মঙ্গলের মালিক হতে প্লট কিনুন ৫ ডলারে!
আপনি কি মঙ্গলগ্রহে জমি কিনতে চান? তাহলে যোগাযোগ করুন মহাকাশ গবেষণায় বৃত্তিদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘উইঙ্গুর’ সঙ্গে। উইঙ্গু তাদের ওয়েবসাইটে মঙ্গলগ্রহে জমি কেনার সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করে রেখেছে। তবে জমিগুলো নিপাট সমতল ভূমি নয়। মঙ্গলে মহাশূন্য থেকে যে বৃত্তাকার খাদগুলো দেখা যায়- সেগুলোই শুধু আপনি কিনতে পারেন। এজন্যে আপনার মূল্য গুনতে হবে মাত্র ৫ মার্কিন ডলার (প্রায় ৩৯০ টাকা) থেকে ২৫০ মার্কিন ডলার (প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার টাকা)। মূল্য পরিশোধের পর প্রয়োজনীয় তথ্য ও প্রমাণাদির কাগজপত্র আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে। এভাবেই পৃথিবীর চেয়ে বড় এ লাল রঙের গ্রহটির গর্বিত মালিকদের একজন হতে পারেন। আপনার দেয়া অর্থ থেকে- মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রিক প্রকল্প নিয়ে যে সব বিজ্ঞানী, শিক্ষানবিশ মহাকাশ গবেষক, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অলাভজনক গবেষণা সংগঠনসমূহ কাজ করে চলেছে- তাদের বৃত্তি সহায়তা দেয়া হবে। এ ধরনের বৃত্তি প্রদানের জন্যে উইঙ্গু-ই বিশ্বে একমাত্র প্রতিষ্ঠান। যারা এখনও ভাবছেন সে ফ মজা করা হচ্ছে- পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝাতে তাদের জন্যে বাড়তি আরেকটু তথ্য সংযোজন করতে হচ্ছে।
মঙ্গলে জমি কিনে ফেলে রাখার চেয়ে আপনি যদি সেখানে গিয়ে বসবাস শুরু করতে চান তার ব্যবস্থাও করা হবে। ব্যবস্থা করবে একটি ডাচ্ সংস্থা। এ পর্যন্ত মঙ্গলে মানববসতি স্থাপন নিয়ে যে রূপরেখা তৈরি হয়েছে সে অনুযায়ী-প্রথম ৪ সদস্যের একটি মহাকাশচারী দলকে মঙ্গলে জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণসহ পাঠানো হবে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে। এর প্রতি দু’বছর পর পর- নির্দিষ্টসংখ্যক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মঙ্গলের অধিবাসী হতে ইচ্ছুকদের গ্রহটিতে পাঠানো হবে। মঙ্গলে যেতে হলে ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৮ বছর এবং শরীর হতে হবে নীরোগ এবং মজবুত। বসতি দেখতে হবে অনেকটা এমন- তবে মঙ্গলে যাওয়ার পূর্বে নিশ্চিত করতে হবে এমন একটি চূড়ান্ত বুক ধড়াস শর্ত রয়েছে। সেটি হল যারা একবার যাবেন, তারা আর কখনও পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারবেন না। নেদারল্যান্ডের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘মার্স ওয়ান’ তাদের এ ‘মার্স কলোনি পাইওনিয়ার’ প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ধরেছে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
No comments