মেধাবী ও রাজনীতি-সচেতন ছাত্রদের হাতে নেতৃত্ব দিন
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পক্ষে অবস্থান নিয়ে জাতীয় সংসদে বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পাশাপাশি তিনি বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। এর সমালোচনা করে সাজিদ লিখেছেন: কোথায় বিদ্যুতের দাম কমার কথা, তা না করে কীভাবে মানুষকে বিদ্যুৎ নেওয়া থেকে বঞ্চিত করা যায়, তার উপায় বের করছে সরকার। আসাদ: আপনি বাড়াবেন বিদ্যুতের দাম, বাড়িওয়ালা বাড়াবে ভাড়ার দাম। তরকারিওয়ালা, বাস—সবাই বাড়াবে। মাঝখান থেকে আমরা শেষ। এই বাংলাদেশে একটা জিনিসের দাম বাড়লে সব কেমনে যেন বেড়ে যায় আল্লাহ জানে। রাসেল আহমেদ: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দয়া করে আর বাড়াইয়েন না, তাহলে হারিকেনে ফিরে যেতে হবে...। আরমান: ছোটবেলায় অন্ধকার দেখলে ডরাইতাম। গত মাসে বিদ্যুতের বিল দেখার পর এখন আলো দেখলে ডর লাগে। এর পরও যদি দাম আবার বাড়ে, তাতে আমাদের মতো গরিবদের অন্ধকারই ভালো।
জেএমবি চালিত হচ্ছে কারাগার থেকেই
কারাগারে থাকা শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নির্দেশনায় জেএমবি পুনরায় সংগঠিত ও সক্রিয় হয়েছে। এসব নেতা কারাগার থেকে নিয়মিত মুঠোফোন, চিঠিসহ নানা মাধ্যমে বাইরে থাকা জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা এবং দল পরিচালনা করছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় পাঠক দেবপ্রিয় দেব লিখেছেন: সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তাব্যক্তিদের অনেকবার বলতে শুনেছি, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের শিখর নির্মূল বা দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে। সরকারের মুখপাত্ররা নানা সময়ে অভিযোগ করেছে, জঙ্গিবাদ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে গড়ে উঠেছিল। তাহলে এখন আমরা এসব কী শুনছি? জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের সফলতা কতটুকু. এই প্রশ্ন আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। মো. মোশারেফ হোসেন: কারাগারে বসে জঙ্গিরা মুঠোফোন ব্যবহার করে জঙ্গি তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে আর কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, কারা অভ্যন্তরে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে এবং জ্যামার চালু আছে। তাহলে কি সিসি ক্যামেরা কিংবা জ্যামার নিয়ন্ত্রণকারীদের সঙ্গে জঙ্গিদের সুসম্পর্ক আছে। সাইফুর সাহিন: যদি কারাগার থেকেই জেএমবির কার্যক্রম পরিচালিত হয়, তাহলে কারাগারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অগোচরেই বিষয়টা ঘটছে, এ রকম ধারণা বোকারাও পোষণ করবে না। কারাগারের দায়িত্বে থাকা সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নজরদারির মধ্যে এনে জিজ্ঞাসাবাদের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া এবং প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করার এখনই সময়। সিকদার দস্তগীর: আগেও বলেছি, আবারও বলছি, রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থায় দুর্বলতা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়িত্ব-কর্তব্যে অবহেলা বা গাফিলতি বহাল রেখে কোনো দিনই এসব সমস্যার সমাধান হবে না।
‘অছাত্রদের’ ছাত্রদল ব্যর্থ, পরিবর্তন চান খালেদা জিয়া
অছাত্রনেতাদের বাদ দিয়ে নিয়মিত ছাত্রদের ছাত্রদলের নেতৃত্বে আনতে চাইছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ ব্যাপারে পাঠক কাজী এস আহমদ লিখেছেন: ছাত্রদলের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, দেরিতে হলেও সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করুন। সেই সঙ্গে মেধাবী এবং রাজনীতি-সচেতন ছাত্রদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিন। যাঁদের কাছে শিক্ষা থাকবে সবার ওপরে, ছাত্রলীগের মতো পেশিশক্তির ওপর ডক্টরেট করবে না এবং স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সবার আগে থাকবে।
