেন গবেষকেরা, চার ঘণ্টা অপেক্ষা না করলে কী হতো? আবার গবেষকেরা মস্তিষ্কের উদ্দীপনা ঠেকাতে ওষুধ ব্যবহার না করলে কি ফলাফল অন্য রকম হতে পারত? এ প্রশ্নও উঠছে।
No comments