ভোল পাল্টালেন নূর হোসেন by কৃষ্ণকুমার দাস
ভোল পাল্টালেন নূর হোসেন। ১৪ দিন আগে
জেলহাজতে যাওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমকে যা বলেছিলেন সোমবার ঠিক তার উল্টো
বক্তব্য রাখলেন নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের প্রধান আসামি নূর হেসেন। বেনাপোল
সীমান্ত থেকে ৩৫ কিমি. দূরে বারাসত কোর্টে এদিন হাজির করার সময় স্বপ্রণোদিত
হয়ে নূর চিৎকার করে বলেন, ‘আমি কোনো নেতার নাম বলিনি। আমাকে কোনো নেতা
ভারতে পাঠায়নি। আমি নির্দোষ, আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’
২৩ জুন এই আদালতেই প্রিজন ভ্যানে উঠে দমদম জেলে যাওয়ার সময় নূর হোসেন বলেছিলেন, ‘নেতার নির্দেশে ভারতে আÍগোপন করতে এসেছি। কে সেই নেতা তা আপনারাই খোঁজ নিয়ে দেখুন।’ এদিন ফেরত পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের আবেদনের কোনো শুনানি না হওয়ায় নূর হোসেনের নারায়ণগঞ্জের মামলায় ঢাকা ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পুরো বিশ বাঁও জলে চলে গেল। তবে এদিনই নূর হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধেই বেআইনি অনুপ্রবেশ নিয়ে চার্জশিট পেশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বাগুইনআটি থানা। কিন্তু এদিন নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মূল অভিযুক্ত নূর হোসেনের এমন ডিগবাজিতে এদিন রীতিমতো বিস্মিত পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ ও বারাসত কোর্টের আইনজীবীরাও। প্রশ্ন উঠেছে, জেলের মধ্যে এমন কী হল যে নূর ভয় পেয়ে গিয়ে পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে নেতাকে সাফাই দিলেন। কে বা কারা দমদম জেলে নূরের সঙ্গে দেখা করে কী শুনিয়ে গেলেন, যে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা না করা সত্ত্বেও স্বপ্রণোদিত হয়ে নেতাকে ‘ক্লিনচিট’ সার্টিফিকেট দিলেন।
২৩ জুন এই আদালতেই প্রিজন ভ্যানে উঠে দমদম জেলে যাওয়ার সময় নূর হোসেন বলেছিলেন, ‘নেতার নির্দেশে ভারতে আÍগোপন করতে এসেছি। কে সেই নেতা তা আপনারাই খোঁজ নিয়ে দেখুন।’ এদিন ফেরত পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের আবেদনের কোনো শুনানি না হওয়ায় নূর হোসেনের নারায়ণগঞ্জের মামলায় ঢাকা ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি পুরো বিশ বাঁও জলে চলে গেল। তবে এদিনই নূর হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধেই বেআইনি অনুপ্রবেশ নিয়ে চার্জশিট পেশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বাগুইনআটি থানা। কিন্তু এদিন নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মূল অভিযুক্ত নূর হোসেনের এমন ডিগবাজিতে এদিন রীতিমতো বিস্মিত পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ ও বারাসত কোর্টের আইনজীবীরাও। প্রশ্ন উঠেছে, জেলের মধ্যে এমন কী হল যে নূর ভয় পেয়ে গিয়ে পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে নেতাকে সাফাই দিলেন। কে বা কারা দমদম জেলে নূরের সঙ্গে দেখা করে কী শুনিয়ে গেলেন, যে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা না করা সত্ত্বেও স্বপ্রণোদিত হয়ে নেতাকে ‘ক্লিনচিট’ সার্টিফিকেট দিলেন।
এদিন আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারক মধুমিতা রায় নূর ও তার দুই সঙ্গীকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। কিন্তু নূরের সঙ্গী খান সুমন যে অবৈধভাবে ভারতে আসেনি তার প্রমাণ আদালতে পেশ করা হয়। সুমনের আইনজীবী তারক দাস জানান, খান সুমনের বাংলাদেশী পাসপোর্ট নম্বর এই ০৭৯২৪২৮, মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ ১০/২/১৮। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন খান সুমনকে যে ভিসা দিয়েছিল তার নম্বর হল- ৬০০৯১৪৫৩, মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন ছিল ১৬/১০/১৪। সুমনের পাসপোর্টে ঢাকা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ছাপও দেখান আদালতে। এদিন আদালতে ১৪ জুন সুমনের বিমান টিকিটের জেরক্সও পেশ করেন তার আইনজীবী। গোটা বিষয়টি দেখার পর বিচারক আগামী ১১ জুলাই বাগুইআটি থানার তদন্তকারী অফিসারকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন। সেদিন সুমনের জামিনের শুনানি হবে। তবে এদিনও নূর হোসেন ও তার অপর সঙ্গী শামিমের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে ছিলেন না। প্রশ্ন উঠেছে, নারায়ণগঞ্জের মাস কয়েক আগের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী কাউন্সিলরের হয়ে কেউ কী আদালতে দাঁড়াতে রাজি হচ্ছেন না? না কি সত্যি সাত খুনের বিষয়ে সবাই অত্যন্ত ঘৃণ্য আচরণ করছে, পরিবারের লোকেরাও দূরে সরে থাকছে।
বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে সাতটি খুনের মূল অভিযুক্ত নূর হোসেনকে ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ। তারই প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। ১৪ জুন কৈখালির একটা ফ্ল্যাট থেকে দু’জন সঙ্গীসহ ধরা পড়ে বাংলাদেশের কুখ্যাত অপরাধী নূর হোসেন। সল্টলেকের সিটি পুলিশের জঙ্গি দমন শাখা তাকে গ্রেফতার করে। মূলত অনুপ্রবেশের কারণেই নূরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গ্রেফতার করার পর নূরের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল বাগুইআটি থানা। অনুপ্রবেশসহ বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে এক আইনজীবীসহ সাতজনকে খুনের অভিযোগ রয়েছে নূরের বিরুদ্ধে। কৈখালিতে ধরা পড়ার পর দমদম জেলে রাখা হয়েছিল নূরকে।
নূরের বিচার প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি শেষ করতে চায় পুলিশের একটি মহল। নূরকে সরকারিভাবে বাংলাদেশে হস্তান্তরের প্রসঙ্গ আসায় বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে চায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। কারণ সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরের সময় নূর হোসেনকে দ্রুত ফেরত দেয়ার আবেদন করেছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কৃষ্ণকুমার দাস > কলকাতা থেকে
No comments