ডিজিটাল ব্ল্যাকআউটের কবলে বাংলাদেশ
ডিজিটাল
ব্ল্যাকআউটের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশ। গতকাল দেড় ঘণ্টার জন্য দুনিয়া থেকে
বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল দেশ। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই সময় ইন্টারনেট
সেবার বাইরে ছিল পুরো দেশ। কোন ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বেলা একটা থেকে
আড়াইটা পর্যন্ত দেশের কোন স্থান থেকে কোন মাধ্যমেই ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া
যায়নি। প্রবেশ করা যায়নি কোন ওয়েবসাইটে। সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয়
সাইট ফেসবুকসহ চারটি অ্যাপ গতকাল থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ সেবাগুলো
বন্ধ থাকবে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত। বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান
মাহমুদ জানিয়েছেন, ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করতে
নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে ইন্টারনেট বন্ধের কোন নির্দেশনা ছিল না। ওই
চারটি লিংক বন্ধ করার প্রক্রিয়া হিসেবে ইন্টারনেট বন্ধ হতে পারে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানিয়েছেন, এ চারটি লিংক ছাড়া টুইটার, ট্যাংগো, আইএমওসহ সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য অ্যাপেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। দেশ ও জাতির নিরাপত্তার স্বার্থেই এগুলো বন্ধ করা হয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন। তবে ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে কোন নির্দেশনা ছিল না বলে তিনি জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কারণেই ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের অন্য তিনটি অ্যাপ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সংযোগ কখনও বন্ধ রাখা হয়নি। বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালে কারফিউয়ের মধ্যে মোবাইল ফোন সেবা সাময়িক বন্ধ থাকলেও ইন্টারনেট সেবা চালু ছিল। এ ছাড়া বিটিআরসি একবার ইন্টারনেটের আপলোড গতি কমানোর নির্দেশনা দিলেও ইন্টারনেট তখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
ছয়টি ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রেরিয়াল কেবল (সাবমেরিন কেবলের বিকল্প) সংযোগের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগে একমাত্র সাবমেরিন কেবলে সমস্যা হলে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটে সেবা পেতে মাঝেমধ্যে সমস্যায় পড়তেন।
চলতি বছরের শুরুতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধের সময়ও ‘ভাইবার’ ও ‘হোয়াটসঅ্যাপ’সহ ইন্টারনেটে যোগাযোগের কয়েকটি অ্যাপ কয়েক দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়।
সম্প্রতি দুই বিদেশী নাগরিক হত্যা ও পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে হামলার ঘটনার পর গত ৮ই নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে জঙ্গিরা কার্যক্রম চালাচ্ছে। জঙ্গিদের যোগাযোগ ও অর্থায়ন বন্ধে তাদের শনাক্ত করতে কিছু ‘অ্যাপ’ বন্ধ করাসহ ইন্টারনেটের ওপর ‘সাময়িক কড়াকড়ি’ আরোপের ইঙ্গিত দেন তিনি।
এদিকে গতকাল সকাল ১১টার দিকে বিটিআরসির কাছ থেকে ফেসবুক ও তিনটি ম্যাসেঞ্জার অ্যাপ বন্ধ করার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয় ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে। ইন্টারনেট সেবা দেয় এমন সব প্রতিষ্ঠানকেই পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ফেসবুক, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ রাখতে বলা হয়। বেলা ১২টার পর থেকে ক্রমে সারা দেশে এ সেবা বন্ধ হতে থাকে। বেলা একটার দিকে সারা দেশে একযোগে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থা চলে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। তখন ইন্টারনেট দুনিয়া থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিল বাংলাদেশ।
এদিকে বিকালে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সাংবাদিকদের বলেন, ফেসবুক, ফেসবুক মেসেঞ্জার, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধের পাশাপাশি অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যান্য অ্যাপ- যেমন ট্যাংগো, আইএমও, টুইটারসহ অন্যগুলোও নজরদারিতে রয়েছে। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে গ্রাহকদের এই কষ্ট মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বন্ধ হওয়া অ্যাপগুলো চালু হতে পরবর্তী নির্দেশনা পর্য?ন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড রেগুলেটরি কমিশন বিটিআরসির সচিব সারোয়ার আলম জানান, যারা গেটওয়ে সার্ভিসগুলো চালায়, তারা ভুল করে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিল। তাদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। তবে তারা মেইন সুইচটাই বন্ধ করে দিয়েছিল। ফলে কিছুক্ষণ ইন্টারনেট ছিল না। এটিকে কারিগরি ত্রুটি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে সারা দেশে একযোগে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ায় ইন্টারনেট ভিত্তিক সব সেবা বন্ধ হয়ে যায়। বিমান সংস্থা, পুুঁজি বাজার, হাসপাতালসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিপাকে পড়ে। এই দেড় ঘণ্টায় বিমান সংস্থাগুলো একটিও টিকিট বিক্রি করতে পারেনি বলে একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বন্ধ ছিল পুঁজি বাজারে লেনদেন। বেসরকারি বিমান সংস্থা নভো এয়ারের মার্কেটিং বিভাগের প্রধান সোহেল মুজিদ একটি বার্তা সংস্থাকে জানান, ইন্টারনেটহীন দেড় ঘণ্টায় আমরা খুব চিন্তায় পড়েছিলাম। একটি পর্যায়ে অন্যান্য বিমান সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়-আর কিছুক্ষণ ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে আমরা হয়তো সন্ধ্যার পরে সব ফ্লাইটই বাতিল করে দিতাম।