দে আর টোটালি লস্ট ইন ট্রান্সলেশন by আবিদ রহমান
শান্তির ধর্ম ইসলামের উপমহাদেশীয় বয়স প্রায় নয়শ’ বছর। বর্ণবাদী শ্রেণী বিন্যাসভিত্তিক ভারত উপমহাদেশে ইসলামের আগমন ভিন মুল্লুকের আগ্রাসীদের রাজ্য বিজয়ে। বিজিত ভারতীয়রা বিভিন্ন আনুকল্য লাভের প্রত্যাশায়, নিজের নিম্ন বর্ণীয় বংশ পরিচয় মুছে দেবার অফুরান সুযোগে ইসলামকে স্বাগত জানায়। অবশ্য কিছু সুফী-দরবেশ ও ধর্ম প্রচারকের নিবেদিত নিবেদনও ইসলামের বিকাশে সাহায্য সহায়তা করেছে। অনুসৃত ধর্মীয় চর্চ্চা অব্যাহত থাকলেও ইসলামী শিক্ষার অংকুরোদগম হয় বৃটিশ জমানায়, আলীগড় ও দেওবন্দের স্হাপনা ও শিক্ষায়।
আলীগড়ের শিক্ষিতরা নিজেদের উদার ও প্রগতিশীলতার জন্যে উপমহাদেশের ধর্মীয় শিক্ষার বিশাল অঙ্গনে অবশ্য স্বাগত হননি। মার্কেটিং স্ট্রাটিজে রমরমা সাফল্য দেখেছে দেওবন্দ। পুরো উপমহাদেশ জুড়ে দেওবন্দী আলেমদের জসনে জৌলুস। দেওবন্দ আর আলীগড় দু’খানের শিক্ষকেরা এসেছিলেন দুনিয়ার ইসলামী শিক্ষার সূতিকাগার আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। মিসরীয় এই প্রতিষ্ঠান টি আজো ইসলামী স্কলারদের তীর্থভূমি। কোরান-হাদিস ব্যাখ্যার হার্ভাড-কেমব্রিজ-জন হপকিন্স। আমার কিশোর-যুবক সন্ধিবেলায় কথায় কথায় ভূল উচ্চারণের উর্দূতে মুলৌদ শরীফের আয়োজন হতো। বাংলায় মুলৌদ ছিলো ট্যাবু। পিতার মৃত্যু, মায়ের অসুস্হতা, ভাইয়ের চাকরির প্রমোশন, ছোট ভাইয়ের ম্যাট্রিক প্রি-টেস্ট, ভাগিনার সুন্নতে খতনা, ভাতিজার আকিকা সব কিছূর আগে-পিছে ছিলো হুজুরকে কড়কড়ে পঞ্চাশ টাকার নোট গুনে দেবার মুলৌদ শরীফের দাপাদাপি। একদল দাঁড়িয়ে ’কেয়াম’ করতেন, আরেকদল ’বেতমিজ’ বসে থাকার ’আস্পর্ধায়’। মুলৌদ চলাকালে হাঁটাচলা ছিলো বেশরিয়তি। মেলবোর্ণে এসে জানলাম, মুলৌদ মানেই উৎসব। পিতার মৃত্যুতে, মায়ের অসুস্হতার সংবাদের ‘উৎসবে’ কেটেছে আমাদের বাল্যকাল। আমার মরহুম চৌদ্দ পুরুষকে দিয়ে নিত্য মুলৌদ শরীফ পড়িয়ে এখন বলা হয় মুলৌদ শরীফ নাকি ‘বেশরীয়তি’!
