জঙ্গিদের দায় স্বীকার তবু ফাঁসানো হলো নিরীহ ১৩ জনকে by গোলাম মর্তুজা ও আনোয়ার পারভেজ
১৩ বছর আগে জয়পুরহাটে এক পীরের খানকায় পাঁচজনকে খুন করা হয়েছিল। এর তিন বছর পর জেএমবির আমির শায়খ আবদুর রহমান টিএফআই সেলে জিজ্ঞাসাবাদে অন্য অনেক ঘটনার সঙ্গে এই পাঁচ খুনেও জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তারপরও এ মামলায় জঙ্গিদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির স্থানীয় ছয় নেতা-কর্মী, সাত শ্রমজীবীসহ ১৩ জন স্থানীয় বাসিন্দাকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
অভিযোগ রয়েছে, শুরুতে এই পাঁচ খুনকে ডাকাতির ঘটনা হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করে পুলিশ। তখন এলাকার বেশ কিছু মানুষকে পুলিশ আটক করে এবং দুজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করে এই ১৩ জনকে ফাঁসায়। পরবর্তী সময়ে জেএমবির প্রধান এর দায় স্বীকার করলেও পুলিশ আগের তদন্তকে সঠিক প্রমাণ করতে জঙ্গিদের সঙ্গে এসব ব্যক্তিকেও আসামি করে।
সিআইডি ২০০৮ সালের ১৮ নভেম্বর ২১ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এরপর সাত বছর পার হলেও এখনো সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। দীর্ঘদিন কারাভোগ করে এই ১৩ জন জামিনে মুক্ত হলেও এখনো মামলার ঘানি টানতে হচ্ছে।
এঁদের একজন দরজিশ্রমিক নূর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রায় এক যুগ ধরে আদালতে হাজিরা দিচ্ছি। মামলার খরচ জোগাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়েছি। ভিটেমাটি বিক্রি করতে হয়েছে। বিচারের কোনো লক্ষণ দেখছি না।’ আরেক আসামি সোলেমান আলী বলেন, বছরের পর বছর ধরে মামলার খরচ জোগাতে গিয়ে তিনি প্রায় নিঃস্ব।
২০০৩ সালের ২০ জানুয়ারি গভীর রাতে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বেগুনগ্রামে আস্তানায়ে চিশতিয়া নামে এক পীরের আস্তানায় পাঁচজনকে জবাই করে হত্যা করা হয়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মাজারের খাদেম নূরউদ্দিন, ভক্ত আফাজ উদ্দিন, দুলাল এবং বাবুর্চি সফিউদ্দিন ও মতিউর রহমান। এ ঘটনায় কালাই থানায় হত্যা মামলা হয়।
জয়পুরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্তের নামে প্রথমে কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এমদাদুল হকের বড় ভাই শাহজালালসহ ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর পুলিশ ২০০৩ সালের ৯ মার্চ শাহজালালের কাছ থেকে একটি জবানবন্দি আদায় করে। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেওয়া ওই জবানবন্দিতে শাহজালাল এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে তাঁর ভাই এমদাদুল হকসহ স্থানীয় পাঁচ আওয়ামী লীগ নেতার নাম বলেন। অন্যরা হলেন পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সোলায়মান আলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শমসের আলী ও বেলাল হোসেন।
এরপর ২০০৩ সালের ১০ মার্চ মামলাটি সিআইডিতে যায়। তিন বছর পর ২০০৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সিআইডি ভটভটিচালক হযরত আলীকে গ্রেপ্তার করে। পাঁচ দিন রিমান্ডে থাকার পর তিনিও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি জবানবন্দি দেন। তাতে আওয়ামী লীগের ওই পাঁচ নেতা-কর্মীর পাশাপাশি কালাই পৌর বিএনপির সহসভাপতি আনিসুর রহমান, দরজিশ্রমিক নূর মোহাম্মদ, স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দা মফছের আলী, মনতাজ ওরফে মমতাজ ও সিরাজউদ্দীনের নাম উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, এসব ব্যক্তি খানকায় ঢুকে পাঁচজনকে হত্যা করে সিন্দুকের টাকা লুট করে নিয়ে যান।
এর কিছুদিন পর সিলেটে গ্রেপ্তার হন জেএমবির প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আবদুর রহমান। তিনি ঢাকায় টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, ওই খানকায় ধর্মবিরোধী কার্যকলাপ হয় এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে জেএমবির সদস্য ওই হত্যাকাণ্ড চালায়। ২০০৬ সালের ২৫ মার্চ টিএফআই সেল থেকে এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
