ব্যাংকে মুনাফা কমার ধাক্কা পুঁজিবাজারে
ধারাবাহিক
দরপতন ও লেনদেন খরায় দেশের শেয়ারবাজার। এজন্য পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত
বেশির ভাগ ব্যাংকগুলোর মুনাফা কমায় এই দরপতন বলে মনে করছেন বাজার
সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি বিদেশিদের শেয়ার বিক্রির চাপও এই পতনের অন্যতম কারণ
হিসেবে উল্লেখ করেছেন তারা। জানা গেছে , টানা ১৩ কার্যদিবস পতনের পর সোমবার
বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর ও মূল্য সূচক বেড়েছিল। এর একদিন পরই মঙ্গলবার
আবারও পুরনো বৃত্তে ফিরে গেছে বাজার। তবে সপ্তাহের শেষ দিন সূচক বাড়লেও
লেনদেন কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিশ্লষকরা জানান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনের দুই প্রতিষ্ঠান শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জেকে পাওয়ার মতো সুখবরও বাজারে প্রাণ ফিরছে না। ক্রমগত শেয়ারের দরপতনে কমে আসছে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি। পুঁজি হারানোর শঙ্কার পাশাপাশি আস্থার সংকটে পড়েছে বিনিয়োগকারীরা। তারা বলেন, ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। ক্ষতি এড়াতে ব্যাংকগুলোকে বেশি করে টাকা তাদের মুনাফা থেকে সরিয়ে রাখতে হচ্ছে, তাই মুনাফা কমে গেছে। এছাড়া প্রথম প্রান্তিকে রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার প্রভাব ব্যাংকিং খাতে পড়েছে বলে মনে করেন তারা। আর ব্যাংকগুলোর টাকায় কমতি থাকায় বেশি সুদে আমানত সংগ্রহ করতে হচ্ছে বলেও মুনাফা কমে গেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে বেশির ভাগেরই মুনাফা কমেছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে ২৬টি ব্যাংক তাদের ২০১৮ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের শেয়ারপ্রতি মুনাফার তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, ১৪টি ব্যাংকের মুনাফা আগের বছরের এই সময়ের তুলনায় কমেছে। ১২টি ব্যাংকের মুনাফা আগের বারের চেয়ে বেড়েছে। এদিকে বুধবার ব্যাংক খাতের ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৮টি প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৮টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টির এবং ১৬টির প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর কমেছে।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১৪টি ব্যাংকের মুনাফা কমেছে। ওয়ান ব্যাংক প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৩৩ পয়সা, যা আগের বারের তুলনায় ৯০ পয়সা বা ৭৩ শতাংশ কম। এই সময়ে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৮ পয়সা, যা আগেরবারের চেয়ে ১১ পয়সা বা ৫৮ শতাংশ কম। প্রাইম ব্যাংক এই তিন মাসে ৩৪ পয়সা শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে, যা আগেরবারের চেয়ে ৪৪ পয়সা বা ৫৬ শতাংশ কম। এবি ব্যাংক প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১৬ পয়সা, যা আগের তুলনায় ১৫ পয়সা বা ৪৮ শতাংশ কম। উত্তরা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা আগের চেয়ে ৩৩ পয়সা বা ৪৬ শতাংশ কমে ৩৯ পয়সায় নেমেছে। ইস্টার্ন ব্যাংক তিন মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৬৯ পয়সা, যা আগের চেয়ে ৫৮ পয়সা বা ৪৬ শতাংশ কম। ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা আগের চেয়ে ২৯ পয়সা বা ৪৫ শতাংশ কমে ৩৬ পয়সায় নেমেছে। আল-আরাফাহ্? ইসলামী ব্যাংক শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৪১ পয়সা, যা আগের চেয়ে ৩০ পয়সা বা ৪২ শতাংশ কম। সাউথইস্ট ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা ২৯ শতাংশ কমে যথাক্রমে ৬৮ পয়সা ও ২৭ পয়সায় নেমেছে। ট্রাস্ট ব্যাংক শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৮৩ পয়সা, যা আগের চেয়ে ২২ পয়সা বা ২১ শতাংশ কম। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা আগের চেয়ে ১৮ শতাংশ কমে যথাক্রমে ৪০ পয়সা ও ৮৫ পয়সায় নেমেছে। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৪৪ পয়সা, যা আগের চেয়ে ৪ পয়সা বা ৮ শতাংশ কম।