আরবী আনপড় বাঙালি মুসলমানের জুম্মার খুৎবায় বারবার ঘড়ি দেখে না-বোঝার ‘এলা এলা লা সাবাক্তানিতে’। জার্কাতার চার বছরের বসবাসের আয়ুতে খুৎবা শুনেছি ভাষা ইন্দোনেশিয়ায়। দ্বীনের গুরুত্ব আর বয়ানের মাজেজা বুঝতে পারা বৃদ্ধ মুসল্লীরা প্রায়শই অন্যদের বিরক্তির কারণ হয়ে চিৎকার করতেন ‘সাতু লাগি’ মানে ওয়ানস মোর। বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় মসজিদ হচ্ছে সকল সামাজিক কর্মকান্ডের উৎস। জুম্মার দিন সকালে দিব্যি জুতা পায়ে অতিথিরা জড়ো হন বিয়ে-শাদীর উদার খানা পিনায়। দুপুরের খানিকটা আগে মসজিদ ধুয়ে আয়োজন হয় পবিত্র জুম্মার। রাতে এশার নামাজ শেষে গ্রাম্য মুরুব্বীরা মসজিদের বারান্দায় বসেন সামাজিক সালিশে। কেউবা দিলখোশ হুক্কোয় টান লাগান। আজকাল তরুণদের জন্যেও চালু হয়েছে টেবিল টেনিস। ইন্দোনেশিয়ার মসজিদের ইমাম হবার পূর্বশর্ত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে নূন্যতম তিন মাসের ওরিয়েন্টেশন কোর্স। প্রতি তিন বা পাঁচ বছর পর পর নিজেদের জ্ঞান-বিদ্যা আর ব্যাখ্যার আপডেটে যেতে হয় ইমাম-মুয়াজ্জিনদের।
বিপরীতে উনিশশো বিয়াল্লিশ সংস্করণ মুখস্হ বাংলাদেশি ইমাম-মুয়াজ্জিন-আলেমেরা নিজেদের নামের আগে-পিছে দিব্যি জুড়ে দেন আল্লামা, মুফতী শান্তি ও চিরকালীন মানব কল্যানের ধর্ম ইসলামকে নিজেদের হীন ’পেশাদারী স্বার্থে’ বিকৃত ব্যাখ্যা করেন। মাত্র তিরিশ বছর আগেও যারা মাইকের আযানের বিরোধিতা করতেন, তারা ওয়াজের রমরমা বাণিজ্যে মাইকের ইস্তমাল করেন বিনা দ্বিধায়। ছবি তোলা হারাম ফতোয়া জারি করা মানুষগুলো সারাক্ষণ টিভির পর্দায় আলাপচারিতায়। জুতা নিয়ে মসজিদে ঢোকার নিষেধাজ্ঞা চালু করে নিজেরা মোজার ধাঁচে চামড়ার জুতো পায়ে বেসুমার নামাজে মগ্ন হচ্ছেন! সুদ হারাম ফতোয়া দিয়ে কলমানি বাজারে চড়া সুদে টাকা ধার করা ইসলামী ব্যাংকিংয়ে আস্হা রাখেন। ঘড়ি দেখে তাহাজ্জুত পড়লেও বৈজ্ঞানিক হিসাবে চাঁদ মানেন না। অবশ্য দেওবন্দীদের এই সব পেশাদারী ‘তামাশায়’ লাভবান হয়েছি আম-মুসলমানেরা। আগে অপশন ছিলো হজ্ব-রোজা-নামাজের বিকল্পের। ধনীরা দিব্যি নিজেদের হজ্ব অন্যকে দিয়ে সারতে পারতেন। রোজার কাফফারায় অন্যকে দিয়ে রোজাদার বনতেন। এই সব অন্যেরা সচরাচর হতেন মাদ্রাসা পাশ ‘আলেম’ জাতীয় ’মুমীন’। নামাজের বিকল্প ও ’হুইল চেয়ার এসিস্ট্যান্স’ বহুদিন ধরেই ছিলো। এখন ঈদের বাজারেও এসেছে অপশন। চাঁদ দেখার বির্তকে ঈদ উদযাপনের অপশন এসেছে। দেশে শুক্রবার বেস্ট অপশন। বিদেশে রোববার। এবারের ঈদে রোববার-সোমবার অপশন মিলেছিলো। এক মুসলমানের এক ঈদের চাঁদ দু’দিন ধরে উঠে!