মো. সাইফুল আলম: আহা রে! যদি এমন হতো...পড়াশোনা ও জ্ঞান অর্জনের আন্দোলনে ছাত্রনেতারা আগে থাকবে! ‘যদি তাঁরা এমন বলতেন...পরীক্ষায় এ গ্রেড পাইলি না কেন? তোরা “অকৃতজ্ঞ” ও “ব্যর্থ”... বাপ-মা কত কষ্ট করে তোদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছে। কৃষক-শ্রমিক-মজুর তথা আপামর জনতার করের টাকায় তোরা পড়াশোনা করতে এসে ভালো গ্রেড পাবি না কেন? লাশ হবি কেন? তোরা অকৃতজ্ঞ, তোরা ব্যর্থ...।’ আমার মায়ের সন্তানেরা কেন আন্দোলনে আগে থাকবে? আপনি মা, আপনার ছেলে কোন আন্দোলনে আগে থেকেছিল? নাকি এ জন্য ছাত্রই বানাননি, ছাত্রনেতা বনে যাওয়ার ভয়ে...। সবুর: বাংলাদেশে ছাত্ররাজনীতির কোনো প্রয়োজন নেই। আইন করে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা উচিত। এম সাহিদুল খান: সব উদ্যোগই ভালো উদ্যোগ। কিন্তু বাস্তবায়নের বেলায় ‘আই এম সরি...।’
উচ্চশিক্ষিতদের প্রায় অর্ধেকই বেকার
কাজের বাজারের চাহিদার সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থা সংগতিপূর্ণ না হওয়ায় দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রতিবছরই উচ্চশিক্ষা নিয়ে শ্রমবাজারে আসা শিক্ষার্থীদের প্রায় অর্ধেক বেকার থাকছেন অথবা যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাচ্ছেন না। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় পাঠক নুরুর রহমান লিখেছেন: বাংলাদেশের ৪৭ শতাংশ স্নাতকই বেকার। ওঁদের কথা ভাবার সময় তথাকথিত স্বয়ংক্রিয়, তেজস্ক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় কোনো রাজনৈতিক দলেরই নেই, ওরা আছে নিজেদের ক্ষমতার মোহে, শত শত তোরণের নিচ দিয়ে গিয়ে অর্থহীন কর্মসূচি জনগণের দিকে ছুড়ে মারার জন্য, আর মানুষকে বোকা বানিয়ে নিজেদের সম্পদের মাত্রা বাড়ানোর তালে। আবদুল্লাহ: হাজার বছরের ইতিহাসে দেখা যায়, যে জাতি আবিষ্কার করে সে জাতি এগিয়ে থাকে। আমাদের উন্নতির চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। শুধু এক মোবাইল আবিষ্কার থেকেই পৃথিবীতে প্রায় ছয় কোটি লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমাদের দরকার আবিষ্কারক সরকার। রাকিব: মূল দায়ী অতিরিক্ত জনসংখ্যা। এমন না যে চাকরি খালি আছে, কিন্তু শিক্ষার মান খারাপ হওয়ায় চাকরি দেওয়া হচ্ছে না। চাকরিই খালি নেই। আমাদের কর্মসংস্থান নিয়ে চিন্তাভাবনা নতুন করে করা উচিত। পড়ালেখা করে একটা চাকরি—এ চিন্তা বাদ দিয়ে ব্যবসা বা অন্য কোনো উদ্যোগের ব্যাপারে আরও ভাবা উচিত। আনোয়ার হক: কারিগরি শিক্ষার দিকে আরও নজর দিতে হবে, যাতে বিদেশি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে। এস এম কামরুল হাসান: মানুষ চাকরি পায় না, আবার সেখানেও সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা! বিচিত্র নিয়ম আমাদের এই লুটেরাদের দেশে। কোটার বাইরে যে সব জায়গায় মেধার মূল্যায়ন হয়, তা-ও নয়, আছে দলবাজি, লবিং, ঘুষ দেওয়াসহ নানা রকম কর্মকাণ্ড।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে বিস্মিত আইসিসি ও বিসিবি
বিপিএলের ফিক্সিংয়ের অভিযোগে বিসিবির শৃঙ্খলা কমিটি ১০ জনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনলেও ট্রাইব্যুনাল ছয়জনকেই নির্দোষ বলে রায় দিয়েছেন। এ ব্যাপারে পাঠক নাবিল লিখেছেন: একটা আদর্শ পৃথিবীতে দোষ স্বীকারকারীদের শাস্তি হতো অনেক কম। তাদের ক্ষমা করা হতো। যেহেতু আমরা আদর্শ পৃথিবীতে বাস করি না, সুতরাং এ পৃথিবীতে দোষ স্বীকার করা ব্যক্তিরাই চরম বোকা। আশরাফুল, আপনি কি বুঝতে পারেননি এত দিনেও এ সত্য কথা? ভারতের ধোনি-শ্রীনিবাসন জুটির বিরুদ্ধে কত সন্দেহের তির, কিন্তু তাঁরা স্বীকার করেননি, তাঁরা কঠিন বাস্তবতাকে আগেই বুঝে ফেলেছেন। রফিকুল ইসলাম: আশরাফুল, তুমি আসলে সেরা। আশা রাখি তুমি একদিন ফিরবে। আমরা তোমার শুভ কামনা করি।