এদিকে ১১ ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৩৬ পয়সা, যা আগের প্রান্তিকের চেয়ে ২৬ পয়সা বা ২৬০ শতাংশ বেশি। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা আগের চেয়ে ২১ পয়সা বা ২১০ শতাংশ বেড়ে ৩১ পয়সায় উঠেছে। ব্যাংক এশিয়া মুনাফা করেছে ৬০ পয়সা, যা আগের চেয়ে ২৫ পয়সা বা ৭১ শতাংশ বেশি। যমুনা ব্যাংক এই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৫২ পয়সা, যা আগের চেয়ে ১৩ পয়সা বা ৩৩ শতাংশ বেশি। মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা আগের চেয়ে ১৬ পয়সা বা ২৮ শতাংশ বেড়ে ৭৩ পয়সায় উঠেছে। আইএফআইসি ব্যাংক এই সময়ে মুনাফা করেছে ৩০ পয়সা, যা আগের চেয়ে ৪ পয়সা বা ১৫ শতাংশ বেশি। ব্র্যাক ব্যাংক শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে এক টাকা ১৮ পয়সা, যা আগের চেয়ে ১১ পয়সা বা ১০ শতাংশ বেশি। ঢাকা ব্যাংক শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৫৫ পয়সা যা, আগের বারের তুলনায় ৫ পয়সা বা ১০ শতাংশ বেশি। ডাচ্্-বাংলা ব্যাংক এই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৩ টাকা ১৯ পয়সা, যা আগের চেয়ে ২৮ পয়সা বা ১০ শতাংশ বেশি। প্রিমিয়ার ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা আগের চেয়ে ৩ পয়সা বা ৭ শতাংশ বেড়ে ৪৫ পয়সায় উঠেছে। ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৩৯ পয়সা, যা আগের চেয়ে ১ পয়সা বা ৩ শতাংশ বেশি।
এ সময়ে লোকসান কমেছে একটি ব্যাংকের। এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ৩৪ পয়সা, যা আগের বারের তুলনায় ১৯ পয়সা বা ৩৬ শতাংশ কম।
ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, বিদেশিদের শেয়ার বিক্রির চাপ পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলেছে। এছাড় ডলারের বিপরীতে টাকার মান ক্রমাগত কমে যাওয়াও এ প্রবণতাকে উসকে দিচ্ছে।
এদিকে গত ১৩ কর্যদিবসে বাজার মূলধন কমেছে ২০ হাজার ৪৮২ কোটি টাকার বেশি। একই চিত্র চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, ব্যাংকগুলোতে সুদের হার অনেক বেড়ে গেছে। মানুষ পুঁজিবাজার থেকে টাকা তুলে বেশি লাভের জন্য ব্যাংকে রাখছে। সার্বিকভাবে পুঁজিবাজারকে প্রভাবিত করেছে বলে মনে করেন লালী।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪২৯ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে ৪৭৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১৫ কোটি টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৮৮ কোটি টাকার। অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৭৪৯ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৮ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার।
বিশ্লষকরা জানান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনের দুই প্রতিষ্ঠান শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জেকে পাওয়ার মতো সুখবরও বাজারে প্রাণ ফিরছে না। ক্রমগত শেয়ারের দরপতনে কমে আসছে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি। পুঁজি হারানোর শঙ্কার পাশাপাশি আস্থার সংকটে পড়েছে বিনিয়োগকারীরা। তারা বলেন, ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। ক্ষতি এড়াতে ব্যাংকগুলোকে বেশি করে টাকা তাদের মুনাফা থেকে সরিয়ে রাখতে হচ্ছে, তাই মুনাফা কমে গেছে। এছাড়া প্রথম প্রান্তিকে রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার প্রভাব ব্যাংকিং খাতে পড়েছে বলে মনে করেন তারা। আর ব্যাংকগুলোর টাকায় কমতি থাকায় বেশি সুদে আমানত সংগ্রহ করতে হচ্ছে বলেও মুনাফা কমে গেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে বেশির ভাগেরই মুনাফা কমেছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে ২৬টি ব্যাংক তাদের ২০১৮ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের শেয়ারপ্রতি মুনাফার তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, ১৪টি ব্যাংকের মুনাফা আগের বছরের এই সময়ের তুলনায় কমেছে। ১২টি ব্যাংকের মুনাফা আগের বারের চেয়ে বেড়েছে। এদিকে বুধবার ব্যাংক খাতের ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৮টি প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৮টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টির এবং ১৬টির প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর কমেছে।