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানিয়েছেন, এ চারটি লিংক ছাড়া টুইটার, ট্যাংগো, আইএমওসহ সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য অ্যাপেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। দেশ ও জাতির নিরাপত্তার স্বার্থেই এগুলো বন্ধ করা হয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন। তবে ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে কোন নির্দেশনা ছিল না বলে তিনি জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কারণেই ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের অন্য তিনটি অ্যাপ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সংযোগ কখনও বন্ধ রাখা হয়নি। বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালে কারফিউয়ের মধ্যে মোবাইল ফোন সেবা সাময়িক বন্ধ থাকলেও ইন্টারনেট সেবা চালু ছিল। এ ছাড়া বিটিআরসি একবার ইন্টারনেটের আপলোড গতি কমানোর নির্দেশনা দিলেও ইন্টারনেট তখনও পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
ছয়টি ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রেরিয়াল কেবল (সাবমেরিন কেবলের বিকল্প) সংযোগের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগে একমাত্র সাবমেরিন কেবলে সমস্যা হলে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটে সেবা পেতে মাঝেমধ্যে সমস্যায় পড়তেন।
চলতি বছরের শুরুতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধের সময়ও ‘ভাইবার’ ও ‘হোয়াটসঅ্যাপ’সহ ইন্টারনেটে যোগাযোগের কয়েকটি অ্যাপ কয়েক দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়।
সম্প্রতি দুই বিদেশী নাগরিক হত্যা ও পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে হামলার ঘটনার পর গত ৮ই নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে জঙ্গিরা কার্যক্রম চালাচ্ছে। জঙ্গিদের যোগাযোগ ও অর্থায়ন বন্ধে তাদের শনাক্ত করতে কিছু ‘অ্যাপ’ বন্ধ করাসহ ইন্টারনেটের ওপর ‘সাময়িক কড়াকড়ি’ আরোপের ইঙ্গিত দেন তিনি।
এদিকে গতকাল সকাল ১১টার দিকে বিটিআরসির কাছ থেকে ফেসবুক ও তিনটি ম্যাসেঞ্জার অ্যাপ বন্ধ করার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয় ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে। ইন্টারনেট সেবা দেয় এমন সব প্রতিষ্ঠানকেই পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ফেসবুক, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ রাখতে বলা হয়। বেলা ১২টার পর থেকে ক্রমে সারা দেশে এ সেবা বন্ধ হতে থাকে। বেলা একটার দিকে সারা দেশে একযোগে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থা চলে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। তখন ইন্টারনেট দুনিয়া থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিল বাংলাদেশ।
এদিকে বিকালে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সাংবাদিকদের বলেন, ফেসবুক, ফেসবুক মেসেঞ্জার, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধের পাশাপাশি অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যান্য অ্যাপ- যেমন ট্যাংগো, আইএমও, টুইটারসহ অন্যগুলোও নজরদারিতে রয়েছে। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে গ্রাহকদের এই কষ্ট মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বন্ধ হওয়া অ্যাপগুলো চালু হতে পরবর্তী নির্দেশনা পর্য?ন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড রেগুলেটরি কমিশন বিটিআরসির সচিব সারোয়ার আলম জানান, যারা গেটওয়ে সার্ভিসগুলো চালায়, তারা ভুল করে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছিল। তাদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। তবে তারা মেইন সুইচটাই বন্ধ করে দিয়েছিল। ফলে কিছুক্ষণ ইন্টারনেট ছিল না। এটিকে কারিগরি ত্রুটি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে সারা দেশে একযোগে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়ায় ইন্টারনেট ভিত্তিক সব সেবা বন্ধ হয়ে যায়। বিমান সংস্থা, পুুঁজি বাজার, হাসপাতালসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিপাকে পড়ে। এই দেড় ঘণ্টায় বিমান সংস্থাগুলো একটিও টিকিট বিক্রি করতে পারেনি বলে একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বন্ধ ছিল পুঁজি বাজারে লেনদেন। বেসরকারি বিমান সংস্থা নভো এয়ারের মার্কেটিং বিভাগের প্রধান সোহেল মুজিদ একটি বার্তা সংস্থাকে জানান, ইন্টারনেটহীন দেড় ঘণ্টায় আমরা খুব চিন্তায় পড়েছিলাম। একটি পর্যায়ে অন্যান্য বিমান সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়-আর কিছুক্ষণ ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে আমরা হয়তো সন্ধ্যার পরে সব ফ্লাইটই বাতিল করে দিতাম।
No comments