নববর্ষে বিদেশি অতিথি
বাংলাদেশকে
খুব কাছ থেকে দেখা লোটে শেরিংয়ের। এ দেশের মাটির গন্ধ, চাঁদ-সুরুজ
আকাশ-বাতাস তার খুব পরিচিত। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের নানা উৎসব, পার্বণ
তাকে টানে সবসময়। তাইতো তিনি চিরচেনা সেই বৈশাখী উৎসবে যোগ দিতে ছুটে
এসেছেন বাংলাদেশে। তিনি আর কেউ নন। বাংলাদেশের বন্ধু ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
লোটে শেরিং। ঢাকার খুব কাছের শহর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন ছাত্র
ডাক্তার লোটে শেরিং বাংলাদেশকে তখনই ভালোবেসে গেছেন। মেডিকেল কলেজের পুরোটা
সময় বাংলাদেশকে দেখেছেন অন্যরকমভাবে।
তার অনেক বন্ধু বান্ধবও রয়েছেন এখানে।
রয়েছেন শিক্ষকও। ছাত্রাবস্থায় ভুটান-বাংলাদেশে অহরহ আসা-যাওয়া করলেও এবারের আসা এক ভিন্নরুপে। রাষ্ট্রীয় সফরে। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে। আর চারদিনের এ সফরে বাঙালির প্রাণের উৎসব নববর্ষে অতিথি হিসাবে থাকছেন তিনি। স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতিদাতা ভূটানের প্রধানমন্ত্রী পহেলা বৈশাখের আয়োজনে অংশ নেয়া ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গভীর করার বিষয়ে বাংলাদেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে ডা. শেরিং ১৯৯৮ সালে এমবিবিএস পাস করেন। অবশ্য তিনি বাংলাদেশ কাটিয়েছেন ২০০৩ সাল পর্যন্ত। তিনি উচ্চতর পড়াশোনা করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ডাক্তারি পড়া শেষে ভুটানে ফিরে রাজনীতিতে যোগ দেন। মাত্র ১৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে নিজের যোগ্যতাবলে গত নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি।
বাংলাদেশী ওই এলামনাই এখানকার কৃষ্টি-কালচারের সঙ্গে পরিচিত। পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপযাপনের আয়োজন তার বেশ পছন্দের। আর এ জন্যই নববর্ষকে সামনে রেখে দ্বিপক্ষীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বাংলাদেশে বিশেষ আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। শুক্রবার সকালে রয়্যাল ভুটান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ডা. শেরিং সস্ত্রীক ঢাকা পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী নিজে বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এ সময় একটি ছোট্ট শিশু ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। ডা. লোটের আগমন উপলক্ষ্যে ১৯ বার তোপধ্বনি করা হয়। পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে সুসজ্জিত চৌকষ দল ভুটানিজ প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীও তার সফরসঙ্গীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করান। মন্ত্রি পরিষদ সদস্যবৃন্দ, মন্ত্রি পরিষদ সচিব, সংশ্লিষ্ট সচিববৃন্দ তিনবহিনীর প্রধান, কূটনৈতিক কোরের ডীন এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা পর্ব শেষে একটি সুশোভিত মোটর শোভাযাত্রা সহযোগে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে নিয়ে যাওয়া হয়। সফরকালে তিনি সেখানেই অবস্থান করবেন। গত ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর এটিই ডা. শেরিংয়ের প্রথম বাংলাদেশ সফর। তার সঙ্গে এসেছেন ২০ সদস্যের সরকারি ডেলিগেশন। তারা আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, অভ্যন্তরীণ নদীপথ, স্বাস্থ্য ও কৃষিখাতে সহযোগিত বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করবেন দু’দেশের সরকার প্রধান।
অন্যান্য কর্মসূচী: সফরের প্রথম দিনে ডা. লোটে সাভারে বীর মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। দুপুরে কূটনৈতিক জোনে একাধিক কর্মসূিচতে অংশ নেয়া ছাড়াও বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড.একে আবদুল মোমেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার হোটেল কক্ষে সাক্ষাৎ করেন। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে (পিএমও) বৈঠক করবেন। সেখানে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা, অভ্যন্তরীন কার্গো চলাচল, স্বাস্থ্য এবং কৃষি খাত সংক্রান্ত ৫টি সমঝোতা হওয়ার কথা রয়েছে। পরে তার হোটেল স্যুটে স্বাস্থ্য এবং পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. জাহিদ মালিক এবং নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। সন্ধ্যায় ভূটানের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এরপরে তার সম্মানে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নৈশভোজে তিনি যোগদান করবেন। আগামীকাল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে তিনি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সুরের ধারা আয়োজিত বর্ষবরণের সাংস্কৃতিক আয়োজন উপভোগ করবেন। একই দিনে তার প্রাক্তন শিক্ষালয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে যাবেন। সেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় ছাড়াও এক পুনর্মিলনীতে যোগ দেবেন তিনি। বিকেলে ঢাকায় ফেরার পর বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সফর শেষে ১৫ এপ্রিল সকালে তিনি ঢাকা ছেড়ে যাবেন।
