যুক্তরাজ্যের সামনে ৫ চ্যালেঞ্জ
ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট পড়ার পর ইইউপন্থীরা গতকাল লন্ডনে বিক্ষোভ করেন এবং পুনরায় গণভোট গ্রহণের দাবি তোলেন। এএফপি |
গণভোটের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়েই যেতে হচ্ছে যুক্তরাজ্যকে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ‘ব্রেক্সিট’ প্রক্রিয়া শুরুর পর যুক্তরাজ্যকে মোকাবিলা করতে হবে পাঁচটি বড় চ্যালেঞ্জ। সেগুলো হলো:
অভিবাসন: যুক্তরাজ্য সরকার দেশটিতে ইইউ অভিবাসীদের আগমন হ্রাস করার চেষ্টা করবে। এ ক্ষেত্রে সম্ভবত অস্ট্রেলিয়ার মতো পয়েন্টভিত্তিক ব্যবস্থা চালু তথা উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীদের অগ্রাধিকার দিয়ে নিম্ন দক্ষতার কর্মীদের প্রবেশে বাধার সৃষ্টি করা হবে। ইইউর অনেক চাকরিপ্রত্যাশীকে যুক্তরাজ্য ছাড়তেও বলা হতে পারে।
তবে প্রথমেই যুক্তরাজ্যকে সে দেশে অবস্থানরত প্রায় ২২ লাখ ইইউ কর্মীর মর্যাদা স্পষ্ট করতে হবে। এটি নির্ধারণ করতে গিয়ে এই কর্মীদের পারিবারিক পুনর্মিলন বা অবাধ চলাচলের নিয়মকানুন কড়াকড়ি করা হতে পারে। আগামী দুই বছরের মধ্যে এটা হয়তো হবে না। তবে এটাও ঠিক, ইইউভুক্ত বিভিন্ন দেশে যুক্তরাজ্যের প্রায় ২০ লাখ নাগরিক বাস করছেন। তাই ইইউ কর্মীদের নিশানা করে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলে যুক্তরাজ্যকেও পাল্টা ব্যবস্থার সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে।
বাতিল হবে যুক্তরাজ্যের বিশেষ চুক্তি: প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের স্বার্থ রক্ষায় ইইউর সঙ্গে এক বিশেষ চুক্তিতে উপনীত হন। এর অধীন দেশটিকে জোটে অন্য সদস্যদের তুলনায় এক বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। নিশ্চয়তা দেওয়া হয় জোটের বিশাল অভিন্ন বাজারে বৈষম্যের শিকার না হওয়ারও। বিনিময়ে যুক্তরাজ্যও ইউরোজোনের ঐক্য সুসংহত করার পথে বাধা না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এখন এই মর্যাদা ও নিশ্চয়তা খোয়াতে হতে পারে যুক্তরাজ্যকে।
ইইউ ছাড়ার সময়সীমা নাও বাড়তে পারে: গণভোটে জয়ী হলেও এখনই ইইউ ছাড়ছে না যুক্তরাজ্য। জোট ছাড়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হতে দুই বছরের মতো লাগবে। প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন আগামী অক্টোবরের মধ্যে পদত্যাগ করে তাঁর উত্তরসূরির ওপর এ প্রক্রিয়া শুরুর কাজ অর্পণ করতে চান বলে জানিয়েছেন। লিসবন চুক্তির ৫০ ধারা অনুযায়ী, দুই বছরের এ সময়সীমা শুধু তখনই বাড়ানো সম্ভব, যখন ইইউর ২৮ সদস্যের সবাই এ বিষয়ে একমত হবে। আবার ইইউ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে যাওয়ার আগে দেশটি কার্যত জোটের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না।
নতুন বাণিজ্য সম্পর্ক: ইইউ ও যুক্তরাজ্যের নতুন বাণিজ্য সম্পর্ক কী হবে, তা নির্ধারণে আলোচনা জোট ছাড়ার মেয়াদ দুই বছরের মধ্যে শুরু হতে পারে; যদিও সেটা আবশ্যক নয়। কিন্তু ইইউ যদি আলোচনা শুরু করতে যুক্তরাজ্যের আনুষ্ঠানিক বিদায় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায়, তবে তা পাঁচ বছর বা আরও বেশি সময়ের জন্য পেছাতে পারে। ফলে যুক্তরাজ্যের রপ্তানিকারকদের নতুন ইইউ আমদানি শুল্ক দিতে হবে। সম্মুখীন হতে হবে শুল্কমুক্ত বাধার। যেমন ইইউর সঙ্গে বাণিজ্য করতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে সম্মুখীন হতে হয়। ইইউর অভিন্ন বাজারে অগ্রাধিকারমূলক প্রবেশ সুবিধাও হারাতে হবে যুক্তরাজ্যকে। এ ছাড়া কানাডা, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ৫৩টি দেশের সঙ্গে ইইউর যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে, তা-ও আর যুক্তরাজ্যের জন্য প্রযোজ্য হবে না।
বাজেটে আর অবদান নয়: আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর যুক্তরাজ্য আর এ জোটের বাজেটে কোনো অবদান রাখতে পারবে না। এতে প্রতিবছর এ বাজেটে দেওয়া তার প্রকৃত অর্থ নিজ ঘরেই থেকে যাবে। এটা জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা খাতে বা জ্বালানির ওপর থেকে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার কাজে আংশিক ব্যয় হতে পারে; যে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ব্রেক্সিটের প্রচারকেরা। কিন্তু ইইউর বাজেটে অবদান না রাখার কারণে যুক্তরাজ্যের বিপুলসংখ্যক কৃষক এ জোটের দেশ থেকে সরাসরি কোনো অর্থ সহায়তা পাবেন না।