দিন কতক আগে পশু কোরবানীর বদলে টাকাটা হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্নের ক্যান্সার হাসপাতলের জন্যে দানের আহ্বান জানিয়ে বেমক্কা ধাবড়ানী খেয়েছি। ইসলামে যে ত্যাগের মহিমায় কোরবানি ওয়াজেব করা হয়েছে সেটা বাদ দিয়ে উৎসের বদলে অনেকে মেতেছেন ইভেন্টের মহিমায়। বৃহত্তম মুসলমান রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় কোরবানি একেবারে হয়না বল্লেই চলে। সমাজের মুসল্লীরা কোরবানির নিয়তকৃত টাকাটা কোনো ইমাম বা মুরুব্বীর মাধ্যমে একাট্টা করে গরীব একটি বা দু’টি পরিবারকে পুর্ণবাসিত করেন। প্রতিবেশী মালয়েশিয়ার মুসলমানেরাও অতি ধর্মপরায়ন। বিয়ের আগে হজ করাটা সেখানকার সামাজিক রীতি। মালেয়শিয়ানরা জীবনে একবার কোরবানি দেন। বাদবাকী টাকা ব্যয় করেন দুঃস্হ মানবতা কিংবা সামাজিক উন্নয়নে। আমাদের কোরবানি প্রেমী ’হুজুরেরা’ নিঃসন্দেহে দাবি করবেন ইন্দোনেশিয়া ও মালেয়শিয়ানরা ‘খাঁটি’ মুসলমান নন। আমাদের ইমাম-আলেমরা শেষ কবে ইসলামী জ্ঞানের সূতিকাগার আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ইসলামী ব্যাখ্যা-বিবেচনা-সুপারিশে চোখ বুলিয়েছেন?
আমাদের আলেমেরা হালাল খাবারের ওপর জোর দেন, হালাল রোজগারের নয়। কোরবানি যারা দিচ্ছেন বাংলাদেশে, ক’জনার আয়-রোজগার হালাল? ক’জন নিজের বেতনের সামর্থ্যে কোরবানী দেবার মতো যোগ্য? আসলে আমাদের দেওবন্দী মোল্লা-মৌলভীরা ইসলামের প্রকৃত ব্যাখ্যাকে হারিয়ে ফেলেছেন অনুবাদ আর স্বার্থান্নেষী বিভেদে। দেওবন্দের অধক্ষ্যের আহ্বানও ওনাদের কানে যায়না? দে আর টোটালী লস্ট ইন ট্রান্সলেশন।
এক বছরের কোরবাণীর টাকাটা হুমায়ূনের ক্যান্সার হাসপাতালে না দিতে ইচ্ছুকেরা একাট্টা হয়ে আসুন না, পদ্মা সেতুর মতো একটা বড় ব্রীজ বানিয়ে ফেলি। কিংবা দুই লেনের মহাসড়কগুলোকে চার লেনে উন্নীত করি। প্রতিদিন এই ব্রিজ বা রাস্তায় চলাচলকারীদের রুহের দোয়াতো পাওয়া যাবে! বলবেন, টাকাটা কাকে দেবেন? সরকারের-বিরোধী দলের গুন্ডা-পান্ডারা চুরি-চামারী করবে।
সরকার বা বিরোধীদলের পক্ষে সাফাই গাইছিনা। ভাত খেতে গেলে দু’একটা অবশ্যই পড়বে। ভাত পড়বে এই ভয়ে নিশ্চয় আমরা খাওয়া ক্ষ্যান্ত দেইনা।
ইমেলঃ abid.rahman@ymail.com