২০০৮ সালের ১৮ নভেম্বর এ মামলার সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির দিনাজপুর ক্যাম্পের পরিদর্শক (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) জালাল আহম্মেদ ২১ জনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দেন। তাতে জেএমবির জঙ্গি আছে আটজন। তাঁরা হলেন তরিকুল ওরফে ভাগনে শহীদ, এনামুল হক, আবু হাসান সরকার, রশিদুল, সালাউদ্দীন, তরিকুল ইসলাম ওরফে হাবিল, শফিউল্লা ওরফে তারেক ও রমজান আলী। অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় জেএমবির তিন শীর্ষস্থানীয় নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলাভাই ও আবদুল আউয়ালকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ‘অভিযুক্ত নহে’ বলে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে জেএমবির আরও ছয় সদস্যকে। তাঁদের মধ্যে একজন হারুন অর রশীদ ওরফে মামুন ২০০৬ সালে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হন। তিনি পুলিশ রিমান্ডে ও টিএফআই সেলে দেওয়া জবানবন্দিতে কালাইয়ে পাঁচ খুনে অন্য জঙ্গিদের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তারপরও তাঁকে এ মামলায় আসামি করা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগপত্র দাখিলকারী সিআইডির পরিদর্শক জালালউদ্দীন দাবি করেন, ‘এ রকম হওয়ার কথা নয়।’
নিরীহ ১৩ জনকে আসামি করার কারণ জানতে চাইলে জালালউদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর আগে কয়েকজন কর্মকর্তা মামলাটির তদন্ত করেন। তখন স্থানীয় কয়েকজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সে অনুযায়ী, ওই ১৩ জনকে আসামি করতে হয়েছে। জালালউদ্দীন বলেন, তিনি তদন্তকালে তিনি টিএফআই সেলে জেএমবির নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদের নথি হাতে পান, যার পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গিদের আসামি করেন।
আওয়ামী লীগের নেতা এমদাদুল হক বলেন, ‘ঢাকায় শীর্ষ জঙ্গিরা এই মামলায় স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর ভাবছিলাম, বোধ হয় খালাস পাব। আমি খুব অসুস্থ। টাকার অভাবে ভালোভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। কিন্তু মামলার হাজিরা দিতে হচ্ছে। খরচ করতে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জয়পুরহাটের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, এ মামলায় জঙ্গিদের পাশাপাশি কিছু স্থানীয় রাজনীতিক ও শ্রমজীবী মানুষকে জড়ানোর বিষয়টি তিনি জানেন। এখন কে দোষী, কে নির্দোষ তা আদালতে সাক্ষ্য-প্রমাণের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। এখানে আবেগের কোনো স্থান নাই।
অভিযোগ রয়েছে, শুরুতে এই পাঁচ খুনকে ডাকাতির ঘটনা হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করে পুলিশ। তখন এলাকার বেশ কিছু মানুষকে পুলিশ আটক করে এবং দুজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করে এই ১৩ জনকে ফাঁসায়। পরবর্তী সময়ে জেএমবির প্রধান এর দায় স্বীকার করলেও পুলিশ আগের তদন্তকে সঠিক প্রমাণ করতে জঙ্গিদের সঙ্গে এসব ব্যক্তিকেও আসামি করে।
সিআইডি ২০০৮ সালের ১৮ নভেম্বর ২১ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এরপর সাত বছর পার হলেও এখনো সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। দীর্ঘদিন কারাভোগ করে এই ১৩ জন জামিনে মুক্ত হলেও এখনো মামলার ঘানি টানতে হচ্ছে।
এঁদের একজন দরজিশ্রমিক নূর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রায় এক যুগ ধরে আদালতে হাজিরা দিচ্ছি। মামলার খরচ জোগাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়েছি। ভিটেমাটি বিক্রি করতে হয়েছে। বিচারের কোনো লক্ষণ দেখছি না।’ আরেক আসামি সোলেমান আলী বলেন, বছরের পর বছর ধরে মামলার খরচ জোগাতে গিয়ে তিনি প্রায় নিঃস্ব।
২০০৩ সালের ২০ জানুয়ারি গভীর রাতে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বেগুনগ্রামে আস্তানায়ে চিশতিয়া নামে এক পীরের আস্তানায় পাঁচজনকে জবাই করে হত্যা করা হয়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মাজারের খাদেম নূরউদ্দিন, ভক্ত আফাজ উদ্দিন, দুলাল এবং বাবুর্চি সফিউদ্দিন ও মতিউর রহমান। এ ঘটনায় কালাই থানায় হত্যা মামলা হয়।
