পৌর নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করুন : খালেদা জিয়া
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সোমবার বিকেলে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সরকারের কাছে তিনি এই দাবি জানান। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে হলে সেনা মোতায়েন করতে হবে।’ এ সময় দলীয় প্রতীকে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠানকে সরকারের ষড়যন্ত্র বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের ঘরে মুক্তিযোদ্ধার নামে রাজাকার পুষছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা সাধারণ মানুষকে নির্যাতন করেছে। তাই তাদেরও বিচার করতে হবে বলে আমরা দাবি জানিয়েছি।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজীজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা।
দুপুর দুইটায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনাসভা হয়। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ‘নির্বাসিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সাহসী মানুষের ঐক্য ও আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক এস এম শফিউজ্জামান খোকন, জয়নুল আবেদিন, সিনিয়র সহসভাপতি আবুল হোসেন, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমদ খান, মিজানুর রহমান খান (বীর প্রতিক) মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম খান, চৌধুরী আবু তালেব, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভাপতি শামা ওবায়েদ সহ দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধা নেতারা আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ফজলুল হক মিলন, জেড মর্তুজা চৌধুরী তুলা, নূরে আরা সাফা প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের স্মৃতিচারণ করে বলেন, দেশ স্বাধীনের ৪৪ বছর অতিবাহিত হলেও আজো গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীন দেশে রক্ত দিতে হচ্ছে। আজকে ক্ষমতাসীনরা বলে তারা নাকি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে? কিন্তু দুঃখজনক হলো তাদের হাতেই গণতন্ত্র নিহত, সাম্য এবং ন্যায় বিচার তিরোহিত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে কঠিন সময় অতিক্রম করছে। সামনে কঠিন অন্ধকার। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো আসেনি। কথা বলা এবং লেখার স্বাধীনতা নেই। একদলীয় শাসন চলছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বদলে স্বৈরতন্ত্র চলছে। এমতাবস্থায় দেশবাসীকে আবারো জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আমাদেরকে অধিকার আদায়ে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আন্দোলন, নির্বাচন এবং সংগঠন এই তিনের সমন্বয়ে ঐক্য গড়তে হবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে মেজর জেনারেল (অব:) মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে বঙ্গভবনে ঢুকতে না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাষ্ট্রপতি একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি স্বভাবতই তিনি বঙ্গভবনে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বিশেষ দিবসে আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকেন। শুধু রাষ্ট্রপতির সম্মানের কথা বিবেচনা করে বিজয় দিবসের দিন মুক্তিযোদ্ধা ইবরাহিম বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে প্রবেশ করতে না দিয়ে অসম্মান করা হয়েছে। এসময় মিলনায়তনে উপস্থিত লোকজনকে দাঁড়িয়ে মাথা নিচু করে সরকারের এই কর্মের জন্য ধিক্কার জানান তিনি।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরো বলেন, সরকার নয়, যারা পেছন থেকে দেশ চালাচ্ছে তারা এই কাজ করেছে। এ জন্য রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে জাতির কাছে জবাবদিহি করতে হবে। আমরা কী ভারতের অঙ্গ রাজ্যে পরিণত হচ্ছি? প্রশ্ন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে যে ঘটনা ঘটেছিল তার অবসান করুন। বিচারব্যবস্থাকে স্বাধীনভাবে চলতে দিন। খালেদা জিয়ার সাজা দিলে দেশের জনগণ বসে থাকবেনা। তাই আর নতুন করে কান্নার সৃষ্টি করবেন না। আপনার বাবা (বঙ্গবন্ধু) ছিলেন শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বর্তমান সরকার যেন সহস্র বছরের কুলাঙ্গার না হয়।