আরবী আনপড় বাঙালি মুসলমানের জুম্মার খুৎবায় বারবার ঘড়ি দেখে না-বোঝার ‘এলা এলা লা সাবাক্তানিতে’। জার্কাতার চার বছরের বসবাসের আয়ুতে খুৎবা শুনেছি ভাষা ইন্দোনেশিয়ায়। দ্বীনের গুরুত্ব আর বয়ানের মাজেজা বুঝতে পারা বৃদ্ধ মুসল্লীরা প্রায়শই অন্যদের বিরক্তির কারণ হয়ে চিৎকার করতেন ‘সাতু লাগি’ মানে ওয়ানস মোর। বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় মসজিদ হচ্ছে সকল সামাজিক কর্মকান্ডের উৎস। জুম্মার দিন সকালে দিব্যি জুতা পায়ে অতিথিরা জড়ো হন বিয়ে-শাদীর উদার খানা পিনায়। দুপুরের খানিকটা আগে মসজিদ ধুয়ে আয়োজন হয় পবিত্র জুম্মার। রাতে এশার নামাজ শেষে গ্রাম্য মুরুব্বীরা মসজিদের বারান্দায় বসেন সামাজিক সালিশে। কেউবা দিলখোশ হুক্কোয় টান লাগান। আজকাল তরুণদের জন্যেও চালু হয়েছে টেবিল টেনিস। ইন্দোনেশিয়ার মসজিদের ইমাম হবার পূর্বশর্ত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে নূন্যতম তিন মাসের ওরিয়েন্টেশন কোর্স। প্রতি তিন বা পাঁচ বছর পর পর নিজেদের জ্ঞান-বিদ্যা আর ব্যাখ্যার আপডেটে যেতে হয় ইমাম-মুয়াজ্জিনদের।
বিপরীতে উনিশশো বিয়াল্লিশ সংস্করণ মুখস্হ বাংলাদেশি ইমাম-মুয়াজ্জিন-আলেমেরা নিজেদের নামের আগে-পিছে দিব্যি জুড়ে দেন আল্লামা, মুফতী শান্তি ও চিরকালীন মানব কল্যানের ধর্ম ইসলামকে নিজেদের হীন ’পেশাদারী স্বার্থে’ বিকৃত ব্যাখ্যা করেন। মাত্র তিরিশ বছর আগেও যারা মাইকের আযানের বিরোধিতা করতেন, তারা ওয়াজের রমরমা বাণিজ্যে মাইকের ইস্তমাল করেন বিনা দ্বিধায়। ছবি তোলা হারাম ফতোয়া জারি করা মানুষগুলো সারাক্ষণ টিভির পর্দায় আলাপচারিতায়। জুতা নিয়ে মসজিদে ঢোকার নিষেধাজ্ঞা চালু করে নিজেরা মোজার ধাঁচে চামড়ার জুতো পায়ে বেসুমার নামাজে মগ্ন হচ্ছেন! সুদ হারাম ফতোয়া দিয়ে কলমানি বাজারে চড়া সুদে টাকা ধার করা ইসলামী ব্যাংকিংয়ে আস্হা রাখেন। ঘড়ি দেখে তাহাজ্জুত পড়লেও বৈজ্ঞানিক হিসাবে চাঁদ মানেন না। অবশ্য দেওবন্দীদের এই সব পেশাদারী ‘তামাশায়’ লাভবান হয়েছি আম-মুসলমানেরা। আগে অপশন ছিলো হজ্ব-রোজা-নামাজের বিকল্পের। ধনীরা দিব্যি নিজেদের হজ্ব অন্যকে দিয়ে সারতে পারতেন। রোজার কাফফারায় অন্যকে দিয়ে রোজাদার বনতেন। এই সব অন্যেরা সচরাচর হতেন মাদ্রাসা পাশ ‘আলেম’ জাতীয় ’মুমীন’। নামাজের বিকল্প ও ’হুইল চেয়ার এসিস্ট্যান্স’ বহুদিন ধরেই ছিলো। এখন ঈদের বাজারেও এসেছে অপশন। চাঁদ দেখার বির্তকে ঈদ উদযাপনের অপশন এসেছে। দেশে শুক্রবার বেস্ট অপশন। বিদেশে রোববার। এবারের ঈদে রোববার-সোমবার অপশন মিলেছিলো। এক মুসলমানের এক ঈদের চাঁদ দু’দিন ধরে উঠে!