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পক্ষে অবস্থান নিয়ে জাতীয় সংসদে বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পাশাপাশি তিনি বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। এর সমালোচনা করে সাজিদ লিখেছেন: কোথায় বিদ্যুতের দাম কমার কথা, তা না করে কীভাবে মানুষকে বিদ্যুৎ নেওয়া থেকে বঞ্চিত করা যায়, তার উপায় বের করছে সরকার। আসাদ: আপনি বাড়াবেন বিদ্যুতের দাম, বাড়িওয়ালা বাড়াবে ভাড়ার দাম। তরকারিওয়ালা, বাস—সবাই বাড়াবে। মাঝখান থেকে আমরা শেষ। এই বাংলাদেশে একটা জিনিসের দাম বাড়লে সব কেমনে যেন বেড়ে যায় আল্লাহ জানে। রাসেল আহমেদ: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দয়া করে আর বাড়াইয়েন না, তাহলে হারিকেনে ফিরে যেতে হবে...। আরমান: ছোটবেলায় অন্ধকার দেখলে ডরাইতাম। গত মাসে বিদ্যুতের বিল দেখার পর এখন আলো দেখলে ডর লাগে। এর পরও যদি দাম আবার বাড়ে, তাতে আমাদের মতো গরিবদের অন্ধকারই ভালো।
জেএমবি চালিত হচ্ছে কারাগার থেকেই
কারাগারে থাকা শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নির্দেশনায় জেএমবি পুনরায় সংগঠিত ও সক্রিয় হয়েছে। এসব নেতা কারাগার থেকে নিয়মিত মুঠোফোন, চিঠিসহ নানা মাধ্যমে বাইরে থাকা জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা এবং দল পরিচালনা করছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় পাঠক দেবপ্রিয় দেব লিখেছেন: সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তাব্যক্তিদের অনেকবার বলতে শুনেছি, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের শিখর নির্মূল বা দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে। সরকারের মুখপাত্ররা নানা সময়ে অভিযোগ করেছে, জঙ্গিবাদ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে গড়ে উঠেছিল। তাহলে এখন আমরা এসব কী শুনছি? জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের সফলতা কতটুকু. এই প্রশ্ন আমার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। মো. মোশারেফ হোসেন: কারাগারে বসে জঙ্গিরা মুঠোফোন ব্যবহার করে জঙ্গি তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে আর কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, কারা অভ্যন্তরে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে এবং জ্যামার চালু আছে। তাহলে কি সিসি ক্যামেরা কিংবা জ্যামার নিয়ন্ত্রণকারীদের সঙ্গে জঙ্গিদের সুসম্পর্ক আছে। সাইফুর সাহিন: যদি কারাগার থেকেই জেএমবির কার্যক্রম পরিচালিত হয়, তাহলে কারাগারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অগোচরেই বিষয়টা ঘটছে, এ রকম ধারণা বোকারাও পোষণ করবে না। কারাগারের দায়িত্বে থাকা সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নজরদারির মধ্যে এনে জিজ্ঞাসাবাদের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া এবং প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করার এখনই সময়। সিকদার দস্তগীর: আগেও বলেছি, আবারও বলছি, রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থায় দুর্বলতা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়িত্ব-কর্তব্যে অবহেলা বা গাফিলতি বহাল রেখে কোনো দিনই এসব সমস্যার সমাধান হবে না।
‘অছাত্রদের’ ছাত্রদল ব্যর্থ, পরিবর্তন চান খালেদা জিয়া
অছাত্রনেতাদের বাদ দিয়ে নিয়মিত ছাত্রদের ছাত্রদলের নেতৃত্বে আনতে চাইছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ ব্যাপারে পাঠক কাজী এস আহমদ লিখেছেন: ছাত্রদলের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, দেরিতে হলেও সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করুন। সেই সঙ্গে মেধাবী এবং রাজনীতি-সচেতন ছাত্রদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিন। যাঁদের কাছে শিক্ষা থাকবে সবার ওপরে, ছাত্রলীগের মতো পেশিশক্তির ওপর ডক্টরেট করবে না এবং স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সবার আগে থাকবে।
