ওয়ালশই হচ্ছেন বোলিং কোচ
হিথ স্ট্রিক চলে যাওয়ার পর তার শূন্য আসন কাকে দিয়ে পূরণ করা হবে এ নিয়ে গবেষণা কম হয়নি। হালফিল উঠে এসেছিল ‘সাদা বিদ্যুৎ’ খ্যাত অ্যালান ডোনাল্ডের নাম। হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের (এইচপি) সঙ্গে সংক্ষিপ্ত সময় থাকা আকিব জাভেদের নামও ইতস্তত শোনা গেছে। শেষমেশ তার চেয়েও বড় নাম প্রতিভাত হয়েছে। সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক কোর্টনি ওয়ালশই বাংলাদেশ দলের নতুন বোলিং কোচ হতে চলেছেন। খেলোয়াড়ি জীবনে এই ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলার সুখ্যাতি পেয়েছিলেন ‘হুইসপারিং ডেথ’ নামে। তার রানআপের সময় আম্পায়ার কোনো শব্দ পেতেন না বলে এই নামে ডাকা হতো ওয়ালশকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের গৌরবোজ্জ্বল সময়ের সারথি সেই ওয়ালশের বোলিং কোচ হওয়া প্রায় নিশ্চিত। এ নিয়ে অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিশ্চুপ। ওয়ালশও কোনো উচ্চবাচ্য করেননি। তাই বলে থেমে নেই ফিসফিসানি। তার নিঃশব্দ রানআপের মতোই মুস্তাফিজ-তাসকিনদের বোলিং কোচ হওয়ার বিষয়টিও অনুচ্চারিত। গোটা ছবি পরিষ্কার হবে সামনের সপ্তাহে। যখন হিথ স্ট্রিকের জুতায় পা গলানোর জন্য ঢাকায় আসবেন ১৩২ টেস্টে ৫১৯ উইকেট নেয়া ওয়ালশ। ২০৫টি ওডিআইতে ২২৭ উইকেট পাওয়া এই সাবেক ডান-হাতি ফাস্ট বোলার আগামী ৩০ অক্টোবর ৫৪-তে পা রাখবেন।
তার আগেই পেয়ে যাবেন তিনি জন্মদিনের সেরা উপহার। দেড় দশক আগে টেস্টে সে সময়ের শীর্ষ উইকেট শিকারি বোলার হিসেবে অবসর নেয়া ওয়ালশ খেলোয়াড়-উত্তর জীবনে এই প্রথম বড়সড় দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন। ২০০১-এ খেলা ছেড়ে দেয়ার পর তিনি যে ক্রিকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন তা নয়। টুকরো টাকরা কাজ করেছেন। কখনও ওয়েস্ট ইন্ডিজের নির্বাচক হিসেবে। আবার সিপিএলে সাকিব আল হাসানের দল জ্যামাইকা তালাওয়াহসের মেন্টর হিসেবেও কাজ করেছেন। এর বাইরে তাকে দেখা গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ম্যানেজার হিসেবে। অতি সম্প্রতি তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের নির্বাচক প্যানেলের সদস্য ছিলেন। বোলিং কোচ হিসেবে ওয়ালশ যোগ দিলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে আবারও ফিরে আসবে ক্যারিবীয় সুবাস। সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার গর্ডন গ্রিনিজ টাইগারদের কোচ ছিলেন। ’৯৭ আইসিসি ট্রফি জয়ের সিঁড়ি বেয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অভিষেক হয়েছিল ১৯৯৯-তে। সেই অভিষেকলগ্ন বাংলাদেশ রাঙিয়েছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬২ রানের ঐতিহাসিক জয়ের মধ্য দিয়ে। ক্যারিবীয় কৌলীন্যের কালের উজ্জ্বল সারথি গর্ডন গ্রিনিজের পর ওয়ালশের বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হওয়া এক অবিস্মৃত প্রাপ্তি হতে চলেছে।
No comments