সৈয়দ মহুাম্মদ ইবরাহিম বলেন, অনেকের মতো আমাকেও বিজয় দিবসের দিন বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ৩৫ বছর ধরে যে নিয়মে সেখানে যাতায়াত করি সেদিনও একই নিয়মে গেছি। কিন্তু আমাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এরমাধ্যমে আমি শুধু নয় পুরো মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান জানানো হয়েছে। এ ধরণের কাজের জন্য বিজয় দিবসের দিনটিকে বিবেচনায় নেয়াটা ঠিক হয়নি।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সোমবার বিকেলে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সরকারের কাছে তিনি এই দাবি জানান। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে হলে সেনা মোতায়েন করতে হবে।’ এ সময় দলীয় প্রতীকে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠানকে সরকারের ষড়যন্ত্র বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের ঘরে মুক্তিযোদ্ধার নামে রাজাকার পুষছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা সাধারণ মানুষকে নির্যাতন করেছে। তাই তাদেরও বিচার করতে হবে বলে আমরা দাবি জানিয়েছি।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজীজ উলফাতের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা।
দুপুর দুইটায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনাসভা হয়। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ‘নির্বাসিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সাহসী মানুষের ঐক্য ও আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক এস এম শফিউজ্জামান খোকন, জয়নুল আবেদিন, সিনিয়র সহসভাপতি আবুল হোসেন, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমদ খান, মিজানুর রহমান খান (বীর প্রতিক) মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম খান, চৌধুরী আবু তালেব, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভাপতি শামা ওবায়েদ সহ দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধা নেতারা আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ফজলুল হক মিলন, জেড মর্তুজা চৌধুরী তুলা, নূরে আরা সাফা প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের স্মৃতিচারণ করে বলেন, দেশ স্বাধীনের ৪৪ বছর অতিবাহিত হলেও আজো গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীন দেশে রক্ত দিতে হচ্ছে। আজকে ক্ষমতাসীনরা বলে তারা নাকি মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছে? কিন্তু দুঃখজনক হলো তাদের হাতেই গণতন্ত্র নিহত, সাম্য এবং ন্যায় বিচার তিরোহিত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে কঠিন সময় অতিক্রম করছে। সামনে কঠিন অন্ধকার। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো আসেনি। কথা বলা এবং লেখার স্বাধীনতা নেই। একদলীয় শাসন চলছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বদলে স্বৈরতন্ত্র চলছে। এমতাবস্থায় দেশবাসীকে আবারো জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আমাদেরকে অধিকার আদায়ে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আন্দোলন, নির্বাচন এবং সংগঠন এই তিনের সমন্বয়ে ঐক্য গড়তে হবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে মেজর জেনারেল (অব:) মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে বঙ্গভবনে ঢুকতে না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাষ্ট্রপতি একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি স্বভাবতই তিনি বঙ্গভবনে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বিশেষ দিবসে আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকেন। শুধু রাষ্ট্রপতির সম্মানের কথা বিবেচনা করে বিজয় দিবসের দিন মুক্তিযোদ্ধা ইবরাহিম বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে প্রবেশ করতে না দিয়ে অসম্মান করা হয়েছে। এসময় মিলনায়তনে উপস্থিত লোকজনকে দাঁড়িয়ে মাথা নিচু করে সরকারের এই কর্মের জন্য ধিক্কার জানান তিনি।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরো বলেন, সরকার নয়, যারা পেছন থেকে দেশ চালাচ্ছে তারা এই কাজ করেছে। এ জন্য রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে জাতির কাছে জবাবদিহি করতে হবে। আমরা কী ভারতের অঙ্গ রাজ্যে পরিণত হচ্ছি? প্রশ্ন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে যে ঘটনা ঘটেছিল তার অবসান করুন। বিচারব্যবস্থাকে স্বাধীনভাবে চলতে দিন। খালেদা জিয়ার সাজা দিলে দেশের জনগণ বসে থাকবেনা। তাই আর নতুন করে কান্নার সৃষ্টি করবেন না। আপনার বাবা (বঙ্গবন্ধু) ছিলেন শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বর্তমান সরকার যেন সহস্র বছরের কুলাঙ্গার না হয়।
সৈয়দ মহুাম্মদ ইবরাহিম বলেন, অনেকের মতো আমাকেও বিজয় দিবসের দিন বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ৩৫ বছর ধরে যে নিয়মে সেখানে যাতায়াত করি সেদিনও একই নিয়মে গেছি। কিন্তু আমাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এরমাধ্যমে আমি শুধু নয় পুরো মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান জানানো হয়েছে। এ ধরণের কাজের জন্য বিজয় দিবসের দিনটিকে বিবেচনায় নেয়াটা ঠিক হয়নি।
No comments