মো. সাইফুল আলম: আহা রে! যদি এমন হতো...পড়াশোনা ও জ্ঞান অর্জনের আন্দোলনে ছাত্রনেতারা আগে থাকবে! ‘যদি তাঁরা এমন বলতেন...পরীক্ষায় এ গ্রেড পাইলি না কেন? তোরা “অকৃতজ্ঞ” ও “ব্যর্থ”... বাপ-মা কত কষ্ট করে তোদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছে। কৃষক-শ্রমিক-মজুর তথা আপামর জনতার করের টাকায় তোরা পড়াশোনা করতে এসে ভালো গ্রেড পাবি না কেন? লাশ হবি কেন? তোরা অকৃতজ্ঞ, তোরা ব্যর্থ...।’ আমার মায়ের সন্তানেরা কেন আন্দোলনে আগে থাকবে? আপনি মা, আপনার ছেলে কোন আন্দোলনে আগে থেকেছিল? নাকি এ জন্য ছাত্রই বানাননি, ছাত্রনেতা বনে যাওয়ার ভয়ে...। সবুর: বাংলাদেশে ছাত্ররাজনীতির কোনো প্রয়োজন নেই। আইন করে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা উচিত। এম সাহিদুল খান: সব উদ্যোগই ভালো উদ্যোগ। কিন্তু বাস্তবায়নের বেলায় ‘আই এম সরি...।’
উচ্চশিক্ষিতদের প্রায় অর্ধেকই বেকার
কাজের বাজারের চাহিদার সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থা সংগতিপূর্ণ না হওয়ায় দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রতিবছরই উচ্চশিক্ষা নিয়ে শ্রমবাজারে আসা শিক্ষার্থীদের প্রায় অর্ধেক বেকার থাকছেন অথবা যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাচ্ছেন না। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় পাঠক নুরুর রহমান লিখেছেন: বাংলাদেশের ৪৭ শতাংশ স্নাতকই বেকার। ওঁদের কথা ভাবার সময় তথাকথিত স্বয়ংক্রিয়, তেজস্ক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় কোনো রাজনৈতিক দলেরই নেই, ওরা আছে নিজেদের ক্ষমতার মোহে, শত শত তোরণের নিচ দিয়ে গিয়ে অর্থহীন কর্মসূচি জনগণের দিকে ছুড়ে মারার জন্য, আর মানুষকে বোকা বানিয়ে নিজেদের সম্পদের মাত্রা বাড়ানোর তালে। আবদুল্লাহ: হাজার বছরের ইতিহাসে দেখা যায়, যে জাতি আবিষ্কার করে সে জাতি এগিয়ে থাকে। আমাদের উন্নতির চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। শুধু এক মোবাইল আবিষ্কার থেকেই পৃথিবীতে প্রায় ছয় কোটি লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমাদের দরকার আবিষ্কারক সরকার। রাকিব: মূল দায়ী অতিরিক্ত জনসংখ্যা। এমন না যে চাকরি খালি আছে, কিন্তু শিক্ষার মান খারাপ হওয়ায় চাকরি দেওয়া হচ্ছে না। চাকরিই খালি নেই। আমাদের কর্মসংস্থান নিয়ে চিন্তাভাবনা নতুন করে করা উচিত। পড়ালেখা করে একটা চাকরি—এ চিন্তা বাদ দিয়ে ব্যবসা বা অন্য কোনো উদ্যোগের ব্যাপারে আরও ভাবা উচিত। আনোয়ার হক: কারিগরি শিক্ষার দিকে আরও নজর দিতে হবে, যাতে বিদেশি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে। এস এম কামরুল হাসান: মানুষ চাকরি পায় না, আবার সেখানেও সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা! বিচিত্র নিয়ম আমাদের এই লুটেরাদের দেশে। কোটার বাইরে যে সব জায়গায় মেধার মূল্যায়ন হয়, তা-ও নয়, আছে দলবাজি, লবিং, ঘুষ দেওয়াসহ নানা রকম কর্মকাণ্ড।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে বিস্মিত আইসিসি ও বিসিবি
বিপিএলের ফিক্সিংয়ের অভিযোগে বিসিবির শৃঙ্খলা কমিটি ১০ জনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনলেও ট্রাইব্যুনাল ছয়জনকেই নির্দোষ বলে রায় দিয়েছেন। এ ব্যাপারে পাঠক নাবিল লিখেছেন: একটা আদর্শ পৃথিবীতে দোষ স্বীকারকারীদের শাস্তি হতো অনেক কম। তাদের ক্ষমা করা হতো। যেহেতু আমরা আদর্শ পৃথিবীতে বাস করি না, সুতরাং এ পৃথিবীতে দোষ স্বীকার করা ব্যক্তিরাই চরম বোকা। আশরাফুল, আপনি কি বুঝতে পারেননি এত দিনেও এ সত্য কথা? ভারতের ধোনি-শ্রীনিবাসন জুটির বিরুদ্ধে কত সন্দেহের তির, কিন্তু তাঁরা স্বীকার করেননি, তাঁরা কঠিন বাস্তবতাকে আগেই বুঝে ফেলেছেন। রফিকুল ইসলাম: আশরাফুল, তুমি আসলে সেরা। আশা রাখি তুমি একদিন ফিরবে। আমরা তোমার শুভ কামনা করি।
No comments