দুবাইয়ে এবার জলবায়ু নিয়ন্ত্রিত শহর!
দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ রশিদ আল–মাখতুম তাপমাত্রা–নিয়ন্ত্রিত নগরের নকশা দেখছেন |
বিশাল ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য নির্মাণ করে ইতিমধ্যে সবার নজর কেড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মরুশহর দুবাই। বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন রয়েছে এই শহরে। নৌকার পালের আকৃতির দৃষ্টিনন্দন ভবন আর সাগরে তালগাছ আকৃতির সুদৃশ্য স্থাপনায় বিলাসবহুল হোটেল করে পর্যটকদের মন জয় করেছে শহরটি। এবার এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বিশ্বের প্রথম জলবায়ুনিয়ন্ত্রিত শহর! আর সেই শহরের ভেতরে থাকবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিপণিবিতান। খবর ইনডিপেন্ডেন্টের। বিশ্বের প্রথম ‘তাপমাত্রানিয়ন্ত্রিত, পথচারীদের নগর’-এ থাকবে সবচেয়ে বড় বিপণিবিতানের পাশাপাশি সবচেয়ে বড় থিম পার্ক, শতাধিক হোটেল ও অ্যাপার্টমেন্ট। এর কেনাকাটার জায়গা হবে লন্ডনের অক্সফোর্ড স্ট্রিটের মতো। শহরের ভেতরের সব স্থাপনাকে সংযুক্ত করবে সাড়ে চার মাইল দীর্ঘ একটি সড়ক। আর পুরো শহরটি স্থাপিত হবে চার কোটি ৮০ লাখ বর্গফুট জায়গা নিয়ে।
ইউএইর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাখতুম বিশাল এই প্রকল্প হাতে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই ঘোষণা দিয়েছি, দুবাইকে আধুনিক সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও পর্যটকদের শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সেই লক্ষ্য অর্জনে আমরা বদ্ধপরিকর।’ আল-মাখতুম বলেন, ‘পর্যটন আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। আমরা ইউএইকে সারা বছর পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে গড়তে চাই। এ কারণে আমরা গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রানিয়ন্ত্রিত পরিবেশ তৈরির কাজ শুরু করব।’ যদিও জলবায়ুনিয়ন্ত্রিত এই শহর নির্মাণের ব্যয়, কাজ শুরু, শেষ করার সময়সহ অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, বিশ্বের প্রথম জলাবায়ুনিয়ন্ত্রিত এই শহর চালু হলে বছর ১৮ কোটি পর্যটক ওই শহরে যাবেন। শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাখতুমের মালিকানাধীন নির্মাণপ্রতিষ্ঠান এই শহর তৈরিতে মূল প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করার কথা।
No comments