ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের অস্ত্রের মহড়া
কুষ্টিয়ার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে
ক্যাম্পাসে দুদিন ধরে যে সংঘর্ষ ও আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া হয়েছে, তা দুঃখজনক ও
নিন্দনীয়। এই অপকর্মের সঙ্গে সরকার–সমর্থক ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের দুই
গ্রুপ সরাসরি জড়িত হলেও নেপথ্যে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের বিরোধই কাজ
করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ক্যাম্পাসে এ-ও গুঞ্জন রয়েছে যে ছাত্রলীগের
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ উপাচার্যের এবং সহসভাপতির গ্রুপ
সহ-উপাচার্যের হয়ে কাজ করে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য যে অনেক বিষয়েই একমত হতে পারেন না, তার প্রমাণ সম্প্রতি পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে গঠিত বোর্ড বাতিল হওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজের দরপত্র আহ্বান নিয়েও তাঁদের মধ্যে রেষারেষি স্পষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য যদি সত্যি সত্যি ছাত্রলীগের গ্রুপিংয়ে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে গত দুদিনের সংঘর্ষ এবং ছাত্রলীগের আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়ার দায়ও তাঁরা এড়াতে পারেন না। গত পাঁচ বছরে প্রশাসনের দ্বন্দ্ব এবং ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে তিনবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হলেও কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া দুর্ভাগ্যজনক। এবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পক্ষে ‘ছুটি এগিয়ে আনার’ যে যুক্তি কর্তৃপক্ষ দিয়েছে, তাও গ্রহণযোগ্য নয়।
গতকাল রোববার প্রথম আলোর শেষ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, প্রতিপক্ষকে আক্রমণরত ছাত্রলীগের এক কর্মী পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়ছেন। তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকজনের হাতে লাঠিসোঁটা। এমনিতেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের একক আধিপত্য রয়েছে। তাদের ভয়ে প্রতিপক্ষ ছাত্রসংগঠনের অনেকে ক্যাম্পাসছাড়া। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা প্রশাসনের কেউ যদি ছাত্রলীগকে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থে ব্যবহার করেন, তার চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে?
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য যে অনেক বিষয়েই একমত হতে পারেন না, তার প্রমাণ সম্প্রতি পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে গঠিত বোর্ড বাতিল হওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজের দরপত্র আহ্বান নিয়েও তাঁদের মধ্যে রেষারেষি স্পষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য যদি সত্যি সত্যি ছাত্রলীগের গ্রুপিংয়ে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে গত দুদিনের সংঘর্ষ এবং ছাত্রলীগের আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়ার দায়ও তাঁরা এড়াতে পারেন না। গত পাঁচ বছরে প্রশাসনের দ্বন্দ্ব এবং ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে তিনবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হলেও কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া দুর্ভাগ্যজনক। এবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পক্ষে ‘ছুটি এগিয়ে আনার’ যে যুক্তি কর্তৃপক্ষ দিয়েছে, তাও গ্রহণযোগ্য নয়।
গতকাল রোববার প্রথম আলোর শেষ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, প্রতিপক্ষকে আক্রমণরত ছাত্রলীগের এক কর্মী পিস্তল দিয়ে গুলি ছুড়ছেন। তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকজনের হাতে লাঠিসোঁটা। এমনিতেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের একক আধিপত্য রয়েছে। তাদের ভয়ে প্রতিপক্ষ ছাত্রসংগঠনের অনেকে ক্যাম্পাসছাড়া। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা প্রশাসনের কেউ যদি ছাত্রলীগকে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থে ব্যবহার করেন, তার চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে?
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
No comments