আয়ারল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন-ক্ষমতাসীন দলের ভরাডুবি
সাধারণ নির্বাচনে নিজের দলের হার মেনে নিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ব্রায়ান কোয়েন। বুথ-ফেরত জরিপে তাঁর নেতৃত্বাধীন দল ফিয়ানা ফলের বড় ধরনের পরাজয়ের ইঙ্গিত পাওয়ার পর হার মেনে নেন তিনি।
গত ৮০ বছরের মধ্যে দলটি সবচেয়ে বড় পরাজয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। জরিপ অনুযায়ী, প্রধান বিরোধী দল ফিনে গোয়েল সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।
আইরিশ পার্লামেন্টের ১৬৬ আসনবিশিষ্ট নিম্নকক্ষ ডেইলের নির্বাচন হয় গত শুক্রবার। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আরটিই পরিচালিত বুথ-ফেরত জরিপে জানানো হয়, ক্ষমতাসীন ফিয়ানা ফল নির্বাচনে ১৫.১ শতাংশ সমর্থন পেতে যাচ্ছে। বিপরীতে বিরোধী ফিনে গোয়েল পার্টি ৩৬.১ শতাংশ সমর্থন পেয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে আছে। ১৯৩২ সাল থেকে প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই কমপক্ষে ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে ফিয়ানা দল। ২০০৭ সালের নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা ৭৮ আসন পেয়েছিল।
গতকাল রবিবার পর্যন্ত সর্বশেষ ফলাফলে ১৩১টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৯টি আসন পেয়েছে ফিনে গোয়েল। একই জোটের শরিক বামপন্থী দল লেবার পেয়েছে ৩১টি। ফিয়ানা দল পেয়েছে ১৪ আসন। বামপন্থী সিন ফেইন পেয়েছে ১৩টি আসন।
আংশিক ফলাফলের পরই পরাজয় মেনে নিয়ে কোয়েন বলেন, 'আজ এটা স্পষ্ট যে আমাদের দলের প্রতি বেশি সমর্থন নেই। কিন্তু গণতন্ত্রের অনুসারী হওয়ায় আমরা ফল মেনে নিচ্ছি।'
এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটাররা ফিয়ানা ফলের ওপর তাদের ক্ষোভ ঝেড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বেকারত্বের মাত্রা ১৩ শতাংশে পেঁৗছে যাওয়া, করের হার বৃদ্ধি, বেতনে কাটছাঁটের কারণে জনগণের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। তার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) চাপিয়ে দেওয়া ঋণের কারণেও ক্ষোভ তৈরি হয়। ফিয়ানা ফলের বর্তমান মেয়াদের এমপি বাট ও' কিফ বলেন, 'মানুষ ফিয়ানা ফলের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অপেক্ষায় ছিল।'
২০০৮ সালে আয়ারল্যান্ডের আবাসন শিল্পের ধসের প্রকোপে অর্থনৈতিক মন্দা তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামলাতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে প্রায় ৯ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ঋণ নেয় সরকার। ঋণ পরিশোধে করের হার বাড়ানোর পাশাপাশি চার বছর মেয়াদি কাটছাঁট পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ঋণের সুদ মেটাতে গিয়ে হিমশিম খায় সরকার।
ফিনে গোয়েলের নেতা ও ভাবি প্রধানমনন্ত্রী এন্ডা কেনি ঋণ পরিশোধের সহজ শর্ত নিয়ে আলোচনার অঙ্গীকার করেছেন। আগামী এক বছরের মধ্যে এক লাখ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি ও রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর বন্ড বাজারে ছাড়ারও অঙ্গীকার করেছেন তিনি। সূত্র : এএফপি, এপি।
আইরিশ পার্লামেন্টের ১৬৬ আসনবিশিষ্ট নিম্নকক্ষ ডেইলের নির্বাচন হয় গত শুক্রবার। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আরটিই পরিচালিত বুথ-ফেরত জরিপে জানানো হয়, ক্ষমতাসীন ফিয়ানা ফল নির্বাচনে ১৫.১ শতাংশ সমর্থন পেতে যাচ্ছে। বিপরীতে বিরোধী ফিনে গোয়েল পার্টি ৩৬.১ শতাংশ সমর্থন পেয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে আছে। ১৯৩২ সাল থেকে প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই কমপক্ষে ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে ফিয়ানা দল। ২০০৭ সালের নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা ৭৮ আসন পেয়েছিল।
গতকাল রবিবার পর্যন্ত সর্বশেষ ফলাফলে ১৩১টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৯টি আসন পেয়েছে ফিনে গোয়েল। একই জোটের শরিক বামপন্থী দল লেবার পেয়েছে ৩১টি। ফিয়ানা দল পেয়েছে ১৪ আসন। বামপন্থী সিন ফেইন পেয়েছে ১৩টি আসন।
আংশিক ফলাফলের পরই পরাজয় মেনে নিয়ে কোয়েন বলেন, 'আজ এটা স্পষ্ট যে আমাদের দলের প্রতি বেশি সমর্থন নেই। কিন্তু গণতন্ত্রের অনুসারী হওয়ায় আমরা ফল মেনে নিচ্ছি।'
এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটাররা ফিয়ানা ফলের ওপর তাদের ক্ষোভ ঝেড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বেকারত্বের মাত্রা ১৩ শতাংশে পেঁৗছে যাওয়া, করের হার বৃদ্ধি, বেতনে কাটছাঁটের কারণে জনগণের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। তার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) চাপিয়ে দেওয়া ঋণের কারণেও ক্ষোভ তৈরি হয়। ফিয়ানা ফলের বর্তমান মেয়াদের এমপি বাট ও' কিফ বলেন, 'মানুষ ফিয়ানা ফলের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অপেক্ষায় ছিল।'
২০০৮ সালে আয়ারল্যান্ডের আবাসন শিল্পের ধসের প্রকোপে অর্থনৈতিক মন্দা তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামলাতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে প্রায় ৯ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ঋণ নেয় সরকার। ঋণ পরিশোধে করের হার বাড়ানোর পাশাপাশি চার বছর মেয়াদি কাটছাঁট পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ঋণের সুদ মেটাতে গিয়ে হিমশিম খায় সরকার।
ফিনে গোয়েলের নেতা ও ভাবি প্রধানমনন্ত্রী এন্ডা কেনি ঋণ পরিশোধের সহজ শর্ত নিয়ে আলোচনার অঙ্গীকার করেছেন। আগামী এক বছরের মধ্যে এক লাখ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি ও রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর বন্ড বাজারে ছাড়ারও অঙ্গীকার করেছেন তিনি। সূত্র : এএফপি, এপি।
No comments