অভিবাসন: যুক্তরাজ্য সরকার দেশটিতে ইইউ অভিবাসীদের আগমন হ্রাস করার চেষ্টা করবে। এ ক্ষেত্রে সম্ভবত অস্ট্রেলিয়ার মতো পয়েন্টভিত্তিক ব্যবস্থা চালু তথা উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীদের অগ্রাধিকার দিয়ে নিম্ন দক্ষতার কর্মীদের প্রবেশে বাধার সৃষ্টি করা হবে। ইইউর অনেক চাকরিপ্রত্যাশীকে যুক্তরাজ্য ছাড়তেও বলা হতে পারে।
তবে প্রথমেই যুক্তরাজ্যকে সে দেশে অবস্থানরত প্রায় ২২ লাখ ইইউ কর্মীর মর্যাদা স্পষ্ট করতে হবে। এটি নির্ধারণ করতে গিয়ে এই কর্মীদের পারিবারিক পুনর্মিলন বা অবাধ চলাচলের নিয়মকানুন কড়াকড়ি করা হতে পারে। আগামী দুই বছরের মধ্যে এটা হয়তো হবে না। তবে এটাও ঠিক, ইইউভুক্ত বিভিন্ন দেশে যুক্তরাজ্যের প্রায় ২০ লাখ নাগরিক বাস করছেন। তাই ইইউ কর্মীদের নিশানা করে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলে যুক্তরাজ্যকেও পাল্টা ব্যবস্থার সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে।
বাতিল হবে যুক্তরাজ্যের বিশেষ চুক্তি: প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের স্বার্থ রক্ষায় ইইউর সঙ্গে এক বিশেষ চুক্তিতে উপনীত হন। এর অধীন দেশটিকে জোটে অন্য সদস্যদের তুলনায় এক বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়। নিশ্চয়তা দেওয়া হয় জোটের বিশাল অভিন্ন বাজারে বৈষম্যের শিকার না হওয়ারও। বিনিময়ে যুক্তরাজ্যও ইউরোজোনের ঐক্য সুসংহত করার পথে বাধা না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এখন এই মর্যাদা ও নিশ্চয়তা খোয়াতে হতে পারে যুক্তরাজ্যকে।
ইইউ ছাড়ার সময়সীমা নাও বাড়তে পারে: গণভোটে জয়ী হলেও এখনই ইইউ ছাড়ছে না যুক্তরাজ্য। জোট ছাড়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হতে দুই বছরের মতো লাগবে। প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন আগামী অক্টোবরের মধ্যে পদত্যাগ করে তাঁর উত্তরসূরির ওপর এ প্রক্রিয়া শুরুর কাজ অর্পণ করতে চান বলে জানিয়েছেন। লিসবন চুক্তির ৫০ ধারা অনুযায়ী, দুই বছরের এ সময়সীমা শুধু তখনই বাড়ানো সম্ভব, যখন ইইউর ২৮ সদস্যের সবাই এ বিষয়ে একমত হবে। আবার ইইউ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে যাওয়ার আগে দেশটি কার্যত জোটের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না।
নতুন বাণিজ্য সম্পর্ক: ইইউ ও যুক্তরাজ্যের নতুন বাণিজ্য সম্পর্ক কী হবে, তা নির্ধারণে আলোচনা জোট ছাড়ার মেয়াদ দুই বছরের মধ্যে শুরু হতে পারে; যদিও সেটা আবশ্যক নয়। কিন্তু ইইউ যদি আলোচনা শুরু করতে যুক্তরাজ্যের আনুষ্ঠানিক বিদায় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায়, তবে তা পাঁচ বছর বা আরও বেশি সময়ের জন্য পেছাতে পারে। ফলে যুক্তরাজ্যের রপ্তানিকারকদের নতুন ইইউ আমদানি শুল্ক দিতে হবে। সম্মুখীন হতে হবে শুল্কমুক্ত বাধার। যেমন ইইউর সঙ্গে বাণিজ্য করতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে সম্মুখীন হতে হয়। ইইউর অভিন্ন বাজারে অগ্রাধিকারমূলক প্রবেশ সুবিধাও হারাতে হবে যুক্তরাজ্যকে। এ ছাড়া কানাডা, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ৫৩টি দেশের সঙ্গে ইইউর যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে, তা-ও আর যুক্তরাজ্যের জন্য প্রযোজ্য হবে না।
বাজেটে আর অবদান নয়: আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর যুক্তরাজ্য আর এ জোটের বাজেটে কোনো অবদান রাখতে পারবে না। এতে প্রতিবছর এ বাজেটে দেওয়া তার প্রকৃত অর্থ নিজ ঘরেই থেকে যাবে। এটা জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা খাতে বা জ্বালানির ওপর থেকে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার কাজে আংশিক ব্যয় হতে পারে; যে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ব্রেক্সিটের প্রচারকেরা। কিন্তু ইইউর বাজেটে অবদান না রাখার কারণে যুক্তরাজ্যের বিপুলসংখ্যক কৃষক এ জোটের দেশ থেকে সরাসরি কোনো অর্থ সহায়তা পাবেন না।
No comments