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১৪টি ব্যাংকের মুনাফা কমেছে। ওয়ান ব্যাংক প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৩৩ পয়সা, যা আগের বারের তুলনায় ৯০ পয়সা বা ৭৩ শতাংশ কম। এই সময়ে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৮ পয়সা, যা আগেরবারের চেয়ে ১১ পয়সা বা ৫৮ শতাংশ কম। প্রাইম ব্যাংক এই তিন মাসে ৩৪ পয়সা শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে, যা আগেরবারের চেয়ে ৪৪ পয়সা বা ৫৬ শতাংশ কম। এবি ব্যাংক প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ১৬ পয়সা, যা আগের তুলনায় ১৫ পয়সা বা ৪৮ শতাংশ কম। উত্তরা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা আগের চেয়ে ৩৩ পয়সা বা ৪৬ শতাংশ কমে ৩৯ পয়সায় নেমেছে। ইস্টার্ন ব্যাংক তিন মাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৬৯ পয়সা, যা আগের চেয়ে ৫৮ পয়সা বা ৪৬ শতাংশ কম। ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা আগের চেয়ে ২৯ পয়সা বা ৪৫ শতাংশ কমে ৩৬ পয়সায় নেমেছে। আল-আরাফাহ্? ইসলামী ব্যাংক শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৪১ পয়সা, যা আগের চেয়ে ৩০ পয়সা বা ৪২ শতাংশ কম। সাউথইস্ট ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা ২৯ শতাংশ কমে যথাক্রমে ৬৮ পয়সা ও ২৭ পয়সায় নেমেছে। ট্রাস্ট ব্যাংক শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৮৩ পয়সা, যা আগের চেয়ে ২২ পয়সা বা ২১ শতাংশ কম। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা আগের চেয়ে ১৮ শতাংশ কমে যথাক্রমে ৪০ পয়সা ও ৮৫ পয়সায় নেমেছে। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৪৪ পয়সা, যা আগের চেয়ে ৪ পয়সা বা ৮ শতাংশ কম।
এদিকে ১১ ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৩৬ পয়সা, যা আগের প্রান্তিকের চেয়ে ২৬ পয়সা বা ২৬০ শতাংশ বেশি। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা আগের চেয়ে ২১ পয়সা বা ২১০ শতাংশ বেড়ে ৩১ পয়সায় উঠেছে। ব্যাংক এশিয়া মুনাফা করেছে ৬০ পয়সা, যা আগের চেয়ে ২৫ পয়সা বা ৭১ শতাংশ বেশি। যমুনা ব্যাংক এই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৫২ পয়সা, যা আগের চেয়ে ১৩ পয়সা বা ৩৩ শতাংশ বেশি। মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা আগের চেয়ে ১৬ পয়সা বা ২৮ শতাংশ বেড়ে ৭৩ পয়সায় উঠেছে। আইএফআইসি ব্যাংক এই সময়ে মুনাফা করেছে ৩০ পয়সা, যা আগের চেয়ে ৪ পয়সা বা ১৫ শতাংশ বেশি। ব্র্যাক ব্যাংক শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে এক টাকা ১৮ পয়সা, যা আগের চেয়ে ১১ পয়সা বা ১০ শতাংশ বেশি। ঢাকা ব্যাংক শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৫৫ পয়সা যা, আগের বারের তুলনায় ৫ পয়সা বা ১০ শতাংশ বেশি। ডাচ্্-বাংলা ব্যাংক এই সময়ে শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৩ টাকা ১৯ পয়সা, যা আগের চেয়ে ২৮ পয়সা বা ১০ শতাংশ বেশি। প্রিমিয়ার ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা আগের চেয়ে ৩ পয়সা বা ৭ শতাংশ বেড়ে ৪৫ পয়সায় উঠেছে। ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৩৯ পয়সা, যা আগের চেয়ে ১ পয়সা বা ৩ শতাংশ বেশি।
এ সময়ে লোকসান কমেছে একটি ব্যাংকের। এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ৩৪ পয়সা, যা আগের বারের তুলনায় ১৯ পয়সা বা ৩৬ শতাংশ কম।
ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, বিদেশিদের শেয়ার বিক্রির চাপ পরিস্থিতিকে আরও নাজুক করে তুলেছে। এছাড় ডলারের বিপরীতে টাকার মান ক্রমাগত কমে যাওয়াও এ প্রবণতাকে উসকে দিচ্ছে।
এদিকে গত ১৩ কর্যদিবসে বাজার মূলধন কমেছে ২০ হাজার ৪৮২ কোটি টাকার বেশি। একই চিত্র চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বলেন, ব্যাংকগুলোতে সুদের হার অনেক বেড়ে গেছে। মানুষ পুঁজিবাজার থেকে টাকা তুলে বেশি লাভের জন্য ব্যাংকে রাখছে। সার্বিকভাবে পুঁজিবাজারকে প্রভাবিত করেছে বলে মনে করেন লালী।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪২৯ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে ৪৭৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১৫ কোটি টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৮৮ কোটি টাকার। অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৭৪৯ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৮ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার।
No comments