দিন কতক আগে পশু কোরবানীর বদলে টাকাটা হুমায়ূন আহমেদের স্বপ্নের ক্যান্সার হাসপাতলের জন্যে দানের আহ্বান জানিয়ে বেমক্কা ধাবড়ানী খেয়েছি। ইসলামে যে ত্যাগের মহিমায় কোরবানি ওয়াজেব করা হয়েছে সেটা বাদ দিয়ে উৎসের বদলে অনেকে মেতেছেন ইভেন্টের মহিমায়। বৃহত্তম মুসলমান রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় কোরবানি একেবারে হয়না বল্লেই চলে। সমাজের মুসল্লীরা কোরবানির নিয়তকৃত টাকাটা কোনো ইমাম বা মুরুব্বীর মাধ্যমে একাট্টা করে গরীব একটি বা দু’টি পরিবারকে পুর্ণবাসিত করেন। প্রতিবেশী মালয়েশিয়ার মুসলমানেরাও অতি ধর্মপরায়ন। বিয়ের আগে হজ করাটা সেখানকার সামাজিক রীতি। মালেয়শিয়ানরা জীবনে একবার কোরবানি দেন। বাদবাকী টাকা ব্যয় করেন দুঃস্হ মানবতা কিংবা সামাজিক উন্নয়নে। আমাদের কোরবানি প্রেমী ’হুজুরেরা’ নিঃসন্দেহে দাবি করবেন ইন্দোনেশিয়া ও মালেয়শিয়ানরা ‘খাঁটি’ মুসলমান নন। আমাদের ইমাম-আলেমরা শেষ কবে ইসলামী জ্ঞানের সূতিকাগার আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ইসলামী ব্যাখ্যা-বিবেচনা-সুপারিশে চোখ বুলিয়েছেন?
আমাদের আলেমেরা হালাল খাবারের ওপর জোর দেন, হালাল রোজগারের নয়। কোরবানি যারা দিচ্ছেন বাংলাদেশে, ক’জনার আয়-রোজগার হালাল? ক’জন নিজের বেতনের সামর্থ্যে কোরবানী দেবার মতো যোগ্য? আসলে আমাদের দেওবন্দী মোল্লা-মৌলভীরা ইসলামের প্রকৃত ব্যাখ্যাকে হারিয়ে ফেলেছেন অনুবাদ আর স্বার্থান্নেষী বিভেদে। দেওবন্দের অধক্ষ্যের আহ্বানও ওনাদের কানে যায়না? দে আর টোটালী লস্ট ইন ট্রান্সলেশন।
এক বছরের কোরবাণীর টাকাটা হুমায়ূনের ক্যান্সার হাসপাতালে না দিতে ইচ্ছুকেরা একাট্টা হয়ে আসুন না, পদ্মা সেতুর মতো একটা বড় ব্রীজ বানিয়ে ফেলি। কিংবা দুই লেনের মহাসড়কগুলোকে চার লেনে উন্নীত করি। প্রতিদিন এই ব্রিজ বা রাস্তায় চলাচলকারীদের রুহের দোয়াতো পাওয়া যাবে! বলবেন, টাকাটা কাকে দেবেন? সরকারের-বিরোধী দলের গুন্ডা-পান্ডারা চুরি-চামারী করবে।
সরকার বা বিরোধীদলের পক্ষে সাফাই গাইছিনা। ভাত খেতে গেলে দু’একটা অবশ্যই পড়বে। ভাত পড়বে এই ভয়ে নিশ্চয় আমরা খাওয়া ক্ষ্যান্ত দেইনা।
ইমেলঃ abid.rahman@ymail.com
No comments