আকস্মিক সফরে মেক্সিকোয় ট্রাম্প
আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকানদলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আকস্মিকভাবে মেক্সিকো সফর করেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার মেক্সিকোতে দেশটির প্রেসিডেন্ট পিনা নিয়েতোর সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়া সামলানোর বিষয়ে একটি প্রস্তাব দেয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে নিয়েতোর সঙ্গে ট্রাম্পের এ বৈঠক সবাইকে আগ্রহী করে তুলেছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের। মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প নিজেই তার মেক্সিকোযাত্রার কথা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে তিনি সেখানে যাচ্ছেন। টুইটার বার্তায় বলা হয়, ‘আমি মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছি এবং তার সঙ্গে আগামীকালের বৈঠক নিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’ ট্রাম্প ও পিনা নিয়েতোর বৈঠকের বিষয়টি মেক্সিকান সরকারও বুধবার নিশ্চিত করেছে। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট পিনা নিয়েতোও এক টুইটে বলেন, ‘মেক্সিকোর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আমি সবসময়ই আলোচনায় আগ্রহী; আরও বিশেষ করে যেখানে মেক্সিকানদের রক্ষা করার বিষয় থাকে।’ নিয়েতোর দফতর জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মেক্সিকানদের ‘সন্ত্রাসী’ ও ‘ধর্ষক’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে মার্কিন নাগরিকদের চাকরি না পাওয়ার পেছনেও মেক্সিকান অভিবাসীদের দায়ী করেছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের ভাষ্য, সস্তা শ্রমের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো মেক্সিকোর নাগরিকদের বেশি সুযোগ দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তুলে দেয়ার ইচ্ছার কথাও বারবার বলেছেন এ আবাসন ব্যবসায়ী। তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন পিনা নিয়েতো। তিনি বলছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প জিতে গেলে যুক্তরাষ্ট্র যদি এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা হাতেও নেয়, সেখানে মেক্সিকো অর্থ ব্যয় করবে না। প্রত্যুত্তরে ট্রাম্প বলেছিলেন, প্রয়োজনে অভিবাসী মেক্সিকানদের রেমিটেন্স আটকে দেয়াল নির্মাণের ব্যয় আদায় করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রে বিপুলসংখ্যক মেক্সিকান অভিবাসী রয়েছে। এদের পাঠানো রেমিটেন্সের ওপর দরিদ্র মেক্সিকানরা অনেকাংশে নির্ভর করে। সেজন্য ট্রাম্পের বক্তব্য দেশটির জনগণকে শঙ্কিত করে তুলেছে। ধনকুবের এই ব্যবসায়ীর এসব বক্তব্যের প্রতিবাদে মেক্সিকোতে বিক্ষোভ হয়েছে; খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডেতে ট্রাম্পের মৃত্যু কামনা করে পোড়ানো হয়েছে কুশপুত্তলিকা। জনমত জরিপে ডেমোক্রেটদলীয় প্রার্থী হিলারির চেয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে আছেন ট্রাম্প।
এ জন্য অভিবাসী, মুসলমান ও মেক্সিকানদের নিয়ে তার ‘তির্যক মন্তব্য’কে দায়ী করা হচ্ছে। অনেকে অবশ্য ট্রাম্পের এ ধরনের বক্তব্যকে ‘প্রচার পাওয়ার কৌশল’ হিসেবেও অ্যাখ্যা দিয়েছেন। রিপাবলিকান প্রাইমারিতে জয় পেলেন ম্যাককেইন : নভেম্বরের কংগ্রেসে নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন বর্ষীয়ান রিপাবলিকান সিনেটর জন ম্যাককেইন। এএফপি জানায়, আগামী নভেম্বরে পুনরায় সিনেট সদস্য পদে নির্বাচনের জন্য রিপাবলিকানদের সমর্থন পেয়েছেন আরিজোনা রাজ্যের ৮০ বছর বয়সী এ সিনেটর। এর আগে ৬ বছর মেয়াদের এ পদে টানা ৫ বার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ২০০৮ সালে বারাক ওবামার বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করে হেরে যান ভিয়েতনাম যুদ্ধের এই বীর। তবে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ট ট্রাম্প তাকে সমর্থন করবেন না বলে হুমকি দেন। কিন্তু চাপের মুখে ম্যাককেইনকে সমর্থন দিতে বাধ্য হন তিনি। প্রেসিডেন্ট ওবামার দ্বিতীয় মেয়াদে কংগ্রেসের দখল নিয়েছে রিপাবলিকানরা। এবারও তা ধরে রাখার জন্য লড়ছে তারা।
No comments