জয়পুরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্তের নামে প্রথমে কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এমদাদুল হকের বড় ভাই শাহজালালসহ ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর পুলিশ ২০০৩ সালের ৯ মার্চ শাহজালালের কাছ থেকে একটি জবানবন্দি আদায় করে। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেওয়া ওই জবানবন্দিতে শাহজালাল এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে তাঁর ভাই এমদাদুল হকসহ স্থানীয় পাঁচ আওয়ামী লীগ নেতার নাম বলেন। অন্যরা হলেন পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সোলায়মান আলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শমসের আলী ও বেলাল হোসেন।
এরপর ২০০৩ সালের ১০ মার্চ মামলাটি সিআইডিতে যায়। তিন বছর পর ২০০৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সিআইডি ভটভটিচালক হযরত আলীকে গ্রেপ্তার করে। পাঁচ দিন রিমান্ডে থাকার পর তিনিও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি জবানবন্দি দেন। তাতে আওয়ামী লীগের ওই পাঁচ নেতা-কর্মীর পাশাপাশি কালাই পৌর বিএনপির সহসভাপতি আনিসুর রহমান, দরজিশ্রমিক নূর মোহাম্মদ, স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দা মফছের আলী, মনতাজ ওরফে মমতাজ ও সিরাজউদ্দীনের নাম উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, এসব ব্যক্তি খানকায় ঢুকে পাঁচজনকে হত্যা করে সিন্দুকের টাকা লুট করে নিয়ে যান।
এর কিছুদিন পর সিলেটে গ্রেপ্তার হন জেএমবির প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আবদুর রহমান। তিনি ঢাকায় টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, ওই খানকায় ধর্মবিরোধী কার্যকলাপ হয় এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে জেএমবির সদস্য ওই হত্যাকাণ্ড চালায়। ২০০৬ সালের ২৫ মার্চ টিএফআই সেল থেকে এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
২০০৮ সালের ১৮ নভেম্বর এ মামলার সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির দিনাজপুর ক্যাম্পের পরিদর্শক (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) জালাল আহম্মেদ ২১ জনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দেন। তাতে জেএমবির জঙ্গি আছে আটজন। তাঁরা হলেন তরিকুল ওরফে ভাগনে শহীদ, এনামুল হক, আবু হাসান সরকার, রশিদুল, সালাউদ্দীন, তরিকুল ইসলাম ওরফে হাবিল, শফিউল্লা ওরফে তারেক ও রমজান আলী। অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় জেএমবির তিন শীর্ষস্থানীয় নেতা শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলাভাই ও আবদুল আউয়ালকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ‘অভিযুক্ত নহে’ বলে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে জেএমবির আরও ছয় সদস্যকে। তাঁদের মধ্যে একজন হারুন অর রশীদ ওরফে মামুন ২০০৬ সালে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হন। তিনি পুলিশ রিমান্ডে ও টিএফআই সেলে দেওয়া জবানবন্দিতে কালাইয়ে পাঁচ খুনে অন্য জঙ্গিদের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তারপরও তাঁকে এ মামলায় আসামি করা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগপত্র দাখিলকারী সিআইডির পরিদর্শক জালালউদ্দীন দাবি করেন, ‘এ রকম হওয়ার কথা নয়।’
নিরীহ ১৩ জনকে আসামি করার কারণ জানতে চাইলে জালালউদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর আগে কয়েকজন কর্মকর্তা মামলাটির তদন্ত করেন। তখন স্থানীয় কয়েকজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সে অনুযায়ী, ওই ১৩ জনকে আসামি করতে হয়েছে। জালালউদ্দীন বলেন, তিনি তদন্তকালে তিনি টিএফআই সেলে জেএমবির নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদের নথি হাতে পান, যার পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গিদের আসামি করেন।
আওয়ামী লীগের নেতা এমদাদুল হক বলেন, ‘ঢাকায় শীর্ষ জঙ্গিরা এই মামলায় স্বীকারোক্তি দেওয়ার পর ভাবছিলাম, বোধ হয় খালাস পাব। আমি খুব অসুস্থ। টাকার অভাবে ভালোভাবে চিকিৎসা করাতে পারছি না। কিন্তু মামলার হাজিরা দিতে হচ্ছে। খরচ করতে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জয়পুরহাটের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, এ মামলায় জঙ্গিদের পাশাপাশি কিছু স্থানীয় রাজনীতিক ও শ্রমজীবী মানুষকে জড়ানোর বিষয়টি তিনি জানেন। এখন কে দোষী, কে নির্দোষ তা আদালতে সাক্ষ্য-প্রমাণের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে। এখানে আবেগের কোনো স্থান নাই।
No comments