তারুণ্য-‘খারাপ-ভালো মিলিয়েই তো সময় যায়’ by মিথিলা
কেমন গেল ২০১১ প্রতিবছরের শুরুতেই প্রত্যাশা করি, যেন বছরটি ভালো কাটে। বছরের শুরুতে এটাই আমার প্রথম চাওয়া। তার পরও জানি, খারাপ-ভালো মিলিয়েই তো সময় যায়। গত বছর খারাপের পাশাপাশি ভালো সময়ও গেছে। তবে খারাপটি ভালোর তুলনায় অনেক কম ছিল। সবচেয়ে বড় বিষয়, যেসব প্রত্যাশা ছিল, কমবেশি সবই পূরণ হয়েছে।
তবে ২০১১ সালের প্রত্যাশা জানার জন্য একটু পেছন ফিরে তাকাই যদি, ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়টাতে আমেরিকা
তবে ২০১১ সালের প্রত্যাশা জানার জন্য একটু পেছন ফিরে তাকাই যদি, ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়টাতে আমেরিকা
থেকে দেশে ফিরে আসি। আমেরিকায় জীবনটা একভাবে গুছিয়ে নিয়েছিলাম। সেখান থেকে দেশে ফিরে এসে কিছুটা সময়ের জন্য বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম। কারণ, নতুন করে আবার সবকিছু শুরু করতে হবে। আমি যে ধরনের চাকরি করতে চাই, সে ধরনের কোনো পদ পাব কি না। পাশাপাশি অভিনয়জগতে পছন্দমতো চরিত্রগুলো করার সুযোগ পাব কি না—এসব নিয়ে মনের মধ্যে নানা শঙ্কা, প্রশ্ন কাজ করেছে। ২০১১ সালে চেয়েছি, যদি কিছুদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কাজ করতে পারি তো খুব ভালো হয়, সে ইচ্ছে অপূর্ণ থাকেনি। ২০১১ সালের শুরুতেই অর্থাৎ জানুয়ারি মাসেই নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে শিক্ষকতা করার সুযোগ পেয়ে যাই। এ ছাড়া পেশাগত ক্ষেত্রে আরেকটু চ্যালেঞ্জিং কিছু করার ইচ্ছেটিও পূরণ হয়েছে গত বছরই। এখন যে কাজ করছি, সেটাও বেশ উপভোগ করছি। একটি উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষামূলক বিষয়ের ওপর প্রোগ্রাম অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করছি।
গত বছর অভিনয় করেছি বেশ কিছু নাটকে। ভালো গেছে ব্যক্তিগত জীবনও, ঝগড়াবিবাদ কম হয়েছে সবার সঙ্গে।
কেমন চাই ২০১২
বাস্তবে যে রকম দেখা গেছে, সব সময় সে ধরনের চরিত্রেই অভিনয় করছি। এটা নিয়ে মনে একটা অতৃপ্তি আছে। আমার ইচ্ছা, ২০১২ সালে এই গতানুগতিক চরিত্র থেকে বের হয়ে আসি। একটু ভিন্ন ধরনের চরিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরতে চাই নিজের অভিনয়সত্তাকে; পাশাপাশি বিজ্ঞাপন নিয়েও আমার স্বপ্ন আছে। এ ক্ষেত্রেও বেছে ভালো কাজ করতে চাই।
ভ্রমণ আমার দারুণ পছন্দ। তাই ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ থেকে কখনোই নিজেকে বঞ্চিত করতে চাই না। যখনই সময় পাই, ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে বেরিয়ে পড়ি। তবে গেল বছরে যতটা চেয়েছি ততটা ঘুরে বেড়ানো হয়নি। কাজেই, নতুন বছরের প্রত্যাশার তালিকায় এটিও যোগ করতে চাই ওপরের দিকে।
অভিনয়ের বাইরে ২০১২ সালে নিজের কর্মক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে চাই। চ্যালেঞ্জিং কাজের মাধ্যমে অর্থাৎ নতুন কিছু শেখা এবং নতুন কিছু করে দেখানোর মাধ্যমে তুলে ধরতে চাই নিজের যোগ্যতাকে।
মানুষের ভালোর জন্য আমি নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যেতে চাই। সেই লক্ষ্যে কাজের বেশ খানিকটা এগিয়েও এনেছি। চেষ্টা করছি সুবিধাবঞ্চিত ছেলেমেয়েরা যারা বিদ্যালয়ের গণ্ডি থেকে ছিটকে পড়েছে, আবার তাদের ক্লাসরুমের বেঞ্চে এনে বসাতে চাই। কর্মক্ষেত্র থেকে কাজটি শুরু হলেও এ কাজের মাধ্যমেই নিজেকে খুঁজে পেতে চাই। আমার স্বপ্নের এখানেই শেষ নয়, আমি দেশের যুবসমাজকেও ইতিবাচক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে চাই। তাদের সরিয়ে আনতে চাই সব রকম নেতিবাচক কাজের সংস্পর্শ থেকে।
অনুলিখন: রয়া মুনতাসীর
No comments