তার অনেক বন্ধু বান্ধবও রয়েছেন এখানে।
রয়েছেন শিক্ষকও। ছাত্রাবস্থায় ভুটান-বাংলাদেশে অহরহ আসা-যাওয়া করলেও এবারের আসা এক ভিন্নরুপে। রাষ্ট্রীয় সফরে। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে। আর চারদিনের এ সফরে বাঙালির প্রাণের উৎসব নববর্ষে অতিথি হিসাবে থাকছেন তিনি। স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতিদাতা ভূটানের প্রধানমন্ত্রী পহেলা বৈশাখের আয়োজনে অংশ নেয়া ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গভীর করার বিষয়ে বাংলাদেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে ডা. শেরিং ১৯৯৮ সালে এমবিবিএস পাস করেন। অবশ্য তিনি বাংলাদেশ কাটিয়েছেন ২০০৩ সাল পর্যন্ত। তিনি উচ্চতর পড়াশোনা করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ডাক্তারি পড়া শেষে ভুটানে ফিরে রাজনীতিতে যোগ দেন। মাত্র ১৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে নিজের যোগ্যতাবলে গত নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি।
বাংলাদেশী ওই এলামনাই এখানকার কৃষ্টি-কালচারের সঙ্গে পরিচিত। পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপযাপনের আয়োজন তার বেশ পছন্দের। আর এ জন্যই নববর্ষকে সামনে রেখে দ্বিপক্ষীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বাংলাদেশে বিশেষ আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। শুক্রবার সকালে রয়্যাল ভুটান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ডা. শেরিং সস্ত্রীক ঢাকা পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী নিজে বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এ সময় একটি ছোট্ট শিশু ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। ডা. লোটের আগমন উপলক্ষ্যে ১৯ বার তোপধ্বনি করা হয়। পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে সুসজ্জিত চৌকষ দল ভুটানিজ প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় ভুটানের প্রধানমন্ত্রীও তার সফরসঙ্গীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করান। মন্ত্রি পরিষদ সদস্যবৃন্দ, মন্ত্রি পরিষদ সচিব, সংশ্লিষ্ট সচিববৃন্দ তিনবহিনীর প্রধান, কূটনৈতিক কোরের ডীন এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা পর্ব শেষে একটি সুশোভিত মোটর শোভাযাত্রা সহযোগে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে নিয়ে যাওয়া হয়। সফরকালে তিনি সেখানেই অবস্থান করবেন। গত ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর এটিই ডা. শেরিংয়ের প্রথম বাংলাদেশ সফর। তার সঙ্গে এসেছেন ২০ সদস্যের সরকারি ডেলিগেশন। তারা আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, অভ্যন্তরীণ নদীপথ, স্বাস্থ্য ও কৃষিখাতে সহযোগিত বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করবেন দু’দেশের সরকার প্রধান।
অন্যান্য কর্মসূচী: সফরের প্রথম দিনে ডা. লোটে সাভারে বীর মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। দুপুরে কূটনৈতিক জোনে একাধিক কর্মসূিচতে অংশ নেয়া ছাড়াও বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড.একে আবদুল মোমেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার হোটেল কক্ষে সাক্ষাৎ করেন। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে (পিএমও) বৈঠক করবেন। সেখানে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা, অভ্যন্তরীন কার্গো চলাচল, স্বাস্থ্য এবং কৃষি খাত সংক্রান্ত ৫টি সমঝোতা হওয়ার কথা রয়েছে। পরে তার হোটেল স্যুটে স্বাস্থ্য এবং পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. জাহিদ মালিক এবং নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। সন্ধ্যায় ভূটানের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এরপরে তার সম্মানে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নৈশভোজে তিনি যোগদান করবেন। আগামীকাল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে তিনি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সুরের ধারা আয়োজিত বর্ষবরণের সাংস্কৃতিক আয়োজন উপভোগ করবেন। একই দিনে তার প্রাক্তন শিক্ষালয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে যাবেন। সেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় ছাড়াও এক পুনর্মিলনীতে যোগ দেবেন তিনি। বিকেলে ঢাকায় ফেরার পর বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সফর শেষে ১৫ এপ্রিল সকালে তিনি ঢাকা ছেড়ে যাবেন।
No comments