জনগণকে শান্ত রাখতে প্রতিশ্রুতি শোনালেন চীনা প্রধানমন্ত্রী
সরকারবিরোধী বিক্ষোভ-সমাবেশ থেকে জনগণকে দূরে রাখতে তাদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিলেন চীনা প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়াবাও। মুদ্রাস্ফীতি, আর্থিক প্রবৃদ্ধির ঘাটতি ও দুর্নীতির মতো বিষয়গুলোতে জনগণের উদ্বেগ নিরসনের লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি।
বেইজিংসহ দেশটির ১৩ শহরে গতকাল সাপ্তাহিক প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল সরকারবিরোধীরা। এ দিন চিয়াবাও এ সব প্রতিশ্রুতি দেন।
তিউনিসিয়ায় সংঘটিত 'জেসমিন' বিপ্লবের সফলতার সূত্র ধরে গত সপ্তাহে বেইজিং ও সাংহাইসহ বেশ কয়েকটি শহরে প্রথমবারের মতো 'জেসমিন বিক্ষোভ-সমাবেশের' ডাক দেওয়া হয়। অনলাইনে ডাক দেওয়া সরকারবিরোধী এ বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব না হয়, সে জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেয় সরকারি বাহিনী। ফলে সমাবেশে মানুষের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। গতকালও জোরাল কোনো বিক্ষোভ হয়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। সংস্থাটি জানিয়েছে, রাজধানী বেইজিংয়ের যে জায়গায় সমাবেশ ডাকা হয়েছিল, নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা পরও সেখানে কোনো বিক্ষোভ হয়নি। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। অনলাইনে ডাক দেওয়া গতকালের কর্মসূচিতে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রার কথা আগেই বলা হয়েছিল।
দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতির ব্যাপারে চিয়াবাওকে গতকাল অনলাইনে প্রশ্ন করেন অনেকে। তিনি তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতির লক্ষ্য হলো জনগণের বস্তুগত ও সংস্কৃতিগত চাহিদা পূরণ করা। সাধারণ মানুষের জীবনমান ক্রমে উন্নত করার ব্যাপারটি আমরা নিশ্চিত করতে চাই।' তিনি বলেন, জনগণের অধিকারের প্রতি সরকারের শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। ক্রমান্বয়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার প্রভাবে সমাজের স্থিতিশীলতা নষ্ট হচ্ছে স্বীকার করে চিয়াবাও বলেন, 'গৃহায়ণের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে, বিষয়-সম্পত্তি নিয়ে ফটকাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, খাদ্যশস্যসহ অন্য ফসলের প্রয়োজনীয় উৎপাদন নিশ্চিত করা হবে।' তবে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা পণ্য মজুদ করে বাজার অস্থিতিশীল করতে সচেষ্ট, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।
দুই বছরের মধ্যে গত জানুয়ারিতে চীনে মুদ্রাস্ফীতি ছিল সবচেয়ে বেশি (৪.৯ শতাংশ)। এতে খাদ্যসামগ্রী ও বাড়িঘরের দাম বেড়ে যায়। জনমনে অসন্তোষ দেখা দেয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী পাঁচ বছর সাত শতাংশ হারে বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। সূত্র: এএফপি।
তিউনিসিয়ায় সংঘটিত 'জেসমিন' বিপ্লবের সফলতার সূত্র ধরে গত সপ্তাহে বেইজিং ও সাংহাইসহ বেশ কয়েকটি শহরে প্রথমবারের মতো 'জেসমিন বিক্ষোভ-সমাবেশের' ডাক দেওয়া হয়। অনলাইনে ডাক দেওয়া সরকারবিরোধী এ বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব না হয়, সে জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেয় সরকারি বাহিনী। ফলে সমাবেশে মানুষের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। গতকালও জোরাল কোনো বিক্ষোভ হয়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। সংস্থাটি জানিয়েছে, রাজধানী বেইজিংয়ের যে জায়গায় সমাবেশ ডাকা হয়েছিল, নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা পরও সেখানে কোনো বিক্ষোভ হয়নি। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। অনলাইনে ডাক দেওয়া গতকালের কর্মসূচিতে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রার কথা আগেই বলা হয়েছিল।
দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতির ব্যাপারে চিয়াবাওকে গতকাল অনলাইনে প্রশ্ন করেন অনেকে। তিনি তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতির লক্ষ্য হলো জনগণের বস্তুগত ও সংস্কৃতিগত চাহিদা পূরণ করা। সাধারণ মানুষের জীবনমান ক্রমে উন্নত করার ব্যাপারটি আমরা নিশ্চিত করতে চাই।' তিনি বলেন, জনগণের অধিকারের প্রতি সরকারের শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। ক্রমান্বয়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার প্রভাবে সমাজের স্থিতিশীলতা নষ্ট হচ্ছে স্বীকার করে চিয়াবাও বলেন, 'গৃহায়ণের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে, বিষয়-সম্পত্তি নিয়ে ফটকাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, খাদ্যশস্যসহ অন্য ফসলের প্রয়োজনীয় উৎপাদন নিশ্চিত করা হবে।' তবে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যারা পণ্য মজুদ করে বাজার অস্থিতিশীল করতে সচেষ্ট, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।
দুই বছরের মধ্যে গত জানুয়ারিতে চীনে মুদ্রাস্ফীতি ছিল সবচেয়ে বেশি (৪.৯ শতাংশ)। এতে খাদ্যসামগ্রী ও বাড়িঘরের দাম বেড়ে যায়। জনমনে অসন্তোষ দেখা দেয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী পাঁচ বছর সাত শতাংশ হারে বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। সূত্র: এএফপি।
No comments